নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
রুবাই ১০১ - ১৫০
---------------------------- রমিত আজাদ
১০১।
কেমন করে এমন হলো? শরৎকালে শ্রাবণ এলো!
শুভ্রমেঘে সলিল পেলো! শারদ প্রাতে প্লাবন হলো!
আবহাওয়ার এ কি হলো? জল্বায়ু সব এলেমেলো!
বিশ্বব্যাপী গোল বাধালো! মানুষগুলোও পাগল হলো!
১০২।
তিতকুটে এক বিদঘুটে ভাই, মানব বেশী দানব!
যন্ত্রীরা সব বাজনা বাজায়, গান ধরেছে গণক!
গোল বাধাবে বোশেখ মেলায়, প্ল্যান করেছে ঢের!
শালবনে তার মিটিং হলো, কেউ পেলোনা টের!
১০৩।
ঐ হাসি তো নয় হাসি মা, দখলদারের বিচ্ছিরি!
আগ্রাসনের হুমকী হানে, দলবে সবার ফুলকুঁড়ি!
আগ্রাসী তুই মন্ত্র পড়িস? মেসমেরিজম ঢের জানিস?
শেষ মন্ত্র মোদের হাতেই, ভজ্ঞিযজ্ঞি কম করিস!
১০৪।
জমিদারী জমিদারী তন্ত্রের মন্ত্র,
জ্বলে চিতা সেগুনের, পোড়ে মেধাতন্ত্র!
মৃধা ছিলো পদ্মার লাঠিয়াল সর্দার,
লাঠি হেঁকে চর নিলো, বনে গেলো জমিদার!
১০৫।
নদীতটে মিঠা হাসে কাশবন কন্যা,
তীরে যেতে তরী চাই, পার হয়ে বন্যা!
স্বপ্নের ঢেউ ভাঙে যমুনার ঢলেতে,
যত্নের সাথে ভাসে সীমাহীন ছলেতে!
-------------------------------------------
রচনাতারিখ: ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: রাত্রী ১টা ৪৫ মিনিট
XXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXX
রুবাই ১০৬, ১০৭, ১০৮, ১০৯, ১১০
---------------------------- রমিত আজাদ
১০৬।
আবার যদি পাই তোমাকে, আবার নতুন মন খুলি,
বলবো তুমি প্রাণের কলি, আর যেওনা দূর চলি!
হারিয়ে গেছে যেই সে সময়, তার কথা না আর ভাবি,
আর যেওনা এখন থেকে, বলবো আমি প্রাণ কবি।
১০৭।
চাইনে কোন গোলাপ কলি, চাইনে আমি করবী,
রূপ সাগরে ডুব দেব না, রূপ্সীরা সব গরবী!
রূপ না ফোটা পুষ্প নেব, জুড়িয়ে নেব প্রাণটা,
ঘাসগালিচায় বসবো সুখে, রাঙিয়ে দেব মনটা।
১০৮।
জিন্দেগী তু, বন্দেগী তু, তু হি মেরা রওশনী,
জী ভরকে দেখলু তুঝে, তু হি দিলকি গুলরাণী।
যানেকা কই আরজু থি চান্দ্,আযা মেরা জানেমান।
চাহ্-হু তেরা দিল না টুটে, লাগযা গলে মেরে জান।
(ভীনদেশী ভাষায় সামান্য প্রচেষ্টা)
১০৯।
জমিদারী জমিদারী ভিখারীর তন্ত্র,
শশ্মানেতে ছুঁড়ে দাও মেধা গণতন্ত্র!
মিঠা মিঠা বুলি বলে লিখে যাও ফর্দ,
পর্দার দাম হবে কোটি টাকা অর্থ!
১১০।
নির্মোহ তার উৎকলিকায়, তপ্ত মধুর কূজ্ঝটিকায়,
বাউল মনের একতারাটায়, সুর জেগেছে রূপের ছটায়।
বান ভেসে তার মান গিয়েছে, রাধার বেশে কলংকি,
উর্বশী তার রূপ চাপে না, জোছনা বিছায় পালংকী!
------------------------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: বিকাল ৪টা ৪৭মিনিট
XXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXX
রুবাই ১১০, ১১১, ১১২, ১১৩, ১১৪, ১১৫
------------------------------------------- রমিত আজাদ
১১০।
ছাতার নীচে দাঁড়িয়ে দুজন, মেঘলা দিনে আকাশ দেখে!
আকাশ তো নয় রঙের খেলা, খেলছে তাদের হৃদয় মাঝে!
মনের কোনে গড়ছে স্বপন, যেমন গড়ায় বৃষ্টি ধারা!
মুক্ত হাওয়ায় ঝড় উঠেছে, ফুটছে আবেগ পাগলপারা!
১১১।
সাম্যবাদের ঝান্ডাধারী, দলের নেতা শ্রমিক হেড।
লেট করিয়া, শেষ বয়সে, হজ্ব করিলেন কমরেড।
গেট খুলিয়া পাঞ্জাবী গায়, ভাতের দোকান ছোট্ট পেট!
ভাতের সাথে জুয়ার রুলেট, এখন তিনি জগৎ শেঠ !!
১১২।
আমিও ভেজাবো চরণ রোষানল সমুদ্রজলে,
মাখিবো নোনতা সলিল, অপরূপ গাঙচিল ছলে।
সিক্ত বাতাস মেখে নেব গায়ে, কত নিদারুণ ভুলে,
তড়িৎ-শিখায় ঝাঁপটানো জল, ফুঁসিবে সাগর কূলে!
১১৩।
এক ঝাক রোদ্দুর, আমাদের চৌকাঠে,
দেয় হানা দুদ্দুর, সকালের মৌপাতে।
মোরগের ডাকাডাকি ঝুঁটিবাধা শিরেতে,
পাখীদের কিচিমিচি শাখাচূড়া নীড়েতে।
১১৪।
হয় না ছুটি, নাই অবসর, হচ্ছে না তাই প্রেম-অভিসার!
চন্দ্রিকা মোর রাগ করনা, জীর্ণ আঁখি জল ভরোনা!
সব কথা মুই রাখছি লিখে, মাস ফুরোলে কাব্যি হবে,
আসছে ঈদে ছুটির ফাঁদে, পড়বো গীতি, দিব্যি তবে।
১১৫।
হাতছানি দেয় নিশির তারা, বানভাসী হয় জোছনা,
মুহুর্মুহু ডাকছে তিথি, হাঁকছে নদীর মোহনা।
আকুল মন আজ ছুটবে পানে, অচিন দেশের পাথারে,
রুখবে কে তায় শীর্ণ হাতে, খুঁজবে রাহা আঁধারে।
-------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: রাত ১২ টা ১৩ মিনিট
XXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXX
রুবাই ১১৬, ১১৭, ১১৮, ১১৯, ১২০
------------------------------------------- রমিত আজাদ
১১৬।
বুভুক্ষু কোন মন জুড়ে আজ মেঘ জমেছে অনেক দূর,
ক্ষুধার্ত তাই হাতড়ে বেড়ায়, অস্থিরতার স্বপ্নসুর।
দিনবদলের আলোছায়ায় পূর্ণিমা চাঁদ সোমেশ্বর!
ঘুমকাতুরে জোয়ান ব্যাটা নিজ ঘোষণায় রাজেস্বর!
১১৭।
শেষ চুম্বন, শেষ চুম্বন, সেই তো ছিলো শুরু,
যন্ত্রণা আর অস্থিরতার পুষ্প হলো তরু!
ফুলশয্যা দূর প্রবাসে অধর ছোঁয়ায় লেখা,
পরদেশী এক শেতাঙ্গীনীর বুকের ব্যাথায় আঁকা।
১১৮।
কে হেরেছে? কে জিতেছে? বিজয় কাহার হলো?
খেলা নাকি লড়াই হলো, ধন্দ থেকেই গেলো?
নয়ন জলে ভাসলো জীবন, কেমন তরো এই বিজয়?
দম্ভ-নিশান লুট্লো ধুলায়, দীপ-নেভা এক পরাজয়!
১১৯।
ছিন্নমালা ধুলায় লুটায়, প্রসূন শুকায় হায়,
মায়ায় ভরা এই ধরাতে হৃদয় শশ্মান হয়!
বুক ভাঙানো কান্না চেপে মনের মানুষ যায়!
ভবের খেলার এই দুনিয়ায় আমরা অসহায়!
১২০।
আসলে যে ডাক যেতেই হবে আঁধার গোরখানায়,
হাসনাহেনা যতই ফুটাই প্রাসাদ মলয় নিরালায়।
মিছেই মোরা মায়া বাড়াই, ভাঁড়ার ভরি ভাণ্ডারী,
দিন থাকতে হিসাব নিও, সমঝে চলো কান্ডারী।
রচনাতারিখ: ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: দুপুর ২ টা ২৯ মিনিট
XXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXX
রুবাই ১২১, ১২২, ১২৩, ১২৪, ১২৫
---------------------------------- রমিত আজাদ
১২১।
আসবে না সুখ এই জীবনে, জীবন সুখের জায়গা নয়,
বৃথাই লোকে থিওরী বানায়, তত্ত্বকথার ফুল ঝরায়!
আলোর সাথেই আঁধার আছে, মিলেঝিলেই রাত্রীদিবা,
নীল আকাশেই মেঘ জমে যায়, চমকে ওঠে বিজলীবিভা!
১২২।
রঙের খেলা খেলারে, কাল বোশেখীর মেলা রে!
গর্জে তুফান ঘূর্ণিঝড়ে, উড়ায় মেঘের ডালা রে!
ঘোর বৃষ্টি ঝুম ঝুম ঝুম, সিক্ত পাতায় চুম চুম চুম!
বিজলী জ্বলে বৃষ্টিপাতে, চমকে ত্রাসে বজ্রপাতে।
১২৩।
নারীর মন এক অনিশ্চিতা, দ্বিধায় ভরা অস্থিতি,
এই তো দেখি জোয়ার ভরা, আবার ভাটায় সঙ্গীতি!
দোদুল্যমান মন প্রকৃতি, অন্বয়হীন কার্যক্রম,
অধৈর্য তার মেজাজ রীতি, নিরাকৃতি অনুক্রম!
১২৪।
মাঠে-ঘাটে, খেলার মাঠে, যেথায় যাবে মোবাইল চাই,
ট্রেনে বাসে, জাহাজ ঘাটে, মোবাইল ছাড়া কথা নাই!
মোবাইলটা ভাই খাপছাড়া তাই, বাজতে থাকে অযথাই,
হতচ্ছাড়া যন্ত্রণা এক, খাচ্ছে মাথা বেহুদাই!
১২৫।
জলছবি মন চিত্রছায়া, মন মোহনায় জোছনা,
গোলাপ-বকুল হাসনাহেনা মন-ভুবনে ফোটেনা।
শোকের শিশির ফুল শাখাতে নয়ন-নীরে জ্বলজ্বলে,
রিক্তবীথি বহ্নিশিখায় অধীর মনে টলমলে!
------------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সময়: দুপুর ১টা ৪৩ মিনিট
----------------------------------------------------------------
রুবাই ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১২৯, ১৩০
---------------------------------- রমিত আজাদ
১২৬।
বৃষ্টি ছিলো, বর্ষা ছিলো, বজ্র ছিলো খুব!
আমি ছিলাম উচ্ছসিত, তুমি ছিলে চুপ!
তাও তো তুমি ছিলে পাশে, মেঘরা ছিলো কাছে।
মেঘবালিকার চুল ভিজেছে, জল নেচেছে ঘাসে!
১২৭।
ঐ শালারে ধররে মমিন, ঐ শালারে ধর!
খেলছে জুয়া বন্ধ ঘরে, করছে নাকো ডর!
খেলবি জুয়া খেল বাজারে, দেখবে কত হাজারে!
তীর ঘুরিয়ে ধরবি বাজি, লক্ষ প্রাণের মাঝারে!
১২৮।
পথ ঢাকা বনফুলে, কাশবন দুলে দুলে,
অম্বর নীলে নীলে, শতদল ঝিলে ঝিলে,
আঁকে ছবি রঙেরূপে, ছায়ারোদ মিলেঝিলে,
প্রকৃতির চারুশোভা গড়ে তোলা তিলে তিলে।
১২৯।
কবি তোমার প্রেমের তৃষা সব প্রাণে তো বোঝে না,
গোপন নামে ডাকছো যারে, তার দিলে তো পৌঁছে না!
ভর দুপুরে রৌদ্রস্নানে, আলোর তরী ভাসে না,
সাধের জনম দানবে যাকে, তার বোধে তো আসে না!
১৩০।
একদিন এই চোখ বুঁজে যাবে অলখে,
হৃদয়ের কম্পন থেমে যাবে পলকে!
স্বজনের আহাজারি শুনবে না কোন কান,
গাড়ী-বাড়ী রবে পড়ি, রইবে না পিছুটান!
--------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সময়: বিকাল ৪টা ১৯ মিনিট
XXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXX
----------------------------------------------------------------
রুবাই ১৩১, ১৩২, ১৩৩, ১৩৪, ১৩৫
---------------------------------- রমিত আজাদ
১৩১।
কবির কথা চন্দ্রলেখা, ছন্দবাণের মুগ্ধতা!
ছবির গাঁথা মন্ত্রমাখা, বর্ণসুধার হৃদ্যতা।
কাব্যে ওঠে জীবন ব্যাথা, ঐকতানের সঙ্গীতি,
চিত্রে ফোটে বর্ণালী সুখ, শুভ্র-সুনীল ঝংকৃতি!
১৩২।
প্রেম-পুরাণের রথে চড়ে, চলছে বধু প্রণয়পুর,
চতুর্দোলায় দুলছে বধুর, স্বপ্নসুখের সপ্তসুর।
নও নিবাসে গড়বে সে তার, স্বপ্নসুধা তাজমহল,
দ্বীপান্তরের রাজপুত্তুর গড়িয়ে দেবে নিদমহল!
১৩৩।
উড়ছে নিশান, বিজয় বিশান, লাল-সবুজের ঝান্ডা এক,
দুলছে ভীষণ, সবুজ কিষাণ, রক্তজ্যোতির জেল্লা দেখ!
ধানের ক্ষেতে সূর্য উঠে নকশা আঁকে জয় কেতন,
বীরবাহুদের শৌর্য পণে আসলো হাতে এই রতন।
১৩৪।
সব প্রেম প্রেম নয়, শোন বন মালিনী,
সব মালা মালা নয়, বুঝে নিও কামিনী।
জীবনের পথে হেটে যবে তুমি শ্রান্ত,
এই বুকে ঠাঁই নিয়ে হতে পারো শান্ত।
১৩৫।
এবার পথিক পথের শেষে, পথের পানেই চায়।
পথ ফুরালো কে বলে তা? পথের টানেই ধায়।
পথ আমাদের পথেই টানে, পথেই ওঠে ঝড়,
আলোর দিশা, আঁধার নিশায়, পথই মোদের ঘর,
--------------------------------------------
রচনাতারিখ: ৩রা অক্টোবর, ২০১৯
সময়: দুপুর ২টা ২৫ মিনিট
XXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXX
রুবাই ১৩৬, ১৩৭, ১৩৮, ১৩৯, ১৪০
---------------------------------- রমিত আজাদ
১৩৬।
আবহাওয়া তুই তার মুডের মত, ক্ষণে ক্ষণে বদলাস।
এই রোদ, এই বৃষ্টি, এই তো আবার ঝড়ের পূর্বাভাস!!!
তবুও তোকে মেনে থাকতে হয়, তাকে মেনে থাকার মত!
এভাবেই কেটে যাবে দিন, ক্ষণ, মাস, বছর যত!!
১৩৭।
দেহের মাঝে ঘড়ি আছে, ঘড়ির কাঁটায় কম্পন,
দেহের মাঝে নদী আছে, নদীর বুকে স্পন্দন।
দেহ ঘড়ির জটিল দোলন চিত্ররেখায় মন্দন,
সময় শেষে চিত্ত অহং ছাড়বে দেহের বন্ধন।
১৩৮।
শিশির দেখেছ জল দেখোনি, আঁখির কোনে জমা,
নয়ন তারায় দীপ্তি দেখেছ, দেখোনি মাধুরী রাঙা!
শতদল তায় ফুটিয়াছে কত, রাঙিয়াছে অন্তর,
সরোবরে তব স্নানের ছলেতে চাহিবো দ্বীপান্তর!
১৩৯।
একফালি পোড়া চাঁদেই সেজেছে রাতের আঁধার দ্বীপ,
মুক্তি বাণির বীনায় বাজে না, মুক্ত বাকের গীত।
হোমানলে জ্বলে বহ্নিশিখা, পুড়িতেছে বন্ধন,
রিক্তের গান সুরের অভাবে নিষ্ফল ক্রন্দন !
১৪০।
রিক্ত গগনে উঠুক আবারো লুপ্ত হারানো চাঁদ,
অগ্নি-বজ্র ভাঙুক আবারো সুপ্ত বিছানো ফাঁদ।
শিখণ্ডী বীর তামাশা রাখিয়া সাজাও রণাঙ্গন,
শঙ্খধ্বনির শব্দ তাতিয়া মাতিয়া ভরাও অঙ্গন!
---------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ২৫শে অক্টোবর, ২০১৯
সময়: রাত ১২টা ৫২ মিনিট
রুবাই ১৪১, ১৪২, ১৪৩, ১৪৪, ১৪৫
---------------------------------- রমিত আজাদ
১৪১।
কাজল পড়া নয়ন দুটির কালো মেয়ে নাচে,
নাচের তালে নূপুর তাহার রিনঝিনঝিন বাজে।
ঝাপসা চোখে সেই মেয়েটিই কাহারে যে খোঁজে?!
দিলের দরদ অমন মেয়ের, কোন দরদী বোঝে!?
১৪২।
কান্না ঝরে কার? অশ্রু গড়ে কার? বর্ষা নামে কার?
মন ভেঙেছে যার! দিল গলেছে যার! ভগ্ন হৃদয় যার!
ব্যর্থ জনম কার? রিক্ত জীবন কার? শূন্য পরাণ কার?
হৃদয় হারা যার! বুক ভেঙেছে যার! অসাড় জীবন যার!
১৪৩।
ছন্দ কভু বন্ধ না হয়, অন্ধ পথে ধন্দ না হয়!
নন্দ যেন দ্বন্দ না হয়, গন্ধ যেন মন্দ না হয়!
নিবিড় তিমির চেতন হারা, আঁধার অকূল রাতি!
দেখবে আলোক পাগলপারা! জ্বাললে মনের বাতি!
১৪৪।
সাত সাগর আর তেরো নদীর ঐ পারে এক দুঃখিনী,
হাতছানি দেয়, ডাকতে আমায়, মর্তলোকের বন্দিনী!
স্বপ্ন মাঝে বার্তা পাঠায়, পথঘাট দেয় চিনিয়ে,
অগ্নিরথের ঘোড়ায় চড়ে, আনবো তাকে ছিনিয়ে!
১৪৫।
যাহারা, শ্বাপদ রোগ জরা ভুলে, ভরিল ধরণী ফলে আর ফুলে,
সোনার মাটিতে ফলালো ফসল, তারাই খাঁটি কনক আসল।
যাহারা কঠিন মাটিরে হানিলো, নিজের হস্ত অস্থি ভাঙ্গিলো,
তারাই দেশের প্রকৃত বোদ্ধা, দুর্বার বীর আজাদী যোদ্ধা।
---------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ২৬শে অক্টোবর, ২০১৯
সময়: রাত ১২টা ২৩ মিনিট
XXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXX
রুবাই ১৪৬, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৫০
---------------------------------- রমিত আজাদ
১৪৬।
কোন্ নদী? কোন্ মেয়ে? কোন্ বনে জোছনা?
কার বেগ কার আবেগে মিলিয়েছে মোহনা!
ওগো নদী বলে যাও, কূলে তায় কোন মেয়ে?
কার পদ ছোঁয়া পেয়ে, জলঢেউ আসে ধেয়ে?
১৪৭।
কালবোশেখী টালমাটালে, রুদ্র হাওয়ায় ঝড় তোল!
বজ্র ছুঁড়ে তাল-বেতালে, তীব্র ধারায় তেজ ঢালো।
বহ্নিশিখা দাও ছড়িয়ে, মরা স্রোতে বান ডাকো।
ঘুণ ধরা সব তরু-বীথি, উপড়ে ফেলে হাঁক হাকো।
১৪৮।
জেগেই যারা ঘুমিয়ে থাকে, ঘুম কি তাদের আছে?
উদ্বেগে তার মাথার ব্যারাম, যম যে কখন আসে!
দুশ্চিন্তায় ছটফটানি, পালঙ্কে সুখ নাই,
দাওয়াত দিলেও নিদ্রা পালায়, ঘুমের খবর নাই!
১৪৯।
স্বপ্ন তোমায় স্বপ্নে দেখি, বাসর সাজাই নীড়ে,
এই নগরীর পথেই খুঁজি, লক্ষ জনের ভীড়ে।
লক্ষ তারার মাঝে যখন একটি চন্দ্র হাসে,
রিক্ত বুকেই জাগছে আশা, স্বপ্ন যদি আসে!
১৫০।
প্রাচীরগাত্রে ফুটিলো পুষ্প কুল পরিচয়হীন,
ইটেরপাত্রে উঠিলো শোভা, মাত্রা সীমাহীন।
চলার পথে যেই দেখেছে ধন্য ধন্য করে,
পথের শোভা সে যে প্রসূন বন্ধ্যা এ' নগরে।
---------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ২৬শে অক্টোবর, ২০১৯
সময়: রাত ১১টা ১৯ মিনিট
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮
রমিত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরি বাপসু!!!!!!!
পাঁচ বছরের গ্যাপ কি একবারে পূরণ করে দিলেন
হা হা হা
১২০ পর্যন্ত পড়ে ক্ষেমা দিলাম।
আস্তে ধীরে রসিয়ে রসিয়ে পড়তে হবে।
তবে পঠিত কুড়িটিতে দারুন কুড়ির স্বপ্ন, যাপিত জীবন রাজনীতি এবং রাজনৈতিকদের প্রতি
শৈল্পিক কটাক্ষ, আমজনতার যাপিত জীবন স্বপ্ন, কষ্ট, বাস্তবতায়
দারুন সব রুবাই।
+++++
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮
রমিত বলেছেন: পাঁচ বছর সামুর বাইরে ছিলাম!!??? বাব্বা!
এতটা হবে না বোধহয়। যাহোক, সামুর জন্য মন খারাপ হলো যখন জানতে পারলাম যে 'সামু' বন্ধ হয়েছে। তাই সামু খোলার পর ভাবলাম সামু-র পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য।
এই ঘর থেকেই তো ব্লগার জীবনের যাত্রা শুরু করেছিলাম। শিকড়-কে ভুলে যাবো না।
জ্বী, অনেক লেখা জমে গিয়েছিলো এতদিনে। আস্তে ধীরে সামু-তে প্রকাশ করে যাবো।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: দারুন আবেগময়।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৭
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
নার্গিস জামান বলেছেন: সুন্দর
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৭
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬
রূপম রিজওয়ান বলেছেন: দারুণ লিখেছেন তো! অসাধারণ।