নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
রুবাই ১৫১ - ২০০
------------------------ রমিত আজাদ
(কোন্ নদী? কোন্ মেয়ে? কোন্ বনে জোছনা?
কার বেগ কার আবেগে মিলিয়েছে মোহনা!
ফিরে ফিরে চায় নদী, তীরে তার কোন মেয়ে?
কার পদ ছোঁয়া পেয়ে, জলঢেউ আসে ধেয়ে?)
রুবাই ১৫১, ১৫২, ১৫৩, ১৫৪, ১৫৫
---------------------------------- রমিত আজাদ
১৫১।
কাহারে স্মরিয়া একাকী বালিকা, নদীতীরে তমসায়?
কাহারে ডাকিছে দুঃখিনী দুহিতা, প্রবাহিনী বরষায়?
তবে কি তমসা ঘুচিবে আলোকে, মধুমতি জোছনায়?
এতকাল পরে যদি, ফিরে আসে মন নদী, ইছামতি মোহনায়!
১৫২।
অন্ন যখন থাকে পেটে, অর্থ থাকে হাতে,
বস্ত্র থাকে শীত মানাতে, কুটির থাকে রাতে,
কিছুই তখন লাগে না ভালো, মনমরা জীবন,
প্রাচুর্য-টাই ঘাটতি তখন, মেঘলা থাকে মন!
১৫৩।
তারপর একদিন প্রজাপতি উড়ে যায়,
পেয়েছে সে সন্ধান নও ফুল জোছনায়।
তারপর এই ফুল থাকবে কি ঝরবে?
কার খোঁজ কে রাখে নির্দয় ধরাতে!
১৫৪।
নদীতীরে নিরাশা রসহীন বালুচর,
নাই জল, নাই ঢল, নির্জলা চরাচর,
আকাশের পানে চাহি সুধা মাগে সুষমায়,
বরষার বরিষন যদি আসে মৃদু পায়!
১৫৫।
রংধনু তায় উঠলো ফুটে মেঘলা ধুসর অম্বরে,
গর্জে ওঠা অস্ত্র বীরের বজ্র কঠিন হুংকারে!
সম্ভাবনার অপার দেশে মেঘলা কেন এই বেলা?
জাগ জনতা, দুন্দুভি ডাক, কর সূচনা নও খেলা।
---------------------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ২৭শে অক্টোবর, ২০১৯
সময়: সকাল ৯টা ৫০ মিনিট
রুবাই ১৫৬, ১৫৭, ১৫৮, ১৫৯, ১৬০
---------------------------------- রমিত আজাদ
১৫৬।
শরতের মধু রঙে, যমুনার সুধা ঢঙে,
নদীতটে মেয়েটি, ধীরে বহে নদীটি,
ফিরে ফিরে চায় নদী, তীরে তার কোন মেয়ে?
কার রূপ সুধা নিয়ে, প্রবাহিনী যায় ধেয়ে?
১৫৭।
শীত রাতে নাড়ে কড়া, স্মৃতিদের কিছু ঝরা,
শৈত্যের কুজ্ঝটি, বিড়ালের গুটিশুটি,
মনোলগ পরিতাপ, মগজের সংলাপ,
কল্পিত আবাহন, বলি তারে সাইক্লোন!
১৫৮।
লুন্ঠনে অঙ্গনে, জ্বলন্ত চুম্বনে,
পুড়ে যায় ওষ্ঠ, করে পথভ্রষ্ট,
দংশনে দংশনে, আশীবিষ রঙ্গনে,
এই বিষই অমৃত, ফুলশীষ প্রাঙ্গনে !
১৫৯।
কথা নাই, ভাষা নাই, নাই কোন শব্দ!
কথা যদি বলে ফেলো, হয়ে যাবে জব্দ!
তারচেয়ে চুপচাপ সব কথা শুনে যাও,
এলোমেলো যাই বলে, হাততালি দিয়ে যাও!
১৬০।
প্রভাত পাখীর কন্ঠে শুনি, মন ভাঙানো গান,
দক্ষিণ হাওয়ায় বার্তা আনে, পূর্ব রাগের প্রাণ!
কে জ্বালাবে অগ্নিপ্রদীপ? কে ছড়াবে আলো?
শোভা যাত্রার অগ্রপথে, কে দাঁড়াবে বলো?
---------------------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ২৮শে অক্টোবর, ২০১৯
সময়:দুপুর ১টা ১৯মিনিট
XXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXX
রুবাই ১৬১, ১৬২, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৫
---------------------------------- রমিত আজাদ
১৬১।
আশাবরি সুরে সুরে উড়ে উড়ে কোথা যায়?
আঁখি মেলে দেখে চাঁদ, তারা রবি ঝলকায়।
অসময়ে তরুশাখে পাপিয়া কি গীত গায়?
ইশারাতে ডাকে মেঘ, আশাবরি চমকায়!
১৬২।
চার পংক্তির কাব্য তারে নাম রেখেছে রুবাই,
চার চরনের পদ্য মালায় মন গেঁথেছে সবাই।
চারটি চরন, চারটি কথন, একটি আবেগ তোলে,
চার পংক্তির ঊর্মিমালায় মন যে সবার ভোলে!
১৬৩।
এখনো সাগরে ডোবেনি সূর্য, জাগেনিকো শর্বরী,
পাখীদের গান এখনো থামেনি, গাহিতেছে কিন্নরী।
এখনো তমসা নামেনি জাঁকিয়া, বুজেনিকো ফুল্লরী,
কিছুটা আঁধার, কিছুটা আলোকে চমকিছে বল্লরী!
১৬৪।
নীল নদীটির নীল জলেতে বৃষ্টি পড়ে টুপটাপ,
নদীর তীরে মিষ্টি মেয়ে, বৃষ্টি মাখে চুপচাপ।
মেয়ের শাড়ী সুনীল বসন, রূপ চাপে না অম্বরে!
ফুলের শোভা তার হাসিতে, রৌদ্রজ্যোতি নও-ভোরে!
১৬৫।
এই তো তোমার বয়স সখী, বান ভাসানো জীবন-ঢল!
এই তো তোমার বয়স সখা, জলতরঙ্গ টালমাটাল!
নও জোয়ারের ইছামতি, ফেল ভেঙে বাঁধ টলমল,
রবির আলোয় জ্বলরে সখা, খঞ্জরে তেজ ঝলমল!
---------------------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ৩রা নভেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: রাত ১২টা ৪৩মিনিট
রুবাই ১৬৬, ১৬৭, ১৬৮, ১৬৯, ১৭০
---------------------------------- রমিত আজাদ
১৬৬।
আইনের গর্জনে সাধু করে হাহাকার!
পেয়াদার লাল চোখে তর্জন পারাবার!
কাক শুধু কালো নয় স্বরটাও কর্কশ,
আমরা তো হতভাগা সাদামাটা খরগোশ!
১৬৭।
ঝলমলে নদীটির টলমলে জলেতে,
অতীতের কত কথা ভেসে গেছে ছলেতে!
উৎসুক নদীমাতা সুখদুখ বোঝেনা,
বয়ে চলে অবিরত, খুঁজে ফেরে মোহনা।
১৬৮।
প্রকল্প রূপায়ণে রূপা লাগে ঢের ঢের!
টংকার ধ্বনি বাজে, কাজে নাই হেরফের।
ক্ষণে ক্ষণে বেড়ে যায় বাজেটের ধাক্কা!
যায় যাবে যাক টাকা, রূপায়ণ পাক্কা!
১৬৯।
কাকতাড়ুয়ার কাক কেন যে, ধানের ক্ষেতে নাচ নাচে?
হুতুম প্যাঁচায় ডায়েরী লেখে, শিয়াল কষে মারপ্যাঁচে!
ময়ুর কেন পেখম তোলে? ময়ুরী তো সব বোঝে!
বাদুর ঝোলে বীজলী তারে, বাজ বেরুলো কার খোঁজে?
১৭০।
নিঃসাড় নিঝ্ঝুম যামিনী, দুঃখিনীর ক্রন্দন শোনেনি।
অশ্রু সে ঝরিয়েছে নীরবে! শীৎকারে মাতিয়েছে সরবে।
চিৎকারে নটরাজ হিন্দোল, দীপালোকে লীলাবতী হিল্লোল।
দুঃখিনীর মনোব্যথা কার চাই? কাম্য তো উত্তাল লীলাটাই!
---------------------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ৮ই নভেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: রাত ১২টা ৫৬মিনিট
Rubai 166, 167, 168, 169, 170
-------------------- Ramit Azad
___________________________________________________________
রুবাই ১৭১, ১৭২, ১৭৩, ১৭৪, ১৭৫
------------------------------- রমিত আজাদ
১৭১।
হেরা হতে আসেন নেমে নূর ছড়িয়ে কে যে?
বার্তাবহ মহাজ্ঞানের রসুল তিনি সে যে!
জাহেলিয়ার আঁধার ঠেলে আলোর দিশা কে দিলেন?
গুঞ্জরিলো বিশ্বভূবন নও জ্যোতিষ্ক ঐ উদিলেন!
১৭২।
তপ্ত মরুর বালির জমিনে ছুঁয়েছে চরণ যার,
মক্কা নগরী কাবার মিনারে শুনিয়াছে বাণী তার।
ধূলির ধরায় আসিয়া মানব করেছিলো যত ভয়,
হেরার গুহায় ধ্যানের মহিমা করিলো সকলি জয়!
১৭৩।
খঞ্জরে তেজ বাড়ে, শমশের ঝলকায়
জাহেলিয়া রুখে দিতে খঞ্জর চমকায়!
ময়দানে উপনীত তেজী বীর যোদ্ধা!
যাক প্রাণ, তবু পাবে শহীদের শ্রদ্ধা!
১৭৪।
নারীর জনমে ছিলোনা পুলক, ছিলোনা খুশির ঢল,
জন্মিলে মেয়ে বিনাশিতো বাবা, না ফেলে চোখের জল।
ঘন তমসার জীর্ণ কুটিরে জন্মিলো নব জ্যোতি,
সরাইয়া কালো জ্বালাইলো আলো, ঘুঁচিলো ভয়াল রাতি।
১৭৫।
ধন্য মক্কা, ধন্য মদিনা, ধন্য নিখিল বিশ্ব,
দ্বীনের মহিমা ধূসর জমিনে সর্বোত্তম দৃশ্য।
সূর্য ওঠার আগেই উঠিবে মুয়াজ্জিনের সুর,
নামাজ ঘরের মিনার ছড়াবে পূণ্যবাণীর নূর।
--------------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ১০ই নভেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: বিকাল ৪টা ১৯মিনিট
Rubai 171, 172, 173, 174, 175
----------------------- Ramit Azad
----------------------------------------------------------------------------------------
রুবাই ১৭৬, ১৭৭, ১৭৮, ১৭৯, ১৮০
---------------------------------- রমিত আজাদ
১৭৬।
ওগো রাত, তুমি গভীর হয়োনা আর!
বিরহ বেদনা দুখে কাঁদিওনা বারে বার!
তুমি যতই সুখে গভীর হও ক্ষণে ক্ষণে,
সেও তত গাঢ় হতে থাকে মনে মনে।
১৭৭।
রাতের এমন ব্যঙ্গ কি যে!
নয়ন জলে বালিশ ভেজে।
চোখ বোজে না ব্যথার তেজে,
ঘুম আসে না স্মৃতির ঝাঁঝে!
১৭৮।
তোমার জানালায় আলো জ্বলে,
আমার জানালায় আলো জ্বলে।
আমার জানালায় পর্দা ওড়ে ঝড়ে,
তোমার জানালায় কান্না চুপিসারে!
১৭৯।
পাগলা ভোলা উঠবে ক্ষেপে,
শক্ত হাতে ধরবে চেপে,
বিজলি-শিখা নিভবে হাতে,
জ্বলবে প্রদীপ গভীর রাতে!
১৮০।
চাঁদ বলেছে আয়রে আয়,
এখান থেকে সব দেখা যায়।
মন চায়কি দেখতে তাকে?
গভীর রাতে সেও যে কাঁদে!
---------------------------------------
রচনাতারিখ: ১৩ই নভেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: রাত ১২টা ৫৫মিনিট
Rubai 176, 177, 178, 179, 180
------------------ Ramit Azad
--------------------------------------------------------------------------------
রুবাই ১৮১, ১৮২, ১৮৩, ১৮৪, ১৮৫
---------------------------------- রমিত আজাদ
১৮১।
রঙ, তুলি আর ইজেল মিলে করলো কেমন সর্বনাশ!
ছেলেমানুষের হাতের আঁকায় পরী পেয়েছে প্রাণোচ্ছাস!
শেষ না হওয়া গল্প শেষে জুড়লো আরো কয়েক পাতা,
রংধনু রঙ বিকেল শেষে খুললো নতুন গানের খাতা।
১৮২।
রাতটা যত গভীর হয়, মনটা তত খারাপ হয়,
শংকা শুধু বাড়ছেই, যদিও জানি ভোর কাছেই।
কুজ্ঝটিকায় মিলেঝিলে রাতের আঁধার কেনই কালো?
কুহেলিকার গ্রন্থি খুলে কে ফোটাবে ভোরের আলো?
১৮৩।
এলোচুলের স্বর্ণলতায় শিশির ঝরে রূপসুধায়,
আঁখির কোলে নিদ নামেনা, লগ্ন কাটে লাজ দ্বিধায়।
অশ্রুতে তার শূন্যতা নেই, ব্যথার দাবী এই শুধায়,
তুমিও কি আজ নিদ্রাবিহীন, সুখ হারালে প্রেম ক্ষুধায়?
১৮৪।
কি হবে এখন, মিলিয়ে কথন, হিসেবের অমরাবতী?
অভিসারে তব কত ছিলো প্রেম, আর কতখানি রতি?
উদাসিনী মোর, খোল মন দোর, স্মরিয়া বিগত দিন,
অবসিত ভোরে, তব বাহুডোরে, আমার অনেক ঋণ!
১৮৫।
ছুটিয়া আসিলো ভোর, খুলেছে নয়ন মোর,
প্রিয়া তো এখনো ঘুমে! দিব কি নয়ন চুমে?
সময় তো ফুরায়ে যায়, লগ্ন যে হারিয়ে যায়,
তবু জাগাবো না তারে, স্বপনে দেখুক মোরে।
---------------------------------------
রচনাতারিখ: ১৬ই নভেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: ভোর ৪টা ৩৪মিনিট
Rubai 181, 182, 183, 184, 185
---------------------- Ramit Azad
------------------------------------------------------------------
রুবাই ১৮৬, ১৮৭, ১৮৮, ১৮৯, ১৯০
---------------------------------- রমিত আজাদ
১৮৬।
দেখতে গেলে শুনতে হবে, বলতে হবে কিছু!
জানতে গেলে বুঝতে হবে, ছুটবে কিছুর পিছু!
সাগর ঢেউয়ে নদীই দোলে, ছোটাই যে তার পথচলা!
পিছু ছুটেই জীবন ভোলা, কান্না হাসির দোল দোলা!
১৮৭।
বলার মত বলো না তাই, শোনার মত শুনি না,
জানার মত জানাওনা না তাই, বোঝার মত বুঝি না।
তাও তো আমি তোমার কথা তরূর মতই শুনে যাই,
না বুঝলেও বুঝতে যে চাই, মনটা তোমার দামী তাই!
১৮৮।
সিনেমাতে গিয়ে তবু সিনেমাটা দেখি নাই,
তুমি ছিলে পাশে তাই, তোমাকেই দেখে যাই!
সিনেমার নায়িকাতে একদম মন নাই,
নায়িকাতো পাশে মোর, সে রূপেই মজে যাই!
১৮৯।
সাঁজিয়াছে রণবেশে বীর চলে যুদ্ধে,
বাঁধিয়াছে বন্ধনী ঘোরতরে ক্রুদ্ধে!
ধ্বজাধারী যোদ্ধা পিঠে তুরঙ্গম ছোটে,
উদ্ভাসিত শমশেরে রক্তক্ষুধা ফোটে!
১৯০।
শত্রুসেনা প্রকম্পিত বিরোধী শিবিরে,
রণভেরী বাজিয়াছে মাতার কুটিরে।
মাতৃভূমি রক্ষাকল্পে সিপাহী প্রতিজ্ঞ,
বীরধাত্রী রত্নগর্ভা সমরে অভিজ্ঞ!
---------------------------------------
রচনাতারিখ: ২১শে নভেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: রাত ১ টা ৩১ মিনিট
Rubai 186,187, 188, 189, 190
-------------------- Ramit Azad
রুবাই ১৯১, ১৯২, ১৯৩, ১৯৪, ১৯৫
--------------------------------- রমিত আজাদ
১৯১।
হলুদ পাতায় ছোপ গোলাপী, রঙের ছটায় বাহারী!
পাপড়ি গেঁথে বুনছে মালা, শাখের ছোঁয়ায় শিহরি!
মরুৎ ছোটে বন মারিয়ে, কাঁপছে তরূ থরথর,
বিস্ফোরিত বনের আঁখি, আন্দোলিত কোন জোয়ার!
১৯২।
গানের পাতার স্বরলিপি, গানের কথার সুর,
রূপ ছাপিয়ে, দেয় ভাসিয়ে, মেঘ সরিয়ে দূর।
সুরের ঢেউয়ে মাতম থাকে, তরঙ্গ মন দোলে,
ঊর্মি নাচে, ছন্দ তালে মেঘবালিকার কোলে।
১৯৩।
বিহবল অপ্রতিভ ছিলে ভীরু তরুণী,
হাতে রেখে হাত তার হলে আজি ঘরণী।
মনে পড়ে ছিলে কবে অপরের প্রেয়সী,
বেঁধে ঘর সুখী হও, মোর মন মানসী।
১৯৪।
এখন তোমার কন্যা আছে, তুমি নিজেই মাতা,
তবু তোমার রূপের ছটা নীলমনি নীল লতা।
রূপের সুধায় জেল্লা ছড়াও দীপ্ত রত্ন-মণি,
ভূবন ভোলাও দৃপ্ত দোলায় তপ্ত রক্তচুনী।
১৯৫।
লাল শাড়ীতে, লাল চুড়িতে মানায় তোমায় বেশ!
রূপের সাগর সাঁতরে গেলে কোন তীরে তার শেষ?
মণিহারের কারুকাজে, রঙ লেগেছে শিরিন সাজে,
ঝুমকো লতা কর্ণে বাজে, মণি হাসে উপল লাজে।
--------------------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ২২শে নভেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: সকাল ৭টা ৪৩ মিনিট
Rubai 191, 192, 193, 194, 195
----------------------------- Ramit Azad
---------------------------------------------------------------------------
রুবাই ১৯৬, ১৯৭, ১৯৮, ১৯৯, ২০০
--------------------------------- রমিত আজাদ
১৯৬।
রাতের আলো বুটি বুটি, জোনাকীর ছুটোছুটি,
জমিনের তারারাজি, ঝিকিমিকি ভোজবাজি।
আলোকিত কীট নাচে, ঝোপঝাড় জঙ্গলে,
দীপালীর ঝড় তোলে, আলোদীপ মঙ্গলে।
১৯৭।
কাছে আছো তবু তুমি দূর দূর দূর,
তোল তান ঝংকারে, সুর সুর সুর।
খোল তব বাতায়ন, সুদুরিকা দীপিকা,
ছুঁয়ে দাও এ হৃদয়, বিষাদিনী বীথিকা।
১৯৮।
লোভ আর লালসার ভয় নাই, ক্ষয় নাই,
লুটেপুটে খাও-দাও, থামাবার কেউ নাই।
শেয়াল আর নেকড়েরা হংসের স্বাদ চায়,
আঁধারের বুক চিরে শ্বাপদেরা তড়পায়!
১৯৯।
কুয়াশায় ভেসে ভেসে আকাশের গায়ে এসে,
উঁকি দিয়ে মিশে যায়, নীলিমায় ভেসে যায়।
নিঃশেষে ঝলকায় উচ্ছাসে ছুটে যায়, হুতাশন বুটিকা।
বাতাসের ইন্ধনে, ছেঁড়ে শিখা বন্ধনে, অগ্নির কণিকা।
২০০।
যতই তুমি লুকিয়ে থাকো সাত সাগরের তীরে,
ইথার হয়ে পৌঁছে যাবো, তোমার গোপন নীড়ে।
জোৎস্না হয়ে জড়িয়ে নেবো সাত মহাদেশ ঘিরে,
রুবাই লিখে ছড়িয়ে দেব সব মানুষের ভীড়ে!
--------------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ২৩শে নভেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: রাত ০২ টা ২৯ মিনিট
Rubai 196, 197, 198, 199, 200
----------------------------- Ramit Azad
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫
রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
যা জমা হয়েছিলো, একবারে দিয়ে দিলাম।
বেঁচে থাকুক রুবাইগুলো।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাপ্রে!
ভুই পাইসি
সময় নিয়ে পড়তে হবে।
+++
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬
রমিত বলেছেন:
যা জমা হয়েছিলো, একবারে দিয়ে দিলাম।
বেঁচে থাকুক রুবাইগুলো।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক সুন্দর
আমি লিখি মন কথনিকা চার লাইন করে
২৪০০ এর উপরে হয়ে গেছে ।
কম কম দিলে পড়তে মজা
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬
রমিত বলেছেন: যা জমা হয়েছিলো, একবারে দিয়ে দিলাম।
বেঁচে থাকুক রুবাইগুলো।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দারুন , সুন্দর, অনন্য+++++++++++++
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭
রমিত বলেছেন:
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সবগুলো পড়িনি ।
সুন্দর + ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭
রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৮
রমিত বলেছেন: লেখাটিকে নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৪
নার্গিস জামান বলেছেন: সুন্দর
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০০
রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪২
শের শায়রী বলেছেন: রমিত ভাই এগুলো কি ওমর খৈয়ামের রুবাই? নাকি আপনার নিজের লেখা? অসাধারন জানেন ই তো এই ধরনের লেখার প্রতি আমার একটা দুর্বলতা আছে।।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৫
রমিত বলেছেন: কোথায় খৈয়াম আর কোথায় আমি!
উনার সাথে কি আমার তুলনা করা চলে? গুরু তো গুরুই!!!
ইবনে সিনা, খৈয়াম, হাফিজ, রুমী, নজরুল, উনারা সবাই আমাদের গুরু। আমরা শুধুই উনাদের অনুসারী!
যাহোক, সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ইদানিং, রুবাই লেখার বাতিক হয়েছে। তাই লিখে যাচ্ছি।
রুবাই ও শায়ের-এর প্রতি আপনার দুর্বলতা আছে আমি জানি।
৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার ব্লগে আজ প্রথম পা দিয়েই অমৃত সুধার সন্ধান পেলাম। অসাধারণ সব রুবাই। এক পোস্ট থেকেই আপনাকে অনুসরণ করছি, পোস্টটি প্রিয়তে নিলাম, এবং লাইক করলাম। +++++
শুভকামনা জানবেন।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৭
রমিত বলেছেন: এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপানকে অনে অনেক ধন্যবাদ। পাঠকের প্রশংসাই লেখকের অনুপ্রেরণা।
আমি আগে এই ব্লগে নিয়মিত লিখতাম। মাঝখানে কিছুদিনের জন্য অনুপস্থিত ছিলাম।
আবার এখানে লেখা শুরু করেছি।
১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮
কিরমানী লিটন বলেছেন: অসাধারণ....
সবগুলো পড়া হয়নি। সময় নিয়ে পড়বো।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪
রমিত বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপানকে অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: একসাথে এত গুলো না দিয়ে কম কম দেন।