নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
রুবাই ২৩১, ২৩২, ২৩৩, ২৩৪, ২৩৫
----------------------------- রমিত আজাদ
২৩১।
কেউ করেনি অভিনয় তো! কেউ করেনি প্রবঞ্চনা!
আমিও না, তুমিও না। কারো মনেই পাপ ছিলো না।
তবে কেন পৃথক হলাম? হলো না আর ঘর বাঁধা?
তবে কেন সবটা জীবন, কুজ্ঝটিকায় রইলো ধাঁধাঁ?
২৩২।
শুভ্র বসন জাগায় মনে শুভ্র শীতের বার্তা,
অদ্রি চূড়ায় ঝলকে ওঠে শ্বেত তুষারের ঘরটা!
তুষার মাঝেই রক্তকমল শুভ্র হাসির রাজরাণী,
জারুল বনে ধবল টগর, কাঠ-মালতির হাতছানি।
২৩৩।
লিখেছ, আর ভালোবাসোনা আমাকে,
যতবার তোমার চিঠি পড়ি
সজল চোখে, আজও কাঁদি
জানি না কার ভুল ভাঙবে, তোমার না আমার?
২৩৪।
হাসিটা তো তেমনি আছে, কেমন দুষ্টু মিষ্টি হাসি!
সাতক্ষীরাতে কিনেছিলে কুহেলিকার পাতার বাঁশি?
ঘাড় ঘোরাতেই চোখ ফেরালে, যেন আমায় দেখছোনা!
আমার চোখও দেখছে ঠিকই, আমায় তুমি ভুলছোনা!
২৩৫।
প্রেম করাটা বারন তবে, প্রেমে পড়া বারন নয়।
পড়লে প্রেমে চুপটি থাকো, মুখ ফুটে তা বলার নয়।
যেই বলেছ, সেই মরেছ! নিজের হাতেই গোর খুঁড়েছ!
কি প্রয়োজন বেঁচেই মরার? বৃথাই নিজের কবর খোঁড়ার?
--------------------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ০৬ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: রাত ১০টা ৪০মিনিট
Rubai 231, 232, 233, 234, 235
----------------------Ramit Azad
XXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXX
রুবাই ২৩৬, ২৩৭, ২৩৮, ২৩৯, ২৪০
---------------------------------- রমিত আজাদ
২৩৬।
ঘুম ভেঙে তায় দেখতে পেলাম ফুলদানিতে ডালিয়া,
কাল বিকেলে তোমার দেয়া; মন মাধুরী ঢালিয়া।
ফুলের হাসি ঝরছে অঝোর, ঘরখানি মোর জুড়ে,
চোখ বুঁজলেই সাঁঝ অভিসার, আসছে ফিরে ফিরে!
২৩৭।
মুনাফিক বেঈমান জাফর আলী, উমিচাঁদ,
খামচায় কলিজায়, বারে বারে পাতে ফাঁদ।
ধোঁকা দিয়ে সকলেরে সৃজিতেছে হাহাকার!
ভেঙ্গে-চূড়ে পলাশীরে, জ্বেলে-পুড়ে ছারখার!
২৩৮।
কেন তুমি আড়াল হলে? কেন হলে পলাতকা?
তৃষ্ণাতুরে কষ্ট দিয়ে, পুলক কি পাও, সাগরিকা?
দিশেহারা এ মন আমার ফেলেই চলে দীর্ঘনিঃশ্বাস!
বাতায়নের তারার রাতি, শ্রাবণ প্লাবন সবই হতাশ।
২৩৯।
পাখি আছে, শাখী আছে, আঁখিতটে আশমান,
তবু কেন একাকীনী? কেন জাগে অভিমান?
আলেয়া তো আলো নয়, তবু দেয় হাতছানি!
মরিচিকা বারি নয়, তাও ছোটে বিরহীনী।
২৪০।
চন্দ্রিকা আজ চোখ খুলেছে, ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি!
সঙ্গীতা কি বলবে কিছু? বাজলো কি তায় প্রণয় বাঁশি?
সারিকা আজ সুর সেধেছে, শৈল-শিরে প্রাণের মাতম!
কারিকা কি বাঁধলো নূপুর? নীলগিরিতে উঠবে নাচন?
---------------------------------------------------------------
রচনাতারিখ: ০৭ই ডিসেম্বর, ২০১৯
সময়: সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিট
Rubai 236, 237, 238, 239, 240
----------------------------Ramit Azad
(ছবি আকাশজাল থেকে নেয়া)
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৯
রমিত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫১
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৪
রমিত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধর।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২২
রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পাঠকের প্রশংসাই লেখকের অনুপ্রেরণা!
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫
নার্গিস জামান বলেছেন: সুন্দর