নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বানিয়ে বানিয়ে আমি গল্প লিখতে পারিনা, আমি গল্পকার নই!!!
পাসপোর্ট অফিসের বিড়ম্বনার কথা কম-বেশি আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট করেন কিংবা অবস্থানরত দেশ থেকে পাসপোর্ট করেন। দালালি, হয়রানী কিংবা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারের কথা সবার জানা তারপরও চুপ করে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নাই, পাসপোর্ট তো বানাতেই হবে । যাদের অর্জিত অর্থের কারনে আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী গর্বের সাথে বলতে পারেন 'আমাদের রিজার্ব বিগত দিনের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে' ! সেই প্রবাসীদের সাথেই পাসপোর্ট অফিস গুলোতে শিয়াল কুকুরের মতো আচরণ করা হয় - প্রধান মন্ত্রী কিংবা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী কি তার বিন্ধুমাত্র খবর রাখেন ?
দেশের পাসপোর্ট অফিস গুলোতে দালাল ছাড়া সহজে কোনো কাজ'ই হয় না, টাকা দিবেন তো কাজ হবে আর টাকা না দিলে উনাদের সাথে কথা'ও বলা যায় না, উনারা এমন ভাব দেখান যে সরকার কিংবা মন্ত্রণালয় থেকে উনারা কোনো বেতন'ই পান না । আমাদের কাছ থেকে যা পান এটাই তাদের বেতন এবং এটা সরকার কর্তিক ধার্য করা ।
এবার আসি সৌদি আরবের কথায়, রিয়াদের পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন আনুমানিক ২০০০ লোক আসেন পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে । কেউ নতুন পাসপোর্ট বানাবেন - কেউ এম,আর,পি (ডিজিটাল) বানাবেন আবার কেউ আসেন পুরাতন পাসপোর্ট নবায়ন করতে ।
রিয়াদ পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কথা বললে মনে হয়, উনারা এক-এক জন সৌদি বাদশা আব্দুল্লার চাইতে ও বেশি ক্ষমতাধর, আর আচার-আচরণ এক কথায় কুকুরের মতো । তারপরও কি আর করা ? বৈধতার জন্য পাসপোর্ট অপরিহার্য ।
সম্প্রতি খবর পেলাম এক বছরের মধ্যে সকল পাসপোর্ট'ই এম,আর,পি (ডিজিটাল) করতে হবে, সে জন্য একটা মালয়েশিয়ান (IRIS) কোম্পানির সাথে চুক্তি হয়েছে, শুনে খুব খুশি হলাম কারন দূতাবাসের পক্ষে এক বছরে সব পাসপোর্টকে এম,আর,পি করা সম্ভব হবে না ।
IRIS কোম্পানির এক বাংলাদেশী কর্মকর্তার সাথে কথা বললাম, ভাবলাম ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো আমরা করবো (as part time job) । বিস্তারিত জেনে অভাক হলাম কারন বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য বড় অঙ্কের ভুর্তুকি দিতেছে তারপরও IRIS প্রতিটি পাসপোর্টে ১২৫ রিয়াল সরকারী খরচের জায়গায় ২৪০ রিয়াল রাখবে । বললাম এতো বেশি কেনো & আমরা গ্রহককে কতো রিয়ালের রশিদ (Receipt) দিবো ? উত্তরে উনি বললেন 'আমরা মাত্র ১৬০ রিয়ালের রশিদ (Receipt) দিবো এবং বাকিটা সার্ভিস চার্জ । আচ্ছা তাহলে কি আমরা ৮০ রিয়ালের (সার্ভিস চার্জ) জন্য আলাদা রশিদ (Receipt) দিবো ? উনি বললে - আমরা আর কোন রশিদ (Receipt) দিবো না, ডাটা এন্ট্রির জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান পাবে প্রতি পাসপোর্টে ১০ রিয়াল এবং বাকিটা সিন্ডিকেট পাবে । জানতে চাইলাম সিন্ডিকেটে কে কে আছেন ? উনি বললেন রাষ্ট্রদূত থেকে শুরু করে অনেকে'ই সিন্ডিকেটে আছে, আমি জিনিসটা সহজে মেনে নিতে পারি নাই । বললাম - এটা পাপ হবে ! একজন গ্রহক মনে করবে যে ঐ ৮০ রিয়াল আমি নিতেছি ।
এরপর বললেন 'জন্মনিবন্ধনের সরকারী খরচ ২০ রিয়াল কিন্তু আপনি গ্রাহকের কাছ থেকে নিবেন ৪৫ রিয়াল' এবং ঐ ৪৫ রিয়াল থেকে আপনি ১০ রিয়াল পাবেন, ১৫ রিয়াল সিন্ডিকেট নিবে এবং ২০ রিয়াল সরকারী খরচ ।
উনি কথা গুলো খুব সাবলীল ভাবে বলে গেলেন, একবার ও চিন্তা করলেন না যে উনি IRIS থেকে বেতন নিতেছেন এবং সরকার প্রতি পাসপোর্টের জন্য ভুর্তিকি দিতেছে ।
আমি আর কিছুই বলতে পারি নাই, শুধু শিল্পী হায়দার হোসেনের মতো বলতে চাই:
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার,
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার।
কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত,
কত প্রদীপ শিখা জ্বালালেই জীবন আলোয় উদ্দীপ্ত।
কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য,
নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ !
Courtesy: Robiul Islam
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
মোহাম্মেদ মুহসীন বলেছেন: ধন্যবাদ ! আমার সব চেয়ে অভাক লাগে এই ভেবে যে, প্রায় ২০ লাখ মানুষের জন্যে আমার মাত্র ২ টা স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে সৌদি আরাবে !
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
এনামুল রেজা বলেছেন: বেশির ভাগ যায়গায়ই আম জনতা জিম্মি..
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২১
পয়গম্বর বলেছেন: সম্প্রতি কানাডার অটোয়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ফার্স্ট সেক্ট্রেটারীকে আমার পরিচিত এক বড় ভাই কানাডিয়ান ডলার ঘুষ দিয়ে পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজ উদ্ধার করলেন। প্রবাসী বাংলাদেশীরা এদের হাতে জিম্মি।
পোস্টটি স্টীকি করার দাবী জানিয়ে গেলাম।