নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অচল কথন

কাজী সোহেল রানা

১৯৮৭

কাজী সোহেল রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ নির্মমতার শেষ কোথায়!

১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

'আমি মরি যাইয়ার! কেও আমারে বাঁচাও রে বা! আমারে পানি খাওয়াও!' এ আর্তনাদ শেখ মো. সামিউল আলম ওরফে রাজন নামক ১৩ বছরের এক কিশোরের। তবুও তাকে কেও পানি খাওয়াইনি এবং বাঁচতেও দেয়নি। কি অভিযোগে এত পৈশাচিকতা! চুরির অভিযোগ। শুধু অভিযোগ, প্রমাণিত নয়। মাত্র সন্দেহের বসে ১৩ বছরের কিশোরকে যে অত্যাচার করে হত্যা করা হলো তা দেখে হিংস্র জন্তুরাও আতকে উঠবে। কিন্তু মানুষ নামধারী কিছু নরঘাতক পশুর কাছে এটা এতটা আনন্দের ছিল যে তারা হো হো করে হাসছিল। এটাই কি শিক্ষা! এটাই কি মানবিকতা!
এ ঘটনা যে শুধু এক সিলেটেই ঘটেছে তা নয়। মাঝে মাঝেই শোনা যায়, চোর-ডাকাত সন্দেহে মানুষদের পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। গতকালও বরিশালে ডাকাত সন্দেহে ৩ জনকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলেতো যেকোন সময়ে যেকোন মানুষকে একটি অপবাদ দিয়ে হত্যা করে হত্যাটাকে জায়েজ করে নেওয়া হবে!
শুধুকি মানবিকতার বিপর্যয় ই এসব ঘটনার জন্য দায়ী। না। প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা এবং সরকারের প্রতি অনাস্থা এবং বিশ্বাসহীনতার জন্য মানুষ আইনকে নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। যতদিন এ অবস্থা চলতে থাকবে ততদিন এরুপ ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
মাঝে মাঝে ভাবি, মাত্র কয়েকশো টাকা চুরির অভিযোগে(যেটি সন্দেহ, প্রমাণিত নয়) যদি এই নির্মমতা করে হত্যা করা হয়, তাহলে কালো বিড়াল, পদ্মা সেতু খোর- এদের কি পরিমান অত্যাচার করে কতবার হত্যা করা জায়েজ হবে!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.