নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অচল কথন

কাজী সোহেল রানা

১৯৮৭

কাজী সোহেল রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় শোক দিবসের বাস্তবতা

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

অবশ্যই ১৫ই আগস্ট বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। কিছু ভুল ত্রুটির কারণে আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদকে হারিয়েছি এই দিনে। আর অবশ্যই সেই শ্রেষ্ঠ সম্পদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পাশে থাকা অর্বাচিন আত্মিয়-স্বজন নয়। এ দিবসটি শোকের আবহে বছরের পর বছর পালিত হয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতে ও পালিত হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবত এ দিবসকে ঘিরে আওয়ামিলীগের কর্মসূচি চূড়ান্ত বাড়াবাড়ি পর্যায়েই পড়ে। পাড়া-মহল্লা, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ এমনকি হাসপাতালেও সারা দিন এবং রাত্রি ব্যাপি উচ্চস্বরে মাইক বাজানো হয়। একাধারে এতসময় শব্দ দূষণের ফলে আমাদের স্বাভাবিক জীবনধারা ব্যহত ই হয়না, বিরক্তির কারণ ও ঘটায়।

অন্যদিকে এদিনের অনুষ্ঠান ঘিরে চাঁদাবাজিতো আছেই। আপনার ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় টাকা দিতেই হচ্ছে।

পৃথিবীর কোনো দেশেই তাদের জাতীয় নেতাদের জোর করে গুলিয়ে খাওয়ানো হয়না। তারা তাদের কর্মের জন্যই জনগণের মাঝে বেঁচে থাকেন। এমনকি আমাদের দেশেও তিতুমীর, ভাসানি, ফজলুল হক এদের কারও জন্ম-মৃত্যু দিনে সরকারি ছুটি নাই। মহল্লায় মহল্লায় আয়োজন করে পালন ও করা হয়না। তবুও তারা আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। তাহলে বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে এত বাড়াবাড়ি কেন? পুরোটাইকি রাজনৈতিক? আর এজন্য বঙ্গবন্ধু সাধারন মানুষের কাছে আসছেন নাকি দূরে সরে যাচ্ছেন?

আওয়ামিলীগ বার বার বলে থাকে বঙ্গবন্ধুকে সার্বজনীন করতে হবে। কিন্তু তারা এটা উপলব্ধি করেনা যে এর পেছনে একটিই বাধা, সেটা আওয়ামিলীগ নিজেই। তারাই নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী মোড়কে বন্দি করে রেখেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.