নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়টা সন্ধ্যা বেলা। নিজ নিজ কর্মক্ষেত্র থেকে সকলেই ঘরে ফিরতে ব্যস্ত। এর মাঝেই মৌচাক মোড়ে একটি জটলা। বাঙ্গালি উতসুক মন, তাই ঘটনা জানার জন্য একটু উঁকি মারলাম। ঘটনা মর্মান্তিক। কিন্তু কারণ খুবই সাধারণ। কয়েকজন লোক একটি কিশোর ছেলেকে বেদম মারধর করছে। আর তার মাঝেই কিশোর ছেলেটি কেঁদে কেঁদে বলছে, আমি চুরি করিনি।
জানা গেল ঘটনাটি এমন, মৌচাক মোড়ের এক কলা বিক্রেতার কাছ থেকে একটি কলা চুরি করে ছেলেটি খেয়ে ফেলেছে। বিক্রেতাও ধরে ফেলেছে। এবং কয়েকজন মিলে এজন্য কিশোর ছেলেটিকে মারছে। ঐ ছেলেটিই যে চুরি করেছে এর কোন প্রমাণ নাই। শুধুমাত্র সন্দেহ বশত ছেলেটিকে ধরা হয়েছে। তাও আবার মাত্র একটি কলার জন্য। যার মূল্য আর কত হবে। সর্বোচ্চ ৫ টাকা। এই ৫ টি টাকার জন্য একটি ছেলেকে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে অমানুষিক অত্যাচার করা হলো। অথচ আমরা অনেকেই দৃশ্যটি উপভোগ করলাম। কেউ ই ছেলেটিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলাম না।
অংকটা কষতে খুব ইচ্ছা করছে। আমরা আজ অধপতিত সমাজের ঠিক কোন স্তরে অবস্থান করছি। একটি জাতির ঠিক কতটা অধপতন হলে তারা এতটা নির্লিপ্ত হতে পারে। সমাজের ছোট ছোট সহনশীলতাকে ভেঙ্গে ফেলে বড় অনিয়ম কে সহযেই মেনে নিতে পারে।
মাত্র ৫ টাকার একটি কলা চুরির সন্দেহে যদি এতটা প্রহার করা হয়, তাহলে আবুল হোসেনের জন্য কতটা প্রহার অপেক্ষা করে! তথ্যবাবা সহ তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা যেভাবে দেশটাকে চুষে খেয়ে ফেলছে, তাদের শাস্তিটা কেমন হতে পারে। জানি তাদের কোন শাস্তি ই হবেনা। কারণ আমরা এই বড় অনিয়মকে নিয়ম হিসেবেই মেনে নিয়েছি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
কাজী সোহেল রানা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
প্রামানিক বলেছেন: পাঁচ টাকার বিচার হয় কোটি টাকার বিচার হয় না।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
কাজী সোহেল রানা বলেছেন: এটাই আমার কথা। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
মানবী বলেছেন: ভুল পোস্ট
এই মন্তব্য সহ আগের মন্তব্যটি মুছে দেবার অণুরোধ রইলো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭
কাজী সোহেল রানা বলেছেন: ওকে।
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
মানবী বলেছেন: কেউ এগিয়ে যায়নি কেনো? এতো জন মানুষ!
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
কাজী সোহেল রানা বলেছেন: সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত।
৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১২
মানবী বলেছেন: ব্যস্ত কোথায়, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নির্যাতন দেখছিলো যারা!!
অনেক অনেক বছর আগে একবার ছোট্ট এক কিশোরকে এভাবে মারতে দেখে গাড়ি থামিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। গাড়িতে আরো অনেকে ছিলো তাই সম্ভব হয়েছিলো। আর ঘটনাটি ছিলো ক্যান্টনমেন্টের শাহীন কলেজ গেটের কাছাকাছি।
ওরা থেমেছিলো, আর মারেনি।
কিছু কিছু মানুষরূপীদের মাঝে মাঝে মনুষত্ব স্মরণ করিয়ে দিতে হয়।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৪
কাজী সোহেল রানা বলেছেন: আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: খারাপ লেখেন নি