![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(১) বজ্রাসন (Vajrasana)
যোগশান্ত্র অনুযায়ী আসনটি অভ্যাসে দেহের নিম্নাংশ বজ্রের মতো দৃঢ় হয়, তাই এ আসনের নাম বজ্রাসন ।
পদ্ধতি:
হাঁটু ভেঙে পা দু’টো পেছনদিকে মুড়ে শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। হাতের চেটো উপুড় করে দু’ জানুর উপর রাখুন। পাছা গোড়ালির উপর থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। সহজভাবে যতক্ষণ পারা যায় ঐ অবস্থায় বসুন। প্রথম দু’একদিন একটু অসুবিধা হলেও পরে ঠিক হয়ে যাবে। একবারে বেশিক্ষণ না পারলে আসনটি ২/৩ বার করুন। এরপর প্রয়োজনমতো শবাসনে বিশ্রাম নিন।
উপকারিতা:
পরিপূর্ণ আহারের পর এই আসন কিছুক্ষণ অভ্যাস করলে খাদ্যবস্তু সহজে হজম হয় এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। অনেকের মতে বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়ালে সহজে চুল পাকে না বা পড়ে না। এই আসন অভ্যাসে পায়ের পেশী ও স্নায়ুজাল সতেজ ও সক্রিয় থাকে। তাছাড়া, যাদের উপরাংশের তুলনায় নিম্নাংশ সরু বা অপরিণত, আসনটি তাদের অবশ্য করা উচিৎ। দেহের নিম্নাংশ সুগঠিত করতে এ আসন অতুলনীয়।
(২) সুপ্ত-বজ্রাসন (Supta-Vajrasana)
পদ্ধতি:
প্রথমে বজ্রাসনের ভঙ্গিমায় বসুন। এবার পা, হাঁটু ও পাছা ঐ অবস্থায় রেখে আস্তে আস্তে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। অসুবিধা বোধ করলে পায়ের গোড়ালি দু’পাশে একটু হেলিয়ে নিতে পারেন। এবার হাত দু’টো মাথার পেছনে বা মাথার নিচে মেঝেতে রেখে ডান হাত দিয়ে বাঁ কনুই এবং বাঁ হাত দিয়ে ডান কনুই ধরুন। এখন পিঠ মাটি থেকে একটু উপরে তুলুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। ঐ অবস্থায় ২০ সেঃ থেকে ৩০ সেঃ থাকুন। অতঃপর আস্তে আস্তে পাছার নিচ থেকে মোড়ানো পা খুলে সোজা করে দিন এবং হাত দু’টো শরীরের দু’পাশে রেখে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এভাবে ২/৩ বার আসনটি করুন।
উপকারিতা:
এই আসনে মেরুদণ্ডের হাড়ের জোড়া নমনীয় হয়। হাত, পা, পেট, পিঠ, বুক, কোমর ও নিতম্বের পেশী ও স্নায়ুজাল সতেজ ও সক্রিয় হয় এবং বুক সুগঠিত হয়। সহজে পেটের কোন রোগও হতে পারে না। আসনটি অভ্যাস রাখলে বাত বা সায়টিকা হতে পারে না, আর থাকলেও অল্পদিনে ভালো হয়ে যায়।
(৩) লঘু-বজ্রাসন (Laghu-Vajrasana)
পদ্ধতি:
প্রথমে সুপ্ত-বজ্রাসনের ভঙ্গিতে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাত দুটোকে মাথার দুপাশ দিয়ে সমান্তরালভাবে লম্বা করে তালু চিৎ করা অবস্থায় মেঝেতে রাখুন। এখন কনুই থেকে হাত দু’টো ভাঁজ করে মাথার দু’পাশে হাতের চেটো মাটিতে স্থাপন করে তার উপর ভর করে শরীরের উর্ধ্বাংশ উপরের দিকে তোলা দিন এবং মেরুদণ্ড বাঁকিয়ে মাথার তালু আস্তে আস্তে নামিয়ে আনুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। ২০ সেঃ থেকে ৩০ সেঃ এ অবস্থায় থাকুন। তারপর আবার হাতের চেটোর উপর ভর করে শরীরটাকে উপরের দিকে তুলে ধীরে ধীরে সুপ্ত-বজ্রাসনের ভঙ্গিমায় গিয়ে অতঃপর পায়ের ভাঁজ খুলে হাত দু'টোকে শরীরের দু'পাশে রেখে প্রয়োজনমতো শবাসনে বিশ্রাম নিন।
উপকারিতা:
সুপ্ত-বজ্রাসনের সব গুণ এখানে বর্তমান। এ আসনে দেহের সব অংশের ব্যায়াম হয়। বিশেষভাবে ঘাড়, গলা, বুক, পেট, তলপেট ও মেরুদণ্ডের খুব ভালো কাজ হয়। মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের অতিরিক্ত মেদ-চর্বি দুর করে শরীরকে চমৎকার সুগঠিত করে।
[Images: from internet]
(চলবে...)
পর্ব:[১০] [**][১২ ১২]
২| ৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:১৫
আহছানউল্লাহ বলেছেন: সচেতনতামূলক পোষ্ট।শরীর চর্চার জন্য কাজে লাগবে।
৩| ৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:২৯
এস,আহমেদ বলেছেন:
ধন্যবাদ।
+++
৪| ৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:৩২
শিবলী বলেছেন: যোগব্যায়াম ভাল পাই।
Click This Link
৫| ৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:৫৭
শয়তান বলেছেন: পিঠের এবং কোমরের ব্যাথার জন্য এটাই কি সেই আসন ?
৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:১৫
রণদীপম বসু বলেছেন: সুপ্ত বজ্রাসনটা। তবে চর্চা করার বেলায় অবশ্যই সাবধান। ধড়াম করে চিৎ হয়ে পড়তে যাবেন না যেন, যদি শরীর ফ্রি না থাকে, রানের রগ ছিঁড়ে যাবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না ! প্রথমে পেছনে হাতের তালু বিছিয়ে শরীরকে ঠেক দিয়ে হাতের উপর ভর রেখে শরীরটাকে পেছনে ধীরে ধীরে নামাতে হবে। বজ্রাসনে স্থির হবার পর শরীরটাকে শিথিল করে দিতে পারেন।
কোন সমস্যা হলে অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ।
৬| ৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:২৮
শয়তান বলেছেন:
নাহ । হৈলো না ।
অনেক ট্রাই দিলাম
৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:৫৪
রণদীপম বসু বলেছেন: আশাহত হবার কিছু নেই। যতটুকু হয় ততটুকু দিয়েই চলতে থাকুক। ধীরে ধীরে হয়ে যাবে।
৭| ৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ২:০৭
শয়তান বলেছেন: আর একটা জরুরী প্রশ্ন ।
ইয়োগা প্র্যাকটিস করতে গিয়ে ব্যাথা বোধ হলে ব্যাথার ট্যাবলেট কি খাওয়া যাবে ???
৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ২:৩৭
রণদীপম বসু বলেছেন: প্রথমত এটা খেয়াল রাখতে হবে যে জোর করে ইয়োগা করা কিছুতেই ঠিক না। তবে প্রথম প্রথম আসন অভ্যাস করলে পরে শরীরে ব্যথা হতেই পারে, যে কোন ব্যায়ামের ক্ষেত্রেই তা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে ট্যাবলেট নয়, বরং কিছুদিন নিয়মিত অভ্যাস করলে ব্যথা এমনিতেই সেরে যায়। এবং শরীর আরো ফ্রি হয়ে ওঠে।
এর বাইরে কোন ব্যথা পেলে তো ডাক্তারি চিকিৎসার প্রয়োজন হতেই পারে।
৮| ৩০ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ২:১৩
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ......
৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১৬
অরণ্যানন্দ বলেছেন: ভাল্লাগছে ...
১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৮
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: বজ্রাসন ভাল ব্যায়াম, এত দ্রুত খাবার হজম হয়, প্রথমে অবাক ই হয়েছিলাম। সুপ্ত বজ্রাসন টা জানতাম না।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৪
রণদীপম বসু বলেছেন: সুপ্ত বজ্রাসন আবার ভরপেটে করতে যাবেন না যেন !
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:০৭
সজল শর্মা বলেছেন: ধন্যবাদ।