![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভূকৌশলগত অবস্থান বা এ অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশের কি কোনো দাম নেই? শুধু মিয়ানমারেরই আছে?
================
রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, শরণার্থী সমস্যা ও বাংলাদেশের ওপর চেপে বসা সমস্যাটির ব্যাপারে চীন, ভারত, রাশিয়া ও জাপানের মতো দেশগুলোর মায়ানমারের পক্ষে অবস্থানের পেছনে বিশ্লেষকেরা প্রায় একমত যে অর্থনৈতিক স্বার্থ ও ভূরাজনৈতিক কারণেই তারা এই অবস্থান নিয়েছে। সবাই বলছেন, মিয়ানমারে ভারত, চীন, রাশিয়া ও জাপানের বিশেষ স্বার্থ রয়েছে। অর্থনৈতিক স্বার্থ। আর মিয়ানমারের ভূকৌশলগত অবস্থানও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব দেশ বুঝেশুনেই মিয়ানমারের পক্ষ নিয়েছে অথবা মিয়ানমারকে হাতে রাখার নীতি নিয়েছে।
প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশে কি কারও কোনো স্বার্থ নেই? এখানে কি এই দেশগুলোর বিনিয়োগ নেই, ব্যবসা-বাণিজ্য নেই? ভূকৌশলগত অবস্থান বা এ অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশের কি কোনো দাম নেই? শুধু মিয়ানমারেরই আছে?
১. চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক খুবই জোরালো। এ দেশে চীনের বিনিয়োগ রয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও অবকাঠামো নির্মাণে চীনের প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বাংলাদেশের সমরাস্ত্র কেনার অন্যতম প্রধান উৎস চীন। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় গোটা তিরিশেক প্রকল্পের জন্য আড়াই হাজার কোটি ডলারের সমঝোতা হলো। চীনের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্বের বিষয়টি পরিষ্কার।
২. সরকারের ভাষ্যমতে ভারত তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন সবচেয়ে উষ্ণতম পর্যায়ে রয়েছে। ভারতের নিরাপত্তা-শঙ্কা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে চলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বাণিজ্য, তা ভারতের অনুকূলে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পেও তারা সম্পৃক্ত। রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে ভারত। স্থল ও নৌ ট্রানজিটের বিষয় রয়েছে দুই দেশের মধ্যে।
৩. ঢাকায় মেট্রোরেলের প্রকল্প চলছে। মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎকেন্দ্র, অর্থনৈতিক জোন ও কার্যত গভীর সমুদ্রবন্দর বানানোর কাজটি করছে জাপান।
৪. রাশিয়া বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে, গ্যাস খাতে বিনিয়োগ করছে। রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্রও কিনছে বাংলাদেশ।
মিয়ানমারের সঙ্গে এই দেশগুলোর যে মাত্রায় অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থ আছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা আরো অনেক বেশি।বরং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশের অন্যতম একটি কেন্দ্র।তাহলে সমস্যাটি কোথায়?
সমস্যা একটাই জায়গায় তা হলো রোহিঙ্গারা মুসলমান। মুসলিম নিধনে সব কাফির এক। কাফিরদের মুসলিমবিদ্বেষীতা সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেন-
১) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা মায়িদা : ৫১)
২) হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের ক্ষতিসাধনে কোনো ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাকো, তাতেই তাদের আনন্দ। (সূরা আল ইমরান: ১১৮)
৩) (হে ঈমানদারগণ) দেখো, তোমরাই তাদের ভালোবাস, তারা (কাফিররা) কিন্তু তোমাদের প্রতি মোটেও মুহববত পোষণ করে না। ( সূরা আলে ইমরান: ১১৯)
মুসলমানের উচিত একত্রিত হয়ে কাফিরদের বিরুদ্ধে সরব হওয়া।
-- ইন্টারনেট থেকে নেওয়া
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৯
রানা সাহেব বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫
ইমরান আশফাক বলেছেন: সম্পূর্ন সঠিক, আমি একমত। এবার হজ্বে দেখলাম প্রচুর চাইনীজ মুসলিম এসেছে, চীনে যে এত মুসলমান আছে তা জানতাম না। চীনে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্বি চীন সরকার হুমকি হিসাবে দেখছে।