![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ যা বিশ্বাস করে, তা-ই তার জগতের সত্য। আর যা তার বিশ্বাসের সঙ্গে মেলে না, তা হয়ে যায় মিথ্যা, বিভ্রান্তি, শত্রুতা। যুক্তির দোহাই দিয়ে সবাই ভাবে, তারা নিজের বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়, চিন্তার জগতে স্বাধীন; কিন্তু আসলে মানুষ এক অদৃশ্য শিকলে বাঁধা। এই শিকল কেউ পরায়নি, সে নিজেই পরেছে—তার অভ্যাস, তার গোষ্ঠী, তার শৈশবের শেখানো সত্য দিয়ে। নতুন কোনো ধারণা সামনে এলে সে শঙ্কিত হয়, যেন তার বিশ্বাসের ভিত নড়ে উঠছে, তার পরিচিত দুনিয়াটি ধ্বংসের মুখে। আর তাই, আত্মরক্ষার সহজ পন্থা হলো নতুন সত্যকে অস্বীকার করা, তাকে বিকৃত বলা, তাকে তাচ্ছিল্য করা।
মানুষ একা বাঁচতে পারে না, কারণ একাকিত্ব মানেই অনিশ্চয়তা। সে তাই নিজের মতো মানুষ খোঁজে, তাদের সঙ্গেই বন্ধুত্ব গড়ে, যারা তার চিন্তাকে নিশ্চিত করে, তার বিশ্বাসকে পোক্ত করে। দলবদ্ধ হওয়ার এই প্রবণতা তার মানসিক স্বস্তির জন্য জরুরি, কারণ দল মানেই নিরাপত্তা, পরিচিতি, স্বীকৃতি। আর এই গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষগুলো একসময় নিজেদের মতকে করে তোলে একমাত্র সত্য, বাইরের সব কিছুকে তারা দেখে সন্দেহের চোখে। গোষ্ঠীর স্বার্থেই তারা নতুন ভাবনাকে শত্রু ভাবে, বিপরীত মতকে বিদ্রূপ করে, আর নিজেদের চিন্তার দেয়ালকে আরও শক্ত করে গেঁথে নেয়।
কিন্তু সত্য কি এতটাই সংকীর্ণ? সত্য কি কোনো গোষ্ঠীর গণ্ডিতে বন্দি থাকে? যারা সত্যের পথযাত্রী, তারা জানে—এই দেয়াল আসলে এক কারাগার, যার ভিতরে মানুষ আরাম খোঁজে, কিন্তু মুক্তি পায় না। নতুন সত্য জানতে হলে এই দেয়াল ভাঙতে হয়, পরিচিত বিশ্বাসের আয়নাকে চূর্ণ করতে হয়। দেয়াল ভাঙা সহজ নয়, নতুন আলো চোখে ধাক্কা দেয়, কিন্তু সেই আলোই মানুষকে সত্যিকারের মুক্তি দেয়। যারা সাহসী, তারা সেই আলোতে নিজেকে সঁপে দেয়; যারা দুর্বল, তারা অন্ধকারকেই নিরাপদ ভাবে। আর যুগ যুগ ধরে, এক পক্ষ দেয়াল ভাঙে, আরেক পক্ষ দেয়াল বানায়—এটাই মানুষের চিরন্তন দ্বন্দ্ব।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৯
কামাল১৮ বলেছেন: কোন কিছু বিশ্বাস করতে হবে তথ্য, প্রমান যুক্তি সহ।