মৃত্যু

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

যে মানুষটি মারা গেছে তার বাড়িতে আজ খুব কান্না হচ্ছে, বলতে গেলে একটা কান্নার নগরীর রূপ নিয়েছে। আজ সবাই কাঁদছে একসাথে কাল কেবলই তার সন্তানরা কাঁদবে, পাড়া পতিবেশীরা বেশিক্ষণ কাঁদেনা কান্না দেখে এরা কাঁদে বলতে পারেন ফরমালিটি..!!
.
এই ধরুন আমার সামনে দু'জন লোক কাঁদছে আর কোনো কারণ না জেনে আমি কাঁদছি আমি বড্ড ইমোশোনাল বৈকি। এমনি সব প্রতিবেশীরা ইমোশোনাল হয়। মৃত বাড়ীতে গিয়ে মিলে মিশে কাঁদে..!!
.
তার ছেলেরা আরো দু'দিন কাঁদবে তারপর মেয়ে গুলো একমাস ফুফিয়ে ফুফিয়ে বাবার জন্য কাঁদবে, মেয়েরা একটু বেশিই কাঁদে বাবা মায়ের জন্য, স্ত্রী কয়েকদিন কষ্টিপাথরের রূপ নিবে। তারপর সব কিছু আগের মতো হয়ে যাবে..!!
.
যে মানুষটিকে নিয়ে এতো আয়োজন সে আজ অতিত হয়ে গেছে। তারও একটা বর্তমান ছিলো... পৃথিবীর বিনা মূল্যে আলো বাতাস প্রকৃত এসব দেখে সে আজ অতিত। তারও সমাজে একসময় দশজনের নিকট প্রায়োরিটি ছিলো..!!
.
তারপর.....তারপর আর কেউ তাকে মনে রাখবেনা। সময় তার নিয়েমে চলে যাবে আপনজনরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে। সন্তানরা শোক কাটিয়ে হাঁসবে...কোনো কোনো শুক্রবার আর ঈদের দিন বাবার কবরের পাশে গিয়ে কিছুক্ষণ নিরব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। এখানেই সব শেষ..!!
.
শেষ হয়ে যাওয়াটাই যে ভালো... কারণ শোক সারাজীবনের জন্য নয়। মৃত মানুষের জন্য কয়েকদিন কাঁদাটায় অনেক। ভুলে গিয়েই মানুষ নিজেকে এগিয়ে নেই, আর যায় হোক অতিত মনে রেখে তো আর এগুনো যায়না। ভুলে থাকায় নিয়ম, সব কিছু ভুলে যেতে হয়। হঠাৎ কোনো দিন হয়তো মৃত বাবার জন্য দু'ফোটা জল আসবে চোখে সেটা কয়েক মিনিটের জন্য। এই নিয়ম চলছে চলবে..!!

০ টি +০/-০