![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিমেনসট্রোয়াল সিনড্রোম
মাসিক শুরু হওয়ার ২/১ সপ্তাহ আগে থেকে প্রজননক্ষম নারী শরীরে ইস্ট্রোজেন ও
প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার
জন্য কতগুলো শারীরিক
এবং মানসিক সমস্যা দেখা যায়। মাসিক
পূর্ববর্তী এ সমস্যাগুলোকে একত্রে বলা হয়
প্রিমেনসট্রোয়াল সিনড্রোম। শতকরা ৪০ জন
মহিলা এ সমস্যায় ভুগে থাকেন। ৫ শতাংশ
নারীর ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো মারাত্মক আকার
ধারণ করে। মাসিক শুরু হলে এ
সমস্যাগুলো আপনা থেকেই চলে যায়। এ
উপসর্গগুলো দেখা দেয়া স্বাভাবিক
এবং এতে বুঝা যায় ওভারি বা গর্ভাশয়ের
ক্রিয়াকলাপ ঠিকভাবে হচ্ছে। মহিলারা অনেকেই
এ শারীরিক ও মানসিক তারতম্য স্বাভাবিক
বলেই মেনে নেন। সাধারণত ত্রিশোর্ধ্ব বয়সের
মহিলারা এ অসুবিধায় ভোগেন। মেনোপজ
বা রজঃনিবৃত্তির পর মাসিক ঋতু¯্রাব একেবারেই
বন্ধ হয়ে যায়, তখন আর প্রিমেনোসট্রোয়াল
সিনড্রোম থাকে না।
কারণ এই সিনড্রোমের সঠিক কারণ আজও
স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে এটা যেহেতু
মাসিক ঋতুচক্রের দ্বিতীয়
ধাপে হয়ে থাকে সে জন্য ও ভিউশিন
বা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু
নিঃসরণে প্রজেস্টেরন হরমোনের প্রভাবের
কারণ হিসেবে ধারণা করা হয়। কারণ
প্রজেস্ট্রেরন হরমোনটি ঋতুচক্রের ২য় ধাপ
নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তবে প্রজেস্টেরন
হরমোন কতটুকু দায়ী তা এখনও জানা যায়নি।
কেউ কেউ আবার প্রোলাকটিন হরমোনের
প্রভাব আছে বলেও মনে করেন।
কারো কারো মতে, পুষ্টিহীনতাও
প্রিমেনোসট্রোয়াল সিনড্রোমের কারণ।
ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন, বি৬, ভিটামিন ই,
লিনলিক এসিড, মিনারেলসের মধ্যে ক্যালসিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদির
অভাবজনিত কারণে প্রিমেনোসট্রোয়াল
সিনড্রোম হয়ে থাকে।
পরবতী তে দেখুন এর উপসগ চোখে রাখুন
©somewhere in net ltd.