নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্ক নিজে বলার মতো যোগ্যতা এখনো হয়নি। শুধু এটুকুই বলতে পারি লিখতে ভালোবাসি, পড়তে ভালোবাসি, দেখতে ভালোবাসি, শুনতে ভালোবাসি, বলতে ভালোবাসি এবং বুঝতে ভালোবাসি। বাকিটা না হয় পরিচয় হওয়ার পর জেনে নেয়া যাবে।

রাশেদ অনু

facebook.com/rashed.anu

রাশেদ অনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাস্থ্য সমাচার- ৩য় পর্বঃ জেনে নিন হৃদরোগীদের খাবার

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

হৃদরোগের প্রধান কারণ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে। পরিকল্পিত খাদ্যগ্রহণ নীতি মেনে চললে এই কোলেস্টেরল আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে যে সব খাবার প্রতিদিনের আহার তালিকায় রাখতে হবে অথবা বাদ দিতে হবে এবার তা জেনে নিন।

আঁশযুক্ত খাদ্য বেশি খাবেন:

০ সবুজ শাক-সবজি ০ সালাদ

০ ছোলা, বুট

০ টক ফল- খোসা সহ পেয়ারা, আমলকি, কামরাঙ্গা, আমরা, লেবু ও বরই।

চর্বি জাতীয় খাবার কম খাবেন:

০ উপকারী ফ্যাট বা অসম্পৃক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো

০ সব রকমের মাছ

০ সামুদ্রিক মাছ

০ উদ্ভিজ তেল-কর্ণওয়েল, সানফ্লাওয়ার ওয়েল, সয়াবীন তেল, সরিষার তেল (ক্যালরি অনুযায়ী)।

যে সব খাবার পরিমিত পরিমাণে খাবেন:

০ শর্করা জাতীয় খাবার

০ দুধ বা দুধের তৈরি খাবার (সর ছাড়া দুধ)

০ চিনি-মিষ্টি জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে যে খাবারগুলোকে বাদ দিতে হবে:

০ খাসির মাংস

০ মাংসের চর্বি

০ গরুর মাংস (রানের মাংস মাসে ২/৩ বার অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে)

০ মগজ

০ কলিজা

০ গলদা চিংড়ি

০ মাছের ডিম

০ ডিমের কুসুম (ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যাবে) হাঁস ও মুরগির চামড়া

০ হাড়ের মজ্জা

০ ঘি, মাখন, ডালডা, নারকেল, মার্জারিন।

আরো কিছু খাবার টিপস:

০ মেথি

০ করলার রস

০ ইসুবগুলের ভূষি এগুলো রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

রন্ধনপ্রণালী:

মনে রাখবেন, খাবার প্রস্তুতপ্রণালীর সাথে ক্যালরি হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে, যা ওজন কমাতে বা বাড়াতে সাহায্য করে। বিষয়টির সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। রান্নার ক্ষেত্রে নিচের নিয়মাবলি মেনে চলুন-

০ খাবার ডুবো তেলে ভাজা যাবে না

০ ভাজার চেয়ে গ্রিল করা খাবার ভালো

০ বেশি মশলা ও ভাজা খাবার রান্না করা উচিত না

০ খাবার ভালো রান্না বা কম তেলে রান্না করা ভালো।

আরও কিছু পরামর্শ:

মনে রাখবেন, প্রয়োজনের তুলনায় শরীরের ওজন বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই নিচের টিপসগুলো মেনে রাখুন।

০ সুযোগ পেলেই হাঁটুন

০ ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন

০ মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন

০ টেস্টিং সল্ট অথবা লবণ খাবেন না

০ ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখুন

০ খাবারে কাঁচা লবণ খাবেন না।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে হলে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন অনিবার্য। প্রতিদিন নিয়মমাফিক সুষম খাবার গ্রহণ করুন। হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই পুষ্টিসচেতন হতে হবে।
( সংকলিত)
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১১

আদম_ বলেছেন: এখন থেকে কোন প্রাকটিস শুরু করলে- হৃদরোগ এবং ডায়বেটিস হবেনা।

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১১

রাশেদ অনু বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার পোস্ট পড়ার জন্য।
শুভেচ্ছা সতত।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯

আদম_ বলেছেন:
আপনি আমার প্রশ্ন হয়তো বুঝতে পারেন নি।
এখন থেকে কোন ধরণের খাবার/অনান্য প্রাকটিস শুরু করলে- হৃদরোগ এবং ডায়বেটিস হবেনা ?

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

রাশেদ অনু বলেছেন: দুঃখিত প্রশ্ন বুঝতে না পারার জন্য।

সুযোগ পেলেই হাঁটুন এবং ব্যাম করুন।
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন।
মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
টেস্টিং সল্ট অথবা লবণ খাবেন না আলাদা করে।
খাসির মাংস, মাংসের চর্বি,গরুর মাংস (রানের মাংস মাসে ২/৩ বার অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে),মগজ,কলিজা, ডিমের কুসুম (ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যাবে) হাঁস ও মুরগির চামড়া
, ঘি, মাখন, ডালডা, নারকেল, মার্জারিন পরিহার করে চলার চেস্টা করুন, আর খুব সমস্যা হলে অল্প খেতে পারেন পরিমিত হারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.