নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্ক নিজে বলার মতো যোগ্যতা এখনো হয়নি। শুধু এটুকুই বলতে পারি লিখতে ভালোবাসি, পড়তে ভালোবাসি, দেখতে ভালোবাসি, শুনতে ভালোবাসি, বলতে ভালোবাসি এবং বুঝতে ভালোবাসি। বাকিটা না হয় পরিচয় হওয়ার পর জেনে নেয়া যাবে।

রাশেদ অনু

facebook.com/rashed.anu

রাশেদ অনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাস্থ্য সমাচার- ৬ষ্ঠ পর্বঃ এড়িয়ে চলুন শরীরের জন্য ক্ষতিকর ৭টি আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যকর খাবার

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৩



সুস্বাস্থের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবারের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু খাবার নিয়ে য়ামাদের মাঝে এদের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সংশয় থাকে । আমরা আপাতদৃষ্টিতে যেসকল খাবার পুস্টিকর বলে জানি তাদের মধ্যেও কিছু আছে যেগুলো ভীষণ ক্ষতিকর।
আজ আমরা এমন ৭টি খাবারের বিষয়ে জানবো।



১। প্রোটিন বারঃ
প্রোটিন বার একধরনের ক্যান্ডিবার যেখানে ভিটামিন এবং প্রোটিন থাকে একটু বেশি পরিমাণে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো স্বাস্থ্যকর মনে হলেও এতে প্রায় দ্বিগুণ পরিমানে শর্করা এবং চর্বি থাকে, যেমনটি থেকে চকলেট ব্রাউনিতে।



২। ড্রাইড ফ্রুট/ শুকনো ফলঃ
শুকনো ফল খাবার সাথে সাথেই শরীরে খুব দ্রুত ক্যালরি যোগ হয়। আধকাপ ড্রাইড ফ্রুটে ক্যালরির পরিমান থাকে ১০০ এরও বেশি। তাই ড্রাইড ফ্রুট/ শুকনো ফল খাবার চেয়ে ফ্রিজে রাখা বা ফ্রেশ টাটকা ফল খাওয়া শরীরের জন্য ভালো কারন এতে আপনি বেশি পরিমাণে তৃপ্তিসহকারে খেতে পারবেন যেখানে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হবে না এবং প্রয়োজনীয় পানির ঘাটতি পূরণ হবে।



৩। দইঃ
দই এর অনেক উপকারি দিক থাকলেও এতে চর্বির পরিমান মাঝে মাঝে এতোই বেশি থাকে যেমন বেশি থাকে চিনি ও চর্বিযুক্ত ডোনাটে। তাই লো ফ্যাট বা কম চর্বিযুক্ত দই নির্বাচন করতে হবে খাবার জন্য।



৪। কম চর্বিযুক্ত বাদামের মাখনঃ
পিনাট বাটার বা বাদামের মাখন খাবার জন্য অনেক জনপ্রিয়। কিছু প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এর চর্বি কমানোর সময় এতে অতিরিক্ত চিনি যোগ করে দেয় , ফলে বেড়ে যায় ক্যালরির পরিমান। তাই কম চর্বিযুক্ত পিনাট বাতারের চেয়ে ফুল ফ্যাট পিনাট বাতার খেতে পারেন কিন্তু কম পরিমাণে।



৫। মাফিন/কেকঃ
চকলেট এবং বাদামযুক্ত একটি মাফিনে থাকে ১৫ গ্রামেরও বেশি চর্বি এবং ক্যালরি থাকে ৪০০ এরও বেশি । এগুলোর উৎস হল চিনি এবং রিফাইন্ড ফ্লাওয়ার। তাই প্রতিদিন কফি/ চায়ের সাথে নিয়মিত না খেয়ে মাঝেমাঝে খেতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় ঘরে তৈরি করা গেলে।



৬। টার্কিশ বার্গারঃ
প্রচলিত আছে যে সাধারন বিফ বার্গারের তুলনায় টার্কিশ বার্গার স্বাস্থের জন্য ভালো। একটি মাঝারি সাইজের টার্কিশ বার্গারে চর্বি থাকে প্রায় ৩০ গ্রাম আর ক্যালরি ৬০০। তাই বার্গার যদি একান্তই খেতে ইচ্ছে করে তবে খুব একটা বাছবিচার করে লাভ নেই। অল্প পরিমাণে খেতে পারেন, তবে সবচেয়ে ভালো হয় একেবারেই বাদ দিতে পারলে।



৭। সুশিঃ
আকারে খুব ছোট হলেও সুশিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি, যা আপনার কোমরের মাপ বাড়াতে যথেষ্ট। একটি ছোট রোলেই থাকে প্রায় ৫০০ ক্যালরির মতো। আর যেসব সুশিতে টেমপোরা, চিজ আর মায়ো সস দেয়া থাকে সেদিকে একেবারেই হাত না বাড়ানো শ্রেয়।

তথ্যসূত্রঃ livestrong.com

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪১

সুরাইয়া বীথি বলেছেন: ধন্যবাদ ! স্বাস্থ্য বিষয়ক অনেক তথ্য জানা হল !

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২০

রাশেদ অনু বলেছেন: কস্ট করে সময় দেয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। চেস্টা করবো আপনাদের নতুন কিছু দিয়ে সাহায্য করার। সাথে থাকবেন ।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪২

সুরাইয়া বীথি বলেছেন: ধন্যবাদ ! স্বাস্থ্য বিষয়ক অনেক তথ্য জানা হল !

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২১

রাশেদ অনু বলেছেন: কস্ট করে সময় দেয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। চেস্টা করবো আপনাদের নতুন কিছু দিয়ে সাহায্য করার। সাথেই থাকবেন ।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

আরজু পনি বলেছেন:

আমিতো নিয়মিত শুকনা খেজুর খাই :((
কিসমিসও নিয়মিত কাছে রাখি :(

দইও অনেক পছন্দের খাবার ! :(
আজকে হাইল্যান্ড ইন-এ দইতো খেলাম (এতো মজার যে এক কাপে মন ভরে না :( )

আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই :( এমন দরকারী পোস্ট শেয়ার করার জন্যে ।
কাঁদতে কাঁদতে প্রিয়তে নিচ্ছি :((

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০২

রাশেদ অনু বলেছেন: দই আমারো প্রিয় খাবার ভাই। কিন্তু ফ্যাট একটু বেশিই বেশি । পরিমিত খাও্ইয়া যেতেই পারে :) তবে ইদানিং লো ফ্যাট দইয়ের প্রচলন শুরু হয়েছে যেটা আমাদের মতো ভোজনরসিকদের জন্য আশীর্বাদ :)
হাসতে হাসতে ধন্যবাদ দিচ্ছি সময় করে আমার পোস্টে নজর দেয়ার জন্য। চেস্টা থাকবে সময় পেলে ভালো কিছু লেখার। সাথে থাকবেন আশা করি।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

আরজু পনি বলেছেন:
গতরাতে আপনার পোস্টটা না পড়লে আজকে সকালের নাস্তায় দই খেতাম :(

যাক...আমি বেশিই লম্বা তাই আমার ওজন অন্যের চোখে বোঝা যায় না...কিন্তু অনেক কমাতে হবে :(
না হয় দই খাওয়া বাদই দিলাম :(
তবে লো ফ্যাট-এর দই গুলোর নাম যদি সম্ভব হয় বলতে পারেন...সেগুলোই সংগ্রহ করার চেষ্টা করবো।
আমাকে পরিবার, ছানাপোনা আর পেশাগত কাজে এতো বেশি ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় যে ব্যায়াম করে ক্যালরি খরচ করার জন্যে আলাদা সময় বের করা মুশকিল।

আর সত্যি কথা হলো...বার্গারও পছন্দের তালিকায় বেশ ভালো ভাবেই আছে...ওটাকেও বাদ দিলাম (সত্যিই মন খারাপ লাগছে)।
আপনাকে অনুসরনে নিয়েছি...কাজেই অনুসারিত পাতা খুললে আশা করি আপনার পোস্ট মিস হবে না।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

রাশেদ অনু বলেছেন: এভাবে সব বাদ দিয়ে তো আমাকে অপরাধী করে দিচ্ছেন হাহাহা। তবে কিছু পেতে হলে ছোট খাটো ছাড় দিতেই হয়, কি বলেন?
বিভিন্ন সুপার শপে পাবেন লো ফ্যাট ইয়োগার্ট। আপাতত নাম মনে পড়ছে না, পরে জানিয়ে দিবো।
বার্গার আমারো ভীষণ প্রিয়। এককাজ করতে পারেন এক্ষেত্রে যখন বার্গার খাবেন নিজে পুরোটা একা না খেয়ে কিছু অংশ খান আর বাকিতা ছানাপোনা কিংবা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এতে সাপও মরলো, লাঠিও ভাঙল না :)
একটা ছোট টিপস দেই ডায়েট নিয়ে, সপ্তাহের একদিন নিজের জন্য রাখতে পারেন, সেদিন নিজে নিজেকে পুরস্কার দিবেন। কেন দিবেন? কারন আপনি সারা সপ্তাহ কস্ট করে হলেও ডায়েটে চলার চেস্টা করেছেন তাই। কি পুরস্কার দিবেন? এই যে পুরো সপ্তাহ যেসকল খাবার থেকে দূরে সরে ছিলেন, সেদিন তার কিছু কিছু খেতে পারেন :)
আর হ্যা, একদিনেই সব প্রিয় খাবার প্রিয় অভ্যাস বাদ না দিয়ে, অল্প অল্প করে খান, আস্তে আস্তে কমিয়ে দিলে দেখবেন আর তেমন খারাপ লাগছে না।
ধন্যুবাদ। ভালো থাকবেন।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

আরজু পনি বলেছেন:

আমি ছয় বছর আগে একবার বছর দেড় দুই সময় নিয়ে ১৩/১৪ কেজি কমিয়েছিলাম ।
নিজেকে খাবারে খুব কষ্ট দেইনি...কিন্তু নিয়ম মেনে চলেছি। সকাল বেলাতে লেকের পারে হাঁটতাম আর মনে মনে গল্পের প্লট রেডি করতাম।

গতবছর দুই দফায় বিছানায় পড়ে ওজন বেড়ে গেছে অনেক... তারপরও নিয়ম মেনে কয়েকদফায় প্রায় ৬ কেজির মতো কমিয়েছিলাম।

পেশাগত কাজে কিছুদিন যাবৎ ব্যস্ততার নাকানিচুবানি খেতে হচ্ছে... জানিনা ভেজাইলা কাজটা আজ বা কালকের মধ্যে শেষ হতে পারে...আশা করছি তারপর আবার মনোযোগ দিব...জানিনা (সময়ই বলবে)।

আমি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই মূলত নিজে সুস্থ থাকতে...আর আমার ছানা-পোনাগুলোকে সুস্থ রাখতে। আমার বর আমার খুব ভালো পরামর্শদাতা। এটা আমার জীবনে বড় আশীর্বাদ।
কিন্তু ওই যে বললেন খাবার শেয়ার করতে ! ছানাদের বাড়তি খাবার খেয়েই তো আমার ওজন আরো বাড়ছে :( আর ওরা খাবে আমারটা !

আপনাকে অপরাধী করছি না। হাহাহাহা

আমি হুজুগ উঠলে আড়ং বা ফার্ম ফ্রেশ এর টক দইটা খাই ।

আমি সময় নিয়ে আপনার অন্য পোস্টগুলোও পড়ার ইচ্ছে রাখি।

মন্তব্য লিখতে লিখতে মাত্রই দেখলাম আপনি চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়ছেন। ...অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার জীবন সফলতায় আলোকিত হোক ।

আপনার সাথে আমার পেশাগত কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো কখনো...নারীর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ।
ভালো থাকুন।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

রাশেদ অনু বলেছেন: পড়াশুনা শেষ অনেক আগেই । কিন্তু ডেসক্রিপশনটা চেঞ্জ করি নি মজা করেই।
কাজে ব্যস্ত থাকলে আসলে তেমন ডায়েটিং করার দরকার পড়ে না।
হুম। টক দই ভালো।
আমারও লেখার ইচ্ছে আছে নারী স্বাস্থ্য বিষয়ে, দোয়া করবেন যেন সময় পাই। প্রথম দিকে যখন ব্লগিং শুরু করেছিলাম তখন প্রচুর লিখতাম প্রথম আলো ব্লগে। এরপর ব্যস্ততাও বেড়ে যায় আর প্রথম আলো ব্লগও ফিকে হতে হতে হারিয়ে যায় ।
দেখা যাক কতদূর সাহায্য করতে পারি আমার অর্জিত জ্ঞান দিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.