নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাইক্রো ফিকশনঃ সে

৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩



হাত নেই। পা নেই। কথা বলবার ক্ষমতা নেই। শুধু মুখ দিয়ে বিচিত্র একটা শব্দ সে করতে পারে। আরেকটা ক্ষমতা তার আছে। সে ফুটপাতে খানিকটা গড়াগড়ি দিতে পারে। তার পাশ দিয়ে কেউ হেটে গেলেই সে শব্দ করতে থাকে। অনেকটা পশুর মত। তবে সে শব্দের ভাষা তার পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া মানুষ সহজেই বুঝে ফেলতে পারে। সে আসলে বুঝাতে চায় আমি অসহায়। আমার কিছু করবার মত কোন ক্ষমতা নেই। আমার টাকা নেই। আপনারা দয়া এবং করুনা করে আমায় কিছু টাকা দিন।

আলিম ফুটপাতের পাশে এক টং দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে। সময়টা মধ্য দুপুর। কড়া রোদ ঘাম ঝরাচ্ছে। গরম চা আর সিগারেট আলিমকে ঠিক আরাম দিচ্ছেনা। আলিম খুব মনোযোগ দিয়ে ফুটপাতে হাত পা বিহীন গড়াগড়ি খাওয়া ছেলেটাকে দেখছে। ছেলেটা তার নতুন শিকার। অথবা বলা যেতে পারে তার নতুন ইনভেস্টমেন্ট। এমন অনেক ভিক্ষুককে সে ঢাকা শহরের ফুটপাতে ফুটপাতে ছেড়ে দিয়েছে। আলিম ভিক্ষুকের ব্যবসা করে। এবং তার ব্যবসাটা বেশ জমেও উঠেছে। মাঝেমাঝে সে ভিক্ষুকদের দেখতে ফুটপাতে আসে। আলিমকে মোটামুটি একজন সুখী মানুষ বলা যেতে পারে। সে তার স্ত্রী এবং একমাত্র ছেলেকে খুব ভালোবাসে। তার প্রতি তাদের ভালোবাসারও কোন কমতি নেই। বউ, বাচ্চা, গাড়ি, বাড়ি, ব্যাংক ব্যালান্স নিয়ে আলিম একজন সফল মানুষ। আর তার এই সফলতার কারন ছিন্নমূল মানুষ এবং পথশিশুদের সে ঠান্ডা মাথায় গিনিপিগের মত ব্যবহার করতে পারে। শিশুদের হাত পা কেটে তাদের বোবা বানিয়ে সে রাস্তায় ছেড়ে দেয় ভিক্ষার জন্য। এ নিয়ে তার ভেতর কোন অপরাধবোধও নেই। তাছাড়া আলিমের টাকায় ঢাকা শহরে তিনটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। দুটি স্কুলও আছে তার। মাঝেমাঝেই তাকে সমাজ সেবক হিসেবে সম্বর্ধনাও দেওয়া হয়।

চা এবং সিগারেটের বিল দিয়ে আলিম তার ড্রাইভারকে কল দেয়। গাড়ি নিয়ে আসতে বলে ফুটপাতের সামনে। ফোনটা পকেটে ঢুকানোর আগেই রিংটোন বেজে উঠে। রূবা কল করেছে। রূবা তার স্ত্রী। আলিম কলটা রিসিভ করে। তারপর একসময় কলটা কেটে দেয়। তার একমাত্র সন্তান নিহানকে স্কুল থেকে ফেরার সময় কারা যেন তুলে নিয়ে গেছে। অর্থাৎ অপহরন। আলিম ঠান্ডা মাথায় ভাবতে চেষ্টা করছে। কিন্তু তার ভাবনা চিন্তা সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। আলিমের কান্না পাচ্ছে ভীষন। সে আবার ফুটপাতে গড়াগড়ি খাওয়া ছেলেটার দিকে তাকায়। ছেলেটা পশুর মত আওয়াজ করেই যাচ্ছে। এই প্রথম বারের মত নিজের শিকারকে দেখে ভয়ে শিউরে উঠে আলিম।
নিহান... নিহানকে... ওরা কেন অপহরন করল? নিহানকে নিয়ে ওরা কি করবে?

ফুটপাতে বসে পড়ে আলিম। সে হাউমাউ করে কাঁদছে। তাকে ঘিরে মানুষের ভীড়টাও বাড়তে থাকে।

ছবি ইন্টারনেট থেকে নেওয়া।

মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: দেখি।

৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

জেন রসি বলেছেন: কি দেখেন?

২| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: হ্যাঁ, যেমন কর্ম তেমন ফল।

৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

জেন রসি বলেছেন: হুমমম.....কর্মা......

৩| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ঠিক এরকম নয় কিন্তু সেইম ঘটনা পড়েছিলাম একটা বইয়ে। নামধাম মনে নাই। সেখানে বাচ্চাদের পঙ্গু করার কারখানা ছিলো। ছোটছোট বাচ্চাদের একটা টিউবে ভরে রাখা হতো। যাতে তাদের পা গুলো সরু লিকলিকে হয়ে যায়। পঙ্গু করার পরে তাদের একটা করে হুইলচেয়ার দেওয়া হতো। সেটা নিয়েই তারা মালিকের জন্য ভিক্ষা করতো। দিনশেষে জুটত পচাগলা খাবার!

লেখাটা পড়ে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। আপনার এই লেখায় আবারো মনে হলো :(

৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

জেন রসি বলেছেন: এটা অনেকটাই গল্প হলেও সত্য টাইপ ব্যাপার। এই ঢাকা শহরেই এমন বিজনেস চলে। শুনেছি কেউ কেউ নাকি নিজ ইচ্ছায় তৃতীয় লিঙ্গও হয়। কত রকমের ডার্ক বিজনেস যে এ শহরে আছে!

ধন্যবাদ আর্কিওপটেরিক্স ভাই।

৪| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

রাফিন জয় বলেছেন: প্রায় কাছা-কাছি এমন একটা ঘটনা আগে শুনেছিলাম।

৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

জেন রসি বলেছেন: ব্ল্যাক মার্কেটের খোঁজ নিলে এমন অনেক ঘটনাই জানতে পারবেন।

৫| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: একদিকে লুলা বানায়, আরেকদিকে মসজিদ বানায়...

এমন চরিত্র বিরল না। গল্প ভালো লেগেছে।

৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

জেন রসি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। বিরল না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: কর্মের ফল।

৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ। ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সমাজের অন্ধকার দিকটার একটা বাস্তব চিত্র।সমাজ থেকেই এটার প্রতিবাদ আসতে হবে।নিয়তির উপর ছেড়ে দিলে এই সমস্যার সমাধান কোনদিন হবে না।

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

জেন রসি বলেছেন: তাত অবশ্যই। নিয়তি বলে কিছু নেই আসলে। সবটাই কনসিকয়েন্স। এমনটাই মনে হয় আমার।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কয়েক বছর আগে এরকম একট অপরাধীচক্রকে ধরা হয়েছিল, যারা ছোটো বাচ্চাদের ধরে এনে বিভিন্নভাবে পঙ্গু বানিয়ে ভিক্ষায় নামিয়ে দেয়। টিভিতে এসব দেখার পর ওটা আমার মনে একটা প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে, যা কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লেগেছিল।

আলিমের এ পরিণতিটা প্রাপ্য ছিল। সমাজে ভদ্রলোক বা সমাজসেবকের মুখোশ পরে যে-সব অপরাধীরা ভয়ঙ্কর অপরাধকর্ম করে যাচ্ছে, কোনো না কোনোভাবে তারা এভাবেই নির্মম পরিণতির শিকার হয়ে থাকে। তাদের অন্তরে কোনোদিন শান্তি স্থান পায় না।

গল্পের গাঁথুনিতে মুগ্ধ হলাম। চমৎকার লিখেছেন।

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ। এসব অপরাধী চক্র এখনো সক্রিয়। মাঝেমাঝে ঢাকাকে আমার একটা মুখোশ পড়া কালো বাজার বলে মনে হয়।

ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই।

৯| ৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

ঢুকিচেপা বলেছেন: শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাল হয়েছে।
অনুরোধ করবো ২য় পর্ব করার।

শুভেচ্ছা রইল।

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমার মাইক্রোফিকশনগুলো আসলে বড় গল্পের প্লট বা আইডিয়া। সেসব যেন হারিয়ে না যায় তাই লিখে রাখি।

১০| ৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

কল্পদ্রুম বলেছেন: আমার ধারণা ভিক্ষুকদের এই নেটওয়ার্ক দেশের অন্য বড় শফরগুলোতেও আছে।ছোটবেলার একটা স্মৃতি মনে পড়ে।আমাদের স্কুল থেকে একটু দূরের রাস্তার মোড়ে একটা বড় গাছের নীচে দেখতাম অনেকগুলো ভিক্ষুক একসাথে বসতো।ওখানে ওরা মাঝেমধ্যে এসে জমা হতো।পরে আবার কোথায় কোথায় চলে যেত।

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ। সব শহরেরই আছে। তাছাড়া এরা বিভিন্ন কারনে মাইগ্রেটও করে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের বুদ্ধিমান মানুষরা এগুলোর সমাধান করলো না। করোনার পর, এগুলো নিয়ে লাগবেন নাকি?

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জেন রসি বলেছেন: আমাদের বুদ্ধিমান মানুষদের অনেকেই সর্ষের ভেতর ভূত হয়ে বসে আছে।

আমি না বুদ্ধিমান । না ভূত। লাগালে দেখা যাবে ফুটপাতে বসে আমি নিজেই ভিক্ষা করছি। :P

ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটা বই পড়েছিলাম। বইটার নাম এখন মনে করতে পারছি না।

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

জেন রসি বলেছেন: আমিও করতে পারছিনা। সেখানে মনে হয় ল্যাবে বাচ্ছা তৈরি করে মানুষের খাওয়ার জন্য বিক্রি করা হয়। ফার্মের মুরগির মত।

১৩| ৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সুন্দর লিখেছেন ।
একেই বলে নিয়তির পরিহাস,
পাপ বাপকেও ছাড়েনা ।

ছোট বেলায় মা বলত কাওকে না বলে বাড়ী ছেড়ে কোথাও যাবেনা,
গেলে ছেলে ধরাগন ধরে নিয়ে কানা খোড়া লেংরা বানিয়ে রাস্তায় ফেলে ভিক্ষা করাবে।

এই সমস্ত লোকেরা একদিকে মানুষকে কানা খোড়া লেংরা লোলা বানায় আর দিকে মসজিদ বানায় ।
শুধু কি তাই এরা আবার মসজিদের হুজুরদেরকে দিয়ে ওযাজ করে মসজিদের জন্য মোটা অংকের ডোনেশন নেয় ।
আমাদের এখানে গোটা ছয়েক বাংলা টিভি চ্যানেলে দিবা নিশী গরীব ইয়াতিম ও মসজিদের জন্য ডোনেশন সংগ্রহ করে ।
অনেক ওয়াজিষ্ট বেশ গানের সুরে বলেন কেও যদি এ দুনিয়ায় মসজিদের জন্য একটি ঘর করে তবে তার জন্য আল্লাহ বেহেসতে একটি বালাখানা /ঘর বনিয়ে দিবেন । আবার বেহেস্তের বর্ণনায় গিয়ে বলেন আল্লাহ বেহেস্ত তৈরী করে রেখেছেন যেখানে বেহেস্তবাসীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। তাতে মনে হয় সেখানে আরামদায়ক ঘরবাড়ী অবশ্যই বানানো আছে । আল্লাহ ইনকমপ্লিট বেহেস্ত বনাবেন এটা ভাবতে কষ্ট লাগে, কেন বেহেস্তবাসীদের জন্য তার দানের ভিত্তিতে একটি ঘর /বালাখনা তৈরী প্রয়োজন পরবে বোধগম্য হয়না । আবার হুজুরদের কথাও অবিশ্বাস করি কিভাবে,তারাতো হাদিছেরো রেফারেন্স দেন । কিন্ত সেই রেফারেন্সের অনেকগুলিই খুঁজে পাইনা আর যেটাওবা পাই সেটাতে থাকে অন্যরকম কথা । যাহোক জন কল্যানে মানুষের নামাজ পড়ার সুবিধার্থে মসজিদে দানের প্রেক্ষিতে আল্লা ঘর বানিয়ে দিবেন কি দিবেন না সেটা বড় কথা নয়, সৎপথের উপার্জন হতে সাধ্য মতে দান করলে তার আমল নামায় অনেক পু্ণ্য জমা হবে,এর প্রতিধানে অনেকেই হয়তবা ৮টি বেহেস্তের মধ্যে উচ্চতম বেহেস্তে অধিস্ঠিত হতে পারেন । তবে অসৎ পথের আয় দিয়ে মসজিদ বনালে আগে অসৎ কাজের হিসাবটি নিতেও আল্লার ভুল হবেনা । কারণ আল্লাহ ন্যয় বিচারক ,কারো উপরে জুলুম করে অর্থ আয় করলে তার পরিনাম হবে ভয়াবহ ।
ডোনেশনের প্রতিশ্রুতি দিতে হয় টেলিফোনে যাতে পরে তারা যোগাযোগ করতে পারে । তবে নিয়ম রক্ষার খাতিরে খুব ছোট করে এডের নীচে খুব ছোট ফন্টের লেখায় চ্যরিটি অর্গানাইজেশনের রেজিসট্রি নাম্বার দেয়া থাকে । সেই অর্নাগাইজেশনের রেজিস্ট্রি নাম্বার দিয়ে যে কেও তাদের প্রোফাইল দেখতে পারে,সেখানে দেখতে পারে ( তবে এ বিষয়টি বলতে গেলে খুব কম লোকেই জানে) তাদের বাৎসরিক ফাইনানসিয়েল স্টেটমেন্ট । এমন একটি চ্যারিটি অর্গানাইজেশনের অবস্থা দেখতে গিয়েতো চক্ষু চরক গাছ। একটিতে দেখলাম তাদের বাৎরিক আয় ১০ কোটি টাকারো উপরে আর দিকে বাৎসরিক ব্যয়ও তাই তবে বেশ মোটা দাগের অর্থই ব্যয় হয় তাদের প্রশাননিক কাজে, তাও যদি এটা সহি হিসাব হয় ।

সমাজে ঘটে যাওয়া ঘটনার কিছু খন্ড চিত্র গল্পচ্ছলে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৮

জেন রসি বলেছেন: আসলে যে যেভাবে মানুষকে প্রতারিত করে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারে আরকি! আর ধর্মত মোটামুটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। তাই ধর্ম নিয়ে বিজনেস করাও সহজ। তাছাড়া কালো টাকা সাদা করার একটা সহজ উপায় হচ্ছে মসজিদ মন্দির নির্মাণ। এতে সোশ্যাল ভ্যালুও বেড়ে যায়। ফলে এক ঢিলে দুই পাখি মেরে ফেলা আরকি।

ধন্যবাদ আলী ভাই।

১৪| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৩

মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন: দেশে আছে কত শত আলিমের মত জালিম।
দেশের চিরাচরিত একটি বিষয় নিয়ে গল্প।
ধন্যবাদ।

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪০

জেন রসি বলেছেন: তাত বটেই। দেশটাত তাদেরই হাতে।

ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই।

১৫| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৯

শের শায়রী বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা। আগে এই টাইপের ঘটনা অনেক ঘটত, সম্ভবতঃ এখন এগুলো কিছুটা কমেছে মানে শিশুদের বিকলাঙ্গ করে ভিক্ষাবৃতিতে নামানো। মানুষ পশুর পর্যায়ে (আসলে কি পশুও এই পর্যায়ে নামে? অহেতুক হয়ত আমরা পশুদের দোষ দেই) নামলেই এগুলো সম্ভব ছিল।

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৬

জেন রসি বলেছেন: কোন ব্যবসার কৌশল ফাঁস হয়ে গেলে বা সিন্ডিকেট ধরা খেলে সাধারণত নতুন কৌশল নিয়ে তা করা হয়। মাদক ব্যবসার মত। এক্ষেত্রেও তেমন কিছু হলেও হতে পারে। মানুষের ভেতরত সব রকম প্রবৃত্তিই বাই ডিফল্ট থাকে। কোনটা কেন মানুষ চর্চা করবে এটাও তার চয়েস। তবে মানুষের প্রতিটি কাজরই একটা কনসিকয়েন্স আছে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সমাজের উঁচুতলার লোকজন এইসব ঘটনায় জড়িত । তবে আলিমের বাচ্চা তো কোন অপরাধ করে নি

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫০

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ। করেনি। কিন্তু কনসিকয়েন্স। ভেবে দেখুন আমাদের দেশের মন্ত্রী এম্পিদের অনেক আকাম কুকামের জন্য কিন্তু আমরাও সাফার করছি। এমন আরকি!

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: মন্ত্রী এমপিদের তো আমরা নির্বাচিত করছি । আমাদের কারণে তারা সুযোগ পাচ্ছে

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৮

জেন রসি বলেছেন: সেটাই আমাদের কাজের কনসিকয়েন্স। যেহেতু মানুষ সামাজিক প্রাণী তাই একজনের কর্মের প্রভাব আরেকজনের উপর পরবেই। এবং এটাই ট্র্যাজেডি।

১৮| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০০

মা.হাসান বলেছেন: কেরানিগঞ্জের এক এই রকম ব্যবসায়িকে পুলিশ ধরেছিলো। আরেকটা ছেলেকে তার মা এবং সৎ বাবা মিলে হাত ভেঙে দিয়ে ভিক্ষা করানোর খবর বেরিয়েছিলো। প্রথম অংশটা বাস্তব। সাপ্তাহিক ২০০০ এ একটা প্রতিবেদন এসেছিলো ভিক্ষুক সিন্ডিকেটের উপর। রমনা পার্ক এলাকায় সকালে বাচ্চা ভাড়া পাওয়া যেতো। বাচ্চারা যত কাঁদবে তত বেশি ভিক্ষা। যত হাড্ডিসার তত ভিক্ষা। এজন্য ছোট থেকেই কম খাইয়ে রাখা হয়, সব সময় ক্ষুধার্থ থাকলে কাঁদবে বেশি, কামাই বেশি।

২য় অংশটা বাস্তবে মনে হয় হয় না। আগে সত্য যুগে হয়তো পাপের শাস্তি এজগতেই হতো। কলি যুগে আলিমরা ফুলের মালাই বেশি পায়।

এত কঠোর জিনিস সবার জন্য সহ্য করা কষ্টকর।

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৪

জেন রসি বলেছেন: গল্প মানেইত কিছুটা বাস্তব, কিছুটা পরাবাস্তব, কিছুটা কল্পনা। হ্যাঁ, ভিক্ষুক নিয়ে একটা অপরাধী চক্র সক্রিয় থাকে। জমজমাট বিজনেস। কিছু মানুষ কিছু মানুষকে গিনিপেগ বানিয়ে তার ফায়দা লুটে। এই ঢাকা শহরেই যে তার কত রকমের আয়োজন আছে।

ধন্যবাদ হাসান ভাই।

১৯| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি,




গল্প সুন্দর হয়েছে। একটা হিডেন মেসেজও আছে।

ডঃ এম এ আলীর মন্তব্যের এই লাইন-
"ছোট বেলায় মা বলত কাওকে না বলে বাড়ী ছেড়ে কোথাও যাবেনা,
গেলে ছেলে ধরাগন ধরে নিয়ে কানা খোড়া লেংরা বানিয়ে রাস্তায় ফেলে ভিক্ষা করাবে।"
একসময়ের বাস্তবতা ছিলো । আজও তার কি তার খুব একটা রকমফের হয়েছে ?

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৭

জেন রসি বলেছেন: একসময়ের বাস্তবতা ছিলো । আজও তার কি তার খুব একটা রকমফের হয়েছে ?

পথ শিশুদের জন্য শহরটা হচ্ছে একটা ভয়ংকর জঙ্গলের মত। আমরাত স্নেহ, ভালোবাসা, মমতা, শাসনে বেড়ে উঠেছি। বাবা মারা বটবৃক্ষ হয়েই ছায়া দিত।

ধন্যবাদ জী এস ভাই।

২০| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১২

শায়মা বলেছেন: পাপ তার বাপকে ছাড়েনা। মানে নিহানের বাবার পাপও তাকে ছাড়লোনা ......

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫০

জেন রসি বলেছেন: কর্মা। সবই কর্মা। যেমন এই গল্প লেখার পর থেকে আমার মোবাইল আর অন হচ্ছেনা। চেষ্টা চলছে। গল্পের কোন কাল্পনিক চরিত্র ব্ল্যাক ম্যাজিক করল কিনা কে জানে। পৃথিবী বড়ই রহস্যময়। :P

২১| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালোই বলেছেন । এমন আমরা জাতি

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫০

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অডলি স্যাটিসফাইং! B-)

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৩

জেন রসি বলেছেন: জ্বী আচ্ছা। B-)

২৩| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আমিও করতে পারছিনা। সেখানে মনে হয় ল্যাবে বাচ্ছা তৈরি করে মানুষের খাওয়ার জন্য বিক্রি করা হয়। ফার্মের মুরগির মত।

জ্বী জ্বী এই বইটার কথাই বলেছি।

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৫

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ। সেটা ছিল জাফর ইকবালের রেয়ার ডার্ক ফিকশন।

২৪| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ২:০৯

রাকু হাসান বলেছেন:


ভাইয়া ,ছোট কিন্তু অনেক তাৎপর্যপূর্ণ লাগলো। যারা এসব করছে তাদের কেন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না।!! :( এই চক্রটি খুব ভয়াবহ এবং অমানবিক । :( দাড়িয়ে<দাঁড়িয়ে।

ভালো লাগছে।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ২:৩২

জেন রসি বলেছেন: রক্ষকরাই ভক্ষক হয়ে গেলে কোন কিছুই আর নিয়ন্ত্রণে থাকেনা আসলে। বানান ঠিক করে দিয়েছি। বানান সমস্যা আমার আজন্ম সমস্যা।

ধন্যবাদ রাকু ভাই।

২৫| ০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানুষ যতক্ষন মানুষ না হবে, সবকছুরই অপব্যবহার করবে!
বিশ্বাস, ভরসা বা ধর্ম তখন কেবলই আত্মরক্ষার মূখোশ!
প্রকৃতির প্রতিশোধ এমনই হয়!

মুগ্ধ পাঠ।

+++

০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই। :)

২৬| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

ডি মুন বলেছেন: গল্পে আলিমের শাস্তি হলেও, বাস্তবের আলিমরা বেশিরভাগ সময়ই ধরাছোয়ার বাইরে থাকে।
তাদের সন্তানকে কেউ তুলে নেয়ার সাহস করে না।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

জেন রসি বলেছেন: হুমমম......ধন্যবাদ ডি মুন ভাই।

২৭| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যাঁ। সেটা ছিল জাফর ইকবালের রেয়ার ডার্ক ফিকশন।

সম্ভবত এটাই তার লেখা প্রথম বই।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

জেন রসি বলেছেন: নাহ! এটা তার প্রথম বই না।

২৮| ০১ লা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যেমন কর্ম তেমন ফল।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২৯| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সমাজে বিচিত্র চরিত্রের মানুষের অভাব নেই।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

জেন রসি বলেছেন: হ্যাঁ। অভাব নেই।

৩০| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লেগেছে ভাইয়া। নিজের সন্তানকে দিয়েই অবশেষে সে বাস্তবে ফিরলো। কত মায়ের কোলকে সে খালি করছে। পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা জানবেন।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক ভাই।

৩১| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমাদের মধ্যে এক আন্ডারডগ সাপোর্টের ধরণের প্রবণতা আছে, সমাজের নিষ্টুর মানুষগুলোর বেহাল অবস্থা দেখে এক প্রকার প্রশান্তি আসে মনে। এটা প্রাকৃতিক কোন প্রবণতা হতে পারে, তবে বাস্তবে এই প্রকারের প্রতিফল আমার চোখে তেমন পড়ে না। যা পরে তা তো আমরা দেখছিই- দুস্টদের গ্রাফ সবসময়ই ওপরের দিকে ওঠছে~

১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

জেন রসি বলেছেন: তা আছে। কারন মানুষ মাত্রই কোন না কোন জায়গায় আন্ডারডগ। আর মানুষ যাকে অপরাধী মনে করে তার পতন উপভোগও করে। তবে মানুষ কাকে কেন অপরাধী ভাবছে ব্যাপারটা আপেক্ষিক। মানে একেক জনের কাছে একেক রকম।

ধন্যবাদ গেম ভাই। :)

৩২| ০৮ ই মে, ২০২১ রাত ৮:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের মেসেজটা পরিস্কারঃ যেমন কর্ম তেমন ফল। এ রকমই একটা ভাবনা পাঠকের মনে উদয় হয় গল্পের শেষে এসে। অথচ, নিহানের পরিণতির কথা ভেবে তার জন্যেও মায়া অনুভবে পাঠকের মন কেঁদে ওঠার কথা। কিন্তু তার বাবার নির্মমতার কারণে সে বেচারা এক্ষেত্রে পাঠকের সহানুভূতি থেকে মনে হয় বঞ্চিতই হয়েছে।

"আর মানুষ যাকে অপরাধী মনে করে তার পতন উপভোগও করে" (৩১ নং প্রতিমন্তব্য) - এ কারণেই পিতার অপরাধের কারণে শিশুটি পাঠকের সহানুভূতি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

"কত রকমের ডার্ক বিজনেস যে এ শহরে আছে!" (৩ নং প্রতিমন্তব্য) - সত্যি, এসব অন্ধকার অলি গলির কোন কোনটার সন্ধান মাঝে মাঝে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, বাকিগুলো বাকি সময় অজানাই রয়ে যায়।

অল্প কথায় ভাল একটি গল্প লিখেছেন। গল্পে ভাল লাগা + +।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.