![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টুকটাক কবিতা লিখি। কিন্তু সেগুলো সত্যিকারের কবিতা হয়ে ওঠে কীনা, জানি না কষ্ট প্রশমনে কবিতার সান্নিধ্যে ; ইমেইলঃ [email protected] ফেসবুকে আমিঃ https://www.facebook.com/kagojer.nouka.007
উত্তর দিক থেকে হিমেল বাতাসে শিউলি ফুলের গন্ধ পেলাম
ফিরে তাকাতেই দেখি তুমি, ভোরের ট্রেন ধরতে রেল লাইন ধরে হাঁটছ
অমাবস্যার চাঁদের মত, তোমায় আমার আকাশে দেখাই যায়না
আজ সকালে হয়তো এ জন্য ঘুম ভেঙ্গে যায় অকালকুষ্মাণ্ডটার
অনেক কৌশল করেও নিজেকে লুকাতে পারিনি ওর কাছ থেকে
ওঃ এত সকালে কি কর (দূর থেকে) ?
আমিঃ অনেক দিন থেকে খুঁজছি ভোরের একটা পরী কে দেখবো বলে (কাছে এসে) ।
ওঃ তোমার ফালতু কথা গুলা এখনো গেলনা।
মাথা নিচু করে অপরাধীর মত দাঁড়িয়ে আছি ।
আমিঃ তুমি কি প্রতিদিন এভাবে শহরে যেয়ে ক্লাস কর ?
ওঃ আরে না তা কি করে হয়, তুমি থাকতে আমার যাওয়া লাগে,
তুমিইতো সকাল ১২টায় ঘুম থেকে উঠে আমার ক্লাস, নোট্স , ল্যাব সব শেষ করে দাও ।
আমিঃ না ইয়ে মানে, তুমি যেই ভয়ংকর মেধাবী, একা একা বাসায় পড়লেও
তোমার ভালো রেজাল্ট কেউ আটকাতে পারবেনা ।
ওঃ অযথা প্যাঁচাল কর না। এমনিতেই আজ দিনটা খুব খারাপ যাবে
তোমায় কত করে বলেছি কখনো আমার সামনে পরবে না, এখন যাও
আমিঃ এ জন্যই লুকাতে চেয়েছিলাম নিজকে (নিঃশব্দে)।
ওর কথা মত চলে এলাম তবে কি জানি রেখে এলাম ওখানে
থাক আবার ভুলে যাবো, ভুলে যাই বলে এতদিন বেঁচে আছি
অনেক কিছুই ভুলে থাকতে হয় আমার ।
যার সাথে কথা হচ্ছিল তার সাথে আমার একসময় অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল
ও আগেও আমার সাথে রাগের মাধ্যমে ভালবাসা প্রকাশ করতো।
ওর বাবা মা আমাদের সম্পর্কের কথা শুনে মেনে নিতে পারেনি
তাই ওকে জোর করে বিয়ে দেয় এক পুলিশ অফিসারের সাথে
তখন সে কলেজে পড়তো।
আর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বর্ষে।
দুই বছর পর তার স্বামী মারা যায় ক্যান্সারে ।
তার পর থেকে আমি আবার তার পিছু পিছু ছুটে যাই তবে ওর অজান্তে
কারন দেখলেই হিট করে কথা বলে। আগে এমন কথা গুলোই অমৃত লাগত
আর এখন টক লাগে পার্থক্য এই টুকুই ।
ঝির ঝির বৃষ্টিটা যেন কষ্টের কথা শুনেই অশ্রুটা ধুয়ে নিয়ে গেল ।
মায়ের কাছ থেকে গামছা নিয়ে মাথা মুছে আমার রুমে ঢুকতেই চমকে উঠলাম।
সেই রেল লাইনের মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে,আর আমি বির্বাক
তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে ।
তারপর ও বলল প্রতিদিন পারলে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠে
ও দিকে যেও তোমার সাথে দেখা হলে আমার সারাটাদিন খারাপ যায়,
তারপরও তুমি যাবে বল যাবে না?
আমি মাথা নেড়ে সম্মতি দিতেই আমার আধো ভাঙ্গা ছাতাটা নিয়ে চলে গেল
আর মিনমিনিয়ে বলল কাল সকালে ছাতা নিয়ে এসো ।
ও যাওয়ার ১০মিনিট পর হুস হল আমার ।
এতক্ষন যা ভেবেছিলাম তার কিয়দাংশ হল এখন যদি আবার ওকে পেতে চাই
হয়তো ও রাজী হবে ওর পরিবার রাজি হবে কিন্তু আমার পরিবার রাজী হবেনা , আসলেই পৃথিবীটা বড় অদ্ভুত ।
____রাসেল হোসেন (০৫/১০/১৩)
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা নিবেন ভাইয়া ।
আসলে ই পৃথিবীটা অদ্ভুত
ভালো থাকবেন ।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আসলেই অদ্ভুত !
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন:
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১১
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: 'ও' না বলে 'সে' বললে বোধহয় আরও সুন্দর হত।
কবিতায় ভালোলাগা।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২০
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: ওকে দোস্ত । ও বলেছি কারন এখন আর ছেলেটার সাথে মেয়েটার সম্পর্ক নাই তাই । সে বললে খুব খুব কাছের মানুষ মনে হয় । তোর মতামতের জন্য অনেক ধ্যইনা।
চেষ্টা করবো পরবর্তী কবিতা গুলোতে এমন শব্দ গুলোর পরিবর্ত আনার জন্য।
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ঝির ঝির বৃষ্টিটা যেন কষ্টের কথা শুনেই অশ্রুটা ধুয়ে নিয়ে গেল ।
মায়ের কাছ থেকে গামছা নিয়ে মাথা মুছে আমার রুমে ঢুকতেই চমকে উঠলাম।
সেই রেল লাইনের মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে,আর আমি বির্বাক
তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে ।
দীর্ঘ লাইনের ক্ষেত্রে ছন্দ ধরে রাখা কষ্টকর তবু অনেক ভালো লিখেছেন।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে পুলকিত হলাম ।
ভালো থাকবেন।
আপনার মন্তব্য দেখে অনেক খুশি হয়েছি ভাই .
সত্যি
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ও যাওয়ার ১০মিনিট পর হুস হল আমার ।
এতক্ষন যা ভেবেছিলাম তার কিয়দাংশ হল এখন যদি আবার ওকে পেতে চাই
হয়তো ও রাজী হবে ওর পরিবার রাজি হবে কিন্তু আমার পরিবার রাজী হবেনা , আসলেই পৃথিবীটা বড় অদ্ভুত ।
আসলে ই পৃথিবীটা অদ্ভুত