নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খাবার অপচয় করবেন না।

রাতুল_শাহ

?

রাতুল_শাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্নত চিন্তার কথা...........

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

উন্নত চিন্তা একটি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। উন্নত চিন্তার জন্য চিন্তার উন্নয়ন প্রয়োজন। সেজন্য উন্নত শিক্ষার প্রয়োজন।

জীবনে চিন্তার প্রভাব অনেক, চিন্তা প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হয়।
যেমন ধরেন- রাইট ভাতৃদ্বয়ের চিন্তা ভাবনায় বিজ্ঞান ছিলো, তাই তারা বিমান আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন।
যদি সারাদিন বিজ্ঞান নিয়ে থাকা যায়, তবে সবকিছুর মধ্যে বিজ্ঞান দেখবেন।
হতাশা নিয়ে থাকেন, হতাশা দেখবেন।
যারা অভিনয় নিয়ে চিন্তা করেন, দিন দিন তাদের অভিনয় সুন্দর হয়।
বিরাট কোহলি তার ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা করেন, তাই তার ব্যাটিং সুন্দর।
আমাদের অনেক ক্রিকেটার সেলেব্রেটি তারকা হবার চিন্তা করেন, তাই তারা নিজেদের ক্রিকেটকে সুন্দর করতে পারছেন না।
তাহলে সুন্দর চিন্তা বাছাই করার এখানে অতীব প্রয়োজন।
চিন্তা আমাদের পরিবেশ, অঞ্চল, সময় দ্বারা প্রভাবিত হয়।


যাইহোক, বলছিলাম উন্নত চিন্তা আর উন্নত শিক্ষার কথা।
কোন এক লেখায় নেহেরুর একটা কথা পড়েছিলাম- যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় যত উন্নত, সে দেশ তত উন্নত।
এই কথা পড়ার পর ভাবনায় পড়ে গেলাম, আমাদের দেশের কয়টা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত?

একটা বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে উন্নত হয়?

বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিলাম, আমাদের সম্মানিত শিক্ষকরা কতটুকু উন্নত মানের?
বাজারে তাদের কবিতার বই, উপন্যাসের বই অনেক থাকলেও, নেই সেই পরিমাণে নেই পাঠ্যপুস্তক। বিজ্ঞান বিষয়ক উচ্চ শিক্ষান বই নেই বললেই চলে, আমরা বিদেশ নির্ভর বই পড়ি।
আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষকের চিন্তা উন্নত নয়। তাদের অনুন্নত চিন্তার ফল, শিক্ষার্থীদের উপর পড়েছে।
ফলস্বরুপ আমরা পাচ্ছি হতাশাগ্রস্থ একটি সমাজ। এবং এর সম্পূর্ণ দ্বায় চাপিয়ে দিচ্ছি রাজনৈতিক নেতা বা সরকারের উপর।



আমাদের দেশের ৮০% লোক গ্রামে বাস করে। তাদের ছেলেমেয়ে যে শিক্ষা পাচ্ছে, যে শিক্ষক পাচ্ছে সেখানে হচ্ছে বৈষম্য। সীমান্তবর্তী এলাকার ছেলেমেয়েরা তো আরো বঞ্চিত।

আমি গ্রামের ছেলে, আমি আমার স্কুল জীবনে ভালো সায়েন্সের শিক্ষক, ইংরেজি শিক্ষক পাই নি। আল্লাহর অশেষ দয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়েছে। সেখানে দেশের অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সহপাঠী হিসেবে পেয়েছি।
তারা প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় যেভাবে ফ্লুয়েন্টলি ইংরেজি বলতো, আমি অবাক হয়ে তাদের দিকে চেয়ে থাকতাম।
এতে আমার চিন্তার মাঝে মানসিক কষ্ট আসা যাওয়া করতে লাগলো। এই নেগেটিভ চিন্তা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।

শিক্ষকের কথা যদি বলতে হয়, তবে বলতে হয়, তাদের অধিকাংশের পুস্তক ব্যতিত বাইরের জ্ঞান কম।

উচ্চশিক্ষার একটি অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। সেই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি অংশ হচ্ছে জব মার্কেট। তাদের অধিকাংশই এই জব মার্কেট সম্পর্কে সম্পন্ন অজ্ঞ। ফলে তারা শিক্ষার্থীদের উন্নত চিন্তা গঠনে অবদান রাখতে পারছেন না।

ব্যর্থ হচ্ছে শিক্ষার উদ্দেশ্য। শিক্ষার একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে উন্নত চিন্তার বিকাশ।
এই বিকাশ না ঘটার ফল হচ্ছে- সাড়ে তিনলাখের উপর বিসিএস পরীক্ষার্থী।
দেশের অধিকাংশ তরুণ সরকারী চাকুরীর দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত। উদ্দেশ্য বাকি জীবনটা একটু কম দুশ্চিন্তায় কাটে। দেশ সেবা দিন দিন মিথ হয়ে যাচ্ছে।

সরকারী চাকুরীর দুশ্চিন্তা একটি মারাত্নক ভাইরাসি রোগ।
যে ভাইরাস দেশের দুর্নীতিকে একভাবে সার্পোট দিয়ে যাচ্ছে।
কিভাবে?
ধরেন, একজন পুলিশ সদস্য তার পৈত্রিক জমি বেঁচা ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকুরীটা পেল। এখন সে কি করবে?
১০ লাখ টাকা তুলবে। এখানে সে দুর্নীতির আশ্রয়ে টাকা তুলবে। তার চিন্তা ন্যায় অন্যায় পরে দেখবে, আগে দেখবে ১০ লাখ টাকা।
অন্যান্য সরকারী জবের ক্ষেত্রে হয়তো তাই ঘটছে।

এখন বেসরকারি জবে, আমাদের অবমুল্যায়ন হচ্ছে।
প্রধান কারণ আমাদের দক্ষতার পর্যাপ্ত অভাব।
কোম্পানি গুলোতে আমরা কালো চামড়ার মানুষ, বিদেশীরা সাদা চামড়ার।

ভিকারুন্নেসার ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া যেখানে ইংরেজির জন্য তিনটি বই ( বোর্ড বই, গ্রামার বই, গল্পের বই) পড়ে, সেখানে তার গ্রামে বাস করা চাচাতো বোন সুরাইয়া ইংরেজীর জন্য বোর্ড প্রদত্ত বইটি পড়ে।
এখানে একটি পার্থক্য গড়ে উঠেছে।
তারপর আসি বিজ্ঞান শিক্ষায়, গ্রামের অনেক শিক্ষকরা এখনো বিজ্ঞানের অনেক বিষয় নিজেরাই বুঝে না, শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয় মুখস্থ করতে।
আপনি বলেন মুখস্থ বিজ্ঞান, বিজ্ঞান চিন্তার কতটুকু খোরাক দিবে?

আমরা শিক্ষা গ্রহণের আনন্দটুকু খুব একটা পাই না। আমাদের শিক্ষাগ্রহণ ৯-৬ টার মত।
অথচ বিদেশে ২৪ ঘন্টা।
বন্ধু ইকবাল বলে, তার সহপাঠি নাকি সারাদিন ল্যাবে পড়ে থাকে, ঐখানে খায়, ঐখানে ঘুমায়। চিন্তাভাবনায় শুধু গবেষণা।
আমাদের কি সে সুযোগ আছে?
বা আমরা কি সেই ধরনের চিন্তায় নিজেদের মগ্ন করি?
৬টার পর টিউশনি, তারপর প্রেমিকার গুণগুনানি, রাতে বিরহের গান। বিরহের গান রাতে দুশ্চিন্তার, হাহাকারের, স্মৃতিকাতরতার চিন্তা দেয়। যা মারাত্নক রকমের অপকারী।
সময় নষ্টকারী।

আমাদের তরুণদের হতাশার মূল কারণ সময়কে কাজে লাগাতে না পারা, সময় বিনিয়োগ করতে জানছি না। সময়কে কাটাতে চাই। সময় অপচয়ের অপরাধবোধ অনেক সময় মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলে। এটার কারণ সঠিক চিন্তার অভাব।


বলতে বলতে অনেক কথায় বলে ফেললাম, শেষ করা প্রয়োজন।
আমাদের উন্নতির জন্য গ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা প্রয়োজন। গ্রামে ভালোমানের ইংরেজি শিক্ষক, বিজ্ঞানের শিক্ষকের ব্যবস্থা করা দরকার।
এইচএসসি পাশ নারী শিক্ষিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে ইংরেজি, বিজ্ঞান শিক্ষা দিতে পারছে না। তাদের জন্য আরো শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন। প্রাথমিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করতে পারলে ভিতটা একটু শক্ত হবে।
হাই স্কুল পর্যায়ে, একটা ১ বছরের বা ৬ মাসের কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা নিলে মন্দ হবে না।
দেশে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার খুব অভাব।
আমার শিক্ষক খুব ভালো ডিজাইনার, কিন্তু তার কাছ থেকে সে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ খুবই কম।
সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে উন্নতমানের প্রশিক্ষণকেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র খোলা প্রয়োজন।

আশা করি, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা একদিন উন্নত হবে, উন্নত হবে চিন্তা, উন্নত হবে আমার সোনার বাংলাদেশ।




মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ ,




অনেক বিশাল পরিধি নিয়ে লিখেছেন । অবশ্যই চিন্তার খোরাক যোগানো লেখা । বিস্তৃত আলোচনার অপেক্ষা রাখে ।
তেমন সুযোগ নেই বলে এককথায় বলি ---- শিক্ষা জলের অভাবে চিন্তাবৃক্ষ আজ মৃতপ্রায় ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: ভাই- এখন পাঠ্য বই এর পড়ার সাথে কর্মক্ষেত্রের কাজের সাথে কোন মিল নেই। ব্যাপক আকারে সাহিত্য পড়ে তো লাভ নেই।

একজন শিক্ষক কিন্তু একজন ছাত্রের চিন্তাকে জাগ্রত করতে পারে। তার মনকে নতুন কোন কিছুর দিকে কৌতূহলী করতে পারে। ক্লাশগুলো এখন ডিজিটাল হয়েছে। স্যার স্লাইড পড়িয়ে চলে যান। নতুন কোন বিষয়ে আলোচনা করেন না। কোনটা ঠিক বা বেঠিক এসব তাদের কাছ থেকে আসছে না।
এক শিক্ষক ছাত্রদের দ্বারা আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেওয়ায়। বুঝেন কি অবস্থা।
প্রাইভেট না পড়লে অত্যাচার করে, খাতায় প্রাপ্ত নম্বর দেয় না, প্রশ্নপত্র কঠিন করে, নিজের ছাত্রদের প্রশ্নপত্র বলে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটছে।

আমার এক শিক্ষক ক্লাশে প্রায় জিজ্ঞাস করতো- এই তোরা কে কি হবি? কে ডাক্তার কে ইঞ্জিনিয়ার। ডাক্তার হলে কি করতে হবে উনি মজা করে বলতেন। আমরা উনার কথার। মধ্য দিয়ে নিজেদের সে অবস্থানে দেখতাম।

আসলেই সব মৃতপ্রায় অবস্থায়, প্রাণহীন।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সঠিক ধারণা

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনার কথায় সাহস - অনুপ্রেরণা দুটোই পেলাম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সবসময় ভালো থাকুন, এই শুভ কামনা করি।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
এই রকম কল্যানকর পোষ্ট ব্লগে আরও বেশী বেশী হোক।

লিখে লিখে আসলেই দুইনিয়াটা বদলে দেয়া সম্ভব।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

লিখে লিখে সব সময় পরিবর্তন সম্ভব না। তবে কিছু ক্ষেত্রে লেখার বিকল্প নেই।

লেখা যদি ভাবান্তর না ঘটায় তবে, পরিবর্তন সম্ভব না। ফরাসি বিপ্লবে কিন্তু লেখালেখির একটা বিশাল প্রভাব ছিলো।

যাইহোক, ভালো থাকুন সব সময় সেই শুভ কামনা রইলো।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: খুব ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

আমাদের পুরা শিক্ষা ব্যবস্থাতেই গলদ। এর পরিবর্তন যে কবে হবে?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

রাতুল_শাহ বলেছেন: যারা নীতিনির্ধারক তাদের বিশাল পদক্ষেপের সাথে এগিয়ে আসতে হবে।

সরকারী - বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে শহরে শহরে প্রশিক্ষণ আর গবেষণা কেন্দ্র খুলতে হবে। যেন শিক্ষক - শিক্ষার্থী উভয়ই নিজেদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারে।

ব্যাপক হারে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকলে দক্ষ একটি জনশক্তি পাবো। তখন চীন ভারত শ্রীলংকা থেকে হাজার কোটি টাকার জনবল আনতে হবে না।
এখানে সরকার বিনিয়োগ করলে সরকার ইনশাল্লাহ কয়েক বছর পর, বিনিয়োগের অর্থ পুষিয়ে নিতে পারবে। শুধু দরকার সঠিক মানসিকতা।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২০

নীল-দর্পণ বলেছেন: কবে যে শিক্ষা ব্যব্স্থা উন্নত হবে, কবে বদলাবে…আমার এক বান্ধবী বলে, "আশায় মরে চাষা" । আর আমার আম্মা বলেন, "আশায় বাঁচে চাষা" । বাঁচা মরা যাই হোক আশা করা যেতেই পারে।

কেমন আছেন ভাইয়া?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমি ভালো আছি।
আপনি কেমন আছেন?

সরকারের অপরিপক্বতারর সাথে আমাদের নামীদামী শিক্ষরাও নিজেদের লাল নীল হলুদ নিয়ে জঘন্য ভাবে ব্যস্ত। ছাত্র দিয়ে একজন শিক্ষক আরেকজনের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেওয়াচ্ছে।

এসব দেখলে ভাবি, কি দেখছি!!!

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: আছি আলহামদুলিল্লাহ ভাল ।
বাস্তবতার প্রেক্ষিতে দেখা যায় স্লোগান না দিলেও বিপদ। ভবিষ্যত ধোঁয়াশাচ্ছন্ন (অন্ধকারের চাইতেও খারাপ) &

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

রাতুল_শাহ বলেছেন: অাল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক ভালো রাখুক।

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪২

কালীদাস বলেছেন: অনেক টপিক এনেছেন এতটুকু একটা পোস্টে। দেশ নিয়ে আপনার ভাবনাটা ফুটে উঠেছে লেখাটায়। ভাল।

আপাতত একটা জিনিষ নিয়ে বলি খানিকটা। সরকারী চাকরি প্রেম। এই জিনিষটা হতাশা/বেকারত্ব বাড়াচ্ছে অনেক বছর ধরে। কারণটাও ছেলেমানুষি টাইপের: মানুষের এক্সপেক্টেশন নিজের লেভেলের চেয়ে অনেক অনেক উপরের লেভেলে হওয়ার ফল। যে ছেলেটা আজকে পার সিটের জন্য ৫০ জনের সাথে কমপিট করে চান্স পাচ্ছে না, সে কিভাবে পার জবের জন্য পাঁচ হাজারের সাথে পারবে? প্রাইভেট সেক্টরের জবগুলোতে লোকজনের অনীহা দেখার মত। অথচ এই সোনার হরিণের পেছনে দৌড়ে ঐটার সুযোগও যে হারাচ্ছে সেটা মনে থাকে না।

ইউনির টিচিং কোয়ালিটি নিয়ে পাতার পর পাতা কমেন্ট লিখতে পারব। রাত অনেক হয়েছে, অফ গেলাম।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: পাবলিক ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েরা সরকারী চাকুরীর পেছনে পড়ে থাকার কারণে প্রাইভেট সেক্টরে গুরুত্ব হারাচ্ছে।

আমাদের পাবলিক ছেলেমেয়েদের অনেক ভুল ধারণা আছে। তাছাড়া এত সাহিত্য পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষিত নিয়ে দেশ কি করবে?
উচ্চ শিক্ষিতদের পরিমাণ খুব বেশি,, সবার মান একই।
আমাদের মান থেকে আরো ভালো মান দরকার। বিশ্ব র্যাংকিকে আমাদের অবস্থান খুব খুব পেছনে, খুঁজে পাওয়া যায় না। খুব লজ্জার একটা ব্যাপার।

এসব নিয়ে লিখতে গেলে অনেক লেখা যায়।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০২

উম্মে সায়মা বলেছেন: দেশের এ অবস্থার কথা ভাবলে সত্যি হতাশ হয়ে যাই। জানিনা আসলেই এ থেকে উত্তরণ হবে নাকি কখনো! মনে প্রাণে চাই পরিবর্তন আসুক। তবে সরকারপক্ষ থেকে সচেষ্ট না হলে মনে হয়না তেমন কিছু সম্ভব। আর আমাদের সামাজি পরিবেশটাই শিক্ষা এবং শিক্ষকদের অনুকূলে নেই।
ভালো লাগলো আপনার লেখাটি।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

রাতুল_শাহ বলেছেন: সরকার পক্ষ সচেষ্ট হলে ভালো, কিন্তু মানুষেরও তো সচেষ্ট হতে হবে।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৪

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: অনেক দিন পর ফিরলেন, কেমন আছেন?

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: জ্বি ভাই, অনেকদিন পর ফিরলাম।
আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।

আপনি কেমন আছেন? দিনগুলি কেমন কাটছে?

১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। উন্নত চিন্তা প্রয়োজন, তার জন্য প্রয়োজন চিন্তার উন্নয়ন।
গভীর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ব্যাপারে বলি। কোনরকমে পিএইচডি শেষ করে দেশে ফিরতে পারলেই তারা বাঁচেন। কারণ দেশে তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে সম্মান, স্বচ্ছ্বলতা আর নিশ্চয়তার জীবন। দেশে ফেরার পর তারা আর গবেষণায় আগ্রহী থাকেন না, এমনকি ছাত্র পড়ানোয়ও তাদের আগ্রহ থাকে না। তাদের সব চিন্তা তখন কেন্দ্রীভূত হয় কন্সাল্টেন্সী আর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে।

ছোটকালে টিভিতে দেখতাম হাঁসমুরগির খামার, মাছ চাষ, ফল-ফুলের চাষ ইত্যাদির জন্য বেকার যুবকদের আগ্রহী করার জন্য প্রচারণা চলত।মানে কর্মমুখী শিক্ষায় আগ্রহী করার একটা চেষ্টা চলত। এখন সবাই কেতাবী বিদ্যায় আগ্রহী। জমি বেঁচে হলেও ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী এনে দিতে হবে। সেই ডিগ্রী তার কোন কাজে লাগুক আর নাই লাগুক।

সমস্যাটা সিম্পল। ছাত্রদের বা তাদের অভিভাবকদের ভবিষ্যত নিয়ে কোন পরিকল্পনা বা ধারণা-কোনটাই নাই। ফলে পাশ করার পর একটা নিশ্চিত জীবনের খোজে সবাই বিসিএস এর পেছনে দৌড়াচ্ছে।

এই অবস্থা বেশিদিন থাকবে না। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ছাত্রদের বিসিএস মোহ ভাঙবে-আশা করি।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: অামাদের শিক্ষকরা প্রায় ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লিখেন, উনারা দেশে গবষণার সুযোগ পাচ্ছেন না। উনারা দেশে নিজেদের বিকেশিত করতে পারছেন না। এটাও চিন্তার বিষয়

নতুন পিএইচডি ধারীরা খুব বিপদজনক শিক্ষক। তারা আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা থেকে এসে নতুন একটা ডিপার্টমেন্ট খুলে বসে। যার জব মার্কেটে কোন স্থান নেই।
যার জলন্ত উদাহরণ রুয়েটের ETE Department. শিক্ষক নেই, মাত্র চারজন, সবাই কচি কচি স্যার, প্রধান হচ্ছেন অন্য ডিপার্টমেন্টের। এখন ভাবেন এই ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ কি হবে?

জব মার্কেট এদের চিনে না।

আমি নিজে বিটিসিএলে গিয়েছিলাম, ডিরেক্টর স্যারকে বললাম স্যার ETE নামের একটা ডিপার্টমেন্ট আছে। তারা শুনে অবাক।

পিএইচডি ধারী স্যার ইচ্ছে করলে সিএসই, ইইই কে আলাদা সাবজেক্ট হিসেবে পড়াতে পারতেন, বা নতুন বই লিখতে পারতেন। উনারা ঐসব না করে নতুন নতুন ডিপার্টমেন্ট খুলেন।

এদের প্রাইভেট জবও কম, থাকলেও ১০-১২ হাজার টাকা বেতন।
এরা বিসিএস দিবে না তো কি দিবে?

মাঝে মধ্যে ক্ষোভে মনে হয় সবকিছু ভাঙচুর করে ফেলি। এত অবহেলা কেন?

আমি বলছি না যে আমাদের শিক্ষার্থীদের দোষ নেই, তা না, কিন্তু এদের দোষের চেয়ে উনাদের অবহেলা বেশি ক্ষতি করছে।

বিসিএস মোহটা সহজে কাটবে না। দেশে পেশাগত বৈষম্য আছে।

১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫০

কালীদাস বলেছেন: আমি তুমি আমরা দামি কয়েকটা জিনিষ টেনেছেন। কর্মমূখী শিক্ষা। জিনিষটাতে অনেক জোর বাড়ানো উচিত। উচ্চশিক্ষা হয়ে গেছে এখন প্রায় পুরাই সামাজিক চাহিদা। এত এত গ্রাজুয়েট এই ছোত গরীব দেশে কি করবে? কিছু লোককে দেখি সারা দুনিয়া গরম করে বেড়ায় ১০০ ভাগ গ্রাজুয়েটের জন্য। সবাই ম্যানেজারিয়াল পোস্টে গেলে, রিসার্চে গেলে ফিল্ডলেভেলে কাজ করবে কে? মৃত্যহার অনেক কমেছে, সামনে এজিং এর সমস্যা অপেক্ষা করছে খুবই কাছে। তখন কি হবে??

@আমি তুমি আমরা: আপনার সব পয়েন্টে আমি একমত না। এখনও টিচারদের ক্ষুদ্র অংশই বাইরে পড়তে যায়। ব্লগার আখেনাটেনের পোস্টগুলো দেখতে পারেন, উনি আমাদের ইউনিগুলোর শিক্ষক নিয়োগ নীতি নিয়ে প্রায়ই বেশ চিন্তাশীল পোস্ট করেন। কন্সালটেন্সি করার মত এবিলিটি খুব কম টিচারেরই আছে, নোংরামির জয়েনিং/প্রোমোশন রুলসের কারণে যোগ্য টিচার নিয়োগ অনেক কমে গেছে। আজকে দেশের এক পুরাই পলিটিকাল পাবলিক ইউনির খুবই এনালাইটিকাল এক ডিপার্টমেন্টের এক টিচারের প্রোফাইলে পাবলিকেশন দেখলাম: ডিজিটাল বাংলাদেশ; স্বপ্ন যেখানে সত্য শিরোনামে। বুলশিট। এ যেন সিএসইর টিচারের কবিতে লেখে প্রমোশন পাওয়া। আর বিসিএস মোহ কাটছে না, বরং বাড়ছে প্রতিদিন :(

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: কর্মমুখী শিক্ষার ব্যাপারে আমি অনেক আগে বলেছিলাম।
আমাদের দেশে ভালো প্রশিক্ষিত টেকনিক্যাল নলেজসম্পন্ন মানুষ কম। আমরা বছরে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা চাইনিজ টেকনিশিয়ান দের দিচ্ছি।
ভারতীয়, পাকিস্তানিদের মাসে মাসে দশ লাখের বেতন দিচ্ছি ইংরেজীর স্বল্পতা, আর কমিউনিকেশনের দুর্বলতার কারণে।

এরশাদ সাহেব ডিপ্লোমা আর বিএসসি এক করে দিয়েছিলেন, সেটার দ্বন্দ্ব এখনও চলছে। পেশাগত সম্মানের স্ট্যাটাস সুনির্ধারিত নয়।
ক্লাশের ফার্স্ট বয় অথবা স্যার চামচা, অথবা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি হচ্ছেন শিক্ষক।
ক্লাশ থার্ড ফরথ স্থান ধারীরা শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পায় না।
শালার ফার্স্ট বয় তো পড়ার বাইরে কিছু বুঝে না, সারাজীবন গোল্ড মেডেল আর সিজিপিএর পেছনে দৌঁড়ায়ছে। টিচার হওয়ার পর জিআরই আর প্রফেসরদের পেছনে দৌঁড়ায়ছে। আবার এদের হাতে সদ্যজাত ভর্তি হওয়া কচি কচি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের ১ম বছর। ১ম বছরে এসেই শিক্ষার্থীরা গালি দেওয়া শিখে যায়। গুরু নিন্দা নরকে বাস। নরক জীবন শুরু হয়। বাকি জীবন চলতেই থাকে। দেশও নরক হয়।
নামীদামী প্রফেসর ব্যস্ত আরেক প্রফেসরের পেছন কেমন সেটা দেখার জন্য। লাল নীল হলুদ। এদের পলিটিকস দেখলে ভাবি, দেশের রাজনীতিবিদরা ালের রাজনীতি করে।

বিসিএস মোহ কাটার কোন পথ দেখছি না। যতদিন থাকবে এ+ হাজারে হাজার, বিসিএস পরীক্ষার্থী হবে লাখে লাখ।

১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

শায়মা বলেছেন:
আমাদের উন্নতির জন্য গ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা প্রয়োজন। গ্রামে ভালোমানের ইংরেজি শিক্ষক, বিজ্ঞানের শিক্ষকের ব্যবস্থা করা দরকার।
এইচএসসি পাশ নারী শিক্ষিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে ইংরেজি, বিজ্ঞান শিক্ষা দিতে পারছে না। তাদের জন্য আরো শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন। প্রাথমিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করতে পারলে ভিতটা একটু শক্ত হবে।
হাই স্কুল পর্যায়ে, একটা ১ বছরের বা ৬ মাসের কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা নিলে মন্দ হবে না।
দেশে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার খুব অভাব।
আমার শিক্ষক খুব ভালো ডিজাইনার, কিন্তু তার কাছ থেকে সে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ খুবই কম।
সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে উন্নতমানের প্রশিক্ষণকেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র খোলা প্রয়োজন।



অতি অতি অতি প্রয়োজনীয় কথা রাতুলভাইয়া। উন্নত প্রশিক্ষন ছাড়া কিছুই হবে না।





২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: প্রশিক্ষণ + গবেষণা।

সরকারী + বেসরকারি উদ্যোগ থাকতে হবে।

আমাদের অনেকের খুব আগ্রহ এই কাজ শিখবো, ঐটা নিয়ে কাজ করতে চাই। এই আগ্রহটা যেন সুযোগের অভাবে মারা না যায়, সেটা দরকার।

ফেসবুকে, এমপি থ্রী বইগুলোতে, সিনেমা দেখে সময় আর মেধা নষ্ট অনেক হচ্ছে।

পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ :)

১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: পোস্ট পড়লাম। উন্নত চিন্তা- আপনার এই কনসেপ্টটা চিন্তার খোরাক যোগাল। উন্নত চিন্তার প্রথম শর্ত পূর্ণ আগ্রহ আর অভিনিবেশ নিয়ে সৎভাবে নিজের কাজ করে যাওয়া। উন্নত চিন্তাসম্পন্ন মানুষ উন্নত কাজ, করবে উন্নত দেশ গড়বে। আপনার সাথে আমিও আশান্বিত হলাম। শুভকামনা।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫২

রাতুল_শাহ বলেছেন: কয়েক দিন থেকে নিজের আর আশের পাশের মানুষের মধ্যে পার্থক্য করছিলাম। আমি আর আমার বন্ধুর মধ্যে পার্থক্য কি? যেটা পেলাম তার চিন্তা ভাবনা অনেক উন্নত। তাই তার সফলতার পরিমাণও বেশি।

কৃষক প্রচুর পরিশ্রম করেন, কিন্তু সে ভাবে উন্নতি করতে পারছে না, কারণ তার চিন্তার দূরত্ব ঘরে ফসল উঠা পর্যন্ত। তার চিন্তাকে যদি সাহস নিয়ে আরেকটু দূরে নিয়ে যেত, তবে কিছুটা হলেও লাভবান হতে পারতো।

১৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মুল্যবান লেখা । সরাসরি প্রিয়তে গেল ।
এ রকম একটি বিষয়ে লিখছি । দু এক দিনের
ভিতরে পোষ্ট দিব বলে ভাবছি । বাংলা টাইপে
দুর্বল, স্পিড কম, লেখা আগায় না ।
আপনার লেখাটিতে আবার সময় করে
আসব ফিরে ।

শুভেচ্ছা রইল

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনার কথায় অনুপ্রেরণা পেলাম। অনেক ধন্যবাদ।

আপনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করি শীঘ্রই পোস্টটি পড়তে পারবো।

১৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

জুন বলেছেন: রাতুল অনেকদিন পরে এসে অত্যন্ত মুল্যবান এবং গুরুত্বপুর্ন বিষয় নিয়ে লিখেছো । আমি পরে এসে তোমার লেখায় মন্তব্য করছি কেমন ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার অনুপ্রেরণামূলক দুটো কথার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

জুন বলেছেন: রাতুল আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার মত এত প্রকারের শিক্ষা ব্যাবস্থা আর কোন দেশে আছে কিনা সন্দেহ। বাংলা, ইংরাজী, ইংলিশ ভার্সন, মাদ্রাসা মক্তবে আরবী ইত্যকার পড়াশোনার পদ্ধতিতে আমাদের শিশুদের সাথে অভিভাবকরাই বিভ্রান্ত। শহর থেকে দেশের সর্ব পর্যায়ে একই রকম শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু থাকলে দেশ আজ যতটা উন্নতি করতো তা নেই বলে আজ এই লেজে গোবরে অবস্থা। না শিখছে ভালো বাংলা না ইংরাজী না বাড়ছে কোন জ্ঞ্যান। তাই যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা উন্নত তারা সব কিছু পরিত্যাগ করে শহরের খুপরী ঘরে এসে বসতি গেড়েছে শুধুমাত্র সন্তানদের শিক্ষা ও উন্নত জীবনের সোনার হরিন ধরার মোহে। তোমার বক্তব্যের সাথে একমত পোষন করে বলছি দেশের সর্বস্তরে এক রকম শিক্ষা ব্যাবস্থা ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদের মেধার ও বিকাশ ঘটুক যা তারা ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হোক।
+

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনি একটা বিষয় জানেন কিনা, শুধু আপনার পোস্ট নয়, বিভিন্ন পোস্টে আপনার করা মন্তব্য আমি মনযোগ দিয়ে পড়ি। কারণ আপনার মন্তব্য সবসময় বুদ্ধিদীপ্ত।
আপনার করা এক মন্তব্যে মাদ্রাসা সম্পর্কে আমার ধারণা পাল্টে যায়।

গ্রাম আর শহরে শিক্ষক বৈষম্য দূর করা দরকার। আমাদের সামনের বাড়ির একজন গ্রামে মুদির দোকান আছে, বউ ছেলে রাজশাহীতে থাকে, শুধু মাত্র পড়াশোনা করানোর জন্য। লোকটি গ্রামে মুদির দোকানদারী করেন।

প্রশিক্ষণ যে কি পরিমাণে দরকার, তা বলে বুঝানো যাবে না। পিএসসি জিএসসি এসব নিয়ে সরকার ব্যস্ত। সরকার মৌলিক ও মূল প্রয়োজন থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে।

উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান কমিয়ে, উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান খোলার উদ্যোগ নিতে হবে।

আপনার মূল্যবান মন্তব্যেরর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আপনার বয়সীরা ভাবছে, এটাই আশার কথা।
সবাই কচি কচি স্যার - কচি হলেও, জ্ঞান থাকলে তারাও অনেক অবদান রাখতে পারবে।
অনেক মন্তব্যে অনেক ভাল ভাল কথা উঠে এসেছে, যেমন এসেছে মূল লেখাতেও। সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন!
শিক্ষাকে অন্য সবকিছুর আগে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সবচেয়ে মেধাবী আমলাদেরকে পোস্টিং করতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা সংক্রান্ত উচ্চ প্রতিষ্ঠানগুলোতে, সবচেয়ে মেধাবীদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে, দেশের রাজনীতিবিদদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের রাজনীতির আওতা বহির্ভূত রাখতে একমত হতে হবে। শিক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ব্যয় বরাদ্দ বাড়াতে হবে, কারণ শিক্ষার জন্য ব্যয় প্রকৃত অর্থে বিনিয়োগ, ব্যয় নয়। মৌলিক গবেষণাকে উৎসাহিত করতে হবে, সফল গবেষকদেরকে স্বীকৃ্তি জানাতে হবে এবং সম্মানিত করতে হবে। একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকে এসব শুরু করতে হবে।

১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

জুন বলেছেন: রাতুল উন্নত চিন্তার কথা ভাবতে ভাবতে কোথায় হারিয়ে গেলে ভাইটি ? পুরনো মানুষরা যখন একে একে হারিয়ে যায় আশপাশ থেকে তখন অনেক কষ্ট হয় জানো তো ? মন্তব্য নয় কেমন আছো সেটাই জানাও একটি অক্ষরে :)

১৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: আপনার খবর কি?
এক বছর হতে চলল নতুন পোস্ট নেই!!!

চলে আসুন।

২০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০০

কালীদাস বলেছেন: অনেকদিন হয় লিখছেন না কিছু। সবকিছু ভাল তো?

২১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

জুন বলেছেন: রাতুল আমার লেখায় তোমার মন্তব্য দেখেছি। একটু সময় পেলেই তার উত্তর দেবো :) তুমি ভালো আছোতো?

২২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৫

রাকু হাসান বলেছেন:


মনের মতো একটি লেখা লিখেছেন । সাবুবাদ প্রথমেই । অবশ্যই আমার উন্নত চিন্তা করা উচিত । মনোজগতে যে গাছ লাগাবো সেই ফলই তো আমি ভোগ করবো । শিক্ষকদের কথা বলেছেন । সারাদেশেই এর বাস্তবতা অবলোকন করলে খুব হতাশ হয়ে যাই । স্কুল গুলোতে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী পাওয়াই যায় না । নিতে চাই না । শিক্ষকরা তাঁদের ভেতর বই ঢুকিয়ে দেয় যে এ বড় মহা কঠিন বিষয় । কি বিজ্ঞান বা গণিত কোনোটার অবস্থা ভালো নয় । সরকারের শিক্ষকদের বহুমুখী জ্ঞানের প্রাধ্যন্য দেওয়া উচিত । আর শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার আগে ,বইপড়ুয়াদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত । আমার মতে শিক্ষক মাত্রই বহুমুখী জ্ঞানের অধিকারী হওয়া উচিত । নির্দিষ্ট একটা বিষয়ের জ্ঞান যথেষ্ট নয় । আর বহুমুখী নির্দিষ্ট বিষয়েই তো অনেকের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই । ভালো লাগলো আপনার লেখা । সুন্দর লিখেছেন ভাই । শুভকামনা রেখে যাচ্ছি আপনার জন্য । ভালো থাকবেন সব সময় সেই কামনা করছি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.