![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য অনুসন্ধান পছন্দ করি, ব্যাক্তিস্বার্থ ক্ষুন্ন হলেও
হাদীস শাস্ত্র কি অনির্ভরযোগ্য ? কতটা নির্ভরযোগ্য ?
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
রাতুলবিডি২ বলেছেন: My First problem is that Bangla font not coming! Sometimes it happens . Anyway lets start .
I did not read your post earlier. Long ago I had an impression on you that you are " Quran Only " . ( By one or two post, or by some comments ) So I did not got any interest . But currently I see that you claim you are not "Quran Only " . But you have some thoughts close to the "Quran Only" ppl.
At first I like to understand your thoughts comprehensively, totally or mostly, ( whatever you say )
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০২
রাতুলবিডি২ বলেছেন: I am deobondi . I say it. Why ? because it is the easiest way to explain/express/ my thoughts/identity/ my liking/disliking my support/participation/ and all other things like that .
When I say myself Deobondi, it means :
1. I take Hadith as a reliable source of divine rules.
2. I like and support Shariah rulings.
3. I follow Mazhab.
4. I believe in Sufiism.
5. I support Tablig.
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২২
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আমার পরিচিতি কোন দরকারী কিছু না, তবে বলছিলাম মাত্র একটা শব্দ " দেওবন্দী " - এই দিয়ে এত কিছু বুঝান যায় । এতে কমিউনিকেশন স হজ- হয় । এক কথাতেই আপনি আমার চিন্তা এবং বিশ্বাস বুঝে নিতে পারবেন ।
একই ভাবে " শিয়া" বললে স হজেই বেশ কিছু জিনিস বুঝে নেওয়া যায় । আর যদি বলা হয় " শিয়া - ইসনে আশারিয়া" বা " শিয়া -ইসমালিয়া" স হজেই অনেক কিছু বুঝে নেওয়া যায়। যদি বলা হয় " কাদিয়ানী " তবে বুঝা যায় এরা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী - কে নবী মানে । একই ভাবে "জামাত - শিবির" পরিচয় দিলেও অনেক কিছু আপনি জেনে নিতে পারবেন । যেমন নবীদের নিষ্পাপ মনে না করা, ধর্মের উদ্দেশ্য শাসন ব্যবস্হা কায়েম করা ... এসব । বা রাজারবাগী বললে বুঝা যায় এরা নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র দেহ " নুরের তৈরী " মনে করে । ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী বা এই জাতীয় বেদাত পালন করে ইত্যাদি ...
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৬
রাতুলবিডি২ বলেছেন: Again Bangla font problem!
Anyway if you give some small word about you, that explain/express you your toughts, that is easy way to start quick .
If there is no short word about you like " Deobondi " " Berelovi" "Jamat" " Shia" or " Quadiani " or even " Quran Only " then also we can talk.
In that case you will need to write much to help me understand you .
৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন: When I understand your thoughts then it is easy for me to identify whats are wrong with your thoughts.
If I can find those then it will be very easy to debate point to point.
Thanks.
৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩০
রাতুলবিডি২ বলেছেন:
৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩২
রাতুলবিডি২ বলেছেন: My posts are not going to first page also, so I have no way to talk other than this post! Sorry for your inconvenience!
৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি ইংরেজীতেই লিখে যান, আমার কোন সমস্যা নেই। আপনি হাদীসকে নির্ভরযোগ্য সুত্র বলে বিশ্বাস করেন বলেই আমার সাথে তর্কে এসেছেন। আশা করি আপনি উপযুক্ত যুক্তি দিয়েই তর্ক করবেন। গ্রসলি আমি হাদীসের বিপক্ষেনা। তবে আজগুবী আর হাস্যকর হাদীস বিশ্বাস করারও কোন কারণ দেখিনা।
১-আমি কোরান বিশ্বাস করি।
২-যেকোন বিষয়ে কোরানে কিছু থাকলে সেটাকেই আগে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করি।
৩-কোরানের যে বিষয়গুলো হাদীস মডিফাই করে সেগুলো বিবেচনাযোগ্য তবে অন্ধ বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করি। বিবেচনা করতে হবে কোরানের আলোকে।
৪-যেসব বিষয় কোরানে নেই সেক্ষেত্রে হাদীস দেখতে হবে, তবে কোরান, কমন সেন্স এবং বর্তমান সামাজিক ও নৈতিক মানদন্ডের সাথে খুব বেশী ফারাক না থাকলেই শুধু হাদীসটি গ্রহণ করা যাবে, অন্যথায় হাদীস বাদ দিয়ে আইন ও নৈতিকতার আশ্রয়েই চলতে হবে বলে মনে করি।
৫-ইমাম বুখারী,মুসলিমের সত উদ্দেশ্য ছিল বলেই মনে করি, তবে তারা ভুলের উর্ধে ছিলেন না।
৬-ইসনাদের বদলে মাতন এর সাহায্যে সহিহ হাদীস যাচাইয়ে বিশ্বাসী।
৭-যতক্ষণ না কোরান ও নৈতিকতার বিপক্ষে যায় মাযহাব অনুসরনে আমার কোন আপত্তি নাই।
৮-আধ্যাত্মিক ও সুফি ধ্যান সাধনায় আমার পরিপূর্ণ বিশ্বাস আছে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
রাতুলবিডি২ বলেছেন: প্রথমেই দেখি যেসব বিষয়ে আপনার সাথে একমত :
১-আমি কোরান বিশ্বাস করি।
২-যেকোন বিষয়ে কোরানে কিছু থাকলে সেটাকেই আগে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করি।
- Every Muslim thinks like this. So there is no problem ! Both of us agree on this.
৩-কোরানের যে বিষয়গুলো হাদীস মডিফাই করে সেগুলো বিবেচনাযোগ্য তবে অন্ধ বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করি । বিবেচনা করতে হবে কোরানের আলোকে।
Hanafi school of Fiqh is also very much like that . Untill the Hadith is mutawatir, they do not change the Quran's saying. If contradicts with a "shahih" narration they try to find some explanation, to follow the both . If such thing is not possible they do not follow Hadith.
৪.....
এ বিষয়ে কঠিন বিতর্কের অবকাশ আছে, তাই পরে ...
৫-ইমাম বুখারী,মুসলিমের সত উদ্দেশ্য ছিল বলেই মনে করি, তবে তারা ভুলের উর্ধে ছিলেন না।
চমৎকার, আমরাও তো তাই বলি। দুনিয়ার কোন মুহাদ্দিস কি তাদেরকে ভুলের উর্ধে বলেছেন ? বুখরী শরীফ সম্পর্কে খুব বিখ্যাত উক্তি দিয়ে একটা উদাহরণ দেই : কিতাবুল্লাহর পর সবচেয়ে সহিহ কিতাব বুখারী । এই উক্তিটি এত প্রসিদ্ধ যে আপনিও আশা করি শুনে থাকবেন । হানাফী-শফেয়ী- সবাই এটা গ্রহণ করে ।
" কিতাবুল্লাহর পর সবচেয়ে সহিহ কিতাব বুখারী " একথার দারাই কি প্রমাণ হয় না আমরা বুখরী মুসলিমকে ভুলের উর্দধে মনে করি না ?
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
রাতুলবিডি২ বলেছেন:
৭-যতক্ষণ না কোরান ও " নৈতিকতার " বিপক্ষে যায় মাযহাব অনুসরনে আমার কোন আপত্তি নাই।
To me 7 is very close to 4.
৬-ইসনাদের বদলে মাতন এর সাহায্যে সহিহ হাদীস যাচাইয়ে বিশ্বাসী।
Please let me know if you do not rely on " Isnad - sanad" at all .
On 8 we can talk later, or may not need to talk.
১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: সনদ এর ব্যাপারে আমি আগ্রহী নই এটাই বলা যায়। সনদ এর যা কাজ করা দরকার তা তো ইমাম বুখারী করেই রেখেছেন। তাই এখন মাতন দিয়েই হাদীস যাচাই হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া, সনদ এর ব্যাপারে আপনাদের সাথে আমার আরও কিছু পার্থক্য আছে। যেমন আপনারা সহিহ সনদে না থাকলে কোন হাদীস মানবেননা, ঈদে মিলাদুন্নবী, মিলাদ ইত্যাদি নিয়ে রাজারবাগীদের সাথে তাই আপনাদের দন্দ্ব। আমি আপনাদের ২ পক্ষেরই উল্টো। আমার মতে খারাপ কিছু না হলে সনদহীন হাদীস মানলে অসুবিধার কি আছে? মিলাদ পড়ার মাঝে আমি কোন অসুবিধা দেখিনা সুবিধাও খুব একটা দেখিনা। তেমনি ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করলেও সুবিধা অসুবিধা দেখিনা, তাই যার পালন করতে ইচ্ছা করুক, বাধা দেয়ার কিছু নাই। নবী আমাদের মতই মানুষ কোরানে বলা আছে তাই নূরের নবী চিন্তা সমর্থন করিনা। আবার আহলে হাদীস গ্রুপ এখন বলে বেড়ায় যে সহিহ হাদীসে নাই তাই মেয়েদের আলাদা নিয়মে নামাজ পড়া জায়েজ না। এই ধারণা আমি ভুল মনে করি, এইক্ষেত্রে আমি হানাফি মাযহাবকে অস্বীকার করিনা। এভাবে ''জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যাও'' সুন্দর এই জাল হাদীসটিকে সহিহ বলে স্বীকার করে নিতেও আমার কোন আপত্তি নেই। এখানে হয়ত বলবেন যে নবী বলেন নাই এমন কথাকে হাদীস বলে চালানো গোনাহর কাজ, সেক্ষেত্রে আমি বলব ইমাম বুখারী সবচাইতে বড় গোনাহগার। কারণ তার গ্রন্থে নবী বলেন নাই এমন বহু কথাই তিনি নবীর নামে চালিয়েছেন, আবার তার বাতিল করা ৬ লক্ষ্য হাদীসের মাঝে অন্তত ১ টা সত্য হাদীস অবশ্যই ছিল যা তিনি গোপন করেছেন, দুই ভাবেই তিনি অপরাধী হয়ে যান।
ইমাম বুখারীর উদ্দেশ্য সত ছিল কথাটা দিয়ে আমার মনোভাব পরিষ্কার বুঝাতে পারিনাই, তাই আরেকটু ক্লিয়ার করে বলি। হাদীস জাল হবার অন্যতম একটা কারণ ছিল কিছু অতি উতসাহী ধার্মিক ব্যাক্তি, যাদের উদ্দেশ্য সত ছিল। তারা মানুষকে আরও বেশী করে ইসলামে আকৃষ্ট করার জন্য জাল হাদীস বানিয়েছেন। যখন তাদের জানানো হত যে নবীর নামে মিথ্যা বলা মহাপাপ তারা বলতেন যে তারা তো নবীর বিপক্ষে না বরং নবীর পক্ষেই মিথ্যা বলছেন। এখানে তারা নিজেদের মতামত অন্যের উপর জোড় করে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন যা মোটেই ন্যায় সঙ্গত নয়। ইমাম বুখারী যখন নবীর রওজা মোবারক, নবীর চুল মোবারক ও প্রতিটা হাদীস লিখার আগে ২ রাকাত নামাজ পড়া ইত্যাদি কৈফিয়ত দিয়েছেন তখন তিনিও একই মাপের অন্যায় করেছেন।
সে যাই হোক আলোচনা ভিন্ন দিকে চলে গিয়েছে। ৪ নম্বরে যতই বিতর্কের অবকাশ থাকুক আমি আশা করব আপনি মূল পয়েন্টে আগে আলোচনা করবেন। যেমন হাদীস নিয়ে আপনার আর আমার ধারণার পার্থক্যটা কিভাবে কেন হল? আমার পয়েন্ট এটাই যে সনদ সহিহ হবার পরেও বুখারীতে প্রচুর ভুল হাদীস আছে, ঢুকেছে। তাই সনদই সহিত্বের শেষ কথা নয়। মাতন অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। এখানেই আপনার সাথে আমার মতপার্থক্য। আপনি এবার যুক্তি দিয়ে আপনার মতামত প্রতিষ্ঠা করুন বা আমার যুক্তি খন্ডন করুন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আমার বিশ্বাসে ( আক্কীদা ) ধর্মের মৌলিক ভিত্তি কোরাণ শরীফ এবং এর পাশাপাশি রসুলের কথা-কাজ - সমর্থন ।
এগুলোর পাশাপাশি ইজমা -কিয়াসের প্রয়োজনও আছে, তবে তা প্রথম দুটি থেকে প্রমান করা যায় । আপাতত এ দুটি বাদ দিয়ে উপরের দুটির বিষয়ে বলুন, আপনার আক্কীদা কেমন ?
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: তিনিদিন পর আপনি এখনো আমার বিশ্বাস/আক্কীদা জানতে ছাইছেন! বিষয়টি বিরক্তির নয় সময়ের। আপনার যা জানার তার সবকিছুই আমি ইতিমধ্যে বলেছি। আপনার আরও কোন প্রশ্ন থাকলে দয়া করে একটি মন্তব্যেই তা জিজ্ঞেস করে ফেলুন। এখন যে প্রশ্ন করেছেন তার উত্তর আগেই দেয়া হয়েছে, বারবার কেন জিজ্ঞেস করছেন? আমি বলেছিলামঃ
১-আমি কোরান বিশ্বাস করি।
৩-কোরানের যে বিষয়গুলো হাদীস মডিফাই করে সেগুলো বিবেচনাযোগ্য তবে অন্ধ বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করি।
৪-যেসব বিষয় কোরানে নেই সেক্ষেত্রে হাদীস দেখতে হবে, তবে কোরান, কমন সেন্স এবং বর্তমান সামাজিক ও নৈতিক মানদন্ডের সাথে খুব বেশী ফারাক না থাকলেই শুধু হাদীসটি গ্রহণ করা যাবে।
অর্থাত, রাসূলের কথা, কাজ আমি সমর্থন করি। হাদীসের মাঝে রাসূলের কথা কাজ থাকার সম্ভাবনা আছে তাই সেগুলো বিবেচনা করি। তবে তথাকথিত হাদীসই যে রাসূলের কথা তার কোন নিশ্চয়তা নাই। তাই কোরানের আলোকেই হাদীস যাচাই করে বুঝতে হবে এটা রাসূলের কথা কিনা।
আপনার উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আপনি আগে ৪ নম্বরে বিতর্ক করতে চাচ্ছেন। অর্থাত মূল পয়েন্টে আমার প্রশ্নের জবাব দেয়া সংক্রান্ত অনুরোধ আপনি রাখতে চাইছেন না, কেননা সেক্ষেত্রে দেয়ার মত কোন যুক্তি, প্রমাণ আপনার কাছে নেই। তথাস্তু, এটাকে আপনার একটা ব্যর্থতা বলেই ধরে নিলাম। এবার আপনার যেভাবে খুশি আপনি যুক্তি দেখান। আপনি যেভাবেই শুরু করুন আমার যুক্তির কোন অভাব হবেনা। আমি মূল পয়েন্টে আলোচনা করে শুধু একটু সময় বাচাতে চেয়েছিলাম।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আমার বিশ্বাসে ( আক্কীদা ) ধর্মের মৌলিক ভিত্তি কোরাণ শরীফ এবং এর পাশাপাশি রসুলের কথা-কাজ - সমর্থন ।
উপরের দুটির বিষয়ে বলুন, আপনার আক্কীদা কেমন ?
এর উত্তর যদি আগেই বলে থাকেন, তাহলে বলতে হবে আমি ঠিক বুঝতে পারিনি, সেটা আমার নির্বুদ্ধিতা । আপাতত আমার নির্বুদ্ধিতার বিষয়টা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে দয়া করে উত্তর দিয়ে দিন, উপকৃত হব।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন: অর্থাত মূল পয়েন্টে আমার প্রশ্নের জবাব দেয়া সংক্রান্ত অনুরোধ আপনি রাখতে চাইছেন না, কেননা সেক্ষেত্রে দেয়ার মত কোন যুক্তি, প্রমাণ আপনার কাছে নেই। তথাস্তু, এটাকে আপনার একটা ব্যর্থতা বলেই ধরে নিলাম।
আমি এমনিতেই ব্যর্থ । কাজেই আপনি যা খুশী ধরতে পারেন, কোন বাধা দিব না।
১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: প্রথমে কপি পেস্ট করলামঃ রাসূলের কথা, কাজ আমি সমর্থন করি। হাদীসের মাঝে রাসূলের কথা কাজ থাকার সম্ভাবনা আছে তাই সেগুলো বিবেচনা করি।
আপনি যেহেতু বুঝতে পারছেন না তাই আরও পরিষ্কার করে বলি।
আমার আক্কীদা হচ্ছেঃ
১) কোরান বিশ্বাস করি।
২) যখন নিশ্চিত ভাবে বুঝি কোন একটা কথা নবীর কথা, কাজ ছিল সেটা বিশ্বাস ও সমর্থন করি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
রাতুলবিডি২ বলেছেন: যখন নিশ্চিত ভাবে বুঝি ...
আপনার নিশ্চত হবার উপায়টা বলবেন কি ?
আর কি কি বিষয়ে আপনি নিশ্চিত সেটা বলবেন কি ?
যেমন পাথর মেরে হত্যা ইত্যাদী ।
আর আপনার বিবেচনায় নিশ্চত হতে না পারলে নবীকে অনুসরণ করা আরনার ধর্মে জরূরী কিছু না, তাই ?
আপনার এই ফর্মূলা কি শুধু বর্তমান যুগের জন্য, না নবীর যুগের জন্যও ? নবীর যুগে এবং নবীর সামনে হাজির তাদের জন্য? নাকি একই যুগের কিন্তু সামনে উপস্হিত নায় তাদের জন্য ?
মুসলমানদের ধর্মীয় বিধান কি নবীর সামনে থাকলে একরকম আর দূরে থাকলে অন্য রকম?
১৪০০ বছর পর কি নবীর কথা ও কাজ অনুসরণ করা সম্ভব ?
কোন একটা বিষয়ে আপনি নিশ্চত হতে পারেন নি, কিন্তু কোটি কোটি লোক নিশ্চত হয়ে গেছে তখন কি করবেন ?
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: প্রশ্নঃ আপনার নিশ্চত হবার উপায়টা বলবেন কি ?
উত্তরঃ আমার নিশ্চিত হবার উপায় কোরান। আল্লাহই বলেছেন কোরানের আদর্শের বাইরে নবী কিছু করেননি। তাই কোরান এর আলোকে কথিত হাদীস যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে।
পাল্টা প্রশ্নঃ ঠিক একই ব্যাপারে আপনার অবস্থানটা ব্যাখ্যা করবেন কি? আপনার নিশ্চিত হবার উপায়টা তো একেবারেই যুক্তিহীণ। যেই সনদ দিয়ে নিশ্চিত হন তেমন বহু সহিহ হাদীসই যে ভুল তা দুনিয়ার সকল আলেম কর্তৃক স্বীকৃত। আধুনিক ফিল্টারিং পদ্ধতির কারণে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়, কিন্তু ফিল্টারিং এর পরে প্রাপ্ত পানিতে যদি দূষণ খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে কি সেই ফিল্টারিংকে শতভাগ নিশ্চিৎ বলা যাবে? তেমনি সহিহ সনদ হলেই হাদীসের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে, এমন দাবী করাটা হাস্যকর নয়কি?
প্রশ্নঃ আর কি কি বিষয়ে আপনি নিশ্চিত সেটা বলবেন কি ?
যেমন পাথর মেরে হত্যা ইত্যাদী ।
উত্তরঃ কোরানের আলোকে অনেক হাদীসের ব্যাপারেই নিশ্চিৎ হওয়া যায়। সেটা লম্বা লিস্ট। এই পোস্টে সেই লিস্ট চাওয়ার কোন কারণ নেই, আর সেটা এই পোস্টে দেয়া সম্ভবও নয়। আলাদা ধারাবাহিক পোস্ট দেয়া লাগবে। আর পাথর ছুঁড়ে হত্যার মত কিছু উদ্ভট হাদীসের ব্যাপারে নিশ্চিৎ যে সেগুলো মিথ্যা, তেমন হাদীসের উদাহরণ আমার ব্লগে গেলেই বেশ কিছু পোস্টে পাবেন, সামনে আরও দিব।
প্রশ্নঃ আর আপনার বিবেচনায় নিশ্চত হতে না পারলে নবীকে অনুসরণ করা আরনার ধর্মে জরূরী কিছু না, তাই ?
উত্তরঃ জ্বী তাই, এবং এটাই স্বাভাবিক নয় কি? আমি যখন নিশ্চিতই না যে এটা নবীর কথা কিনা, সেই কথাটা উদ্ভট কথা হলে তা মান্য করাটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ নয় কি? সুন্দর কথা হলে মান্য করাটা জরুরী।
পাল্টা প্রশ্নঃ হাদীসের ব্যাপারে আপনিও নিশ্চয়তার প্রমাণ দিতে পারবেননা। যখন আপনি জানেন যে এটা নবীর কথা নাও হতে পারে তখন একটা উদ্ভট কথা মান্য করা আপনার দৃষ্টিতে ধর্মে এতই গুরুত্বপূর্ণ? আপনাকে যখন দেখিয়ে দেয়া হবে যে ফিল্টারিং এ পানি সম্পূর্ণ শুদ্ধ হচ্ছেনা, তবু কি আপনি নিশ্চিত বিশ্বাসে ফিল্টারের পানি পান করাটা যুক্তিসঙ্গত মনে করবেন?
প্রশ্নঃ আপনার এই ফর্মূলা কি শুধু বর্তমান যুগের জন্য, না নবীর যুগের জন্যও ? নবীর যুগে এবং নবীর সামনে হাজির তাদের জন্য? নাকি একই যুগের কিন্তু সামনে উপস্হিত নায় তাদের জন্য ?
উত্তরঃ যুক্তি বুদ্ধির ব্যাবহার করা আমার ফর্মুলা নয়, কোরানের নির্দেশ। এটাকে দয়া করে আমার ফর্মুলা বলবেননা, আমি নতুন কিছু আবিষ্কার বা প্রচার করিনা, শুধু যুক্তি ব্যাবহার করে ভুলত্রুটি বের করতে বলি। নবীর যুগে তো নবীই ছিলেন। কেউ ভুল করলে তিনিই শুধরে দিতেন। এখন তো তিনি নেই। তাই এছাড়া আর কোন উপায় আছে কি? হাদীস সংকলণের সময় কি ইমাম বুখারীর পিছনে নবী দাঁড়িয়ে ছিলেন আর ভুল শুধরে দিচ্ছিলেন? কোরান সংরক্ষণের ওয়াদা আল্লাহ দিয়েছিলেন, তাই সেখানে ত্রুটি নেই। হাদীস সংরক্ষণের ওয়াদা আল্লাহ দিয়ে থাকলে সেখানে জীবনেও ত্রুটি পাওয়া যেতনা,। কিন্তু ত্রুটি যখন পাওয়া গিয়েছে তাই হাদীসের ক্ষেত্রে আল্লাহ বিষেষ কিছু করেননি সেটা বুঝাই যায়।
su]পাল্টা প্রশ্নঃ শরীয়া আইন কি নবীর আমলে আর আজ একই? সমাজে পরিবর্তনের কারণে নতুন কিছু কি বর্তমান শরীয়তে আসেনি? তাহলে ইজমা কিয়াসের জন্ম হল কেন? ছবি তোলার ব্যাপারে কি মত আপনার? সূর্য দেখে নামাজ পড়ার বদলে ঘড়ি দেখে নামাজ পড়েন কেন? নরওয়ে সুইডেনের উত্তর দিকে নামাজ রোজার বিধান শরীয়া আইনে নবীর আমলে কেমন ছিল? মাহাকাশচারীদের বেলায় সেটা কেমন হবে?
প্রশ্নঃ মুসলমানদের ধর্মীয় বিধান কি নবীর সামনে থাকলে একরকম আর দূরে থাকলে অন্য রকম?
উত্তরঃ মুসলিমদের ধর্মীয় বিধান হচ্ছে কোরান। নবীর সামনে আর দূরে আমি কি কোরান এর ব্যাপারে কিছু বলেছি?
su]পাল্টা প্রশ্নঃ আপনি তো জামাতে ২০ রাকাত তারাবীর পক্ষে। এখন বলুন, তারাবীর জামাতের নামাজ নবীর সামনে এক বিধান আর দূরে অন্য বিধান? ছবি তুলার ব্যাপারে কিছুদিন আগেও ইসলামী বিধান অন্যরকম ছিল এখন পরিবর্তীত হল কেন? নবীর সামনে হাদীসের কিতাব লিখার বিধান ছিলনা, এখন নবী নাই তাই হাদীসের কিতাব লিখার বিধান কিভাবে আসল? মুতা বিবাহের বিধান কি নবীর সামনে একরকম আর দূরে অন্য রকম?
প্রশ্নঃ ১৪০০ বছর পর কি নবীর কথা ও কাজ অনুসরণ করা সম্ভব ?
উত্তরঃ আপনারা কি অনুসরণ করছেন না? আমি তো হাদীস অনুসরণ করিই। শুধু বলি যে সনদে সহিহ হলেই হাদীস সহিহ হয়ে যায়না।
su]পাল্টা প্রশ্নঃ ১৪০০ বছর পর কি কোরান অনুসরণ করা অসম্ভব হচ্ছে?
প্রশ্নঃ কোন একটা বিষয়ে আপনি নিশ্চত হতে পারেন নি, কিন্তু কোটি কোটি লোক নিশ্চত হয়ে গেছে তখন কি করবেন ?
উত্তরঃ খুব সহজ, কোটি কোটি লোক দেখেই কাউকে অন্ধ বিশ্বাস করবনা, আল্লাহই অন্ধ বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন। কোরানকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে সবকিছু যাচাই করব।
su]পাল্টা প্রশ্নঃ দুনিয়ায় যত মুসলিম আছে তার চাইতে কোটি কোটি বেশি লোক নিশ্চিত যে ইসলাম ধর্ম সত্য নয়, আপনি তখন কি করেন? কোটি কোটি লোক খ্রীস্টান ধর্মের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন তখন আপনি কি করেন? কোটি কোটি শিয়া, কাদিয়ানী, ওহাবী, জামাতী তাদের নিজস্ব বিশ্বাসে নিশ্চিত, তখন আপনি কি করেন? লক্ষ লক্ষ রাজারবাগী ঈদে মিলাদুন্নবীর ব্যাপারে নিশ্চিত, আপনি কি করেন?
পরের মন্তব্যে আপনি কি আবারো আমার উত্তরগুলোর ব্যাপারে মন্তব্য আর তার বেসিসে প্রশ্ন করেই যাবেন? নাকি আমার পাল্টা প্রশ্নগুলোর জবাব দেয়ার চেষ্টা করবেন?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
রাতুলবিডি২ বলেছেন: ১। আপনার নিশ্চত হবার উপায়টা বলবেন কি ?
এই প্রশ্নটা ছিল নি:শর্ত, খোলা প্রশ্ন। যেমন : কেউ বলল আমেরিকা একট দেশ আছে, এটা কি আমি কোরাণে খুজবেন ? বা কেউ বলল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ লোক প্রণ হারায়, আপনি এটাকে গ্রহণ করবেন ? না কোরাণে খুজবেন ?
আমার প্রশনটা আবার করছি, একটা খবর নিশ্চত হবার জন্য আপনার উপায় কি ?
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
রাতুলবিডি২ বলেছেন: পাল্টা প্রশ্ন বিষয়ে আমার বক্তব্য:
ঠিক একই ব্যাপারে আপনার অবস্থানটা ব্যাখ্যা করবেন কি?
আপনি এই প্রশ্ন করে আমাকে উত্তর দেবার সুযোগ দিলেন কই ? আগেই তো বলে দিলেন :
আপনার নিশ্চিত হবার উপায়টা তো একেবারেই যুক্তিহীণ। যেই সনদ দিয়ে নিশ্চিত হন তেমন বহু সহিহ হাদীসই যে ভুল তা দুনিয়ার সকল আলেম কর্তৃক স্বীকৃত। আধুনিক ফিল্টারিং পদ্ধতির কারণে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়, কিন্তু ফিল্টারিং এর পরে প্রাপ্ত পানিতে যদি দূষণ খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে কি সেই ফিল্টারিংকে শতভাগ নিশ্চিৎ বলা যাবে? তেমনি সহিহ সনদ হলেই হাদীসের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে, এমন দাবী করাটা হাস্যকর নয়কি?
আমি কনফিউস্ড । আপনি কি আমাকে প্রশ্ন করে উত্তর দেবার সুজোগ দিতে চান ? না কিছু কথা আমার উপর চালিয়ে দিতে চান ? আর আপনি যদি আমার বিষয়ে জেনেই থাকেন, তবে অনুগ্রহ করে বলুন দেখি আমি কিভাবে এখটা বিষয়ে নিশ্চত হই ?
এর উত্তরটা দরকার আমি জেনে বলেন না "না জেনে" বলেন সেটা প্রমাণের জন্য ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আর জবাব : জবাব টা এই মুহুর্তে দিচ্ছিনা, যেহেতু আপনি আমার বিষয়ে বেশ বড়সড় মন্তব্য করে ফেলেছেন। তবে অবশ্যই দেব, ইনশা -আল্লাহ ।
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: এই প্রশ্নটা ছিল নি:শর্ত, খোলা প্রশ্ন। যেমন : কেউ বলল আমেরিকা একট দেশ আছে, এটা কি আমি কোরাণে খুজবেন ? বা কেউ বলল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ লোক প্রণ হারায়, আপনি এটাকে গ্রহণ করবেন ? না কোরাণে খুজবেন ?
আমার প্রশনটা আবার করছি, একটা খবর নিশ্চত হবার জন্য আপনার উপায় কি ?
আমি যদি আপনাকে বাংলা বিষয়ে প্রশ্ন করি আপনি কি উত্তরটা অংক বইতে খুঁজবেন? যদি না খুঁজেন তাহলে আমাকে কিভাবে জিজ্ঞেস করেন যে আমি মুক্তিযুদ্ধের বিষয় কোরানে খুঁজতে যাব? নামাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে আপনি কি বিজ্ঞান বই খুলেন?
আপনি আমাকে আমেরিকা সম্পর্কে কোন বিষয়ে নিশ্চিত হতে বললে আমি অবশ্যই আমেরিকার সংশ্লিষ্ট সোর্স এর সাহায্য নিয়ে সেটা নিশ্চিত হতে চেষ্টা করব। হাদীসের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে বললে কোরানের চাইতে বেশী সংশ্লীষ্ট সোর্স দেখাতে পারবেন কি? অতএব আমার উত্তরটা আগেই দেয়া হয়েছে, তখন বুঝেননি, আবার দিলাম, এবার আশা করি বুঝবেনঃ
আমার নিশ্চিত হবার উপায় কোরান। আল্লাহই বলেছেন কোরানের আদর্শের বাইরে নবী কিছু করেননি। তাই কোরান এর আলোকে কথিত হাদীস যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে।
আমি কনফিউস্ড । আপনি কি আমাকে প্রশ্ন করে উত্তর দেবার সুজোগ দিতে চান ? না কিছু কথা আমার উপর চালিয়ে দিতে চান ? আর আপনি যদি আমার বিষয়ে জেনেই থাকেন, তবে অনুগ্রহ করে বলুন দেখি আমি কিভাবে এখটা বিষয়ে নিশ্চত হই ?
যারা বুখারী হাদীসের শতভাগ সত্যতার পক্ষে কথা বলে তাদের ৯৯% ই সনদ এর যুক্তিতেই বলে। আপনি সেই ৯৯% এর মাঝে না হয়ে থাকলে আমি দুঃখিত। আমি আপনাকে কোন নিঃশর্ত প্রশ্ন করিনি। আলোচনা হচ্ছে হাদীস নিয়ে, তাই মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে কিভাবে আপনি নিশ্চিত হবেন সেটা বলার দরকার নেই। আপনি বরং হাদীসের ব্যাপারে কিভাবে নিশ্চিত হন সেটাই বলেন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৬
রাতুলবিডি২ বলেছেন: জনাব, আবারও হ্য়ত বুঝাতে বা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি । যাই হোক আবার চেষ্টা করি :
" একটা খবর সত্য " - এটা আপনি নিশ্চত হন কি ভাবে ?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৮
রাতুলবিডি২ বলেছেন: সংশ্লিষ্ট সোর্স এ - যা পাবেন সেটাও তো খবর, জানতে চাইছিলাম আপনি নিশ্চত কিভাবে হন খবরটা ঠিক না ভুল।
১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১১
রাতুলবিডি২ বলেছেন: বুখারী হাদীসের শতভাগ সত্যতার পক্ষে কথা বলে
মন্তব্য ৯ এর জবাবে লিখেছিলাম :
৫-ইমাম বুখারী,মুসলিমের সত উদ্দেশ্য ছিল বলেই মনে করি, তবে তারা ভুলের উর্ধে ছিলেন না।
চমৎকার, আমরাও তো তাই বলি। দুনিয়ার কোন মুহাদ্দিস কি তাদেরকে ভুলের উর্ধে বলেছেন ? বুখরী শরীফ সম্পর্কে খুব বিখ্যাত উক্তি দিয়ে একটা উদাহরণ দেই : কিতাবুল্লাহর পর সবচেয়ে সহিহ কিতাব বুখারী । এই উক্তিটি এত প্রসিদ্ধ যে আপনিও আশা করি শুনে থাকবেন । হানাফী-শফেয়ী- সবাই এটা গ্রহণ করে ।
" কিতাবুল্লাহর পর সবচেয়ে সহিহ কিতাব বুখারী " একথার দ্বারাই কি প্রমাণ হয় না আমরা বুখরী মুসলিমকে ভুলের উর্ধে মনে করি না ?
১৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: একটা খবর নিশ্চত হবার জন্য উপায় কি ??? মনে করুন এক ব্যক্তি নিম্নে বলা প্রি কনসেপ্ট অনুযায়ী এই প্রশ্নটা করেছেন।
প্রি-কনসেপ্টঃ একটা কথা নিশ্চিত করা কোননা কোন উপায়ে অবশ্যই সম্ভব, শুধু উপায়টা বের করা দরকার।
উপরের কনসেপ্টেঃ কথাটা নিশ্চিত করা সম্ভব নাও হতে পারে এমন ধারণার সুযোগ ওই ব্যক্তি রাখেন নি।
আগে সম্ভব আর অসম্ভবের মাঝে পার্থক্যটা বুঝতে হবে। আমাকে যদি কেউ বলে যে প্রেসিডেন্ট বুশ অমুক তারিখের ভাষণে কি বলেছিলেন, সেটা কিন্তু নিশ্চিত হওয়া সম্ভব (রেকর্ড আছে)। কিন্তু যদি কেউ বলে এক বছর আগে সকাল ১০ টায় বুশের মুখ থেকে ঠিক কোন কথাটা উচ্চারিত হয়েছিল? তাহলে এটা নিশ্চিত হওয়া এখন দুনিয়ার কারো পক্ষেই সম্ভব না (রেকর্ড নেই)। আপনারও উপরে বলা এই প্রি-কনসেপ্ট খানা আছে কিনা দয়া করে আমাকে জানাবেন।
এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া যাক। মনে করি ''করিম'' এই কথাটা বলেছে বলে লোকমুখে শুনা যাচ্ছে। ব্যাপারটা সত্য কিনা অর্থাৎ ''করিম'' আসলেই এই কথা বলেছে কিনা তা আমি নিশ্চিত হব কিভাবে?
১) যে ব্যক্তি কথাটা বলেছে তাকে অর্থাৎ ''করিম'' কে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা।
---তবে জিজ্ঞেস করার পর ''করিম'' কোন কারণে মিথ্যা কথা বলে অস্বীকারও করতে পারে, তাই ''করিম'' কে জিজ্ঞেস করেও ১০০% নিশ্চিত হবার উপায় নাই।
---শতভাগ নিশ্চিত হতে হলে করিম কথা বলার সময় সেটা রেকর্ড করা হয়েছিল কিনা সেটা দেখতে হবে। অথবা করিম নিজ হাতে লিখে সেটা সাইন করে দিয়েছিল কিনা সেটাও দেখা যেতে পারে।
২) অডিও, ভিডিও, দস্তখত কিছু না পেলে, আর সেইসাথে করিমকেও খুঁজে না পেলে সাক্ষীর শরণাপন্ন হতে হবে।
---তবে সাক্ষী কোন কারণে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে পারে, তাই এভাবেও ১০০% নিশ্চিত হবার উপায় নেই। আবার সাক্ষী হয়তো সত্য কথাই বলেছে কিন্তু শুনার সময় সে ভুল শুনে থাকতে পারে, তাই ১০০% নিশ্চয়তা সম্ভব নয়।
---সাক্ষীর সংখ্যা যদি কয়েকজন হয় সেই কয়েকজন মিলে প্ল্যান করে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে পারে (কেন সেটা আমাকে জিজ্ঞেস কইরেননা, আমি শুধু সম্ভাবনার কথা বলছি)।
---সাক্ষীর সংখ্যা শত শত বা হাজার হাজার (মুতাওয়াতির) হলে আবার অন্য সমস্যা, সেখানে ভুলের সংখ্যা বাড়বে। এক গ্রুপ বলবে আমরা শুনেছি এমন, অন্ন গ্রুপ বলবে যে না আমরা শুনেছি তেমন, আবার আরেক গ্রুপ বলবে যে না আমরা শুনেছি অমন। কোন গ্রুপেরটা সত্য বলে ধরে নেব? তাই ১০০% নিশ্চতয়ার উপায় নাই। তবে সকল গ্রুপ হুবুহু একই কথা বললে সেটা নিশ্চয়তার কাছাকাছি গিয়েছে বলে বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩) করিম মারা যাবার পর যদি জেনারেশনের পর জেনারশন দুইশ তিনশ বছর ধরে শুধু লোকমুখে কথাটা প্রচারিত হয়ে থাকে তাহলে সেটা নিশ্চিত করার সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি। কারণ লোকমুখে একদিনেই কথা খুব দ্রুত পাল্টে যায়, দুইশ বছর তো বহুদূর। মাত্র কিছু বছর আগের আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসই দেখুন না কত জনে কত রকম কথা বলে।
এখন, করিমকে বা তার কোন অডিও-ভিডিও অথবা শত শত, হাজার হাজার সাক্ষী না পাওয়া গেলে হাজার মাথা কুটে মরলেও করিমের কথাটা নিশ্চিৎ করার কোন উপায় নেই। ঠিক যেমন আপনি গত বছর এই সময়টায় কি কথা বলেছিলেন দুনিয়া ধ্বংস হয়ে গেলেও সেটা নিশ্চিত করার উপায় নেই। নিশ্চিত করা যদি জরুরী হয় তাহলে করিমের আচরণ বিশ্লেষণ করে নিশ্চয়তার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। করিম যে ধরনের লোক তার পক্ষে এই ধরনের কথা বলাটা সম্ভব কিনা তার আচরন থেকেই ক্লু পাওয়া যাবে। হাদীসের ব্যাপারে এটা করেই আমি এর সত্যতা নিশ্চিত হতে চেষ্টা করি (আগের উত্তর টা দেখুন)।
-------------------------------------------------------------------------------
আমি যদি উপরের পদ্ধতি এপ্লাই করে হাদীসের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে যাই তাহলে সেটা নিশ্চিত হওয়া মাথা কুটে মরে গেলেও সম্ভব না। এখানে বেশ কিছু সমস্যা আছেঃ
১) বিদায় হজ্বের ভাষণ শুনেছিল লক্ষ লক্ষ লোক। কিন্তু অল্প কয়েকজন মাত্র সেই ভাষনের কথা প্রচার করেছিল। সেখানেও দেখা যায় ভিন্নতা। হাদীস সূত্রে বিদায় হজ্বের ভাষনের তিনটি ভার্সন পাওয়া যায়। এর মাঝে ইমাম মালিকের মুয়াত্তা থেকে প্রাপ্ত ভাষনটাতে কোন সনদ নেই! মুতাওয়াতির হবার পরেও হাদীসটির এই অবস্থা!
২) বুখারী শরীফ লিপিবদ্ধ হয়েছিল নবীর মৃত্যুর প্রায় ৫/৬ জেনারেশন পর। প্রথম জেনারেশনে মূলত সাহাবাগণ হাদীস প্রচার করতেন। এরপর দ্বিতীয় জেনারেশনে কোন রাবী যদি মিথ্যা কথা বলেন যে ''আমি সাহাবী আবু হুরায়রা (রা) এর মুখে এই হাদীস শুনেছি'' যদিও আবু হুরায়রা সেই হাদীসটি বলেননি, তাহলে সেই মিথ্যা ধরার উপায় আছে কি? ৩য় বা ৪র্থ জেনারেশনের কথা নাইবা বললাম।
৩) যারা হাদীস জাল করার মত প্রতিভা দেখাতে পেরেছে তারা জাল করে নিখুঁত সনদ বানাতে পারবেনা কেন? এই যুগেও মোটামুটি বুদ্ধিমান কাউকে জিজ্ঞেস করলে সে নবাব সিরাজউদ্দৌলা থেকে আপনার পর্যন্ত জাল কিন্তু নিখুঁত চেইন অব নেরেটর প্রস্তুত করে দিতে সক্ষম।
৪) বুখারী/মুসলিম শরীফের বেশীরভাগ হাদীসেই ১ম, ২য় অথবা ৩য় এর মাঝে অন্তত একটি জেনারেশনে রাবীর সংখ্যা মাত্র একজন। প্রথম জেনারেশনে লক্ষ লক্ষ সাহাবার মাঝে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন সাহাবা হাদীস প্রচার করেছেন। আর কেউ হাদীস প্রচার করতেন না!
৫) ইমাম বুখারী শুধু তার নিজের জেনারেশনের রাবীর সততা, সত্যবাদীতা যাচাই করেছিলেন, কিন্তু তার পূর্বের জেনারেশনের রাবী যে ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন তার সততা অথবা তিনি আসলেই হাদীসটি বলেছিলেন কিনা সেটা যাচাই করা ইমাম বুখারীতো বটেই কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব না। আর তারও আগের জেনারেশনের রাবীর ব্যাপারে আর কি বলব?
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
রাতুলবিডি২ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । অনেক কষ্ট করে অনেক কথা বলেছেন । কিন্তু আমার অক্ষমতা আমি এখনও বুঝতে পারছি না, আপনি কিভাবে নিশ্চিত হবেন যে একটা খবর সঠিক কি না ?
১৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: দুনিয়ার কোন মুহাদ্দিস কি তাদেরকে ভুলের উর্ধে বলেছেন ?
ইমাম বুখারী, মুসলিমকে ভুলের উর্ধে মনে না করলেও তাদের সংকলিত হাদীসকে ভুলের উর্ধে মনে করা মুহাদ্দিস এর অভাব নেই। বাংলাদেশের প্রখ্যাত শায়খুল হাদীস মরহুম আজিজুল হক বলেছেন-
বিশ্ববাসীকে এরূপ চ্যালেঞ্জ প্রদান করা যাইতে পারে যে, হাদিছের প্রামাণিকতার মধ্যে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নাই। কোরান যেমন নির্ভূল হাদিছও তদ্রুপ নির্ভূল; ইহাতে কোনই সন্দেহ নাই। [দ্র: বোখারী, ১ম খন্ড, ১২ সংস্করণ, শায়খ আজিজুল হক; মুখবন্ধ অধ্যায়, পৃ. ১২]।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন: ভাল বলেছেন ।
" ইমাম বুখারী, মুসলিমকে ভুলের উর্ধে মনে না করলেও তাদের সংকলিত হাদীসকে ভুলের উর্ধে মনে করা মুহাদ্দিস এর অভাব নেই। "
শাস্ত্রীয় বিশ্লষণে কথাটা ঠিক এভাবে সঠিক বলা হয় না। এই শ্রাস্ত্রের গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে : " কিতাবুল্লাহর পর সবচেয়ে সহিহ কিতাব বুখারী "
- একথার দ্বারাই কি প্রমাণ হয় না আমরা বুখরী মুসলিমকে ভুলের উর্ধে মনে করি না ?
১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: একটা অনুরোধ করেছিলাম যার জবাব ১ টা মাত্র শব্দে দেয়া যায়। তবু উত্তর দিলেন না।
প্রশ্নটা- আপনারও উপরে বলা এই প্রি-কনসেপ্ট খানা আছে কিনা দয়া করে আমাকে জানাবেন।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন:
প্রি-কনসেপ্টঃ একটা কথা নিশ্চিত করা কোননা কোন উপায়ে অবশ্যই সম্ভব, শুধু উপায়টা বের করা দরকার।
------
আপনারও উপরে বলা এই প্রি-কনসেপ্ট খানা আছে কিনা দয়া করে আমাকে জানাবেন।
না আমার এরূপ প্রি কনসেপ্ট নেই । অনেক বিষয় আছে যেটা কোন দিন নিশ্চত হওয়া সম্ভব নয় ।
তবে ইসলাম এর বিষয়ে, কোরাণের বিষয়ে এটা বিশ্বাস করি করনীয় বর্জনীয় বিষয়, রসুলের আদর্শ, কোরাণের শিক্ষা, দিক নির্দেশনাএগুলো অস্পষ্ট না । স্পষ্ট । আপনি চেষ্টা করলে এটা পাবেন। পর্যাপ্ত তথ্য উপাত্ত সব যুগেই আপনি পাবেন ।নবীর আদেশ অনুসরণের উপায় সর্বদা থাকবে।
২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: কিন্তু আমার অক্ষমতা আমি এখনও বুঝতে পারছি না, আপনি কিভাবে নিশ্চিত হবেন যে একটা খবর সঠিক কি না ?
আপনি যখন আমার উত্তর বুঝতেই পারছেন না সেক্ষেত্রে আপনাকেই বলতে হবে ঠিক কোন পয়েন্টে আপনি বুঝতে পারছেন না।
আবার এমনও হতে পারে আপনি যে দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্নটা করেছেন সেটা আমি বুঝতে পারছিনা, তাই ২য় বারেই প্রশ্নটা একটু অন্যভাবে বা কোন উদাহরণ দিয়ে করতে পারতেন যাতে আমি সেভাবেই উত্তরটা দিতে পারি। আমি একটা উত্তর দিলাম কিন্তু সেটা আপনার মনপুত হলনা। এবার আপনি ৩য় বারেও সেই একই টোনে একই প্রশ্ন করেছেন? আপনি পারলে প্রশ্নটা আরেকটু ক্লিয়ার করুন, ঠিক কি জানতে চান? কারণ আপনার প্রশ্নের সহজ উত্তর আমি দিয়েছি এর বাইরে আর কোন দৃষ্টিকোন আমি পাচ্ছিনা যে অন্য রকম উত্তর দিব। উদাহরণ দেইঃ
খবরঃ মতিঝিলে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারী আহত।
এখন মনেকরি এই খবরটা আমি কারো মুখে শুনলাম। তা নিশ্চিত হব কিভাবে? আমি টিভি নিউজ শুনে নিশ্চিত হব অথবা খবরের কাগজ পড়ে নিশ্চিত হব। আগের উত্তরে আমি এটাই বলেছিলাম। এখানে না বুঝার কি আছে? সেটাই আগে বুঝিয়ে বলুন।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
রাতুলবিডি২ বলেছেন: কোন একটা খবর নিশ্চিত হবার জন্য আপনার কাছে কোন প্দ্ধতি আছে কি না, সেটাই জানতে চাইছিলাম।
যদি থকে থাকে, তাহলে বললে বাধিত হব।
২১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: একথার দ্বারাই কি প্রমাণ হয় না আমরা বুখরী মুসলিমকে ভুলের উর্ধে মনে করি না ?
খুবই ফাঁকির কথা। বেশ ভাল যে আপনারা বুখারী শরীফকে ভুলের উর্ধে মনে করেন না। কিন্তু অবাক হলেও সত্য যে কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক হবার পরেও পাথর মারার হাদীসকে ভুলের উর্ধেই মনে করেন!!!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন: বুখরী মুসলিমকে ভুলের উর্ধে মনে করি না।
পাথর মারার হাদীসকে ভুলের উর্ধেই মনে করি।
খুবই ফাঁকির কথা। , তাই, আমরা তো শুধু বুখরীর কথার উপর ভিত্তি করে এটা বলিনা !
২২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: কোন একটা খবর নিশ্চিত হবার জন্য আপনার কাছে কোন প্দ্ধতি আছে কি না, সেটাই জানতে চাইছিলাম।
যদি থকে থাকে, তাহলে বললে বাধিত হব।
পদ্ধতি একটা ইতিমধ্যেই ১,২,৩ নাম্বার দিয়ে বলেছি। সেটা আপনার কাছে পদ্ধতি মনে হয়নি। তাই আমার কাছে আর কোন পদ্ধতি নেই। এবার দয়া করে আপনিই বলে দিন যে কোন খবর নিশ্চিত হবার জন্য আপনার পদ্ধতিটি কি? জেনে উপকৃত হই। দ্রষ্টব্য: ইমাম বুখারীর হাদীস নিশ্চিত হবার পদ্ধতিটি আমার জানা আছে।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১০
রাতুলবিডি২ বলেছেন: Sir, I also do not have any personal method.
Do you know the method of muhaddisin ?
I follow and trust them.
২৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: বুখারী মুসলিমকে ভুলের উর্ধে মনে করি না।
আমরা তো শুধু বুখরীর কথার উপর ভিত্তি করে এটা বলিনা !
শুধু বুখারীর কথার উপর ভিত্তি করে এটা না বললে আর কিসের ভিত্তিতে এটা বলেন? সম্ভবত ইসনাদ এর ভিত্তিতে। ইসনাদটাতো সেই বুখারীর বইতেই আছে, যার মানে দাড়ায় শুধুমাত্র বুখারীর বই এর উপর ভিত্তি করেই হাদীসটির ব্যাপারে নিশ্চিত হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে ব্যাক্তি বুখারীকে ভুলের উর্ধে মনে করেন না, তবে বুখারীর বইটিকে ভুলের উর্ধে মনে করেন তাইতো? এই ব্যাপারটা আরেকটু ক্লিয়ার করলে ভাল হয়।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১১
রাতুলবিডি২ বলেছেন: বুখারীর বইটিকে ভুলের উর্ধে মনে করি না ।
২৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: Do you know the method of muhaddisin ?
ইমাম বুখারীর হাদীস সত্যায়ণের পদ্ধতি আমি জানি। সেখানে বর্ণনাকারীর সত্যবাদীতা আর নবী পর্যন্ত আনব্রোকেন চেইন (ইসনাদ) এর মাধ্যমে তিনি হাদীসের সত্যতা নির্ণয় করেছেন, মাতন এর প্রতি কোন গুরুত্ব তিনি দেন নাই।
মুহাদ্দীসগণ এর কাছে বুখারীর চাইতে নতুন কোন পদ্ধতি নেই। তারা সকল হাদীস জানেন বুঝেন। আর মুজতাহিদগণ হাদীসের পাশাপাশি রিজালশাস্ত্র অর্থাত হাদীস বর্ণনাকারীগণের জীবনিতিহাস সম্পর্কেও জানেন। মুহাদ্দীসগণ বুখারীর চাইতে নতুন কোন উপায় গ্রহণ করেন নাই। তবে আধুনিক সুযোগ সুবিধার কারণে তারা বুখারীর ইসনাদগুলো আরেকটু ভালভাবে যাচাই করার সুবিধাটুকু পাচ্ছেন, যাতে করে বুখারীর বিচারে সহিহ কোন ইসনাদের ত্রুটি তারা সহজেই বের করতে পারেন।
সহজ কথায় ইসনাদের মাহাত্মটুকু বুঝা যায়না সেটা আমি বুঝি, তবে ইসনাদের মাহাত্ম বুঝার আইডিয়াটা আমার অন্তত আছে, একজন তার্কিকের সাথে তর্কের সময় সে আইডিয়া পেয়েছিলাম। সময় পেলে পরের মন্তব্যে সেটা জানাব। তবে এর মাঝে ধোঁকা ও ফাঁকিটা ধরতে আমার সময় লাগেনি, সেটাও বলব।
I follow and trust them.
আপনি তাদের বিশ্বাস করেন আর ফলো করেন সেটা আপনার ব্যাপার। এটা কোন যুক্তির কথা না। আপনি যুক্তির কথা আলোচনা করতেই আমাকে এই পোস্টে আসতে বলেছেন যার ধারে কাছেও এতদিন যেতে পারেননি। আপনার বিশ্বাসটা অন্ধ বিশ্বাস, এই বিশ্বাসের পিছনে যুক্তি থেকে থাকলে সেটা এতদিনের আলোচনায় সুযোগ আসার পরেও আপনি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর মুহাদ্দীসগণকে বিশ্বাস করতে হবে কেন এর পক্ষে কোরানের কোন দলিল আছে কি? কোরানে না থাকলে হাদীসের কোন দলিল আছে কি? আপনি কেন আর কিসের ভিত্তিতে তাদেরকে অন্ধ বিশ্বাস করেন? মুহাদ্দীসরা কি ভুলের উর্ধে? তাদের ভুল হলে সেটা যাচাই করার সুযোগই তো নিজেকে দিচ্ছেননা আপনি।
আল্লাহ কোরানে বলেছেন কারও কথা অন্ধ বিশ্বাস না করতে। আমি আল্লাহর কথাতেই বেশি আস্থাশীল।
-------------------------------------------------------------------------
এর আগে আমি নিচের কথাগুলো বলেছিলামঃ
আপনার নিশ্চিত হবার উপায়টা তো একেবারেই যুক্তিহীণ। যেই সনদ দিয়ে নিশ্চিত হন তেমন বহু সহিহ হাদীসই যে ভুল তা দুনিয়ার সকল আলেম কর্তৃক স্বীকৃত। আধুনিক ফিল্টারিং পদ্ধতির কারণে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়, কিন্তু ফিল্টারিং এর পরে প্রাপ্ত পানিতে যদি দূষণ খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে কি সেই ফিল্টারিংকে শতভাগ নিশ্চিৎ বলা যাবে? তেমনি সহিহ সনদ হলেই হাদীসের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে, এমন দাবী করাটা হাস্যকর নয়কি?
আপনি তার জবাবে বুঝাতে চাইলেন যে আমার ধারণা ভুল, অর্থাত সনদ দিয়ে আপনি হাদীসের ব্যাপারে নিশ্চিত হন না। আপনি নিচের কথাগুলো বলেছিলেনঃ
আমি কনফিউস্ড । আপনি কি আমাকে প্রশ্ন করে উত্তর দেবার সুজোগ দিতে চান ? না কিছু কথা আমার উপর চালিয়ে দিতে চান ? আর আপনি যদি আমার বিষয়ে জেনেই থাকেন, তবে অনুগ্রহ করে বলুন দেখি আমি কিভাবে এখটা বিষয়ে নিশ্চত হই ?
সে যাই হোক, এতদিন পর আজকে জানালেন যে আসলেই আপনি সনদ দিয়ে হাদীসের ব্যাপারে নিশ্চিত হননা। আপনি মুহাদ্দীসগণকে বিশ্বাস করে হাদীসের ব্যাপারে নিশ্চিত হন। যুক্তির প্রশ্ন থেকে নিজেকে বাঁচানোর কি অদ্ভুত চেষ্টা আপনার! আরে ভাই আমি তাহলে ভুলটা বলেছিলাম কোথায়? মুহাদ্দীসরা হাদীস নিশ্চিত হন সনদ দিয়ে, আর আপনি নিশ্চিত হন মুহাদ্দীসকে বিশ্বাস করে, মোট কথা তো সেই সনদই হল তাই না?
তাই আগের প্রশ্নটাই আবার করিঃ
আপনার বা মুহাদ্দীসগনের নিশ্চিত হবার উপায়টা তো একেবারেই যুক্তিহীণ। যেই সনদ দিয়ে নিশ্চিত হন তেমন বহু সহিহ হাদীসই যে ভুল তা দুনিয়ার সকল আলেম কর্তৃক স্বীকৃত। আধুনিক ফিল্টারিং পদ্ধতির কারণে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়, কিন্তু ফিল্টারিং এর পরে প্রাপ্ত পানিতে যদি দূষণ খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে কি সেই ফিল্টারিংকে শতভাগ নিশ্চিৎ বলা যাবে? তেমনি সহিহ সনদ হলেই হাদীসের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে, এমন দাবী করাটা হাস্যকর নয়কি?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
রাতুলবিডি২ বলেছেন: Do you know the method of muhaddisin ?
I follow and trust them.
I follow the method of muhaddisin
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আপনি কি জানেন মুহাদ্দিস রা একটা খবরকে কখন ১০০ ভাগ নিশ্চিত সত্য বলেন?
২৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমি যতটুকু জানি তা বলেছি। আমার জানা মতে কোন হাদীস সহিহ ইসনাদে মুতাওয়াতীর (অনেক ক্ষেত্রে তাওয়াতুর) হলেই মুহাদ্দিসরা তাকে শতভাগ সত্য বলে ধরে নেন।
এর বেশী জানিনা। এর বাইরে আমার আর কিছু জানার থাকলে আমাকে প্লিজ জানান।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
রাতুলবিডি২ বলেছেন: একদম সত্য কথা, বুখরীর হাদীসগুলো কি মুতাওয়াতির ?
তাওয়াতুর -এর পর্যায়ে উন্নিত ?
২৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আরও জানি যে কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক হলে ১০০% সহিহ হাদীসও বাতিল করা হয়।
দ্রষ্টব্যঃ পাথর নিক্ষেপের হাদীসটি কয়েক রকম ভাবে কোরান এর সাথে সাংঘর্ষিক।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
রাতুলবিডি২ বলেছেন: যে হাদীসটা আপনার কাছে কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হচ্ছে, আরেকজনের কাছে নাও সাংঘর্ষিক মনে নাও হাটে পারে। এটা অবশ্য দৃষ্টিভংগীর ব্যাপার ।
২৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
রাতুলবিডি২ বলেছেন: একটা বিষয়ে কারো পদ্ধতি অনুসরণ করার মানে কি তাকে অনুসরণ করা ?
আমি শব্দের গতি মাপার জন্য নিউটনের পদ্ধতিকে সঠিক মনে করি ( সঠিক বলে বিশ্বাস করি) । - একথার মানে কি আমি নিউটন কে বিশ্বাস করি ?
আমার ইমান নিউটনের উপর, কোরাণের উপর না ?
২৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: বুখরীর হাদীসগুলো কি মুতাওয়াতির ?
তাওয়াতুর -এর পর্যায়ে উন্নিত ?
না, বুখারীর হাদীসগুলো (কিছু বাদে) মুতাওয়াতির এর পর্যায়ে উন্নিত নয়। শুধু বুখারী কেন সারা দুনিয়ার সমগ্র হাদীস এর বই মিলিয়ে মুতাওয়াতির হাদীসের সংখ্যা এস্টিমেট করা হয়েছে মাত্র ১০০। ইমাম জালাল আল দীন সুয়ুতি তার ''আল ফাওয়াইদ আল মুতাকাসিরা'' গ্রন্থে এগুলো বাছাই করেছিলেন। অবশ্য আরও কিছু ফ্লেক্সিবিলিটি দিয়ে সাইয়্যেদ জাফর আল কাত্তানি তার ''আল নজম আল মুতানাসির'' গ্রন্থে এই সংখ্যা ৩১০ এ উন্নিত করেছিলেন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
রাতুলবিডি২ বলেছেন: Tawatur ki apni correct mone koren ?
২৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: একটা বিষয়ে কারো পদ্ধতি অনুসরণ করার মানে কি তাকে অনুসরণ করা ?
আমি শব্দের গতি মাপার জন্য নিউটনের পদ্ধতিকে সঠিক মনে করি ( সঠিক বলে বিশ্বাস করি) । - একথার মানে কি আমি নিউটন কে বিশ্বাস করি ?
গুড, এর মানে মুহাদ্দিসগণকে আপনি ভুলের উর্ধে মনে করেন না, তবে তাদের হাদীস সত্যায়ণ করার পদ্ধতিকে ভুলের উর্ধে মনে করেন।
আবারো সেই একই প্রশ্ন, এত নির্ভুল নিখুঁত পদ্ধতির পরেও ভুল ঢুকল কিকরে? এই ভুল ঢুকাই তো প্রমাণ করে যে পদ্ধতিটি ভুলের উর্ধে নয়। মানে আপনি নিউটনকে বিশ্বাস করেন না বরং নিউটনের পদ্ধতি বিশ্বাস ঠিক আছে , এখন নিউটনের পদ্ধতিতে গলদ পেলে কি করবেন?
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
রাতুলবিডি২ বলেছেন: এর মানে মুহাদ্দিসগণকে আপনি ভুলের উর্ধে মনে করেন না -
-এটা তো অনেক আগেই বলেছি!
তবে তাদের হাদীস সত্যায়ণ করার পদ্ধতিকে ভুলের উর্ধে মনে করেন।
- সেটা তো আমার যুক্তি বুদ্ধি খটিয়েই বলছি ।
আবারো সেই একই প্রশ্ন, এত নির্ভুল নিখুঁত পদ্ধতির পরেও ভুল ঢুকল কি করে?
-আপনি যেগুলো ভুল বলছেন, আমার কাছে সেগুলো ভুল না !
এই ভুল ঢুকাই তো প্রমাণ করে যে পদ্ধতিটি ভুলের উর্ধে নয়।
- আমি তো পদ্ধতিটার কোন ভুল দেখছি না, আপনি কি পদ্ধতিটির ভুলগুলো দয়া করে দেখিয়ে দিবেন ?
৩০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: যে হাদীসটা আপনার কাছে কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হচ্ছে, আরেকজনের কাছে নাও সাংঘর্ষিক মনে নাও হাটে পারে। এটা অবশ্য দৃষ্টিভংগীর ব্যাপার ।
দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাপারতো অবশ্যই। দৃষ্টিভঙ্গীতে পার্থক্য থাকতেই পারে। তার মানে হয় আমি সঠিক নয়তো আপনি সঠিক। কে সঠিক সেটা বুঝার জন্যই তো যুক্তির প্রয়োজন। আমি যুক্তি দেখাতে পারব যে পাথর মারার হাদীসটি কিভাবে কিভাবে কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক। আপনি কি আপনার দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে আমার যুক্তি খন্ডন করে দেখাতে পারবেন যে না পাথর মারার হাদীসটি কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়?
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
রাতুলবিডি২ বলেছেন: নাসেখ মনসুখ বিষয়গুলো সাংঘর্ষিক নয়।
৩১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: Tawatur ki apni correct mone koren ?
উত্তর আগেই দিয়েছি যে আমি এটা প্রায় কারেক্ট মনে করি। উত্তরটা আবার আমি কপি পেস্ট করে দিলামঃ সাক্ষীর সংখ্যা শত শত বা হাজার হাজার (মুতাওয়াতির) হলে আবার অন্য সমস্যা, সেখানে ভুলের সংখ্যা বাড়বে। এক গ্রুপ বলবে আমরা শুনেছি এমন, অন্ন গ্রুপ বলবে যে না আমরা শুনেছি তেমন, আবার আরেক গ্রুপ বলবে যে না আমরা শুনেছি অমন। কোন গ্রুপেরটা সত্য বলে ধরে নেব? তাই ১০০% নিশ্চতয়ার উপায় নাই। তবে সকল গ্রুপ হুবুহু একই কথা বললে সেটা নিশ্চয়তার কাছাকাছি গিয়েছে বলে বিবেচনা করা যেতে পারে।
--------------------
তবে তাদের হাদীস সত্যায়ণ করার পদ্ধতিকে ভুলের উর্ধে মনে করেন।
- সেটা তো আমার যুক্তি বুদ্ধি খটিয়েই বলছি ।
আপনি তো বলেছেন আপনি বিশ্বাস করেন। আপনি আবার কখন যুক্তি খাটালেন? আমাকে একটু যুক্তিটা বলুন।
-----------------------
আবারো সেই একই প্রশ্ন, এত নির্ভুল নিখুঁত পদ্ধতির পরেও ভুল ঢুকল কি করে?
-আপনি যেগুলো ভুল বলছেন, আমার কাছে সেগুলো ভুল না !
ও তাই! আপনি কি মনে করেন যে আলী বদর যুদ্ধ করেন নাই? এটা আপনার কাছে ভুল মনে হয় না? Click This Link এই পোস্টে বুখারীর ভুল হাদীস দেখিয়েছি, যা ঐতিহাসিক ভুল আর তাই আপনার মত বিশ্বাসীদের জন্য পিছলামো করার সুযোগ এখানে নাই।
------------------------
এই ভুল ঢুকাই তো প্রমাণ করে যে পদ্ধতিটি ভুলের উর্ধে নয়।
- আমি তো পদ্ধতিটার কোন ভুল দেখছি না, আপনি কি পদ্ধতিটির ভুলগুলো দয়া করে দেখিয়ে দিবেন ?
ভুল হাদীস যে ঢুকেছে এটাই তো প্রমাণ করে যে পদ্ধতিটির মধ্যে ভুল আছে। অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে দেখলে আপনি পদ্ধতির ভুল দেখবেন কিভাবে? যুক্তি বুদ্ধি খাটান তাহলেই ভুল দেখতে পাবেন।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০০
রাতুলবিডি২ বলেছেন: জানতে চাইছিলাম হাদীস শাস্ত্র গ্রহণ বর্জনের পড্ধতির ভুলগুলো আপনার দৃষ্টিতে কি কি ?
৩২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ জবাব টা এই মুহুর্তে দিচ্ছিনা, যেহেতু আপনি আমার বিষয়ে বেশ বড়সড় মন্তব্য করে ফেলেছেন। তবে অবশ্যই দেব, ইনশা -আল্লাহ ।
----------------------------------------------
ভাই কোথায় হারালেন? ইনশাল্লাহ বলেও জাবাব দিচ্ছেন না কেন? আমি আপনার জবাবের অপেক্ষায় বসে আছি। ব্যস্ত থাকলে জানান।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
রাতুলবিডি২ বলেছেন: অসুস্হ ছিলাম । এখন আছি মোটামুটি ।
কোন বর্নণা মুতাওয়াতির হলে তাকে নিশ্চিত সত্য বলে গ্রহন করি ।
আর স হিহ সনদের বর্ননা প্রায় নিশ্চত বলে গ্রহন করি ।
৩৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৬
রাতুলবিডি২ বলেছেন: তবে তাদের হাদীস সত্যায়ণ করার পদ্ধতিকে ভুলের উর্ধে মনে করেন।
- সেটা তো আমার যুক্তি বুদ্ধি খটিয়েই বলছি ।
কোরাণ হাদীসে বর্নিত বিষয় গুলো সরাসরি - বিশ্বাস করি। আর হাদীস সংকলনের পদ্ধতিটা বুদ্ধি নির্ভর, কোরাণ হাদীস নির্ভর- বা বর্নণা নির্ভর নয়।
এগুলো বিশ্নষণ সাপেক্ষ বিষয় । তাই এগুলো যুক্তিদিয়েই বিচার করে দেখেছি ।
আর এর ফলে আমার বুদ্ধি বিবেকও সাক্ষ দিয়েছে পদ্ধতিটা সঠিক ।
আর এখন যদি আমি বলি যে : " আমার বিশ্বাস পদ্ধতিটা সঠিক ", তাতে ভুলের কি আছে তা আমার বুঝে আসছে না । কোন যুক্তি-বিশ্লষণ ভিত্তিক প্রক্রিয়ার ফলাফল বা সিদ্ধান্তকে " বিশ্বাস " বলা যাবে না, এটা কোথায় কিভাবে পেলেন ?
বুঝাতে পারেছি কিনা জানিনা । আবার একটু চেষ্টা করি । নিউটনের গতি সুত্রগুলো যুক্তি - বুদ্ধি নির্ভর বিষয় । আমার কাছে যুক্তিগ্রাহ্য ও সঠিক মনে হওয়ার পর , কেউ এসে এমন সব যুক্তি দিচ্ছে যা প্রচলিত পদার্থ বিদ্যার রীতিতে মিল খায় না। তাকে আমি বললাম আমার বিশ্বাস নিউটনের গতি সুত্র গুলো সঠিক । এতে কি প্রমাণ হয় নিউটনের সুত্র আমি অযৌক্তিক ভাবে শুধু বিশ্বাসের ভিত্তিতে গ্রহন করেছি ?
৩৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২০
রাতুলবিডি২ বলেছেন: তবে তাদের হাদীস সত্যায়ণ করার পদ্ধতিকে ভুলের উর্ধে মনে করেন।
- সেটা তো আমার যুক্তি বুদ্ধি খটিয়েই বলছি ।
কোরাণ হাদীসে বর্নিত বিষয় গুলো সরাসরি - বিশ্বাস করি। আর হাদীস সংকলনের পদ্ধতিটা বুদ্ধি নির্ভর, কোরাণ হাদীস নির্ভর- বা বর্নণা নির্ভর নয়।
এগুলো বিশ্নষণ সাপেক্ষ বিষয় । তাই এগুলো যুক্তিদিয়েই বিচার করে দেখেছি ।
আর এর ফলে আমার বুদ্ধি বিবেকও সাক্ষ দিয়েছে পদ্ধতিটা সঠিক ।
আর এখন যদি আমি বলি যে : " আমার বিশ্বাস পদ্ধতিটা সঠিক ", তাতে ভুলের কি আছে তা আমার বুঝে আসছে না । কোন যুক্তি-বিশ্লষণ ভিত্তিক প্রক্রিয়ার ফলাফল বা সিদ্ধান্তকে " বিশ্বাস " বলা যাবে না, এটা কোথায় কিভাবে পেলেন ?
বুঝাতে পেরেছি কিনা জানিনা । আবার একটু চেষ্টা করি । নিউটনের গতি সুত্রগুলো যুক্তি - বুদ্ধি নির্ভর বিষয় । আমার কাছে যুক্তিগ্রাহ্য ও সঠিক মনে হওয়ার পর , আমি এগুলো সঠিক মনে করি। এরপর কেউ এসে এমন সব যুক্তি দিচ্ছে যা প্রচলিত পদার্থ বিদ্যার রীতিতে মিল খায় না। তাকে আমি বললাম আমার বিশ্বাস নিউটনের গতি সুত্র গুলো সঠিক । এতে কি প্রমাণ হয় নিউটনের সুত্র আমি অযৌক্তিক ভাবে শুধু বিশ্বাসের ভিত্তিতে গ্রহন করেছি ?
নাকি একটা যুক্তি নির্ভর বিষয়ের ফলাফলকে প্রকাশ করছি মাত্র ?
৩৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: কোরাণ হাদীসে বর্নিত বিষয় গুলো সরাসরি - বিশ্বাস করি। আর হাদীস সংকলনের পদ্ধতিটা বুদ্ধি নির্ভর, কোরাণ হাদীস নির্ভর- বা বর্নণা নির্ভর নয়।
এগুলো বিশ্নষণ সাপেক্ষ বিষয় । তাই এগুলো যুক্তিদিয়েই বিচার করে দেখেছি ।
আর এর ফলে আমার বুদ্ধি বিবেকও সাক্ষ দিয়েছে পদ্ধতিটা সঠিক ।
আর এখন যদি আমি বলি যে : " আমার বিশ্বাস পদ্ধতিটা সঠিক ", তাতে ভুলের কি আছে তা আমার বুঝে আসছে না ।
আপনার যখন বুঝে আসছে না তাই আরেকবার চেষ্টা করি। আপনি যুক্তিবুদ্ধি খাটিয়ে আশ্বস্ত হলেন যে হাদীস সত্যায়ণের পদ্ধতিটি সঠিক। এপর্যন্ত ঠিকই আছে। এবার আপনার বিবেচনায় এই সঠিক পদ্ধতিটির ফলাফলের দিকেই একটু তাকান না কেন? যেমন এই সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেই সহিহ বুখারীতে পাওয়া গেল যে হযরত আলী বদর যদ্ধ করেন নাই, অথচ এ তথ্যটি একেবারেই ভুল, কারণ আলীর বদর যুদ্ধ করার ব্যাপারে প্রচুর দলিল পত্র আছে। এবার আপনি কি করবেন? এবার কি আপনার নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত নয় যে আপনি যে পদ্ধতিটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আশ্বস্ত হয়েছিলেন সেখানে নিশ্চয়ই কোন গলদ আছে? এবার আপনার বলা নিউটনের কথা দিয়েই আরেকটু ক্লিয়ার করে বলিঃ
নিউটনের গতিসূত্রে এখন পর্যন্ত কোন ভুল পাওয়া যায়নি। কিন্তু কেউ যদি এখন সত্যি সত্যিই নিউটনের গতিবিদ্যার ভুল বের করতে পারে তবে দুনিয়ার কোন বিজ্ঞানীই সেটা না মেনে পারবেনা। নিউটনের সূত্র যৌক্তিক বলেই সেটা সবাই গ্রহণ করেছে অন্ধবিশাস করে কেউ গ্রহণ করেনি-এটা আপনি ঠিকই বলেছেন, কিন্তু নিউটনের এই সূত্রেই যদি কোন প্রমাণ নির্ভর গলদ পাওয়া যায় তবে আগের যুক্তি নির্ভর সেই বিশ্বাসটা ছুঁড়ে ফেলে দিতে কেউ কার্পণ্য করবেনা। বিজ্ঞানে এমন উদাহরণ ভুড়ি ভুড়ি আছে, এমন অনেক বৈজ্ঞানিক বিষয় আছে যা যৌক্তিকভাবেই বিশ্বাস করা হত কিন্তু পরে সেখানে ভুল পেলে তা সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু আপনি কি হাদীসের বেলায় সেটা করছেন? সেটা যখন করছেননা তাহলে অযথাই নিউটনের প্রসংগ টেনে এনে নিজেকে লজ্জায় ফেলছেন কেন? হাদীস আপনি যৌক্তিক ভাবেই বিশ্বাস করেন মানলাম, কিন্তু যৌক্তিক বিশ্বাসের পরেও যখন সেখানে গলদ দেখিয়ে দিলাম এবং তারপরেও আপনি সেই আগের বিশ্বাসেই আছেন তাহলে সেটাকে অন্ধ বিশ্বাস না বলে আর কিছু বলা যায়কি? এমনতো নয় যে গলদটাকে আপনি ভুল প্রমাণ করতে পেরেছেন!
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আপনি বললেন : হাদীস আপনি যৌক্তিক ভাবেই বিশ্বাস করেন মানলাম,
আর আমি বলেছিলাম : কোরাণ হাদীসে বর্নিত বিষয় গুলো সরাসরি - বিশ্বাস করি।
বুঝাবুঝিতে কিছু গোলমাল হয়ে গেল না?
৩৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: জানতে চাইছিলাম হাদীস শাস্ত্র গ্রহণ বর্জনের পড্ধতির ভুলগুলো আপনার দৃষ্টিতে কি কি ?
-----------------------------------------------------------------------------
১) মানব মস্তিষ্কের সীমাবদ্ধতার কারণেই শুনা কথা মিনিটে মিনিটে পরিবর্তন হতে পারে, এটাই হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় ভুল। সাংবাদিকতা বিষয়ে ইউনিভার্সিটিতে একটি কোর্স করেছিলাম, একদিন ক্লাসে শিক্ষক একটা মজার জিনিস দেখালেন। ক্লাসে প্রায় ষাট জন ছাত্রছাত্রী ছিল। শিক্ষক একটা কাগজে ছোট্ট এক লাইনের একটা বাক্য লিখে ফার্স্ট বেঞ্চের এক ছাত্রকে দেখালেন আর বললেন সেটা কানে কানে পাশের ছাত্রকে হুবুহু বলে দিতে। এভাবে একজনের কান থেকে আরেকজনের কান হয়ে কথাটা লাস্ট বেঞ্চের সর্বশেষ ছাত্রের নিকট পৌঁছাল। শিক্ষক তাকে জিজ্ঞেস করলেন সে কি শুনেছে তা জোড়ে জোড়ে সবাইকে বলতে। ছাত্রটি সেটা বলল। এবার শিক্ষক তার হাতের লিখা কাগজটা সবাইকে দেখালেন, আর আমরা দেখলাম যে লিখিত বাক্য আর শুনা কথার মাঝে আকাশ পাতাল ব্যাবধান রয়েছে। শিক্ষক বলেছিলেন তিনি এই পরীক্ষাটি অসংখ্যবার করেছেন এবং প্রতিবারই এই ভুল হয়েছে। আপনি চাইলে নিজেই এই পরীক্ষাটি করে দেখতে পারেন, ফলাফল হাতেনাতে পেয়ে যাবেন। হাদীসের ব্যাপারে কি এই জিনিস ঘটেনি? অবশ্যই ঘটেছে। যেমন আবু হুরায়রা বর্ণিত একটি হাদীস আছে যে তিনি নবীকে বলতে শুনেছেন আমাদের জন্য অপয়া হচ্ছে নারী, বাড়ি আর তৃতীয় একটা জিনিস ( এখন আমার মনে পড়ছেনা)। পরে হযরত আয়েশা বলেছিলেন যে আবু হুরায়রা ভুল শুনেছিলেন, নবী মূলত বলেছিলেন যে এটা আগের যমানার মানুষের ধারণা ছিল। আবু হুরায়রা বর্ণিত এমন আরও কিছু হাদীসের ভুল আয়েশা ধরেছিলেন। আরেকটি উদাহরণ দেই, ইবনে উমর নবি থেকে হাদীস বয়ান করেন যে শিকার ও ভেড়া পাহাড়া দেয়ার কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পালা নিষেধ, কিন্তু পরে যখন একজন বলে দিল যে আবু হুরায়রা তৃতীয় আরেকটি কাজ (জমি পাহাড়া) এর জন্যেও কুকুরের কথা বলেছেন তখন ইবনে উমর বলেছিলেন যে আল্লাহ আবু হুরায়রাকে মাফ করুন, নিজের জমি আছে বলে আবু হুরায়রা এমন কথা বলেছেন। এদিকে অন্য হাদীসে আবার দেখা যায় ইবনে উমর নিজেই নাকি শুনতে ভুল করেছেন। উপরে মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দিলাম, এমন উদাহরণ আরও প্রচুর আছে। আর উদাহরণের কথা বাদ দিয়ে সরাসরি অন্য প্রমানও পাওয়া যায়। যেমন একই হাদীস একেক রাবী একেক ভাষায় বর্ণনা করেছেন। এ থেকেই বুঝা যায় তার কেউ হাদীস মুখস্ত করেন নাই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় একই হাদীসে কারও বর্ণনায় কিছু তথ্য বেশী পাওয়া যায়, অর্থাত অন্য রাবী নবীর বলা গুরুত্বপূর্ণ কিছু শব্দ ভুলে গিয়েছে বা শুনে নাই। এসবের বাইরে আবার হাদীসের মাঝে কন্ট্রাডিকশ্নের কোন অভাব নেই। কোথাও বলা আছে দাঁড়িয়ে পানি খেলে বমি করে ফেলে দিতে হবে আবার কোথাও বলা আছে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া জায়েজ।
২) উপরের পয়েন্টেই দেখালাম যে শুনা কথা ভুল হতেই পারে, তবু এই ব্যাপারটিকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে মাতনের উপর কোন গুরুত্ব না দিয়েই সনদের মাধ্যমে হাদীস সত্যায়ণ করা হয়, এটাই এই পদ্ধতির আরেকটি বড় ত্রুটি। মাতনে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলেই বুখারীর বইতে পর্যন্ত অনেক বড় বড় ঐতিহাসিক ভুল হাদীস স্থান পেয়েছে যেগুলো সনদে সহিহ।
৩) এই পোস্টের ১৭ নং মন্তব্যে ১,২,৩ পয়েন্ট করে এই ধরণের পদ্ধতির ভুল আরও পরিষ্কার করে দেখিয়েছি। বলেছি যে কেউ ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত মিথ্যা বলতেই পারে। সেই মিথ্যা ধরে ফেলার কোন উপায় বর্তমান হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতিতে নাই। তাই এই পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ।
এমন অনেক ত্রুটি আরও আছে, সেগুলো প্রয়োজনে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। আগে এগুলোর জবাব দিন। আপনিতো এখণ শুরুই করতে পারলেন না।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আপনিতো এখণ শুরুই করতে পারলেন না।
-একদম সত্য কথা ।
তর্কের আগে চেয়েছি :
১। আমার আর আপনার বিশ্বাস গুলো নির্দিষ্ট করতে
২। তারপর মিল আর অমিলগুলো চিন্হিত করতে
৩। এরপর তর্কের বিষয় নির্দিষত করতে ।
আশা করি এতটুকু হয়েছে । কিন্তু আপনি বেশ কয়বার অধৈর্য হয়েছেন আমার এ পদ্ধতিতে । আমি দু:খিত । এর চেয়ে ভাল উপায় আমার জানা নেই ।
আপনি হাদীস বুঝতে/গ্রহণ করতে বিবেককে প্রাধান্য ডেন। আমরা প্রধান্য দেই হাদীস শাস্ত্রবিদদের গৃহীত পদ্ধতিকে । পদ্ধতিটি বুদ্ধি প্রসুত, যুক্তি নির্ভর । জানতে চাইছিলাম এই "পদ্ধতির " ভুলগুলো একটু বলেন ।
৩৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: হাদীস আপনি যৌক্তিক ভাবেই বিশ্বাস করেন মানলাম,
আর আমি বলেছিলাম : কোরাণ হাদীসে বর্নিত বিষয় গুলো সরাসরি - বিশ্বাস করি।
বুঝাবুঝিতে কিছু গোলমাল হয়ে গেল না?
গোলমাল হয়নি। এইটাকে টাইপো ধরে নিয়ে বুঝে নিতে আপনার যে কেন এত সমস্যা হচ্ছে বুঝিনা। লাইনটা আবার লিখে দিলামঃ
হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতি আপনি যৌক্তিক ভাবেই বিশ্বাস করেন মানলাম,
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৫
রাতুলবিডি২ বলেছেন: এইটাকে টাইপো ধরে নিয়ে বুঝে নিতে আপনার যে কেন এত সমস্যা হচ্ছে বুঝিনা। - কারণ আপনার বক্তব্যে আপনি হাদীস - আর এর পদ্ধতিকে এক করে ফেলছেন ।
শুরু থেকে বহুবার " বুখরীকে ভুলের উর্দ্ধে মনে করি না " , " কিতাবুল্লাহর পর সবচেয়ে বিশুদ্ধ বুখারী " এসব বলার পরও আপনি বার বার বলছেন আমি বুখরীকে ১০০ ভাগ সত্য বিশ্বাস করি! ভুলের উর্দ্ধে মনে করি !
অন্য দিকে " হাদীস শাস্ত্রবিদদের গৃহীত পদ্ধতিকে " সঠিক মনে করি - একথাকে আপনি সংযুক্ত করছেন হাদীসকে ১০০ ভাগ সত্য মনে করি - এসব কথার সাথে !
৩৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমরা প্রধান্য দেই হাদীস শাস্ত্রবিদদের গৃহীত পদ্ধতিকে । পদ্ধতিটি বুদ্ধি প্রসুত, যুক্তি নির্ভর । জানতে চাইছিলাম এই "পদ্ধতির " ভুলগুলো একটু বলেন ।
ভুল গুলো বলেছি। বুদ্ধি থাকলে বুঝে নেন। নাহয় অন্য কারো সাহায্য নেন। ধন্যবাদ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০০
রাতুলবিডি২ বলেছেন: বুদ্ধি থাকলে বুঝে নেন - আপনার মন্তব্য থেকে মনে হয় আমার বুদ্ধ একটু কম-ই । আমি নিজেও তা মনে করি । কি আর করার !
যাই হোক চেস্টা করে দেখি কিছু বিদ্যা - বুদ্ধি হাসিল করা যায় নাকি ।
আমার অবস্হান ও বিশ্বাসটা আবার বলার চেষ্টা করি আগে :
১। হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতি - সঠিক মনে করি। আমার যৌক্তিক বিশ্লষণ তাই বলে ।
২। বখরী-মুসলিম কাউকেই ভুলের উর্দ্ধে মনে করি না, হাদীসের কিতাবে কিছু ভুল থাকতেই পারে, এগুলো মানব সংকলিত ।
আমার কম বুদ্ধির অনুভুতি হচ্ছে: আপনি "হাদীস" আর "হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতি " এক করে ফেলছেন ।
কিছু হাদীসকে ভুল দাবী করে "হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতি " কেই ভুল দাবী করছেন!
৩৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: হাদীস সত্যায়ন পদ্ধতি যৌক্তিক মনে করার পেছনে আপনার যুক্তিগুলো কি কি?
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪০
রাতুলবিডি২ বলেছেন: হাদীস শাস্ত্রের বিচার পদ্ধতি একটা বেশ বড় বিদ্যা । এ নিয়ে বেশ বড় বড় বই পত্র লেখা হয়েছে । সেটা কি একটা পোষ্টে বোঝানো এত সহজ ? এর চেয়ে কি এটা ভাল না আপনি এর শাস্ত্রীয় বিষয় গুলোর ভুলগুলো চিন্হিত করে দিবেন?
৪০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি "হাদীস" আর "হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতি " এক করে ফেলছেন ।
কিছু হাদীসকে ভুল দাবী করে "হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতি " কেই ভুল দাবী করছেন!
-------------------------------------------
আমার পয়েন্টগুলো খেয়াল করুনঃ
১) কিছু হাদীস ভুল দাবী করে আমি হাদীস সত্যায়ন পদ্ধতিকে ভুল দাবী করেছি। এটা সত্য বলেছেন। তবে সেই কিছু হাদীস তো সামান্য কিছুনা। সেই কিছু হাদীসগুলোকে এই হাদীস সত্যায়ন পদ্ধতি সহিহ বলে সার্টিফিকেট দিয়েছে। অতএব আমার দাবীটির দূর্বলতা কোথায়? পদ্ধতিটি যদি সঠিক হত তাহলে এই কিছু হাদীস কখনোই সহিহ সার্টিফিকেট পাবার কথা না। এতেই প্রমাণ হয় পদ্ধতিটি সঠিক নয়।
২) উপরের পয়েন্টই আমার একমাত্র যুক্তি নয়। একটি হাদীসের চেইনের ১ম রাবী ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত ভুল করে থাকলে সেই ভুল যাচাই করার কোন সুযোগ আপনাদের এই হাদীস সত্যায়ন পদ্ধতিতে নেই। একটি পদ্ধতিতে এর চাইতে বড় ত্রুটির আর কোন দরকার আছে কি?
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২২
রাতুলবিডি২ বলেছেন: কিছু হাদীস ভুল দাবী করে আমি হাদীস সত্যায়ন পদ্ধতিকে ভুল দাবী করেছি। কিছু হাদীস যে ভুল সেটা তো হাদীস শাস্ত্রের সুত্র দিয়েই, শাস্ত্রবিদদের দারাই প্রমাণিত হয়েছে। সেটা তো পদ্ধতিটিকে আরো বেশী সঠিক প্রমাণ করে !
৪১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন: উপরের কমেন্টে আপনার দুটি অভিযোগ ছাড়া একটু আগে আপনার অভিযোগ ছিল :
১) মানব মস্তিষ্কের সীমাবদ্ধতার কারণেই শুনা কথা মিনিটে মিনিটে পরিবর্তন হতে পারে, এটাই হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় ভুল। সাংবাদিকতা বিষয়ে ইউনিভার্সিটিতে একটি কোর্স করেছিলাম, একদিন ক্লাসে শিক্ষক একটা মজার জিনিস দেখালেন। ক্লাসে প্রায় ষাট জন ছাত্রছাত্রী ছিল। শিক্ষক একটা কাগজে ছোট্ট এক লাইনের একটা বাক্য লিখে ফার্স্ট বেঞ্চের এক ছাত্রকে দেখালেন আর বললেন সেটা কানে কানে পাশের ছাত্রকে হুবুহু বলে দিতে। এভাবে একজনের কান থেকে আরেকজনের কান হয়ে কথাটা লাস্ট বেঞ্চের সর্বশেষ ছাত্রের নিকট পৌঁছাল। শিক্ষক তাকে জিজ্ঞেস করলেন সে কি শুনেছে তা জোড়ে জোড়ে সবাইকে বলতে। ছাত্রটি সেটা বলল। এবার শিক্ষক তার হাতের লিখা কাগজটা সবাইকে দেখালেন, আর আমরা দেখলাম যে লিখিত বাক্য আর শুনা কথার মাঝে আকাশ পাতাল ব্যাবধান রয়েছে। শিক্ষক বলেছিলেন তিনি এই পরীক্ষাটি অসংখ্যবার করেছেন এবং প্রতিবারই এই ভুল হয়েছে। আপনি চাইলে নিজেই এই পরীক্ষাটি করে দেখতে পারেন, ফলাফল হাতেনাতে পেয়ে যাবেন। হাদীসের ব্যাপারে কি এই জিনিস ঘটেনি? অবশ্যই ঘটেছে। যেমন আবু হুরায়রা বর্ণিত একটি হাদীস আছে যে তিনি নবীকে বলতে শুনেছেন আমাদের জন্য অপয়া হচ্ছে নারী, বাড়ি আর তৃতীয় একটা জিনিস ( এখন আমার মনে পড়ছেনা)। পরে হযরত আয়েশা বলেছিলেন যে আবু হুরায়রা ভুল শুনেছিলেন, নবী মূলত বলেছিলেন যে এটা আগের যমানার মানুষের ধারণা ছিল। আবু হুরায়রা বর্ণিত এমন আরও কিছু হাদীসের ভুল আয়েশা ধরেছিলেন। আরেকটি উদাহরণ দেই, ইবনে উমর নবি থেকে হাদীস বয়ান করেন যে শিকার ও ভেড়া পাহাড়া দেয়ার কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পালা নিষেধ, কিন্তু পরে যখন একজন বলে দিল যে আবু হুরায়রা তৃতীয় আরেকটি কাজ (জমি পাহাড়া) এর জন্যেও কুকুরের কথা বলেছেন তখন ইবনে উমর বলেছিলেন যে আল্লাহ আবু হুরায়রাকে মাফ করুন, নিজের জমি আছে বলে আবু হুরায়রা এমন কথা বলেছেন। এদিকে অন্য হাদীসে আবার দেখা যায় ইবনে উমর নিজেই নাকি শুনতে ভুল করেছেন। উপরে মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দিলাম, এমন উদাহরণ আরও প্রচুর আছে। আর উদাহরণের কথা বাদ দিয়ে সরাসরি অন্য প্রমানও পাওয়া যায়। যেমন একই হাদীস একেক রাবী একেক ভাষায় বর্ণনা করেছেন। এ থেকেই বুঝা যায় তার কেউ হাদীস মুখস্ত করেন নাই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় একই হাদীসে কারও বর্ণনায় কিছু তথ্য বেশী পাওয়া যায়, অর্থাত অন্য রাবী নবীর বলা গুরুত্বপূর্ণ কিছু শব্দ ভুলে গিয়েছে বা শুনে নাই। এসবের বাইরে আবার হাদীসের মাঝে কন্ট্রাডিকশ্নের কোন অভাব নেই। কোথাও বলা আছে দাঁড়িয়ে পানি খেলে বমি করে ফেলে দিতে হবে আবার কোথাও বলা আছে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া জায়েজ।
২) উপরের পয়েন্টেই দেখালাম যে শুনা কথা ভুল হতেই পারে, তবু এই ব্যাপারটিকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে মাতনের উপর কোন গুরুত্ব না দিয়েই সনদের মাধ্যমে হাদীস সত্যায়ণ করা হয়, এটাই এই পদ্ধতির আরেকটি বড় ত্রুটি। মাতনে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলেই বুখারীর বইতে পর্যন্ত অনেক বড় বড় ঐতিহাসিক ভুল হাদীস স্থান পেয়েছে যেগুলো সনদে সহিহ।
৩) এই পোস্টের ১৭ নং মন্তব্যে ১,২,৩ পয়েন্ট করে এই ধরণের পদ্ধতির ভুল আরও পরিষ্কার করে দেখিয়েছি। বলেছি যে কেউ ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত মিথ্যা বলতেই পারে। সেই মিথ্যা ধরে ফেলার কোন উপায় বর্তমান হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতিতে নাই। তাই এই পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ।
১) মানব মস্তিষ্কের সীমাবদ্ধতার কারণেই শুনা কথা মিনিটে মিনিটে পরিবর্তন হতে পারে, এটাই হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় ভুল। সাংবাদিকতা বিষয়ে ইউনিভার্সিটিতে একটি কোর্স করেছিলাম, একদিন ক্লাসে শিক্ষক একটা মজার জিনিস দেখালেন। ক্লাসে প্রায় ষাট জন ছাত্রছাত্রী ছিল। শিক্ষক একটা কাগজে ছোট্ট এক লাইনের একটা বাক্য লিখে ফার্স্ট বেঞ্চের এক ছাত্রকে দেখালেন আর বললেন সেটা কানে কানে পাশের ছাত্রকে হুবুহু বলে দিতে। এভাবে একজনের কান থেকে আরেকজনের কান হয়ে কথাটা লাস্ট বেঞ্চের সর্বশেষ ছাত্রের নিকট পৌঁছাল। শিক্ষক তাকে জিজ্ঞেস করলেন সে কি শুনেছে তা জোড়ে জোড়ে সবাইকে বলতে। ছাত্রটি সেটা বলল। এবার শিক্ষক তার হাতের লিখা কাগজটা সবাইকে দেখালেন, আর আমরা দেখলাম যে লিখিত বাক্য আর শুনা কথার মাঝে আকাশ পাতাল ব্যাবধান রয়েছে। শিক্ষক বলেছিলেন তিনি এই পরীক্ষাটি অসংখ্যবার করেছেন এবং প্রতিবারই এই ভুল হয়েছে। আপনি চাইলে নিজেই এই পরীক্ষাটি করে দেখতে পারেন, ফলাফল হাতেনাতে পেয়ে যাবেন। হাদীসের ব্যাপারে কি এই জিনিস ঘটেনি? অবশ্যই ঘটেছে। যেমন আবু হুরায়রা বর্ণিত একটি হাদীস আছে যে তিনি নবীকে বলতে শুনেছেন আমাদের জন্য অপয়া হচ্ছে নারী, বাড়ি আর তৃতীয় একটা জিনিস ( এখন আমার মনে পড়ছেনা)। পরে হযরত আয়েশা বলেছিলেন যে আবু হুরায়রা ভুল শুনেছিলেন, নবী মূলত বলেছিলেন যে এটা আগের যমানার মানুষের ধারণা ছিল। আবু হুরায়রা বর্ণিত এমন আরও কিছু হাদীসের ভুল আয়েশা ধরেছিলেন। আরেকটি উদাহরণ দেই, ইবনে উমর নবি থেকে হাদীস বয়ান করেন যে শিকার ও ভেড়া পাহাড়া দেয়ার কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পালা নিষেধ, কিন্তু পরে যখন একজন বলে দিল যে আবু হুরায়রা তৃতীয় আরেকটি কাজ (জমি পাহাড়া) এর জন্যেও কুকুরের কথা বলেছেন তখন ইবনে উমর বলেছিলেন যে আল্লাহ আবু হুরায়রাকে মাফ করুন, নিজের জমি আছে বলে আবু হুরায়রা এমন কথা বলেছেন। এদিকে অন্য হাদীসে আবার দেখা যায় ইবনে উমর নিজেই নাকি শুনতে ভুল করেছেন। উপরে মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দিলাম, এমন উদাহরণ আরও প্রচুর আছে। আর উদাহরণের কথা বাদ দিয়ে সরাসরি অন্য প্রমানও পাওয়া যায়। যেমন একই হাদীস একেক রাবী একেক ভাষায় বর্ণনা করেছেন। এ থেকেই বুঝা যায় তার কেউ হাদীস মুখস্ত করেন নাই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় একই হাদীসে কারও বর্ণনায় কিছু তথ্য বেশী পাওয়া যায়, অর্থাত অন্য রাবী নবীর বলা গুরুত্বপূর্ণ কিছু শব্দ ভুলে গিয়েছে বা শুনে নাই। এসবের বাইরে আবার হাদীসের মাঝে কন্ট্রাডিকশ্নের কোন অভাব নেই। কোথাও বলা আছে দাঁড়িয়ে পানি খেলে বমি করে ফেলে দিতে হবে আবার কোথাও বলা আছে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া জায়েজ।
২) উপরের পয়েন্টেই দেখালাম যে শুনা কথা ভুল হতেই পারে, তবু এই ব্যাপারটিকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে মাতনের উপর কোন গুরুত্ব না দিয়েই সনদের মাধ্যমে হাদীস সত্যায়ণ করা হয়, এটাই এই পদ্ধতির আরেকটি বড় ত্রুটি। মাতনে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলেই বুখারীর বইতে পর্যন্ত অনেক বড় বড় ঐতিহাসিক ভুল হাদীস স্থান পেয়েছে যেগুলো সনদে সহিহ।
৩) এই পোস্টের ১৭ নং মন্তব্যে ১,২,৩ পয়েন্ট করে এই ধরণের পদ্ধতির ভুল আরও পরিষ্কার করে দেখিয়েছি। বলেছি যে কেউ ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত মিথ্যা বলতেই পারে। সেই মিথ্যা ধরে ফেলার কোন উপায় বর্তমান হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতিতে নাই। তাই এই পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ।
এছাড়া ১৭ তে করা আপনার অভিযোগ :
১) মানব মস্তিষ্কের সীমাবদ্ধতার কারণেই শুনা কথা মিনিটে মিনিটে পরিবর্তন হতে পারে, এটাই হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় ভুল। সাংবাদিকতা বিষয়ে ইউনিভার্সিটিতে একটি কোর্স করেছিলাম, একদিন ক্লাসে শিক্ষক একটা মজার জিনিস দেখালেন। ক্লাসে প্রায় ষাট জন ছাত্রছাত্রী ছিল। শিক্ষক একটা কাগজে ছোট্ট এক লাইনের একটা বাক্য লিখে ফার্স্ট বেঞ্চের এক ছাত্রকে দেখালেন আর বললেন সেটা কানে কানে পাশের ছাত্রকে হুবুহু বলে দিতে। এভাবে একজনের কান থেকে আরেকজনের কান হয়ে কথাটা লাস্ট বেঞ্চের সর্বশেষ ছাত্রের নিকট পৌঁছাল। শিক্ষক তাকে জিজ্ঞেস করলেন সে কি শুনেছে তা জোড়ে জোড়ে সবাইকে বলতে। ছাত্রটি সেটা বলল। এবার শিক্ষক তার হাতের লিখা কাগজটা সবাইকে দেখালেন, আর আমরা দেখলাম যে লিখিত বাক্য আর শুনা কথার মাঝে আকাশ পাতাল ব্যাবধান রয়েছে। শিক্ষক বলেছিলেন তিনি এই পরীক্ষাটি অসংখ্যবার করেছেন এবং প্রতিবারই এই ভুল হয়েছে। আপনি চাইলে নিজেই এই পরীক্ষাটি করে দেখতে পারেন, ফলাফল হাতেনাতে পেয়ে যাবেন। হাদীসের ব্যাপারে কি এই জিনিস ঘটেনি? অবশ্যই ঘটেছে। যেমন আবু হুরায়রা বর্ণিত একটি হাদীস আছে যে তিনি নবীকে বলতে শুনেছেন আমাদের জন্য অপয়া হচ্ছে নারী, বাড়ি আর তৃতীয় একটা জিনিস ( এখন আমার মনে পড়ছেনা)। পরে হযরত আয়েশা বলেছিলেন যে আবু হুরায়রা ভুল শুনেছিলেন, নবী মূলত বলেছিলেন যে এটা আগের যমানার মানুষের ধারণা ছিল। আবু হুরায়রা বর্ণিত এমন আরও কিছু হাদীসের ভুল আয়েশা ধরেছিলেন। আরেকটি উদাহরণ দেই, ইবনে উমর নবি থেকে হাদীস বয়ান করেন যে শিকার ও ভেড়া পাহাড়া দেয়ার কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পালা নিষেধ, কিন্তু পরে যখন একজন বলে দিল যে আবু হুরায়রা তৃতীয় আরেকটি কাজ (জমি পাহাড়া) এর জন্যেও কুকুরের কথা বলেছেন তখন ইবনে উমর বলেছিলেন যে আল্লাহ আবু হুরায়রাকে মাফ করুন, নিজের জমি আছে বলে আবু হুরায়রা এমন কথা বলেছেন। এদিকে অন্য হাদীসে আবার দেখা যায় ইবনে উমর নিজেই নাকি শুনতে ভুল করেছেন। উপরে মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দিলাম, এমন উদাহরণ আরও প্রচুর আছে। আর উদাহরণের কথা বাদ দিয়ে সরাসরি অন্য প্রমানও পাওয়া যায়। যেমন একই হাদীস একেক রাবী একেক ভাষায় বর্ণনা করেছেন। এ থেকেই বুঝা যায় তার কেউ হাদীস মুখস্ত করেন নাই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় একই হাদীসে কারও বর্ণনায় কিছু তথ্য বেশী পাওয়া যায়, অর্থাত অন্য রাবী নবীর বলা গুরুত্বপূর্ণ কিছু শব্দ ভুলে গিয়েছে বা শুনে নাই। এসবের বাইরে আবার হাদীসের মাঝে কন্ট্রাডিকশ্নের কোন অভাব নেই। কোথাও বলা আছে দাঁড়িয়ে পানি খেলে বমি করে ফেলে দিতে হবে আবার কোথাও বলা আছে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া জায়েজ।
২) উপরের পয়েন্টেই দেখালাম যে শুনা কথা ভুল হতেই পারে, তবু এই ব্যাপারটিকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে মাতনের উপর কোন গুরুত্ব না দিয়েই সনদের মাধ্যমে হাদীস সত্যায়ণ করা হয়, এটাই এই পদ্ধতির আরেকটি বড় ত্রুটি। মাতনে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলেই বুখারীর বইতে পর্যন্ত অনেক বড় বড় ঐতিহাসিক ভুল হাদীস স্থান পেয়েছে যেগুলো সনদে সহিহ।
৩) এই পোস্টের ১৭ নং মন্তব্যে ১,২,৩ পয়েন্ট করে এই ধরণের পদ্ধতির ভুল আরও পরিষ্কার করে দেখিয়েছি। বলেছি যে কেউ ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত মিথ্যা বলতেই পারে। সেই মিথ্যা ধরে ফেলার কোন উপায় বর্তমান হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতিতে নাই। তাই এই পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ।
১) মানব মস্তিষ্কের সীমাবদ্ধতার কারণেই শুনা কথা মিনিটে মিনিটে পরিবর্তন হতে পারে, এটাই হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় ভুল। সাংবাদিকতা বিষয়ে ইউনিভার্সিটিতে একটি কোর্স করেছিলাম, একদিন ক্লাসে শিক্ষক একটা মজার জিনিস দেখালেন। ক্লাসে প্রায় ষাট জন ছাত্রছাত্রী ছিল। শিক্ষক একটা কাগজে ছোট্ট এক লাইনের একটা বাক্য লিখে ফার্স্ট বেঞ্চের এক ছাত্রকে দেখালেন আর বললেন সেটা কানে কানে পাশের ছাত্রকে হুবুহু বলে দিতে। এভাবে একজনের কান থেকে আরেকজনের কান হয়ে কথাটা লাস্ট বেঞ্চের সর্বশেষ ছাত্রের নিকট পৌঁছাল। শিক্ষক তাকে জিজ্ঞেস করলেন সে কি শুনেছে তা জোড়ে জোড়ে সবাইকে বলতে। ছাত্রটি সেটা বলল। এবার শিক্ষক তার হাতের লিখা কাগজটা সবাইকে দেখালেন, আর আমরা দেখলাম যে লিখিত বাক্য আর শুনা কথার মাঝে আকাশ পাতাল ব্যাবধান রয়েছে। শিক্ষক বলেছিলেন তিনি এই পরীক্ষাটি অসংখ্যবার করেছেন এবং প্রতিবারই এই ভুল হয়েছে। আপনি চাইলে নিজেই এই পরীক্ষাটি করে দেখতে পারেন, ফলাফল হাতেনাতে পেয়ে যাবেন। হাদীসের ব্যাপারে কি এই জিনিস ঘটেনি? অবশ্যই ঘটেছে। যেমন আবু হুরায়রা বর্ণিত একটি হাদীস আছে যে তিনি নবীকে বলতে শুনেছেন আমাদের জন্য অপয়া হচ্ছে নারী, বাড়ি আর তৃতীয় একটা জিনিস ( এখন আমার মনে পড়ছেনা)। পরে হযরত আয়েশা বলেছিলেন যে আবু হুরায়রা ভুল শুনেছিলেন, নবী মূলত বলেছিলেন যে এটা আগের যমানার মানুষের ধারণা ছিল। আবু হুরায়রা বর্ণিত এমন আরও কিছু হাদীসের ভুল আয়েশা ধরেছিলেন। আরেকটি উদাহরণ দেই, ইবনে উমর নবি থেকে হাদীস বয়ান করেন যে শিকার ও ভেড়া পাহাড়া দেয়ার কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পালা নিষেধ, কিন্তু পরে যখন একজন বলে দিল যে আবু হুরায়রা তৃতীয় আরেকটি কাজ (জমি পাহাড়া) এর জন্যেও কুকুরের কথা বলেছেন তখন ইবনে উমর বলেছিলেন যে আল্লাহ আবু হুরায়রাকে মাফ করুন, নিজের জমি আছে বলে আবু হুরায়রা এমন কথা বলেছেন। এদিকে অন্য হাদীসে আবার দেখা যায় ইবনে উমর নিজেই নাকি শুনতে ভুল করেছেন। উপরে মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দিলাম, এমন উদাহরণ আরও প্রচুর আছে। আর উদাহরণের কথা বাদ দিয়ে সরাসরি অন্য প্রমানও পাওয়া যায়। যেমন একই হাদীস একেক রাবী একেক ভাষায় বর্ণনা করেছেন। এ থেকেই বুঝা যায় তার কেউ হাদীস মুখস্ত করেন নাই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় একই হাদীসে কারও বর্ণনায় কিছু তথ্য বেশী পাওয়া যায়, অর্থাত অন্য রাবী নবীর বলা গুরুত্বপূর্ণ কিছু শব্দ ভুলে গিয়েছে বা শুনে নাই। এসবের বাইরে আবার হাদীসের মাঝে কন্ট্রাডিকশ্নের কোন অভাব নেই। কোথাও বলা আছে দাঁড়িয়ে পানি খেলে বমি করে ফেলে দিতে হবে আবার কোথাও বলা আছে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া জায়েজ।
২) উপরের পয়েন্টেই দেখালাম যে শুনা কথা ভুল হতেই পারে, তবু এই ব্যাপারটিকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে মাতনের উপর কোন গুরুত্ব না দিয়েই সনদের মাধ্যমে হাদীস সত্যায়ণ করা হয়, এটাই এই পদ্ধতির আরেকটি বড় ত্রুটি। মাতনে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলেই বুখারীর বইতে পর্যন্ত অনেক বড় বড় ঐতিহাসিক ভুল হাদীস স্থান পেয়েছে যেগুলো সনদে সহিহ।
৩) এই পোস্টের ১৭ নং মন্তব্যে ১,২,৩ পয়েন্ট করে এই ধরণের পদ্ধতির ভুল আরও পরিষ্কার করে দেখিয়েছি। বলেছি যে কেউ ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত মিথ্যা বলতেই পারে। সেই মিথ্যা ধরে ফেলার কোন উপায় বর্তমান হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতিতে নাই। তাই এই পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
রাতুলবিডি২ বলেছেন: Apnar kora ovizog ami vuli nai. othoba avoid korci na .
kintu jobab gulor jnno hadis shastrer conventional bishoy gulo analysis dorkar .
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৩
রাতুলবিডি২ বলেছেন: প্রাসংগিক অথচ বিক্ষিপ্ত কিছু বিষয় আলোচনা করে ধীরে ধীরে একটা প্রমাণের দিকে যাওয়া যেতে পারে, বর্তমান আলোচনায় তাই হচ্ছে বেশীর ভাগ সময়।
আবার শাস্ত্রীয় ভাবে একটা টেমপ্লেট প্রমাণ করে তার অধীনে অপর বিষয়গুলো প্রমাণ করা যায় । আমি প্রথমে সেভাবে যেতে চেয়েছিলাম।
তবে যে কোন ভাবেই আলোচনা চলতে পারে । আলোচনা চলতে থাকলে সব বিষয়ই আশা করি এসে যাবে।কোন একটা পদ্ধতি একটু দীর্ঘ হবে, অসুবিধা নেই খুব একটা । চলুক।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১২
রাতুলবিডি২ বলেছেন: কিছু অভিযোগের জবাব
কুকুর পালা : এ বিষয়ের বর্ণনাগুলো হাদীসবিদরা যত্ন করে সংরক্ষণ করাতে বর্তমাণে আপনি জানতে পারছেন কখন কুকুর পালবেন ! বর্ণনা (সনদ) গুলো ছাড়া আপনি এটা কি জানতে পারতেন ? আর গুলোকে বাদ দিয়ে কি নবীজীর নির্দেশ পর্যন্ত পৌছতে পারতেন ?
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৬
রাতুলবিডি২ বলেছেন: মাতনের উপর কোন গুরুত্ব না দিয়েই সনদের মাধ্যমে হাদীস সত্যায়ণ করা : বিষয়টা ঠিক বলেন নি। মতনেরও গুরুত্ব দেওয়া হয় । উলুমুল হাদীসের বইগুলো দয়া করে একটু পড়েন ।তর্খ করা সহজ হবে । আমার কষ্ট কিছু কমবে ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন: যে কেউ ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত মিথ্যা বলতেই পারে :
কথা ঠিক, কিন্তু এটা কি জানেন জীবনে একবারও কেউ মিথ্যা বলেছে প্রমান হলে সে হাদীস বর্ণনার অধিকার হাড়ায় ?
কোন মিথ্যাবাদীর হাদীস নেওয়া হয়না সেটা কি জানেন ?
৪২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: কিছু হাদীস ভুল দাবী করে আমি হাদীস সত্যায়ন পদ্ধতিকে ভুল দাবী করেছি। কিছু হাদীস যে ভুল সেটা তো হাদীস শাস্ত্রের সুত্র দিয়েই, শাস্ত্রবিদদের দারাই প্রমাণিত হয়েছে। সেটা তো পদ্ধতিটিকে আরো বেশী সঠিক প্রমাণ করে !
জেনে বা না জেনে মিথ্যাচার করলেন।
যে ভুল হাদীস গুলোর কথা বলেছি সেগুলো আপনাদের এই হাদীস সত্যায়ন পদ্ধতি ভুল বলেনা। এগুলো এতটাই ঐতিহাসিক সত্য যে এই হাদীসগুলোর মাতন (ইসনাদ নয়) আবারো বলছি এগুলো এতটাই ঐতিহাসিক সত্য যে এই হাদীসগুলোর মাতন এর কারণেই এগুলোকে সহিহ হবার পরেও শাস্ত্রবিদরা ভুল বলতে বাধ্য হচ্ছেন। এখানেই প্রশ্ন। হাদীসের বিশাল খন্ডে সবকিছুই ঐতিহাসিক নয়। তাই সেগুলো ইতিহাস দিয়ে ভুল প্রমানযোগ্য নয়। এতেই আপনারা নিজেদের সুবিধা মত আবারো সনদের দোহাই দিয়ে সহিহ বলে যাচ্ছেন। এই ভুল কোন ভাবেই পদ্ধটিকে সঠিক প্রমাণ করেনা, বরং বাতিল প্রমাণ করে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আপনি যে বর্ণনাগুলোকে ভুল বলছেন, তার বিপরীত বর্ণনা যা আপনার দৃষ্টিতেও সঠিক, তা আরো বেশী পরিমানে হাদীসের কিতাবগুলোতেই আছে । নাকি ভুল বললাম?
আর এই ভুল গুলোতো আপনার আগে শাস্ত্রবিদরাই চিন্হিত করেছেন!
নাকি বর্ণনা বাদ দেয়া কোন ইতিহাসবিদরা ?
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আর একটা বিষয় নিয়ে কনফিউশন হচ্ছে, আপনি " সহিহ হাদীস " বলতে কি বুঝাচ্ছেন, আর হাদীসবিদরা কি বুযান? দয়া করে বলবেন কি ?
৪৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: মাতনের উপর কোন গুরুত্ব না দিয়েই সনদের মাধ্যমে হাদীস সত্যায়ণ করা : বিষয়টা ঠিক বলেন নি। মতনেরও গুরুত্ব দেওয়া হয় । উলুমুল হাদীসের বইগুলো দয়া করে একটু পড়েন ।তর্খ করা সহজ হবে । আমার কষ্ট কিছু কমবে ।
মাতনের ব্যাপারে যে একেবারেই গুরুত্ব দেয়া হয়না তা আমি বলিনি। কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক হলে হাদীস বাতিল হবে এ কথাই প্রমাণ করে যে মাতনেরও গুরুত্ব দেয়া হয়। তবে সেটা খুবই খুবই কম। মাতনের গুরুত্ব কতটুকু দেয়া হয় তা আমি পরের মন্তব্যে উল্লেখ করব। আমার ধারণায় ভুল থাকলে তখন ধরিয়ে দিয়েন।
আর একটা বিষয় নিয়ে কনফিউশন হচ্ছে, আপনি " সহিহ হাদীস " বলতে কি বুঝাচ্ছেন, আর হাদীসবিদরা কি বুযান? দয়া করে বলবেন কি ?
হাদীসবিদরা যা বুঝান আমি সহিহ হাদীস বলতে তাই বুঝি। কোন হাদীস ন্যূনতম একটি আনব্রোকেন চেইন অব নেরেটরের মাধ্যমে নবী পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেই তাকে সহিহ হাদীস বলা হয়।
কুকুর পালা : এ বিষয়ের বর্ণনাগুলো হাদীসবিদরা যত্ন করে সংরক্ষণ করাতে বর্তমাণে আপনি জানতে পারছেন কখন কুকুর পালবেন ! বর্ণনা (সনদ) গুলো ছাড়া আপনি এটা কি জানতে পারতেন ? আর গুলোকে বাদ দিয়ে কি নবীজীর নির্দেশ পর্যন্ত পৌছতে পারতেন ?
কুকুর পালা এমন কোন ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় যে তার জন্য হাদীস লাগবে। হাদীসেই আছে ধর্মীয় ব্যাপার বাদে অন্য বিষয়ে নবীর নির্দেশ মানার কোন প্রয়োজন নেই। এর আগেও মানুষ কুকুর পেলেছে আর এর পরেও কুকুর পালছে। আর নিরীহ কুকুরকে বিনা কারণে মেরে ফেলতে হবে এমন জঘণ্য হাদীস আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি, নবী এমন কথা বলেছেন আমি এটা কক্ষণই বিশ্বাস করিনা। আপনি নিজে জীবনে কয়টি কালো কুকুর মেরেছেন?
যে কেউ ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত মিথ্যা বলতেই পারে :
কথা ঠিক, কিন্তু এটা কি জানেন জীবনে একবারও কেউ মিথ্যা বলেছে প্রমান হলে সে হাদীস বর্ণনার অধিকার হাড়ায় ?
কোন মিথ্যাবাদীর হাদীস নেওয়া হয়না সেটা কি জানেন ?
হ্যাঁ জানি। আর সে কারণেই আপনাদের উচিৎ আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত সকল হাদীস প্রত্যাখ্যান করা। Click This Link এই পোস্টে প্রমাণ করেছি হয় হযরত আবু হুরায়রা মিথ্যা বলেছেন অথবা হযরত আবু হুরায়রার স্মৃতিশক্তি নির্ভরযোগ্য ছিলনা। তাই শর্ত অনুযায়ী হযরত আবু হুরায়রার বলা হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়।
৪৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি যে বর্ণনাগুলোকে ভুল বলছেন, তার বিপরীত বর্ণনা যা আপনার দৃষ্টিতেও সঠিক, তা আরো বেশী পরিমানে হাদীসের কিতাবগুলোতেই আছে । নাকি ভুল বললাম?
আর এই ভুল গুলোতো আপনার আগে শাস্ত্রবিদরাই চিন্হিত করেছেন!
নাকি বর্ণনা বাদ দেয়া কোন ইতিহাসবিদরা ?
এক্সেটলী, কিছুটা লাইনে এসেছেন! এই ভুলগুলো আমার আগে হাদীস শাস্ত্রবিদরাই চিহ্নিত করেছেন আর এর বিপরীত সঠিক বক্তব্য হাদীসের বইতেই আছে। শাস্ত্রবিদেরা এই ভুলগুলো কেন চিহ্নিত করেছেন আর অন্য অনেক ভুল কেন চিহ্নিত করেননি তার কারণগুলো এবার একটু চিন্তা করুন।
চিন্তা ১> শুধু সনদকে বিবেচ্য ধরলে ওই ভুল হাদীসগুলোও সহিহ হাদীস ছিল। কিন্তু উক্ত হাদীসগুলোকে ভুল সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে সনদ বাদ দিয়ে মাতন বিবেচ্য হয়েছে, কিন্তু কেন? কারণ অন্যত্র সহিহ সনদে ভুল হাদীসগুলো বর্ণিত একই বিষয়ে ঐতিহাসিকভাবে বেশী গ্রহণযোগ্য মাতনের হাদীস খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
চিন্তা ২> বেশ কিছু হাদীসে আবার সহিহ সনদে সম্পূর্ণ ভিন্নমতের হাদীস পাওয়ার পরেও আগের পয়েন্টে উল্লিখিত নিয়মানুসারে মাতনের ভিত্তিতে যেকোন একটি মতের হাদীসকে ভুল সাব্যস্ত করা হয়নি, কিন্তু কেন? কারণ এই হাদীসগুলোর বিষয়বস্তু ঐতিহাসিক নয় তাই কোন হাদীসটি ভুল তা আলেমরা নিশ্চিত হতে পারেননি। উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়ার হাদীসটি বলা যায়, এক হাদীসে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া জায়েজ আবার অন্য হাদীসে তা নিষেধ, দুটিই সহিহ হাদীস, কোনটি সঠিক?
চিন্তা ৩> বেশীরভাগ হাদীসের ক্ষেত্রেই উল্টো বা কন্ট্রাডিকটরী বিষয়ের কোন হাদীস নেই। তাই এসব হাদীস সহিহ ও সত্য বলেই বিবেচনা করা হয়েছে, মাতনে গুরুত্ব দেয়ার কোন প্রয়োজনই পড়েনি। কোরআনের সাথে চরমভাবে কন্ট্রাডিকশন পেলেই শুধু মাতনে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে অন্যথায় নয় আর আলেমদের বিবেচনায় কোরআন বিরোধী হাদীসের সংখ্যাও মাত্র কয়েকটি। বহু কোরআন বিরোধী হাদীসকে আলেমরা কোরআন বিরোধী মনে করেননা আর তার পেছনে গ্রহণযোগ্য যুক্তিও দেখাতে পারেননা। বেশীরভাগ হাদীসের বিষয়বস্তু কোরআনের বাইরে তাই কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক হবার প্রশ্নই আসেনা। এই ধরণের হাদীসের মাতন একেবারেই গুরুত্ব পায়নি, সনদই সর্বেসর্বা হয়েছে।
নিম্নোক্ত হাদীসগুলো মাতনের বিচারে চরম ভুল কিন্তু সনদের বিচারে সহিহ। হাদীস শাস্ত্রবিদগণ কিন্তু এর একটিকেও ভুল সাব্যস্ত করেননি। কারণ এগুলো ঐতিহাসিক বিষয় নয়, এগুলোর বিপরীতে ভিন্নমতের কোন হাদীস নেই, সর্বোপরি এগুলো বুঝার বিদ্যা (বিজ্ঞান) সম্পর্কে হাদীস শাস্ত্রবিদগণ ছিলেন একেবারেই অজ্ঞ। আপনার প্রতি প্রশ্নঃ আপনি এগুলোর কয়টি বিশ্বাস করেন?
১ বক্ষ বিদির্ন করে জ্ঞান ও বিশ্বাসের
পাত্র দান (Sahih Bukhari 8:345)
২ সূর্য প্রতি রাতে আল্লাহর আরশের
নিচে সেজদা দিতে থাকে (Sahih Bukhari
4:54:421 Sahih Muslim 1:297)
৩ চাঁদের নিজস্ব আলো আছে (Sahih Bukhari
4:54:422)
৪ চন্দ্র-সূর্যের গ্রহন ঘটে মানুষকে ভয়
পাওয়ানোর উদ্দেশ্যে (Sahih Bukhari
2:18:158)
৫ সাগর দাড়া পরিবেষ্টিত মহা বিশ্ব (Abu
Dawud 2:475)
৬ মহাবিশ্বের বাইরে বৃহদাকার ছাগল (Abu
Dawud 40:4705 )
৭ যৌনকর্মের সময় ‘আল্লাহর ইচ্ছা’ বললেই জন্ম
নেবে পুত্র সন্তান (Sahih Bukhari 4:52:74i)
৮ মানব ভ্রুণ ৪০ দিন অতিবাহিত
করে শুক্রবিন্দু রূপে ৪০ দিন রক্তপিন্ড রূপে ৪০
দিন মাংসপিন্ড রূপে (Sahih Bukhari
4:54:430, 4:55:549, 8:77:593, 9:93:546
Sahih Muslim 33:6390)
৯ মানব ভ্রুণ
ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তা নির্ধারিত হয়
১২০ দিন পর (Sahih Bukhari 8:77:594,
4:55:550 Sahih Muslim 33:6397)
১০ জন্মের পূর্বে কেউ
জানতে পারবে না সন্তান
ছেলে না মেয়ে (Sahih Bukhari 2:17:149)
১১ জন্মের সময় সন্তান কাঁদে শয়তানের
স্পর্শে (Sahih Bukhari 4:54:506)
১২ শরীরের জন্ম-দাগ খারাপ দৃষ্টির ফল
(Sahih Bukhari 7:71:635)
১৩ হাই আসে শয়তান থেকে (Sahih Bukhari
4:54:509)
১৪ রাতের বেলা নাকে শয়তান ঘুমায় (Sahih
Muslim 2:462)
১৫ অধিক ঘুমানোর কারন কানে শয়তানের মূত্র
ত্যাগ (Sahih Bukhari 2:21:245)
১৬ অমুসলিমের রয়েছে সাতটা অন্ত্র
(Intestine) আর মুসলিমের একটা (Sahih Muslim
23:5113 Al-Muwatta 49.49.69, 49.49.610)
১৭ পুরুষের থেকে নারীর বুদ্ধি কম হয় (Sahih
Bukhari 3:48:826, 2:24:541, 1:6:301)
১৮ কেউ জানতে পারবে না কখন
বৃষ্টি হবে (Sahih Bukhari 2:17:149)
১৯ সন্তানের চেহারা নির্ভর
করে বীর্যপাতের ওপর (Sahih Bukhari
55:546)
২০ চোখের দৃষ্টি নষ্ট করে ও গর্ভপাত ঘটায়
সাপ (Sahih Bukhari 54:527-528)
২১ প্রার্থনার সময় ওপর
দিকে তাকালে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়া (Sahih
Muslim 4:862-863)
২২ শীত গ্রীষ্ম হচ্ছে দোজখের নিশ্বাসের ফল
(Sahih Bukhari 54:482)
২৩ জ্বরের তাপ আসে দোজখের তেজ
থেকে (Sahih Bukhari 54:483-86)
২৪ কোন বস্তুর প্রতি ভালোবাসা অন্ধত্ব
এবং বধিরতার কারন (Abu Dawud 41:5111)
২৫ মৃত কুকুর বা রজ্বচক্রের রক্ত পানি দূষণ
ঘটায় না (Abu Dawud 1:63, 1:68 Sahih
Muslim 1:66, 1:67)
২৬ উটের মূত্র ওষুধ (Sahih Bukhari 7:71:590,
8:82:796 Sahih Muslim 16:4130)
২৭ মাছির পাখায় রোগের প্রতিকার (Sahih
Bukhari 4:54:537)
২৮ মোরগ এবং গাধা ডাকে ফেরেস্তা/শয়তান
দেখে (Sahih Bukhari 4:54:522, Sahih
Muslim 35:6581)
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
রাতুলবিডি২ বলেছেন: এক হাদীসে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া জায়েজ আবার অন্য হাদীসে তা নিষেধ, দুটিই সহিহ হাদীস, কোনটি সঠিক?
জনাব, দুইটি -ই সঠিক । দুইটি বিপরীত ধর্মী বিষয় একই সাথে -যুগপথ সত্য হওয়া খুবই সম্ভব । বিগ্গানের ছাত্র -গবেষক হিসেবে এ প্রশ্ন করা একান্তই বেমানান !
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আপনার প্রদত্ত বিশাল তালিকার বিষয়ে প্রশ্ন :
আপনার প্রতি প্রশ্নঃ আপনি এগুলোর কয়টি বিশ্বাস করেন?
উত্তর : প্রতিটি হাদীস - ই বিশ্বস করি ।
তবে আল্লাহ ও রসুলের দুশমণদের করা অনুবাদ ও দৃষ্টিভংগী উল্লেখ করে আপনি তাদের সাথে আপনার সখ্যতা ও তাদের বিশ্বাসের সাথে আপনার সাদৃশ্য -ই প্রকাশ করলেন ।
৪৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমার এতকিছু বলা আর এত আলোচনার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র একটি পয়েন্টের দিকে ইঙ্গিত করা, যা আপনি এখনো ধরতে পারছেননা। দেখুন হাদীস শাস্ত্রবিদগণ আমার আগেই হাদীসের ভুল বের করুক আর নাই করুক সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। বিবেচ্য হল সনদের ভিত্তিতে সহিহ হবার পরেও কোন হাদীস ভুল হতে পারে কিনা? আমাদের আলোচনায় এটা অন্তত স্বীকার করেছেন যে সনদে সহিহ হাদীসও ভুল হতে পারে। উপরে উল্লেখ করা বৈজ্ঞানিক ভাবে ভুল হাদীসগুলোও এই কথাই প্রমাণ করে। এর মানে দাঁড়ায় হাদীস সত্যায়ণ পদ্ধতিতে সনদই একমাত্র বিবেচ্য হতে পারেনা। মাতনেরও সমান ভূমিকা থাকা উচিৎ। বাকি অনেক হাদীসের ক্ষেত্রে আপনারা সনদে গুরুত্ব দিলেও মাতনে কেন গুরুত্ব দিচ্ছেন না? মাতনে গুরুত্ব না দেয়ার পেছনে আপনার যুক্তি কি?
সনদ সহিহ হলেই হাদীস সত্য হয়না, আপনি আমার এই ভিউপয়েন্টটা ইগনোর করে যাচ্ছেন। আপনি বুঝাতে চাইলেন যে সামগ্রিক ভাবে দেখলে যেহেতু হাদীসের সাহায্যেই ভুল হাদীসগুলো সনাক্ত করা যাচ্ছে তাই হাদীস সত্যায়নের এই পদ্ধতিটিই সঠিক। আপনার ভিউপয়েন্টের ত্রুটিটা আমি দেখিয়েছি। যেমন কন্ট্রাডিকটরী হাদীসগুলোর মাঝে কোনটি সঠিক আর কোনটি বেঠিক তা নির্ণয় করার উপায় এই পদ্ধতিতে নেই, অর্থাৎ হাদীসের সাহায্যেই ভুল হাদীস বের করা যাচ্ছেনা। বৈজ্ঞানিক ভাবে ভুল হাদীসগুলোর ব্যাপারেও কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা প্রদান করা মনে হয়না আপনার পক্ষে সম্ভব। এবার হয় আপনার ভিউপয়েন্টের এই ত্রুটিগুলো সারানোর বন্দোবস্ত করুন নাহয় আমার ভিউপয়েন্টে উত্তর দিন।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আমার এতকিছু বলা আর এত আলোচনার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র একটি পয়েন্টের দিকে ইঙ্গিত করা, যা আপনি এখনো ধরতে পারছেননা।
জনাব কি কানা না চোখে দেখেন না! ( কমেন্ট ৯ এর জবাব দেখেন না! )
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
রাতুলবিডি২ বলেছেন: এই পোষ্টেই হালি খানেক জায়গায় বললাম :
" বুখরীকে ভুলের উর্ধে মনে করি না "
এর পরও বলছেন :
সনদ সহিহ হলেই হাদীস সত্য হয়না, আপনি আমার এই ভিউপয়েন্টটা ইগনোর করে যাচ্ছেন।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
রাতুলবিডি২ বলেছেন: ২৮ - এ বললাম ( জবাবে)
আমরা তো শুধু বুখরীর কথার উপর ভিত্তি করে এটা বলিনা !
এর পরও আপনি বলছেন হাদীস ভুলের সম্ভবনাকে আমি নাকি ইগনোর করছি!
আমরা তো শুধু বুখরীর কথার উপর ভিত্তি করে এটা বলিনা ! - এ কথাটি চোখে দেখেন নি!
৪৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন: কয়টা কথা জানতে মন চায় :
১ বক্ষ বিদির্ন করে জ্ঞান ও বিশ্বাসের
পাত্র দান (Sahih Bukhari 8:345)
" জ্ঞান ও বিশ্বাসের পাত্র " বা " জ্ঞান ও বিশ্বাস " কি আপনি চোখে দেখেন ?
২ সূর্য প্রতি রাতে আল্লাহর আরশের
নিচে সেজদা দিতে থাকে (Sahih Bukhari
4:54:421 Sahih Muslim 1:297)
" আল্লাহর আরশ " দেখেছেন নাকি? নীচে দিয়ে বা আশে - পাশে ঘুরাঘুরি করেছেন নাকি ?
৩ চাঁদের নিজস্ব আলো আছে (Sahih Bukhari
4:54:422)
বুখরী শরীফ পড়ে নিজে অনুবাদ করতে পারেন ? না ইসলামের শত্রুদের অনুবাদ পড়েই সব বুঝে ফেলেন ?
৪ চন্দ্র-সূর্যের গ্রহন ঘটে মানুষকে ভয়
পাওয়ানোর উদ্দেশ্যে (Sahih Bukhari
2:18:158)
" চন্দ্র-সূর্যের গ্রহন ঘটে " - কার ইচ্ছায় ?
৫ সাগর দাড়া পরিবেষ্টিত মহা বিশ্ব (Abu
Dawud 2:475)
মাহাবিশ্বের শেষ মাথা পার হয়ে সফর - টফর করেছেন নাকি ? জনাব কি মেরাজের ঘোষনাও দিবেন নাকি ?
৬ মহাবিশ্বের বাইরে বৃহদাকার ছাগল (Abu
Dawud 40:4705 )
মাহাবিশ্বের শেষ মাথা পার হয়ে সফর - টফর করেছেন নাকি ? জনাব কি মেরাজের ঘোষনাও দিবেন নাকি ?
৭ যৌনকর্মের সময় ‘আল্লাহর ইচ্ছা’ বললেই জন্ম
নেবে পুত্র সন্তান (Sahih Bukhari 4:52:74i)
বুখরী শরীফ পড়ে নিজে অনুবাদ করতে পারেন ? না ইসলামের শত্রুদের অনুবাদ পড়েই সব বুঝে ফেলেন ?
৮ মানব ভ্রুণ ৪০ দিন অতিবাহিত
করে শুক্রবিন্দু রূপে ৪০ দিন রক্তপিন্ড রূপে ৪০
দিন মাংসপিন্ড রূপে (Sahih Bukhari
4:54:430, 4:55:549, 8:77:593, 9:93:546
Sahih Muslim 33:6390)
মানব ভ্রুণ ৪০ দিন অতিবাহিত
করে শুক্রবিন্দু রূপে ৪০ দিন রক্তপিন্ড রূপে ৪০
দিন মাংসপিন্ড রূপে - তাতে অসুবিধা কি ?
৯ মানব ভ্রুণ
ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তা নির্ধারিত হয়
১২০ দিন পর (Sahih Bukhari 8:77:594,
4:55:550 Sahih Muslim 33:6397)
জনাব কি রসুল থেকে অধিক জানার দাবী করেন ?
১০ জন্মের পূর্বে কেউ
জানতে পারবে না সন্তান
ছেলে না মেয়ে (Sahih Bukhari 2:17:149)
আপনি জানতে পারেন নাকি ?
১১ জন্মের সময় সন্তান কাঁদে শয়তানের
স্পর্শে (Sahih Bukhari 4:54:506)
শয়তানের স্পর্শ দেখার ক্ষমতাও আছে নাকি !
১২ শরীরের জন্ম-দাগ খারাপ দৃষ্টির ফল
(Sahih Bukhari 7:71:635)
খারাপ দৃষ্টির ফল দেখার ক্ষমতাও আছে নাকি জনাবের ?
১৩ হাই আসে শয়তান থেকে (Sahih Bukhari
4:54:509)
শয়তানের স্পর্শ দেখার ক্ষমতাও আছে নাকি জনাবের ?
১৪ রাতের বেলা নাকে শয়তান ঘুমায় (Sahih
Muslim 2:462)
শয়তানের স্পর্শ দেখার ক্ষমতাও আছে নাকি জনাবের ?
১৫ অধিক ঘুমানোর কারন কানে শয়তানের মূত্র
ত্যাগ (Sahih Bukhari 2:21:245)
শয়তানের স্পর্শ দেখার ক্ষমতাও আছে নাকি জনাবের ?
১৬ অমুসলিমের রয়েছে সাতটা অন্ত্র
(Intestine) আর মুসলিমের একটা (Sahih Muslim
23:5113 Al-Muwatta 49.49.69, 49.49.610)
হাদীস পড়ে অনুবাদ করতে পারেন ?
১৭ পুরুষের থেকে নারীর বুদ্ধি কম হয় (Sahih
Bukhari 3:48:826, 2:24:541, 1:6:301)
সন্দেহ আছে নাকি জনাবের ?
কাহিল লাগছে, আগে উপরের গুলোর জবাব দিন, নীচের গুলো বিষয়েও কথা আছে ।
১৮ কেউ জানতে পারবে না কখন
বৃষ্টি হবে (Sahih Bukhari 2:17:149)
১৯ সন্তানের চেহারা নির্ভর
করে বীর্যপাতের ওপর (Sahih Bukhari
55:546)
২০ চোখের দৃষ্টি নষ্ট করে ও গর্ভপাত ঘটায়
সাপ (Sahih Bukhari 54:527-528)
২১ প্রার্থনার সময় ওপর
দিকে তাকালে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়া (Sahih
Muslim 4:862-863)
২২ শীত গ্রীষ্ম হচ্ছে দোজখের নিশ্বাসের ফল
(Sahih Bukhari 54:482)
২৩ জ্বরের তাপ আসে দোজখের তেজ
থেকে (Sahih Bukhari 54:483-86)
২৪ কোন বস্তুর প্রতি ভালোবাসা অন্ধত্ব
এবং বধিরতার কারন (Abu Dawud 41:5111)
২৫ মৃত কুকুর বা রজ্বচক্রের রক্ত পানি দূষণ
ঘটায় না (Abu Dawud 1:63, 1:68 Sahih
Muslim 1:66, 1:67)
২৬ উটের মূত্র ওষুধ (Sahih Bukhari 7:71:590,
8:82:796 Sahih Muslim 16:4130)
২৭ মাছির পাখায় রোগের প্রতিকার (Sahih
Bukhari 4:54:537)
২৮ মোরগ এবং গাধা ডাকে ফেরেস্তা/শয়তান
দেখে (Sahih Bukhari 4:54:522, Sahih
Muslim 35:6581)
৪৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: এক হাদীসে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া জায়েজ আবার অন্য হাদীসে তা নিষেধ, দুটিই সহিহ হাদীস, কোনটি সঠিক?
জনাব, দুইটি -ই সঠিক । দুইটি বিপরীত ধর্মী বিষয় একই সাথে -যুগপথ সত্য হওয়া খুবই সম্ভব । বিগ্গানের ছাত্র -গবেষক হিসেবে এ প্রশ্ন করা একান্তই বেমানান !
হাসালেন দেখছি। যুক্তির কি নমুনা দেখালেন এটি? বিপরীত জিনিস আর সাংঘর্ষিক জিনিস এক কথা নয়। বিপরীত মানে opposite আর সাংঘর্ষিক মানে contradictory। চুম্বকের উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরু বিপরীত হলেও দুটিই সত্য, কিন্তু বিজ্ঞানে কখনো দুটি সাংঘর্ষিক ব্যাপার একই সাথে সত্য হতে পারেনা। খুন, ধর্ষণ সহ যেকোন অপরাধের শাস্তি একই সাথে মৃত্যুদন্ড আর বেকসুর খালাস হতে পারে কি? পারেনা, কারণ এদুটি সাংঘর্ষিক। আইনে অন্য বিপরীত অপশনস ঠিকই থাকতে পারে যেমন খুনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড হতে পারে আবার যাবজ্জীবণ হতে পারে, যেহেতু দুটি শাস্তি বিপরীত তবে সাংঘর্ষিক নয়। কিন্তু ভুলে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়ার পর আমি কি হাদীস অনুযায়ী বমি করে ফেলে দিব? নাকি এই হাদীসকে ভুল জেনে অন্য হাদীস অনুযায়ী বমি করা থেকে বিরত থাকব? এইখানে দুই হাদীস একইসাথে সত্য হয় কিভাবে? এদুটি হাদীসতো সাংঘর্ষিক।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪১
রাতুলবিডি২ বলেছেন: জনাব, দুইটি -ই সঠিক
- এটাই বুঝেন না, হাদীস বুঝবেন কিভাবে ???????????????
আলো কি কনা ? না তরংগ ?
৪৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: জনাব কি কানা না চোখে দেখেন না!
আমরা তো শুধু বুখরীর কথার উপর ভিত্তি করে এটা বলিনা !
এর পরও আপনি বলছেন হাদীস ভুলের সম্ভবনাকে আমি নাকি ইগনোর করছি!
আমরা তো শুধু বুখরীর কথার উপর ভিত্তি করে এটা বলিনা ! - এ কথাটি চোখে দেখেন নি!
----------------------------
জনাব আমি কানা নই। তবে আপনার নিজস্ব স্বীকারোক্তি অনুযায়ীই আপনি একটু কম বুঝেন। আপনি বুখারীকে ভুলের ঊর্ধে মনে করেননা সেটা অনেকবার বলেছেন কিন্তু আমি কি সেই কথা অস্বীকার করে কিছু বলেছি? না বুঝে খামাখা আমাকে কানা বলছেন কেন? আমি বলেছিঃ
সনদ সহিহ হলেই হাদীস সত্য হয়না, আপনি আমার এই ভিউপয়েন্টটা ইগনোর করে যাচ্ছেন।
এই কথার অর্থ এই নয় যে আপনি বুখারীকে ভুলের ঊর্ধে মনে করেননা। আপনার বোধশক্তি কম হওয়াতে আপনি সেটাই বুঝেছেন। এই কথা দিয়ে বরং আধুনিক হাদীস বিজ্ঞান যে সনদ নির্ভর ভুল নীতির উপর দাঁড়িয়ে আছে সেটা বুঝিয়েছি।
আমার কথার পরিষ্কার অর্থঃ হাদীস বিজ্ঞান অনুযায়ী সহিহ সনদ হলে সকল হাদীসই সত্য। তবে কয়েকটি হাদীস সহিহ সনদ হবার পরেও মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছে কারণ এগুলো ঐতিহাসিক সত্য। মিথ্যা হলেও এগুলো সহিহ হাদীস। একান্ত বাধ্য না হলে এগুলোকেও মিথ্যা বলতনা। বাকী সকল হাদীসের ক্ষেত্রে সনদ ছাড়া আর কোন কিছুই আমলে নেয়া হয়নি।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫১
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আমার কথার পরিষ্কার অর্থঃ হাদীস বিজ্ঞান অনুযায়ী সহিহ সনদ হলে সকল হাদীসই সত্য
সুবহানাল্লাহ !
মিথ্যা বলতে শরম লাগে না?
জনাব যে বেহায়ার মত মিথ্যা বলেন তা কষ্ট করে প্রমাণ করতে হল না, ধন্যবাদ !
হাদীস বিজ্ঞান আদৌ পড়েছেন ?
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০১
রাতুলবিডি২ বলেছেন: সনদ সহিহ হলেই হাদীস সত্য হয়না, আপনি আমার এই ভিউপয়েন্টটা ইগনোর করে যাচ্ছেন।
জনাবের জন্মের কমপক্ষে ২৪ পুরুষ পূর্বে ১২ শ বছর আগের গবেষকরাই বলে গেছেন " সনদ সহিহ হলেই ১০০ ভাগ নিশ্হাচয়তা দেয়া যায় না হাদীস সত্য "
কোন শাস্ত্র না পড়ে তা নিয়ে তর্ক করলে, তাকে জনাবের বিরল জবানীতেও বেকুব বা বলদ ছাড়া কিছু বলবেন তা অনুভুত হয় না!
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৫
রাতুলবিডি২ বলেছেন: জনাব কি পুরাটাই কানা নাকি ?
তাওয়াতুরের পর্যায়ে গেলেই হাদীস শাস্ত্র ১০০ ভাগ সত্যের নিশ্চয়তা দেয় - এটা দেখেন নি ?
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কি ব্লগে তর্ক করতে পারে ? বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ?
৪৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার কিছু কথা পড়ে হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম যে টাচ না করে পারলাম না।
২ সূর্য প্রতি রাতে আল্লাহর আরশের
নিচে সেজদা দিতে থাকে (Sahih Bukhari
4:54:421 Sahih Muslim 1:297)
" আল্লাহর আরশ " দেখেছেন নাকি? নীচে দিয়ে বা আশে - পাশে ঘুরাঘুরি করেছেন নাকি ?
আল্লাহর আরশ সাত আসমানের উপরে সিদরাতুল মুনতাহায়। আমাদের সূর্য্য আমাদের অতি নিকটে, সাত আসমান তো বহুদূর। সূর্যকে ২৪ ঘন্টাই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এটা স্থির না ডুবেও না ভাসেও না যে ডুবে গিয়ে আল্লাহর আরশের নিচে সচল অবস্থা থেকে স্থির হয়ে বসে থাকবে! কোরআনে সূর্য, এর আচরন ও এর গতিপথ নিয়ে সুন্দর সত্য বৈজ্ঞানিক বর্ণনা দেয়া আছে। হাদীসের মত এমন হাস্যকর মিথ্যা তথ্য দেয়া নাই।
৪ চন্দ্র-সূর্যের গ্রহন ঘটে মানুষকে ভয়
পাওয়ানোর উদ্দেশ্যে (Sahih Bukhari
2:18:158)
" চন্দ্র-সূর্যের গ্রহন ঘটে " - কার ইচ্ছায় ?
মানুষ হিসাব নিকাষ করে এখন বহুদিন আগেই নির্ণয় করতে পারে যে কখন চন্দ্র-সূর্যের গ্রহণ ঘটবে। গ্রহণ দেখে এখন শিশুও ভয় পায়না প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষ তো দূরের কথা। এককালে গ্রহণ দেখে মানুষ ভয় পেত সেই দিন আর নাই। আর আপনি বললেন কার ইচ্ছায় ঘটে! আরে বাবা আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে সেকথা অস্বীকার করেছি? কিন্তু মানুষকে ভয় পাওয়ানোর জন্যই যদি গ্রহণ ঘটে থাকে তাইলে তো বলতে হয় আল্লাহ ব্যর্থ (নাউযুবিল্লাহ)। মানুষ কি হিসাব করে বহুদিন আগেই গ্রহণের দিন ভয় পাওয়ার জন্য বসে থাকবে?
৮ মানব ভ্রুণ ৪০ দিন অতিবাহিত
করে শুক্রবিন্দু রূপে ৪০ দিন রক্তপিন্ড রূপে ৪০
দিন মাংসপিন্ড রূপে (Sahih Bukhari
4:54:430, 4:55:549, 8:77:593, 9:93:546
Sahih Muslim 33:6390)
মানব ভ্রুণ ৪০ দিন অতিবাহিত
করে শুক্রবিন্দু রূপে ৪০ দিন রক্তপিন্ড রূপে ৪০
দিন মাংসপিন্ড রূপে - তাতে অসুবিধা কি ?
হাহাপগে। ভাই মাদ্রাসায় পড়েছেন বলে কি সকলেই মাদ্রাসার ছাত্র? আপনি এইখানে অসুবিধা দেখেননা? আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে এখন মানব ভ্রুণের প্রতিটি মুহুর্তের ডেভেলপমেন্ট কিভাবে কিভাবে হয় তা মানুষের নখদর্পণে। আশ্চর্য্যের ব্যাপার হচ্ছে কোরআনের সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কার হুবুহু মিলে যায়। বিজ্ঞানীরা কোরআন পড়ে এত মিল দেখে অবাক হয়েছেন। আর এই হাদীস দেখলে থাবরা মেরে ছুঁড়ে ফেলে দিতেন। বিশ্বাস নাহলে খোঁজ নিন, ৪০ দিন পর তো ভ্রুণ বেশ বড় হয়ে যায় আর হাদীস বলে শুক্রবিন্দু! এই হাদীসের ভুল একেবারেই হাতেবাতে প্রমাণযোগ্য।
৯ মানব ভ্রুণ
ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তা নির্ধারিত হয়
১২০ দিন পর (Sahih Bukhari 8:77:594,
4:55:550 Sahih Muslim 33:6397)
জনাব কি রসুল থেকে অধিক জানার দাবী করেন ?
আবারো হাহাপগে। ছেলে না মেয়ে হবে তা প্রথম দিনেই প্রথম মুহুর্তেই নির্ধারিত হয়ে যায়। রাসূলের চেয়ে বেশী জানার দাবী করিনা, তবে রাসূলের নামে এই হাদীসটি যে গর্দভ বানিয়েছে তার চেয়ে ঢের বেশী জানি। আপনি বিশ্বাস না করলে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। ১২০ দিন তো অনেক দূরের পথ গর্ভধারণের কয়েকদিন পর স্যাম্পল নিয়ে আমি নিজেই আমার ল্যাবে জিন টেস্ট করে বলে দিতে পারি এটা ছেলে না মেয়ে হবে। তো এবার কি বলবেন? মানুষ কি আল্লাহর আগেই এই ব্যাপারে জেনে যায়? আল্লাহ মানুষের চেয়েও অক্ষম (নাউযুবিল্লাহ)?
১০ জন্মের পূর্বে কেউ
জানতে পারবে না সন্তান
ছেলে না মেয়ে (Sahih Bukhari 2:17:149)
আপনি জানতে পারেন নাকি ?
আপনি কি আল্ট্রাসনোগ্রামের নামটাও শুনেন নাই? এখন বাংলাদেশের সাধারণ গরীব মানুষও এই সুবিধা ভোগ করছে আর আপনি অন্ধকারের কোন অতল গহবরে তলিয়ে আছেন যে তা জানেননা? এখন সন্তান জন্মের আগে নিশ্চিত ভাবেই জানা যায় সন্তানটি ছেলে না মেয়ে। বিশ্বাস না হলে এক্ষুণি নিকটস্থ হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন!
১৬ অমুসলিমের রয়েছে সাতটা অন্ত্র
(Intestine) আর মুসলিমের একটা (Sahih Muslim
23:5113 Al-Muwatta 49.49.69, 49.49.610)
হাদীস পড়ে অনুবাদ করতে পারেন ?
অনুবাদে ভুল আছে? বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশন এর করা অনুবাদ ভুল? মাওলানা শায়খ আজিজুল হকের করা অনুবাদ ভুল? বিরাট বিরাট স্কলারের করা অনুবাদ যেগুলো অনলাইন ডাটাবেইজে দেয়া আছে সেগুলো ভুল? আপনিই বলে দিন অনুবাদে কোন জায়গায় ভুল?
আপনি যে এতটা অজ্ঞ জানা ছিলনা। তাই শয়তান সম্পর্কিত হাদীসগুলোতে আপনার অন্ধবিশ্বাস নির্ভর যুক্তির পিঠে আর কথা বললাম না। কারণ শয়তানের পেশাব খুঁজতে বললে আপনি সেটা অদৃশ্য পেশাব ধরে নিয়ে সেটা গায়ে মেখেই নামাজ পড়তে যাবেন।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
রাতুলবিডি২ বলেছেন: যুক্তি তর্কের সাহস থাকলে উত্তর দিতেন, উত্তর তো একটারও দিতে পারলেন না ?
৫০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ইমাম গাজ্জালীর একটা কথা খুব মনে পড়ছেঃ
“যদি আমাকে ঈর্ষা থেকে প্রশ্ন করো, আমি এর উত্তর দেব না। কারণ ঈর্ষার কোনো শেষ নেই। কেউ যদি মূর্খতা থেকে প্রশ্ন করে, আমি তারও উত্তর দিব না। কারণ হযরত ঈসা (আঃ) অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করতে পেরেছিলেন, কিন্তু বোকাকে বুদ্ধিমান করতে পারেননি। আর যে সূক্ষ্ম জিনিস বোঝে না,তাকে বোঝাতে গিয়ে আমি কখনো পণ্ডশ্রম করব না।
আমি শুধু তাদের সঙ্গেই বিতর্কে যাবো, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেব, যারা বুদ্ধিমান এবং সূক্ষ্ম জিনিস বোঝার আগ্রহ আছে।'' ----ইমাম গাজ্জালী
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
রাতুলবিডি২ বলেছেন: কি বুঝালেন ?
জনাবের ব্লগ পড়ার রুচী কোনদিন হয়নি, অনেকের লেখই পড়ি, আগ্রহ নিয়েই পড়ি । তা জনাবকে ইর্ষা করার মত কোন মহান কিছু নজরে আসছে না!
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
রাতুলবিডি২ বলেছেন: মাত্র ৩/৪ দিন আগে প্রথম কিছু পোষ্ট পড়ার দূর্লভ ভাগ্য অর্জিত হয়েছে । এছাড়া আদৌ কোনদিন লেখা পড়েছি বলে মনে আসছে না!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: হ্যা, রাতুলভাই বলুন। শুধু একটা অনুরোধ, অন দ্য টপিক টু দ্য পয়েন্ট আলোচনা করবেন। হাদীস শাস্ত্র কতটা সতর্কতার সহিত সংকলিত হয়েছে সেই আলোচনা যদি করতেই চান তবে আমার দেখানো ত্রুটিগুলোর জবাব আগে দিয়ে তারপর করবেন। ধন্যবাদ।