![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাটি চালান তখনই দিতে হয়, যখন চোর ধরার বৈজ্ঞানিক সব কৌশল অকেজো হয়ে যায়
বাংলাদেশের মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর (BNP, BAL, জামাতে ইসলাম) মাঝে এখন চলছে কে কত আমেরিকা, ভারত, রাশিয়ার দালালি/ সেবাদাসত্ব করতে পারে তার প্রতিযোগিতা, এই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় দেশের সর্বনাশ হলেও তাতে বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই তাদের। সাম্রাজ্যবাদীদের আনুগত্য কে কত বেশি করতে পারবে তার উপরই নির্ভর করবে আগামি নির্বাচনে কে পরাশক্তির আনুকূল্য পাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনুকুল্য এবং কৃপা লাভের জন্য দেশের প্রধান দুটি দল যেভাবে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে তাতে আবারো প্রমানিত হল এ দেশের শাসকগোষ্ঠী যতোই জনগণের কথা বলুক না কেন তাদের মূল কাজ হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদীদের সেবাদাসত্ব করে ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদনের প্রয়াস চালানো। আর হাসিনা সরকারও বিদেশি প্রভুদের আনুগত্য করতে পিছিয়ে নেই। তিনি ভারতের দালালীতে ১০০ তে ১০০০ নম্বর পেয়ে গেছেন, ভারতকে ট্রানজিট, ট্র্ন্সশিপমেন্ট সবই দিলেন, বন্দর ব্যাবহারের সুবিধা দিলেন, ভারতের কোম্পানি সাহারার সাথে বাংলাদেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগের অবৈধ সুযোগ দিলেন, ভারতের একজিম ব্যাংক থেকে উচ্চ হারে ঋণ নিলেন, ভারতের কোম্পানির সাথে এইতো কিছুদিন আগে রামপালে তাপ বিদ্দুতকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার চুক্তি করলেন যার ফলে সুন্দরবন ধংসের আশংকা দেখা দিয়েছে!
এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেবা দাসত্ব হাসিনা সরকারও কম করছেনা। উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পি এস সি) মাধ্যমে হাসিনা সরকার দেশের ৮০% গ্যাসের মালিকানা সাম্রাজ্যবাদীদের বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দিয়েছেন! বাংলাদেশের তেল গ্যাস এখন মার্কিন কোম্পানি শেভ্রন, কনকোফিলিপ্স , ব্রিটিশ কোম্পানি তাল্লো, কেয়ারন্স, সান্তোস এর দখলে। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এভাবে বিদেশিদের লুণ্ঠনের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছেন হাসিনা! এখন আবার ফুলবাড়ির কয়লা এশিয়া এনার্জির মাধ্যমে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করছেন এই সরকার!!মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে টিকফা চুক্তি সাক্ষরের কাছাকাছি চলে এসেছেন এই সরকার। আকসা চুক্তির ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। সন্ত্রাস দমন, আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্ত এবং এসব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের কাজে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দেয়ার নামে বাংলাদেশে এফবিআই’র একজন স্থায়ী প্রতিনিধি নিয়োগ দানে ইতোমধ্যেই সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তি করেছে। মূলত এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ্যে কোন আন্দোলন প্রতিরোধের যাবতীয় কৌশল প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্যই এফবিআই’র স্থায়ী প্রতিনিধি কাজ করবেন। এভাবে হাসিনার লীগও আমেরিকার আনুগত্য বজায় রেখেই দেশ চালাচ্ছেন। কে কত বেশি মার্কিন দাসত্ব বরণ করতে পারেন তার নির্লজ্জ খেলা দেখতে হচ্ছে আমাদের। স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযদ্ধের চেতনা সবই এখানে মুখের বুলি”!
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সমাজপরিবর্তনের রাজণৈতিক-সামাজিক শক্তিকে অবশ্বা গ্লোবাল ইম্পেরিয়ালিজম এবং গ্লোবাল ক্যাপিটালিজম এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে, অবস্থান নিতে হবে তাদের দেশিয় এজেন্সির বিরুদ্ধে। সেই শক্তি জামাত, বিএনপি-আলীগ কেউ তো নয়ই, এমনকি শাহবাগ চত্তর ও সেই শক্তি নয়।
আমাদের সেই গনশক্তির জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে এবং সেই শক্তি গঠনে মনোনিবেশ করতে হবে
( collected )
©somewhere in net ltd.