![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দুজন রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনি, সিভিলিয়ানরা নয়
আমাদের দেশের রাজনীতি মূলত ষড়যন্ত্রের। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যদি দেখি তা হলে দেখব, পশ্চিমা শাসকরা পূর্বের সাধারণ মানুষ ও রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ভুড়িভুড়ি খুন এবং ষড়যন্ত্র করেছে। জিন্নাহকে চিকিৎসা বঞ্চিত করে মেরে ফেলাও সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা দের ই ইচ্ছার ফলাফল ছিল। পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রকারীও সেনাবাহিনিই।
১৯৭২ সাল থেকে সে ষড়যন্ত্র নতুন রূপ লাভ করে। ১৯৭২ সাল থেকেই বঙ্গবন্ধু সরকারকে উতখাতের ষড়যন্ত্র শুরু হয় আর তা করে সেনাবাহিনি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
১৯৭৫ এর মার্চের মাঝামাঝি কোন এক রাতে গোলাসহ ৬ টি ট্যাংক বিশেষ ট্রেনযোগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জীবন্ত গোলাবর্ষণের মহড়ার জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। মেজর ফারুকের উপর দায়িত্ব ছিল সেগুলো ট্রেনে উঠানোর তদারকের। গভীর রাতে ফারুক মেজর নাসিরের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বলেন ট্যাংকগুলো না পাঠিয়ে সে রাতেই তিনি অভ্যুত্থান ঘটাতে চান। নাসিরের সমর্থন চাওয়ার কারণ বেঙ্গল ল্যান্সারস এর প্রায় চারশ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক ছিল যারা নাসিরের নির্দেশ মেনে নেবে।
নাসির খালেদ মোশাররফকে জানান এবং তিনি ফারুককে নিবৃত্ত করেন এবং হুমকি প্রদান করেন।
সেই রাতে ফারুকের এই আচরণের পরেও তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা তৎকালীন সেনাপ্রধানকে কিংবা গোয়েন্দাপ্রধানকেও জানান কিনা তার তথ্য সন্দেহাতীত। অথচ পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম কারিগর এই ফারুকই।
বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম বেনিফিসিয়ারি জেনারেল জিয়া। তাকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয় এবং হত্যা করা হয়। সেখানে এরশাদও পিছপা হয়নি সেই ষড়যন্ত্রে যোগ দিতে অথচ সে ই ছিল জিয়ার ডেপুটি।তেমনি জিয়া হত্যারও অন্যতম বেনিফিসিয়ারি ছিল এরশাদ।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। জিয়ার হত্যার বিচারে খালেদা জিয়া উদ্যোগ নেন নি , এরশাদের বিচারই মেনে নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা এখন ক্ষমতায় ঠিক কিন্তু তারও চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে।নিরাপত্তা বলয়ে থাকলেও কি ঘটে তার নিশ্চয়তা নেই কেননা পূর্ব অভিজ্ঞতা যথেষ্টই খারাপ।
ক্ষমতায় গিয়ে আমজনতাকে উপেক্ষা করে সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে তোষণ কোন সুবিধা দেয়না ।অনেকটা খাল কেটে কুমির আনার মতো।
ইতিহাস বলে , আমাদের রাজনীতিকরা ক্ষমতায় এসেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সেই সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। আর ষড়যন্ত্র শুরু হয় ওই মহল থেকেই। জননেতাদের বারবার এই ভুল এটিচিউডের কারণ ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। হয়তো তখনই রচিত হয় আরেকটি কলংকিত ইতিহাসের ভিত্তিপ্রস্তর।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৫
রায়ান কামাল বলেছেন: আর ষড়যন্ত্রকারীরাও কমন !!
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:২৬
রাফা বলেছেন: তাই বলে পুরো সেনাবাহিনি'কে দায়ি করা কি উচিত হবেে !জিয়ার মত কিছু উচ্চাভিলাসী সেনা কর্মকর্তার জন্যই বার বার এমন ঘটণা দেখতে হয় আমাদের।আমরা অহংকার করার মত সেনাবাহিনি দেখতে চাই ভবিষ্যত বাংলাদেশে।আশা করি তারা আমাদের মুখোমুখি নয় পাশাপাশি অবদান রাখবে দেশ-গড়ায়।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪
শরনার্থী বলেছেন: আপডেটঃ
জার্মান প্রবাসে- 1305
অগ্নি সারথির ব্লগ- 217
ইস্টিশন ব্লগ- 147
প্রবীর বিধানের ব্লগ- 57
ইতুর ব্লগ- 23
অসম ব্যবধান শুরু হয়েছে মোটামুটি। প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগের সাথে লড়াই করে যাওয়াটা বেশ দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। আবারো আপনাদের ভোট দেবার অনুরোধ করছি। প্লিজ আপনারা ভোট দিন।
ভোট দিতে যা করতে হবেঃ
প্রথমে https://thebobs.com/bengali/ এই ঠিকানায় যেতে হবে। এরপর আপনার ফেসবুক আইডি দিয়ে লগইন করুন। লগইন হয়ে গেলে বাছাই করুন অংশে ক্লিক করুন। ক্লিক করে ইউজার অ্যাওয়ার্ড বাংলা সিলেক্ট করুন। এরপর মনোনীতদের একজনকে বেছে নিন অংশে ক্লিক করে, অগ্নি সারথির ব্লগ সিলেক্ট করুন। এরপর ভোট দিন বাটনে ক্লিক করে কনফার্মেশন পেয়ে গেলেই আপনি সফল ভাবে আমাকে ভোট প্রদান করে ফেলেছেন। এভাবে ২৪ ঘন্টা পরপর মে ২, ২০১৬ পর্যন্ত ভোট দেয়া যাবে।
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮
বেলের শরবত বলেছেন: ভগ্নিসারথি নামে এক মহাকাঙাল আছে এই ব্লগে। কেমনে জানি জায়গা পাইছে বুবস.কমে সেরা ব্লগে। বাস, দুনিয়াটা ভাইঙা পরছে ফকিন্নিটার মাথায়, বুটের জন্য এমনে কাঙালিপনা কোথাও দেখি নাই্ জাতীয় ইলেকশন বাদে। মাল্টি খুইল্ল্যা সেইটা দিয়াও জায়গায় জায়গায় ল্যাদাইতে ল্যাদাইতে ভরায়া ফালাইতাছে বুটের জন্য। পাত্তা না পায়া এখন শুরু করছে জার্মানপ্রবাসের নামে কুৎসা গাওয়া।
হালা ফকিন্নি।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১২
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আমাদের দেশে ক্ষমতার খুঁটি হচ্ছে লাশ।