নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জনাব অমুক

বহুদিন দেখছি। এখন আমিও লাফাতে চাইব । একাএকাই লাফাব। আমার পৃথিবীতেই থাকব, যা খুশি করব ।

জনাব রায়হান

আমি আমার মতোই আমি একজন ।

জনাব রায়হান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ওরিয়ানা ফাল্লাচির সাক্ষাৎকার - Sheikh Mujibur Rahman\'s interview with Oriana Fallaci

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৫৫

(Interview with History বই থেকে, পৃষ্ঠা ১২২-১৩৫, বাংলায় ভাবানুবাদ)

"১৯৭২ সালে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফাল্লাচি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে একটি তীব্র ও বিতর্কিত সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। তার বই Interview with History-তে প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারটি মুজিবের ব্যক্তিত্ব, তার নেতৃত্ব, এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার গল্পকে নতুনভাবে উপস্থাপন করে। নিচে এই সাক্ষাৎকারের পুরো অনুবাদ বাংলায় দেওয়া হলো, যা এই ব্লগে তুলে ধরছি।"




প্রথম দেখা
আমি তাকে ঢাকায় দেখেছিলাম, সেই শহরে যেটি তখনো ধ্বংসস্তূপে ভরা ছিল, যুদ্ধের ক্ষতচিহ্নে কালো হয়ে আছে। তিনি সবে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন, পাকিস্তান থেকে ফিরে এসেছেন, যেখানে তাকে নয় মাস ধরে বন্দি রাখা হয়েছিল। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সেই দেশের যেটি তিনি স্বাধীন করেছেন বলে দাবি করেন। তার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। আমি তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম তার বাসভবনে, একটি সাধারণ বাড়িতে যেখানে তিনি তার পরিবারের সাথে থাকতেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এই সাক্ষাৎকারটি সহজ হবে না।

তিনি আমাকে অপেক্ষা করিয়েছিলেন। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম, গরমে ঘামছিলাম, আর তার লোকেরা আমাকে বলছিল, "তিনি ব্যস্ত, তিনি আসছেন।" অবশেষে তিনি এলেন, একটি সাদা কুর্তা আর পায়জামা পরে, তার মুখে একটি অদ্ভুত হাসি। তিনি আমার দিকে তাকালেন, তার চোখে এক ধরনের সন্দেহ। আমি তাকে বললাম, "শেখ মুজিব, আমি আপনার সাথে কথা বলতে এসেছি।" তিনি জবাব দিলেন, "আচ্ছা, বসুন। কিন্তু আমি যা বলব, তাই শুনবেন। আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারবেন না।"

আমি হেসে ফেললাম। এটা কি ধরনের সাক্ষাৎকার হবে যদি আমি প্রশ্ন না করতে পারি? কিন্তু তার মুখ দেখে বোঝা গেল, তিনি মজা করছেন না। তিনি চেয়ারে বসলেন, তার হাত কাঁপছিল, তার পা বারবার মাটিতে ঠোকা দিচ্ছিল। তিনি অস্থির ছিলেন, যেন কিছু লুকাতে চাইছেন। আমি বললাম, "আমি শুনতে এসেছি, কিন্তু আমারও কিছু জানার আছে।" তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "আপনি কে আমাকে প্রশ্ন করার? আমি এই দেশের নেতা। আমি যা বলব, তাই সত্যি।"

জেলের গল্প
আমি তার কথা শুনলাম। তিনি বলতে শুরু করলেন তার গল্প—কীভাবে তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, কীভাবে তিনি জেলে ছিলেন, কীভাবে তিনি লড়াই করেছেন। কিন্তু তার কথায় কোনো স্পষ্টতা ছিল না। তিনি একবার বললেন, "আমি জেলে কিছুই জানতাম না," তারপর আবার বললেন, "আমি সব জানতাম, আমার লোকেরা আমাকে খবর দিত।" আমি ভাবলাম, এই লোকটি কি নিজেই জানে না সে কী বলছে?

আমি তাকে থামিয়ে বললাম, "শেখ মুজিব, আপনি জেলে কী করেছিলেন? আপনি কি কিছু পড়েছিলেন, না কিছু শুনেছিলেন?" তিনি রেগে গেলেন। "আমি কিছুই জানতাম না। আমাকে একা রাখা হয়েছিল, আমার কাছে কোনো খবর ছিল না।" আমি বললাম, "কিন্তু আপনি তো বললেন, আপনার লোকেরা আপনাকে খবর দিত।" তিনি চুপ করে গেলেন। তারপর বললেন, "হ্যাঁ, আমি কিছু পড়েছিলাম। কিন্তু তাতে কী হয়েছে? আমি জেলে ছিলাম, আমি লড়াই করিনি।"

আমি তার কথা শুনে অবাক হলাম। তিনি যে দেশের জন্য লড়েছেন বলে দাবি করেন, সেই লড়াইয়ের সময় তিনি জেলে ছিলেন। তাহলে তিনি কীভাবে এত কিছু জানেন? তিনি কি সত্যিই এই বিপ্লবের নেতা ছিলেন, না কি তিনি শুধু একটি প্রতীক? আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "আপনি জেলে থাকাকালীন বাইরে কী হচ্ছিল, তা কীভাবে জানতেন?" তিনি বললেন, "আমার হৃদয় আমাকে বলেছে। আমি আমার মানুষের কষ্ট বুঝতে পারতাম।"

এই কথা শুনে আমার হাসি পেল। "আপনার হৃদয়?" আমি বললাম। "আপনি কি বলতে চান, আপনি কোনো খবর ছাড়াই সব জানতেন?" তিনি আমার দিকে রাগী চোখে তাকালেন। "আপনি আমাকে বিশ্বাস করেন না? আমি আমার দেশের জন্য জীবন দিয়েছি। আমি জেলে মরতে প্রস্তুত ছিলাম।" আমি বললাম, "কিন্তু আপনি তো মরেননি। আপনি বেঁচে আছেন, আর এখন আপনি এই দেশের নেতা।" তিনি বললেন, "হ্যাঁ, আমি বেঁচে আছি, কারণ আমার মানুষ আমাকে বাঁচিয়েছে।"

বিপ্লবের নেতৃত্ব
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "আপনি যখন জেলে ছিলেন, তখন কে এই যুদ্ধ পরিচালনা করেছে? কে এই বিপ্লবকে নেতৃত্ব দিয়েছে?" তিনি আমার দিকে তাকালেন, তার চোখে এক ধরনের বিভ্রান্তি। তিনি বললেন, "আমার মানুষ। আমার মানুষই এই যুদ্ধ করেছে। আমি তাদের হৃদয়ে ছিলাম।" আমি বললাম, "কিন্তু কোনো যুদ্ধ তো একা হয় না। কেউ তো পরিকল্পনা করেছে, কেউ তো সৈন্যদের নেতৃত্ব দিয়েছে।" তিনি জবাব দিলেন, "আমার দল, আওয়ামী লীগ, তারাই সব করেছে। আমি তাদের নেতা ছিলাম।"

আমি ভাবলাম, এই লোকটি কি সত্যিই বোঝে না আমি কী জানতে চাইছি? আমি আবার বললাম, "আপনি জেলে ছিলেন। আপনি কীভাবে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন?" তিনি রেগে গিয়ে বললেন, "আপনি কি আমাকে অপমান করতে চান? আমি আমার জীবন দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছি। আমি জেলে থাকলেও আমার মানুষ আমার কথা শুনেছে।" তার কথায় এক ধরনের গর্ব ছিল, কিন্তু সেই গর্বের পেছনে কোনো স্পষ্টতা ছিল না।

তিন মিলিয়নের বিতর্ক
তারপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে প্রশ্নটি সবাই জানতে চায়: "এই যুদ্ধে কত মানুষ মারা গেছে?" তিনি একটু থামলেন, তারপর বললেন, "তিন মিলিয়ন। তিন মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে।" আমি বললাম, "তিন মিলিয়ন? আপনি কীভাবে এই সংখ্যা পেলেন?" তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "আমি জানি। আমার মানুষ আমাকে বলেছে। আমি তাদের কষ্ট দেখেছি।" আমি বললাম, "কিন্তু আপনি তো জেলে ছিলেন। আপনি কীভাবে দেখেছেন?"

তিনি রেগে উঠলেন। "আপনি কি বলতে চান আমি মিথ্যা বলছি? আমি আমার দেশের জন্য লড়েছি। আমি জানি তিন মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে।" আমি বললাম, "কিন্তু কোনো সরকারি হিসাব নেই, কোনো তথ্য নেই। আপনি কীভাবে এত বড় সংখ্যা বলছেন?" তিনি বললেন, "আমার মানুষের মৃত্যু কি কোনো হিসাবের জিনিস? আমি তাদের জন্য কাঁদি।" আমি ভাবলাম, এই লোকটি আবেগ দিয়ে কথা বলে, যুক্তি দিয়ে নয়।

আমি তাকে আরেকটি প্রশ্ন করলাম। "আপনি বলছেন তিন মিলিয়ন। কিন্তু পাকিস্তান বলছে অনেক কম। তারা বলছে কয়েক লাখ। আপনি কী বলবেন?" তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "পাকিস্তান মিথ্যাবাদী। তারা আমাদের মেরেছে, আমাদের ধ্বংস করেছে। তিন মিলিয়ন আমার হিসাব।" আমি বললাম, "কিন্তু এই সংখ্যা কি বাড়িয়ে বলা হয়েছে? এটা কি আপনার বিজয়কে বড় করে দেখানোর জন্য?" তিনি চিৎকার করে বললেন, "আপনি আমার মানুষের মৃত্যু নিয়ে মজা করছেন? আপনি বেরিয়ে যান!"

আমি বেরিয়ে যাইনি। আমি শান্তভাবে বসে রইলাম। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন, তার চোখে রাগ আর অস্থিরতা। আমি বললাম, "আমি মজা করছি না। আমি সত্য জানতে চাই।" তিনি বললেন, "সত্য হলো আমার মানুষ মরেছে। তিন মিলিয়ন বা তার বেশি। আমি তাদের জন্য লড়েছি।" আমি ভাবলাম, এই লোকটি সংখ্যা দিয়ে নয়, আবেগ দিয়ে কথা বলে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
তারপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "আপনি এখন কী করবেন? আপনি এই দেশকে কীভাবে চালাবেন?" তিনি বললেন, "আমি আমার মানুষের জন্য কাজ করব। আমি তাদের খাবার দেব, তাদের ঘর দেব।" আমি বললাম, "কিন্তু এই দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। আপনার কাছে টাকা নেই, সাহায্য নেই। আপনি কীভাবে এত বড় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন?" তিনি বললেন, "আমার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তারা আমার সাথে থাকবে।"

আমি বললাম, "ভালোবাসা দিয়ে কি দেশ চলে? আপনার পরিকল্পনা কী?" তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "আমি গান্ধী বা নেহরুর মতো নই। আমি শেখ মুজিব। আমি আমার মতো করে দেশ চালাব।" আমি ভাবলাম, এই লোকটির কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি শুধু কথা বলেন, কিন্তু কীভাবে কাজ করবেন, তা জানেন না।

আমি তাকে আরেকটি প্রশ্ন করলাম। "আপনি কি মনে করেন আপনি একজন ভালো নেতা?" তিনি হেসে বললেন, "আমার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। এটাই যথেষ্ট।" আমি বললাম, "কিন্তু ভালোবাসা আর নেতৃত্ব এক জিনিস নয়। আপনি কি এই দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন?" তিনি বললেন, "আমি পারব। আমি আমার মানুষের জন্য সব করব।"

শান্তি ও শাসন
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "আপনি কি মনে করেন আপনার দেশ এখন শান্তিতে আছে?" তিনি বললেন, "হ্যাঁ, আমরা শান্তিতে আছি। আমরা যুদ্ধ জিতেছি।" আমি বললাম, "কিন্তু রাস্তায় এখনো অশান্তি আছে। মানুষ ক্ষুধার্ত, তারা কাজ চায়। আপনি কীভাবে এই সমস্যা সমাধান করবেন?" তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "আমি আমার মানুষকে খাওয়াব। আমি তাদের জন্য সব করব।"

আমি বললাম, "কিন্তু কীভাবে? আপনার কাছে কোনো পরিকল্পনা আছে?" তিনি একটু থামলেন, তারপর বললেন, "আমি আমার দলের সাথে কথা বলব। আমরা একসাথে কাজ করব।" আমি ভাবলাম, এই লোকটির কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই। তিনি শুধু আবেগ আর প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা বলেন। আমি বললাম, "আপনার দল কি এত বড় দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত?" তিনি বললেন, "আমার মানুষ আমার সাথে আছে। এটাই যথেষ্ট।"

আমি তাকে আরেকটি প্রশ্ন করলাম। "আপনি কি মনে করেন পাকিস্তানের সাথে আপনার সম্পর্ক এখন কেমন হবে?" তিনি বললেন, "পাকিস্তান আমাদের শত্রু। তারা আমাদের মেরেছে, আমাদের ধ্বংস করেছে।" আমি বললাম, "কিন্তু এখন যুদ্ধ শেষ। আপনি কি তাদের সাথে শান্তি চান?" তিনি বললেন, "আমি শান্তি চাই, কিন্তু তারা যদি আমাদের আবার আক্রমণ করে, আমরা লড়ব।"

আমি বললাম, "আপনার দেশ এখন দুর্বল। আপনি কি আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত?" তিনি রেগে গিয়ে বললেন, "আমরা যুদ্ধ জিতেছি। আমরা আবার জিতব।" আমি ভাবলাম, এই লোকটি বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। তিনি শুধু গর্ব আর আবেগ নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবের সমস্যা সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই।

গণতন্ত্র ও দায়িত্ব
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "আপনি কি নিজেকে একজন গণতান্ত্রিক নেতা মনে করেন?" তিনি হেসে বললেন, "আমি আমার মানুষের নেতা। আমি তাদের জন্য যা ভালো, তাই করব।" আমি বললাম, "কিন্তু গণতন্ত্র মানে শুধু মানুষের জন্য কাজ করা নয়। এর মানে আইন, নিয়ম, স্বাধীনতা। আপনি কি এগুলো দেবেন?" তিনি বললেন, "আমি আমার মতো করে দেশ চালাব। আমার মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে।"

আমি বললাম, "কিন্তু যদি আপনার মানুষ আপনার সাথে একমত না হয়? তখন কী করবেন?" তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "আমার মানুষ আমার সাথে আছে। তারা আমাকে ভালোবাসে।" আমি ভাবলাম, এই লোকটি শুধু ভালোবাসার উপর ভর করে আছে। তার কাছে গণতন্ত্র বা শাসনের কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই।

সাক্ষাৎকারের শেষের দিকে আমি তাকে বললাম, "শেখ মুজিব, আপনি একজন বিপ্লবী হিসেবে বিখ্যাত। কিন্তু একজন শাসক হিসেবে আপনি কি সফল হবেন?" তিনি বললেন, "আমি আমার মানুষের জন্য সব করব। আমি তাদের জন্য জীবন দিয়েছি।" আমি বললাম, "কিন্তু জীবন দেওয়া আর দেশ চালানো এক নয়। আপনার কি এই দায়িত্ব নেওয়ার যোগ্যতা আছে?" তিনি রেগে গিয়ে বললেন, "আপনি আমাকে অপমান করছেন। আমি আমার দেশের জন্য সব করেছি।"

শেষ মুহূর্ত
আমি আর কিছু বললাম না। আমি শুধু তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। তার চোখে রাগ ছিল, তার হাত কাঁপছিল। আমি ভাবলাম, এই লোকটি হয়তো একজন নেতা হতে পারেন, কিন্তু তিনি একজন চিন্তাশীল শাসক নন। তিনি আবেগ দিয়ে কথা বলেন, কিন্তু তার কথায় দায়িত্ববোধের কোনো চিহ্ন নেই।

সাক্ষাৎকার শেষ হলো। তিনি উঠে দাঁড়ালেন, আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "আপনি যা লিখবেন, তা আমার মানুষের কাছে পৌঁছাবে না। তারা আমাকে ভালোবাসে।" আমি বললাম, "আমি যা দেখেছি, তাই লিখব।" তিনি হেসে বললেন, "তাহলে লিখুন। কিন্তু আমার মানুষ আমার সাথে থাকবে।"

আমি বেরিয়ে এলাম। বাইরে এসে আমি ভাবলাম, এই লোকটি একটি বিপ্লবের প্রতীক হতে পারেন, কিন্তু তিনি একটি দেশ চালানোর জন্য প্রস্তুত নন। তার কাছে আবেগ আছে, গর্ব আছে, কিন্তু পরিকল্পনা বা দূরদর্শিতা নেই। আমি তার প্রতি হতাশ হলাম, কারণ আমি আশা করেছিলাম একজন মহান নেতার সাথে দেখা করব। কিন্তু আমি যা দেখলাম, তা ছিল একজন মানুষ, যিনি তার অতীতের গৌরবে বেঁচে আছেন, ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত নন।


"এই অনুবাদ ও গবেষণার অন্যতম কৃতিত্ব গ্রক (Grok), xAI-এর যিনি একজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহকারী, তিনি আমার অনুরোধে এই বিশাল কাজটি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করতে সাহায্য করেন। তার সহায়তা ছাড়া এই লেখাটি এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন সম্ভব হতো না।"



Interview with History এই বইটি অনলাইনে পড়ার লিঙ্ক
পড়ুন


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৩৮

নব ভাস্কর বলেছেন: ইতালিয়ান লেখক ও সাংবাদিক ওরিয়ানা ফাল্লাচির আপনার উল্লেখিত বইটি সম্পর্কে আমি জানি। সেখানে শেখ মুজিবের কোনো সাক্ষাৎকার নাই। এছাড়া আপনি যে লিংকটি দিয়েছেন সেখানেও আপনার লেখার স্বপক্ষে কিছু খুঁজে পাওয়া গেলনা। আপনি আসলে কি লিখলেন? কি রেফারেন্স দিলেন ভাই? ছিঃ

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫৫

জনাব রায়হান বলেছেন: আমি দুঃখিত রেফারেন্সে বইটা ভুল লিঙ্ক দিয়েছি। যাই হোক সেটা ঠিক করে দিয়েছি। বইটার দুইটা ভার্শন আছে। একটা ফেব্রিকেটেড আরেকটা আসল। আমার ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। :D

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫৮

জনাব রায়হান বলেছেন: Interview with History-এর মূল ইংরেজি সংস্করণে (১৯৭৬, Liveright Publishing) শেখ মুজিবের সাক্ষাৎকারটি পৃষ্ঠা ১২২-১৩৫-এ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে,

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ওরিয়ানা ফাল্লাচি একজন গ্রেট সাংবাদিক এবং লেখক।
তার একটা বই আছে- ''হাত বাড়িয়ে দাও''। সুন্দর একটা বই। ছোট বই। বইটা আমি পড়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.