![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-মি. ব্যম্বো।
নদী তীরে বটগাছের নিচে দুজনে বসে,মেয়েটা হঠাৎ বলে ওঠে।
আজ আর ছেলেটা কপট রাগেনা।নিশ্চুপ অপলক একদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই বলে
-হুম বলো।
মেয়েটি বলে যদি আমি হারাই ওই শুভ্র মেঘদলের সাথে, কি হবে তখন?
ছেলেটি মনে মনে ভীষন কেঁদে উঠে,বলে আমায় ছেড়ে যেওনা কখনও,আমি পারবনা,পারবেনা এই ব্যাম্বো তোমায় ছেড়ে থাকতে।ছেলেটি সেগুলোর কিছুই না বলে হেসে বলে কি আর হবে,পট্যাটোর জ্বালায় ব্যাম্বো এমনিতে অস্থির,এরপর পট্যাটো মেঘ হয়ে গেলে,কারনে অকারনে বৃষ্টি হয়ে সবাইকে ভিজিয়ে মারবে।
শুনে মেয়েটির কি অভিমান।দেখে ছেলেটা তড়িঘড়ি বলে উঠে না না মিস.পট্যাটো কি এরকম?
-সেতো মেঘরানী হয়ে নীলাকাশে ভেসে বেরাবে।শুনে মেয়েটির মুখে আবারো সেই ভূবন ভোলানো মিষ্টি হাসিটা ঝরে পড়ে।
আসলে কিন্তু মেয়েটি বুঝতে পারে ছেলেটির মনের কথা,সুপ্ত সে ব্যথা।কিন্তু কি লাভ বুঝে।
অসম্ভব বঝাবুঝির নিশ্চুপ বেদনার চাইতে,অবুঝ মনে এই দুমূহুর্তের আনন্দটুকুই অনেক।অনেক কিছুই পেয়েও হয়না পাওয়া,আবার না পেয়েও কেমন যেনো পেয়ে যাওয়া।এই বুঝি হয় নিয়তির খেলা।
-মেয়েটি বলে আমি মেঘ হলে,আপনি ডালপালা ছড়িয়ে বিশাল বটগাছ হয়ে থাকবেন,কখনো ভীষন ক্লান্ত হয়ে এলে আপনার শাখায় নেমে এসে দুদন্ড বিশ্রাম নেবো।বলেই,সে মায়াবী হাসি দিয়ে ছেলেটির দিকে তাকায়।ছেলেটি বলে ইশ সখ কত,এসে আমাকে ভিজিয়ে দিতে?
-মেয়েটি বলে না না আমি তা কখনই করবনা।
-ছেলেটি বলে,সত্যি?
মেয়েটি বলে একসত্যি,দুইসত্যি,তিনসত্যি।ছেলেটি নীরব কষ্টের মাঝেও যেনো একটু হেসে ফেলে।
একটু পর মেয়েটি বলে আছা,আমাকে এখন যেতে হবে।
আপনি কি আমার সাথে যাবেন?ছেলেটি আনমনা হয়ে থাকে আরেকদিকে।আশা করছিল মায়াবতী তার হাতটুকু হয়তো একটু ছুয়ে দেবে।মেয়েটি আর কিছু বলেনা দেখে,ছেলেটি হাতের মুঠো খুলে একটি ছোট্ট রঙ্গিন প্রজাপতি আর নদীতীরের সেই সুন্দর ফুলটা মেয়েটির হাতে বাড়িয়ে দেয়।এরপর বলে তুমি বাসায় যাও,আমি পরে যাবো।মেয়েটি কিছু না বলে উঠে চলে যায়,কিই বা বলেবে?
ছেলেটিও উঠে নদীতীরে কাশবনের দিকে হাটতে থাকে।মেয়েটি সেদিকে একটু খানি দেখে,ফিরে বাড়ীর পথ ধরে।
মি. ব্যাম্বো আর মিস. পট্যাটো হারিয়ে যায় হুইজন দুই দিকে...
ছেলেটি হাটতে থাকে।মেয়েটি পায়নি দেখতে,যে ছেলেটি তার চোখের পানি ঠেকাতে কত কিছুই না করেছে,আজ সে ছেলেটির চোখে অথৈ জলের সমুদ্র,মনে মনে ছেলেটি তীব্র নীরবতায় ঢুকরে কেঁদে ওঠে,তার নীলপরী হয়তো এসে আলতো হাতে মুছে দেবে সে পানি,কিন্তু সত্য হলো সে জল কেউ মুছতে যায়না।
ছেলেটি হয়তো মনে মনে বটগাছ হয়েই থাকে,মায়াবতী সে শুভ্র হাস্যপ্রতিমা মেঘের জন্যি।যে মেঘ তাকে সুখের বর্ষনে ভেজাবে সারাক্ষন।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
রাজু মাষ্টার বলেছেন: লাইফ হ্যায় তো এয়সা
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৫৮
গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: