নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অচেনা পথে একলা পথিক........

রাজু মাষ্টার

মন খুলে হাসতে ভালবাসি......হাসাতে ভালোবাসি.....কিন্তু সব শেষে নিরব নিসঙ্গতায় ভাসি...

রাজু মাষ্টার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়াবতী তুমি

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০৫

মায়াবতী



কোথায় তুমি?ওই দূর নীলাকাশে,না অন্য কোথাও?তোমাকে যে খুঁজে বেড়াই প্রতিনিয়ত।তুমি কি আমায় খুঁজে বেড়াও?যেমন আমি তোমাকে?মনে হয়না!হুম বুঝতে পারি আমি।তুমি যদি আমায় খুজতে,তাহলে আমার দক্ষিনা বাতাস এতো নির্জীব প্রানহীন হতোনা।যদি তুমি আমাকে খুঁজতে তাহলে নিশ্চয়ই দক্ষিনা বাতাস প্রতি সন্ধায় উৎফুল্ল হয়ে এসে আমার কানে জানান দিত,সে থাকত সবসময় প্রানবন্ত চঞ্চল।তোমার কারনে আজ দক্ষিনা মৃদুমন্দ হাওয়াও আমার সাথে কথা কয়না।তুমি এতো স্বার্থপর কেনো?আমায় খুঁজতে কি তোমার এতোই অপারগতা?আমায় খুঁজতে কি তোমার ইচ্ছে হয়না?



কেমন আছো?জানিনা।তবে সবসময় ই তোমার ভালো কামনা করি।সুখের আবেশ যেনো ঘিরে রাখে সারাক্ষন তোমাকে এই কামনায় হয় আমার দিনের শুরু রাতের শেষ।তোমার কষ্ট,সে যে অমান্যকর এক ভাবনা।যাহোক জীবন একটি দুপিঠে পয়সা,যার এপিঠে সুখ ওপিঠে দুঃখ।যখনি ভাবি তোমার কোনো দুঃখ হচ্ছে নাতো,তখনি জানো আমারও খুব কান্না পায়।খুব কষ্ট লাগে।ইচ্ছে করে কেঁদেকেটে সবকিছু ভাসিয়ে দেই।দুমড়ে মুচড়ে ছিন্নভিন্ন করে দেই তোমার সকল কষ্ট।আর সে তুমি কেনো এতো পাষান,এতো নির্বিকার থাকো আমি বুঝতে পারিনা।



মাঝে মাঝে খুব অভিমান হয়,ভাবি কেনো আমি ভাবব তোমার কথা যে আমাকে ভাবেনা এক মুহুর্ত ও?কেনো আমি তোমার খবর পাওয়ার জন্যি হাওয়ায় কান পেতে রইব সারাক্ষন?না একদম না,আমি কিছুতেই আর তোমাকে ভাববনা,তোমার সাথে আমার খুব আড়ি।অভিমানে ঠোঁট ফোলাব শিশুর মতো।তখন ওই দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে নিশ্চুপ কাঁদব।উদাস হয়ে তাকিয়ে থাকব ওই দূর দিগন্তে।



খুব অভিমান হয়,সে অভিমান ভাঙ্গাতে আসোনা যে তুমি।তবু যেনো কিসের এক আশায় তোমার আগমন পথে চেয়ে অপেক্ষা করি আমি।সময় বয়ে চলে যায়।তুমি যে আর আসোনা।দৃষ্টি ঝাপসা হয় একসময়,আর অভিমান বদলে চলে আসে একরাশ চাপা কান্না।



মন সেতো মুক্ত এক পাখি, প্রত্যাশায়।তাই একটু পর আবার কেনো জানি খুব খুশি হয়ে যাই আমি।মনে হয় এই বুঝি আমায় খুজলে তুমি।দুজনে দক্ষিনা হাওয়ায় কান পেতে ফিসফিস করছি।দক্ষিনা মৃদু হাওয়া আমাদের ফিস্ফিসানির জন্যি হয়ে ওঠে দুরন্ত চঞ্চল হরিনী।একবার ছুটে যায় তোমার পানে,আরেকবার আমার পানে।



তখন কেমন যেনো এক স্বপ্নের আবেশে হারিয়ে যাই আমি,অনেক স্বপ্নের মাঝে,প্রিয় সে স্বপ্নটা আবারো উঁকি দেয় মনে।জানো কি সে স্বপ্ন?



দুজনে মিলে হাটছি কোনো এক পথে হাতে হাত ধরে।তুমি শক্ত হাতে আমার হাতটি ধরে,পরম নির্ভরতায় লাজুক চোখে তাকাও আমার দিকে।আমার জীবনের সকল পুর্নতা আর প্রাপ্তি যেনো এক হয়ে যায় সেসময় তোমার ওই মায়াময় চোখ দুটির দিকে তাকিয়ে।আমি পুলকিত হয়ে,দুষ্টামি করে কাছে টানার চেষ্টা করি তোমাকে,তুমি রক্তিম আভায় শোভিত মায়াবতী এক পরী হয়ে যাও লজ্জায়।আমি দেখি আর হাসি।আমার একমাত্র দেবী প্রতীমার সলাজ ওই মায়াময় মুখ।এভাবেই চলতে থাকে আমাদের খুনসুটি।



হঠাৎ মেঘের ডাক শোনা যায়,বৃষ্টি এলো বলে।তুমি হয়ে যাও উতলা।বৃষ্টি যে তোমার খুব প্রিয়।তুমি দৌড়ে চলে যাও খোলা আকাশের নিচে।অবিরাম বৃষ্টিতে ভিজবে বলে।বৃষ্টি এলে তুমি আমার হাত ধরে টানতে থাকো,আমাকে নিয়ে ভিজবে বলে,আমি কপট ভয় পাবার ভান করি।না না বলে উঠি।বৃষ্টি থেকে বাঁচতে এক পাশে সরে যাই।দেখে তুমি একটু মন খারাপ করো।আসলে বৃষ্টি আমিও খুব ভালোবাসি।কিন্তু তোমাকে জানাইনি।তুমি মন খারাপ করে অন্য একদিকে তাকিয়ে থাকো মলিন মুখে দাঁড়িয়ে।আমি চুপচাপ দেখি আর মুখ টিপে হাসি।কিছুক্ষন পর চুপিসারে আমি বৃষ্টিতে নেমে এক আজলা পানি নিয়ে তোমার দিকে ছুঁড়ে দেই।তুমি ফিরে অবাক হয়ে দেখো যে,আমি বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে,তোমার দিকে হাত বাড়িয়ে।তুমি তখন কিযে খুশি হও।মেঘের পরের রংধনুর মত,ভুবন ভোলানো মিষ্টি হাসিটা তোমার ঠোঁটে উঁকি দেয়।আমি দুচোখ ভরে দেখি।দুরন্ত মেয়ের মত লাফিয়ে আমার পাশে চলে আসো তুমি।একহাতে আমার হাতটি ধরে থাকো বৃষ্টির মধ্যে,আরেক হাতে বৃষ্টির পানি নিয়ে খেলা করো,আমার দিকে ছুঁড়ে মারো।আমি কপট রেগে তোমাকে দৌড়ানি দেই।তুমিও কপট ভয়ে দৌড় দাও।আমি তোমাকে ধরে ফেলি।এরপর দুজনে মিলে একসঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে হেটে কোন আশ্রয়ের নিচে দাড়াই।এরপর তুমি চুলের পানি ঝরাতে ব্যাস্ত হও।তখন তোমাকে লাগে আকাশের সবটুকু নীলে ভরা,ঠিক যেনো এক নীলপরীর মতো।আমি নীরবে চেয়ে থাকি তোমার দিকে,আমার প্রানের স্পন্দন নীলপরীটার দিকে।ইচ্ছে হয় এ চেয়ে থাকা যেনো কখনোই শেষ না হয়।



বৃষ্টি একদম পছন্দ নয় তোমার জানি।তবু নীলপরী তোমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে এই ছোট্ট একটা স্বপ্ন খুব শখ করে দেখি।তোমার স্বপ্নেই আমি আমার জগত সাজাই,তোমার ইচ্ছেতেই আমি ইচ্ছাপূরণের দেশে বিচরন করি সারাবেলা।শুধুমাত্র এই একটি স্বপ্ন আমি দেখি শুধু একটিবারের জন্যি,যা আমার অনেকদিনের স্বপ্ন ছিলো শুধু তোমায় নিয়ে।কারন তুমি ই যে আমার একমাত্র রাজকন্যা এবং যার হাত ধরে আসবে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একমাত্র মুল্যবান সম্পদ সেই লাল টুকটুকে ছোট্ট একটা নীলপরী রাজকন্যা যে হাতছানি দিয়ে যায় আমার প্রতিটি স্বপ্নে যার জন্য তুচ্ছ করতে পারি আমি আমার জীবনের সবকিছু।



তুমি মাঝে মাঝে বলতে যে তোমার মন ভালো নেই।জানো আমার মনটাও যেনো সাথে সাথে খুব খারাপ হয়ে যায়।আমার সর্বকামনার হাস্যময় মায়াবতীর মন খারাপ যে!তুমি অনেক কষ্ট পাও,ভারী হয়ে থাকে তোমার মন।কিছুতেই যেনো তোমার আহ্লাদিত হয়না মন তোমার।আমি খুব চেষ্টা করি তুমি যেনো কান্না না করো আমি তখনি তোমাকে গান শোনাই কবিতা মজার কথা বলি,বলি অনেক হাসির কথা।তুমি একসময় সে মায়াময় হাসিতে হেসে ওঠো।কি অপার আনন্দে ভেসে যাই আমি বুঝাতে পারবনা।তুমি ফোন রাখতে চাও,অনেক কথা হলো বলে।অবুঝ আমি অনেক সময় ই বুঝতামনা তোমার সীমাবদ্ধতা।বুঝবো কি করে বলো,তোমার ওই মায়াময় কন্ঠ যে আমার রাতের ঘুম পাড়ানী গান।তুমি একটু হেসে আবার কথা বলতে।



আর মাঝে মাঝে একটা স্বপ্নটা আমি মনের গোপনে চাইতাম ভবিষৎ এর জন্যি।তাহলো কথা বলার পর আমি হেসে বলতে চাইতাম,-আমার পাওনা কই?তুমি জেনেও অবাক হবার ভান করে হয়ত বলতে হেসে,কি?কি পাওনা?আমি তখন আরো হেসে ফেলতাম।বলতাম,তাড়াতাড়ি করো কেউ দেখে ফেলবে।এই আমি চোখ বন্ধ করলাম।তখন তুমি বলতে না,না আমি পারবনা।আমি কন্ঠে অভিমান লুকাতাম।কিন্তু তুমি হয়তো বুঝে ফেলতে,আরেকটু বুঝি মায়াবতী হয়ে যেতে।এরপর তুমি লাজুক হেসে হয়তো বলতে,আচ্ছা ঠিক আছে একবার,তুমি কান বন্ধ করো।আমি আরো দ্বিগুন হাসি দিয়ে বলতাম,আচ্ছা এই আমি চোখ বন্ধ করলাম।প্রিয়তমার মুখের সেই তিনটি শব্দের জন্যি প্রিয় যেভাবে অপেক্ষায় ক্ষন গুনে,আমিও যেনো তেমন হয়ে যেতাম।তুমি তোমার ওই মায়াবী কন্ঠে হয়তো বলে দিতে,কিন্তু তুমি বলতে কি জানো?বলতে আমি তোমার প্রানের স্পন্দন হয়ে স্পন্দিত হব প্রতিটি মুহুর্ত।সত্যি বলছি সারাজীবনের সব প্রাপ্তি হয়তো এই একবারের একটি কথাতেই আমার পুর্নতায় ভরে যেতো।



কিন্তু স্বপ্ন,সেতো জগতের সবচেয়ে বড় খুনি।যার হাতে আমি খুন হই প্রতিটি মুহুর্ত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.