![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নতুন সর্বদা----
ভিক্ষুক নিধনঃ
আওয়ামীলীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে ও পরে দেশের মানুষকে অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখিয়েছে। অনেক অবাস্তব- পাগলামো কথা বার্তা বলেছে।
সে গুলোর একটা হল- বাংলাদেশকে ভিক্ষুক মুক্ত করা। শুধু মাত্র ঢাকা শহরেই আছে ৪০০০০ (চল্লিশ হাজার) ভিক্ষুক বা তারও বেশি। (বিবিসি- ২০০৯)। আর ২০০২ সালের এক সমীক্ষা অনুসারে সারা দেশে ভিক্ষুক ৭০০০০০ (সাত লক্ষ) বা তার চেয়েও বেশি। এক যুগ আগেই যদি সাত লক্ষ হয়, তবে তা নিশ্চিত এখন আরও বেড়েছে।
তা সেই brute majority পাওয়া সরকার একটা সপ্নময় কিন্তু বাস্তবায়ন যোগ্য নয় এমন একটা পরিকল্পনা করে যে, ৫ বছরের মধ্যে ঢাকা এবং অন্যান্য metropoliton শহর গুলোকে ভিক্ষুক মুক্ত করবে। এমনকি একটা আইন করারও পরিকল্পনা হয় যে প্রকাশ্যে ভিক্ষে করলে তিন মাসের জেল।
২০০১১ সালের মাথায় এসে সরকার একটা সমীক্ষার উদ্যোগ নেয়। এই সমীক্ষায় সরকার ভিক্ষুকদের একটা শ্রেণী বিন্যাস করার চেষ্টা করে- seasonal or irregular, disabled, women অথবা children.
সে সময়ের সমাজ কল্যান মন্ত্রী এনামুল হোক বলেন যে সমীক্ষার উদ্দেশ্য ভিক্ষুকদের তাড়ানো নয় বরং তাদের সাহায্য করা। তিনি বলেন- যারা নিজ নিজ গ্রামে ফিরে যেতে চায় তাদের আমরা সাহায্য করব। বলা বাহুল্য যে সরকারের এসব প্রচেষ্টা পুরোটাই মুখ থুবড়ে পরেছে। ব্যর্থ হয়েছে। এটাই হওয়ার কথা ছিল অবশ্য !!
মনে করিয়ে দেই, ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের এই প্রচেষ্টা আরও একবার হয়েছিল আশির দশকে, এরশাদের সময়। তখন বিশেষ ভাবে তৈরি কতগুলো গ্রামে ভিক্ষুকদেরকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। যদি ভুল না করি, এমন আবাসন প্রকল্পকে বলা হত-'গুচ্ছ গ্রাম'। তবে, দীর্ঘ মেয়াদে এই প্রকল্পও ভিক্ষুক কমানোতে বা দারিদ্র বিমোচনে কোন মনে রাখার মত উপকার করেনি।
এখন ২০১৪ সাল। সেটাও শেষের পথে। বড় বড় বুলি আওড়ানো আর তার বাস্তবায়ন যে এক কথা নয় সেটা এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়। সাত থেকে দশ লক্ষ ভিক্ষুক যে দেশে আছে, সেই দেশের মানুষের কি তুচ্ছ সব ব্যাপার নিয়ে লম্ফ ঝম্ফ করা উচিৎ? আর, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কি উচিৎ দম্ভোক্তি করা ?
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮
খেলাঘর বলেছেন:
শেখ হাসিনা নিজেই ভিক্ষুক।
শেখ সাহেব স্বাধীন বাংলাদেশের নামে প্রথম ভিক্ষা করেছেন।