![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নতুন সর্বদা----
সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অনাকাঙ্খিত ঘটনার জেরে এবার 'খোলা চিঠি' লিখলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ।এবার শাবি ছাত্রলীগ সভাপতির খোলা চিঠি
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো খোলা চিঠিতে তিনি শাবিতে ২০ নভেম্বরের ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতাকে দায়ী করেছেন।
একই ইস্যুতে আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে 'চ্যালেঞ্জ' করেন। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরও উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্রলীগ বনাম আওয়ামী লীগ ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হওয়ায় দলের তৃণমূল পর্যায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
গত রোববার প্রথমে নগরীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রলীগ সভাপতি দাবিদার হুসাইন মোহাম্মদ সাগর প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে 'কারও মুখের দিকে না তাকিয়ে' প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে শাবিতে ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হুসাইন মোহাম্মদ সাগরসহ দু'জনকে আজ মঙ্গলবার গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
খোলা চিঠিতে শাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম উল্লেখ না করলেও সমকালের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সিলেটের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা তো একজনই আছেন। আমার তো নাম বলার প্রয়োজন নেই। আর মহানগরের নেতা কে, তাও তো আপনারা জানেন।
খোলা চিঠিতে সঞ্জীবন চক্রবর্তী আওয়ামী লীগের নেতাদের দায়ী করে লিখেছেন, ওই নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদেই উত্তম ও অঞ্জন গং সন্ত্রাসীরা সেদিন তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। আর তাদের গুলিতেই সেদিন এক বহিরাগত সন্ত্রাসী নিহত হয়। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সংঘর্ষে নিহত সুমন চন্দ্র দাসের নিজস্ব আইডিতে তাকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকার ছবি দেখা গেছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও সিলেট জেলা সভাপতি আবদুজ জহির চৌধুরীর সঙ্গেও নিহত সুমনের ছবি রয়েছে।
খোলা চিঠিতে সঞ্জীবন চক্রবর্তী লিখেছেন, আওয়ামী লীগের এই মহলটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তর করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বর্তমান কমিটিকে দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়ার আশঙ্কায় আওয়ামী লীগের এই মহলটি বর্তমান কমিটিকে অচল করার জন্য নানা ধরনের অপকৌশল করে চলছে। বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা উত্তম দাস হত্যা চেষ্টা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিতে নীরব ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সুত্রঃ সমকাল
©somewhere in net ltd.