![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Hafizur Rahman Rick
১।
শ্রাবণ মাস।চরিদিকে থই থই পানি।উঁচু সড়কে দাড়ালে দেখা যায় বিলের পানিতে ঢেউ এর খেলা আর সেই ঢেউয়ের তালে নাচতে থাকা কচুরিপানা।সবুজের উপরে সাদা,গোলাপী আর নীল রঙে মিশ্রিত কচুরিফুল আর শাপলা হেলেন্ঞা মিলে সমগ্র বিলে এক নৈস্বর্গীক পরিবেশের সৃষ্টি করেছে।যতদূরে চোখ যায় ততই বিধাতার বিশালতার আর সৃষ্টিশীলতার স্বরূপ প্রমাণিত হয়।
বিলের সেই বিশালতার মাঝে ছোট দ্বিপের মত ছায়ানিবিড় একটি গ্রাম।পাঁচটি পাড়ায় গোটা বিশেক বাড়ি,আর তার মাঝে ছেচল্লিশটি ঘর এবং প্রতিটি ঘরে সুখ, দুঃখ, আদর , মমতা, প্রেম -ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস-অবিশ্বাস, বিরহ , বেদনা, মূর্খতা, অন্ধ বিশ্বাস, লোভ, পাপ, হিংসা-বিদ্বেষ, আলো, আঁধার সবকিছুই রয়েছে এবং দিন, মাস আর বছরের প্রত্যাবর্তনে স্বাভাবিক নিয়মে সবকিছুই প্রত্যাবর্তীত হয় সেখানে।প্রায় প্রতিটি দোচালা ঘরেই অভাব নিত্যসঙ্গী।
বর্ষাকালে ঘরের সেঁত সেঁতে মাটির মেঝেতে দেখা যায় সাপ কেঁচোর অবাধ বিচরনের দাগ। কখনো গভীর রাতে সন্তানের গাঁ হাতরে দেখতে গিয়ে সাপ ধরে ফেলেন মা।মুড়ির পাত্রে পিঁপড়া আর গুড়ের উপর মাছির ঝাক।মেঝের গর্ত থেকে লাফিয়ে উঠে ব্যাঙ।বর্ষার পানিতে ক্ষয়ে যাওয়া হাত পায়ের আঙুল।এসবই গ্রামবাংলার নিত্যপরিচিত পরিচিতি। যে পরিচিতি থেকেও রেহাই পায়নি বাড়ইতলী নামের সেই ছোট গ্রামটি।
কথিত আছে প্রায় দুই শ বছর আগে বাড়ই বাবা নামের এক সন্ন্যাসী এসে প্রথম আস্তানা গাড়ে এই ছোট ঝারের মত গ্রামটিতে।তখন সেখানে কোন মানুষের বসবাস ছিলো না।বিলের মাঝে ছোট একটা জঙ্গলের মত ছিলো জায়গা টা।আশেপাশের গ্রামের কৃষকরা বিলে কাজে আসলেও ভুলেও এই জঙ্গলের দিকে পাঁ বাড়াতো না।তাদের বিশ্বাস ছিলো এই জঙ্গলে জ্বীন পরীর আছর রয়েছে।তার পেছনে যথেষ্ঠ কারণও ছিলো।শোনা যায় ঐ জঙ্গলে যারা একবার ঢুকেছে তারা আর জীবিত ফিরে আসে নি।তাছারা ঐ জঙ্গলে যে বড় করই গাছগুলো ছিলো তা নিয়েও মতভেদ ছিলো।কারও মতে ১৫৬টি আবার কারওমতে ২৫৬টি।আবার কেউ কেউ বলতো দিনে ১৫৬টি গাছ থাকে আর রাতে ২৫৬টি।
যাইহোক,বাড়ই বাবা নিরব একটি জায়গা পেয়ে একান্তে ধ্যানে বসতেন সেখানে।ধীরে ধীরে লোকে জানতে পারে সেই সন্ন্যাসী এবং তার ক্ষমতা সম্বন্ধে।তখন জমিদার হেমন্ত মানিক্যের ছেলে ইন্দ্র মানিক্যের জটিল এক অসুখ ধরেছিলো।লোকে বলতো পরীর আছর পড়েছে।সন্ন্যাসীর সুনাম শুনে জমিদার সন্তানকে নিয়ে তার দ্বারস্থ হলেন।সন্ন্যাসীর মন্ত্রে রোগমুক্তি হলে জমিদার বাবু সন্ন্যাসীর সেবার জন্য কিছু প্রজা নিয়োগ দেন।সন্ন্যাসীর মৃত্যুর পরে সেই প্রজারাই সেখানে স্থায়ী বসতি গড়ে তোলে এবং কালক্রমে তাদের বংশধরেরাই বর্তমান বাড়ইতলী গ্রামের অধিবাসী।
একসময় অনেক হিন্দু পরিবার বসত করতো সেখানে,কিন্তু দেশ ভাগের সময় তারা কলকাতায় পাড়ি জমিয়েছিলো।এখনও দক্ষিন পাড়ায় কিছু হিন্দু পরিবার বাস করে।দক্ষিন পাড়াকে তাই সবাই কাপালি পাড়া বলেই চিনে।ধর্মে পার্থক্য থাকলেও এই গ্রামের প্রতিটি মানুষের মধ্যেই আছে প্রীতি আর সৌহার্দ্যবোধ।গ্রাম থেকে গ্রামে যেন মানবতার এই বার্তাকে বহন করে ঐ দক্ষিনা বাতাস।
২।
উত্তর পাড়ার আজগর সৈয়াল এর ছেলে হারুন সৈয়াল।গ্রামের লোক হারু বলেই চিনে ওকে।বংশের প্রদীপ জ্বালোনোর শেষ সদস্য হারু।গারো শ্যামলা বর্নের মধ্যম দেহের গড়ন আর লম্বা ঝোলা বাবরি চুল যেন অন্য মাত্রা যোগ করেছে।বয়স হবে চব্বিশ কি ছাব্বিশ। গ্রামের সকলেই হারুকে নম্র, ভদ্র, আর অমায়িক ছেলে হিসাবেই জানে। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে মায়ের টানা ফোরনের সংসারের দায়িত্ব হারুকে নিতে হয় অল্পবয়সেই।সিজনে আলু ক্ষেতে বদলি দেয় আর বর্ষায় পাট কাটার চুক্তি।গলা সমান পানিতে ডুব দিয়ে বগা কাস্তে দিয়ে গোড়া থেকে গাছ আলাদা করে আটি বেধে রাখা।এতে করে বিরম্বনারও শেষ নেই।মহাজন টাকা নিয়ে ঝমেলা করে আর পেট দানা পানি না পেয়ে বিদ্রহ করে।
বাপের রেখে যাওয়া ছোট্ট একটি ভিটে বাড়ি আর তার সামনে একটি মাঝারি কোলা(বাড়ির বাইরের অংশের চাষবাসের ছোট জমি) যেখানে লাউ আর ঢেঁড়স গাছ লাগিয়েছে আজগর সৈয়ালের স্ত্রী খোদেজা বেগম।পৈত্রিকসূত্রে আরও একটি জিনিস পেয়েছে হারু।আর সেটি হলো দাদার আমলের নকশা করা গজার কাঠের নৌকা যার পাটাতনের কাঠে পঁচন ধরেছে যেখান দিয়ে সরু নলে পানি উঠে আর মাঝখানের গৈরা নরবরে।প্রতিবার বর্ষার সময়ে কলা গাছের ফালির উপরে ভর করে ডাঙায় তুলে আলকাতরা মেখে পানিতে নামায় আর পানি নেমে গেলে পূর্ব ধারের খালে ডুবিয়া রাখা হয়।
দুপুরে খাওয়ার পরে মাঝ পাড়ার আবুল শেখের বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে হারু। সকালে বাবু মাষ্টারের ছেলেকে দিয়ে খবর পাঠিয়েছিলো আবুল শেখ। শেখেরা চার ভাই -আদনান শেখ,নেহাল শেখ,আবুল শেখ আর ইদ্রিস শেখ।
আদনান শেখের প্রথম স্ত্রী মারা গেছে তিন বছর পূর্বে।যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে একুশ বছরের এক ছেলেকে রেখে মারা যায় সে। গতবছর আবার একটি বিয়ে করেছেন।এই ঘরেও একটি ছেলে সন্তান সদ্য জন্ম নিয়েছে।
নেহাল শেখ সাদাসিধে লোক।কারও সাতেও নেই পাঁচেও নেই।ছেলে মেয়ে মিলে সাত সন্তান তার।ঘরে সুখের চেয়ে অভাবই লক্ষ করা যায় বেশী।তার স্ত্রী একাই সংসারটাকে টিকিয়ে রেখেছেন।
ইদা শেখ (ইদ্রিস শেখ) আবার নতুন বাড়ি করেছে উত্তর পাড়ায়।কিন্তু বাপ দাদার ভিটার মায়া ছেড়ে যায়নি সেখানে।ঐ ভিটা বাড়িতে আবার কুমড়ার চাষ করে সে।পাড়ার সকলে তাকে দারুন চালাক ও ধুর্ত ব্যাক্তি হিসাবেই চিনে।
গ্রামের অবস্থা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের মধ্যে আবুল শেখ ভালোই সম্মানিত।বিলে সাত কানি জমি আছে তার।তার জমিতে আঠারো থেকে বিশজন সারা বছর কামলা খাটে।
আবুল শেখের একটি মাত্র মেয়ে।হলুদ শ্যামলা বর্নের ছিপ ছিপে দেহ আর গভীর শ্যাম কালো চোখের মেয়েটির নাম রাখা হয়েছে শিউলি।ষোরষী কন্যাকে নিয়ে বেশ চিন্তায় আছেন মেয়ের বাবা।এখনই বড় বড় ঘর থেকে পণিপ্রার্থিদের প্রস্তাব আসা শুরু করেছে।পাড়ার ছেলেদের উৎপাতও নেহাত কম নয়।কিন্তু আবুল শেখের বড় সাধ মেয়েকে আট ক্লাশ পর্যন্ত পড়িয়ে শ্বশুর বাড়িতে পাঠাবেন।
৩।
নৌকার কার্নিশের সাথে বৈঠার ঘোত ঘোত ঘর্ষনের শব্দ খালের দুপাড় থেকে প্রতিদ্ধনি করছিলো।পানিতে পাট কেটে আঁটি বেধে ফেলে রাখা হয়েছে আঁশ ছারাবার জন্য।পঁচা পাটের সোঁদা গন্ধ নাকে এসে বাধছিলো।হালকা কেশে গলা ছেরে গান ধরলো হারু_______
"মন মাঝি খবরদার,
আমার তরী যেন ভেরে না
আমার নৌকা যেন ডোবে না...............
সাড়ে তিনহাত নৌকারই খাঁচা
মন মাঝিরে ঘন ঘন জোড়া.................."
সেই সূর এক অপূর্ব মূর্ছনায় তরঙ্গাকারে দূর থেকে দূরে ভেসে গেলো।
আবুল শেখের বাড়ির পশ্চিম ধারে নৌকা ভিরায় হারু।হিজল গাছটার সাথে নৌকা বেধে লুঙ্গিটা কাছা দিয়ে হাটু সমান পানি পার হয়ে বাড়ির উঠানে এসে দাড়ায় সে। চোখ পড়ে শিউলির দিকে। দুয়ারে বসে চুলে বেনী করছিলো শিউলি।ঠোটে রাঙা লিপষ্টিক আর কপালে সবুজ টিপ।চোখে কালো কাজলও পড়েছে।লাল রঙের সেলোয়ারে বেশ মানিয়েছে মেয়েটাকে।শিউলি হারুর দিকে তাকাতেই চোখ সরিয়ে নেয় হারু।
-আরে হারু ভাই,কি মনে কইরা আমাগো বাড়িতে?তোমারে তো খবর দিয়াও আনন যায় না।সব বালো তো?
-হ ,টুলু কইলো চাচায় বলে আইতে কইছে।
-তোমার পায়ে ঐডা কি?জোঁক মনে হয়।খারাও আমি নুন লইয়া আহি।
দ্রুত ঘরের দিকে ঢুকলো শিউলি। পানি পার হয়ে আসার সময় জোঁক বেধেছে পায়ে।এভাবেই জোঁকেরা গরীবের রক্ত চোষে।কোন কামড় নয় কোন ব্যাথা নয়।শুধু শুষেই চলে যতক্ষন না পরিতৃপ্ত হয়।হারু মুখ থেকে একদলা থু থু ছেরে দিল জোঁকাটার উপর।সাথে সাথেই জোকটা মাটিতে পড়ে গেলো।হারু কাঠি দিয়ে সেটা তুলে দূরে ফেলে দিয়ে পূর্বের স্থানে এসে দাড়ালো।বাড়িতে ঢুকার সময় হারু লুঙ্গির কাছা খুলতে ভুলে গিয়েছিলো।ঐ অবস্থায় তাকে একটি মেয়ে দেখেছে মনে মনে ভেবে লজ্জিত হয়ে কাছাটা ছেড়ে দিলো সে।
এদিকে শিউলি হাতের তালুতে লবন নিয়ে হাজির।
-এই যে নুন নেও।দিলে জোঁক ছাইরা যাইবো।
-ঐডা তো আমি ফালাইদিছি।(মাটিতে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ দিয়ে আঁচর কাটতে কাটতে বললো হারু)
-আমি দেহি আরো নুন লইয়া আইলাম তোমার লাইগ্গা।দেহ আর কোথায় কোথায় জোঁকে দরছে?
বলেই হাসতে লাগলো শিউলি।লজ্জায় হারুর মুখ পাংশু বর্ন ধারন করলো।তখনো নিচের দিকে তাকিয়ে আছে সে।মুখ ফুটে শুধু বললো,
-চাচায় কি ঘরে আছ?
-হ আছে।ডাকন লাগবো হেরে?
-হ হেয় আইতে কইছিলো।মনেঅয় কথা আছে।ডাকন যাইবো?
-বিতরে আইয়া বহো আমি ডাকতাছি।
-না না বিতরে যামু না।হেরে একটু আইতে কও।
হাসতে হাসতে ভিতরে চলে গেলো শিউলি।হারুর প্রতি শিউলির কোথায় যেন একটা দূর্বলতা রয়েছে।হারু খানিকটা বুঝতে পারলেও না বোঝার ভান করে থাকে।বড়লোকের বেটীদের তো কোন ভারসা নেই।হাডতে হাসতে কি থেকে কি বলে ফেলে।
জৈষ্ঠমাসে শিউলির সই তারার বিয়ে হয়।সেখানে গীত গাইতে ডেকেছিলো হারুকে।ঐ দিন শিউলি হারুর গানের প্রশংশা করেবলেছিলো,"ইস কেউ যদি আমারে এমন কইরা সারাজীবন গীত হোনাইতো!" সেই শুরু হলো বান্ধবীদের টিটকারী।তারাতো একসময় শিউলির পেটে চিমটি কেটে বলেই ফেললো,"তাইলে আমাগো হারু ভাইয়ের গলায় ঝুইলা পর।"
তখন ওর লজ্জায় লাল মুখটা দেখার মতই ছিলো।দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়েছিলো শিউলি।ঘটনাটা হারুও শুনতে পেয়েছিলো।কিন্তু সেদিকে খেয়াল দেয়ার সাধ্য তার নেই।
ততক্ষনে চলে এসেছেন আবুল শেখ।চৌচালা ঘরটার লোহা কাঠের উপর নকশা করা দরজার সামনে দাড়িয়ে,
-কি হবর সৈয়ালের পো।আছ কেমুন?আও বিতরে আও।
-হ চাচা।আইতে কইছিলেন বলে।কোন জরুরী কথা?
-একডা দরকার আছে অবশ্যই।তা ভাবী বালো আছেনি?
-মায় বালো আছে।আপনের কথা কয়,চাচীরেও যাইতে কয়।মায়তো চাচীর উপরে গোস্বা করছে।কয় হের সই বলে দেহা করতে যায় না।আর মায়তো অহন একরকম আডাচলা করতেই পারে না।
-শুনছিরে বাপ।যামু,একদিন সবাই তোমাগো বাড়ি মেজবান অইয়া যামু।তা তুমি অহন কি করতাছো?
-এইতো চাচা মাদবর বাড়ীর চুক্তিতে পাট কাইটা দিলাম।অহনে কয়দিন ধইরা কাম কাইজ নাই।
-বুজলাম,তাইলে মিয়া তুমি এক কাম কর,হাটের থাইকা হপ্তায় দুইবার আমার মালের চালান আহে।তোমার বাপে বড় ভালো লোক আছিলো।তুমিও হের কাবিল পোলা।ভাইবা চিন্তা দেখলাম এই কামডা আমি তোমারেই দিতে পারি।কি কও তুমি?
-আমি কি কমু চাচা।আপনে কইছেন আমার কি না কওয়ার ক্ষেমতা আছে?
-এইতো বেডা পোলার লাহান কথা কইছো।তাইলে পরশু থাইক্যা চালান আনা শুরু কর।বাইতে আইয়ো আমি কাম সব বুঝাইয়া দিমুনে।
-আইচ্ছা চাচা তাইলে আমি উডি।সালামালাইকুম।
-হ যাও।কিছু তো মুখে দিলা না।বও আমি শিউলিরে ডাকতাছি খাওন আনতে।
-না চাচা,আইজ না।উডি তাইলে।
হিজলা গাছের ডাল থেকে বাঁধন খুলে নৌকা ভাসালো হারু।ঘরের পিছনের বেতঝারের থেকে লুকিয়ে হারুর যাওয়ার পথটি দেখছিলো শিউলি।নৌকার আলকাতরার উপর পশ্চিমা রোদ পড়ায় পানির উপর চিক চিক করছিলো আলোর প্রতিচ্ছবি।সেই মাঝিকে দেখতে যেন চোখ জুরায় না বালিকার।ডানদিকে যেয়ে হারিয়ে গেলো নৌকাটি কিন্তু সেই পথটিকে দেখতেই ভালো লাগে তরুনীর।মাঝির সেই হারিয়ে যাওয়ায় হৃদয়ের কোথায় যেন ব্যাথার সন্ঞার হয় তার।মনে চায় সারাজীবন তাকে দেখতে।শিউলি বুঝতে পারে হারুর প্রতি তার দূর্বলাতা কিন্তু হারু বঝতে পারে না বলে রাগ হয়।হারুকে নিয়ে সে স্বপ্ন দেখে।স্বপ্নে অজানায় হারিয়ে যায় কোন নির্জন দ্বীপে।সেখানে শুধু থাকবে দুজন।আর দুজন দুজনার।এমনিকরে হারুকে নিয়ে অনেক স্বপ্নের বুনন গড়েছে সে।
কিন্তু বালিকা জানে না যে হারুরা স্বপ্ন দেখতে জানে না।স্বপ্ন দেখার মত স্পৃহা থাকলেও তার বাস্তবতা নেই তাদের মাঝে।এমনি অনেক কিছুই সাধ থাকলেও সাধ্য নেই প্রতিটি গ্রামে অগোচরে থাকা হারুদের।
[চলিতে থাকিবে............]
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: বুবু তোর মন খারাপ ক্যান?
কে কি কইছে?ফাডাইলামু না।
কয়েকটা গল্প মাথায় আছে কিন্ত সময়ের জন্য লিখতে পারি না।মন ভালো হৈলে পড়বা কিন্তু।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫৩
ডেইফ বলেছেন:
শহুরের সভ্যতা ছেড়ে এই গ্রাম্য কাদামাটি মেশা গল্পগুলো কেন যেন বেশ মন কেড়ে নেয়। আপনার লেখাটা অনেক চমৎকার হয়েছে। প্রথম অংশের বর্ণনা এবং পরের অংশের কথপোকথন সুন্দর ভাবে লিখেছেন। শেষের বর্ণনাও ছিল বেশ সাবলিল।
চলতে থাকুক। দেখা যাক কি আছে হারু এবং শিউলীর জীবনে।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাইফ ভাইয়া।
আসলে আগে যে পোষ্টগুলো করেছিলাম তার প্রায় সবই ছিলো আধুনিক শহরের নাগরিক জীবনের।
তাই এবার আমার গ্রামের বিষয়ের স্বল্প স্মৃতি থেকে কল্পনাকে কাজে লাগিয়ে এই লিখাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
আবারও ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৬
বৃষ্টিধারা বলেছেন: তোর বুবু টার মন খারাপ রোগ হয়েছে,কিচ্ছু ভালো লাগে না রে ....
হুম,পড়ব অবশ্যই ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: এই বিমারির কি কুন ইলাজ নাই?
ইয়াল্লাহ বুবুর মন বালা কৈরা দিও।
৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫২
চশমখোর বলেছেন: গ্রামের কথা মনে পড়ে গেলো। চলুক
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: গ্রামে যাওয়া হয় তো?
আমি কিন্তু দেশে থাকতে মেন্টাল শার্পনেসের জন্য প্রায় সময় গ্রামে চলে যেতাম।সেখানে আমার সবচাইতে প্রিয়মানুষ আমার দাদীর কবর।তার মায়াতেই বেশী যাওয়া হতো।
হুম চলবে......ভালো থাকবেন ভাইয়া।
৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: এই ছোট ঝারের মত= ঝড়... (ড়=শিফট আর)
টানা ফোরনের=টানাপোড়ন
বিরম্বনারও=বিড়ম্বনা
বিদ্রহ=বিদ্রোহ
গৈরা নরবরে=গৈরা নড়বড়ে
চালাক ও ধুর্ত ব্যাক্তি হিসাবেই চিনে।=ধূর্ত
ষোরষী=ষোড়শী
আঁচর কাটতে কাটতে বললো হারু)=আঁচড়
হৃদয়ের কোথায় যেন ব্যাথার সন্ঞার হয়=ব্যথা, সঞ্চার
এই কমেন্টটা মুছে ফেলবেন! ধন্যবাদ!
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:০৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
আর কমেন্ট মুছা যাবে না।এই কমেন্ট দেখলে অন্যরাও উৎসাহিত হবে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
বুঝতে পারলাম সম্পূর্ন পোষ্ট পড়েছেন।অভিমত জানলাম না।
৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:১৯
মেঘ_মেঘা বলেছেন: ভালো যে হয়েছে আমি না বললেও চলে। তবুও বলি অনেক ভালো লাগলো লেখাটা। পদ্মা নদীর মাঝি পড়তে যেমন লেগেছিলো অনেকটা তেমন। এমন গ্রাম দেখিনি কখনো তাই গ্রামের বর্ণনাটা খুব ভালো লাগলো।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৪৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আমি কিন্তু গ্রাম খুব কাছে থেকে দেখেছি।শহুরে জীবনের চেয়ে সেখানে নিভৃত শান্তি খুজে পাই।
ভালো থাকবেন আপু.....
আর আপনার অপেক্ষা সিরিজটা দারুন চলছে........
৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:২৩
চশমখোর বলেছেন: নারে ভাই গ্রামে যাওয়া হয়না। গ্রামে কেউ থাকেনা। সবাই শহরেই থাকে। বাড়ি পুরো ফাকা। আমি ৬ বছরে মাত্র ২ বার গরামে গেছিলাম তাও গড়ে ৩ দিন করে ছিলাম। তাহলে বুঝেন অবস্থা। নিজের গ্রামে যাওয়া হয়না এটা ঠিক। তবে এমনিতে কম ঘুরাঘুরি করি না। একটু সময় পেলেই ঢাকার বাহিরে ট্রিপ দিয়ে আসি।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৫৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আমারও গ্রামে তেমন কেউ থাকে না।কিন্তু দাদার অনেক বিষয় সম্পত্তি থাকায় সেখানে দাদাকে দাদীকে নিয়ে প্রায়ই যাওয়া হতো।
এর পরে যাওয়ার সময় আপনাকে নিয়ে যাব।
৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:০২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
অভিমত অনেক কিছুই জানানোর ছিল। আপাতত...
+
সেইসাথে..
চলুক।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৩৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: রাত ৪ টা ৩৮.............
ঘুমাবেন না?
৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৪৩
এ্যরন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো .. এত বড় বর্ননা কিভাবে লিখেন ভাই
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৬:২৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ।
আসলে এই জিনিসগুলো সাজানো একটু সময়সাপেক্ষ ব্যপার.......যখন মুড আসে লিখহে ফেলি।
হয়ে যায় একটা পোষ্ট
১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:১৮
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
চলুক ।
ভালো লাগলো বাটন চেপে গেলাম
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৬:২৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ভাইয়া লিখার সময় সন্দেহ করেছিলাম জিসান ভাই এই টাইপের লিখা পছন্দ করে।নিশ্চই মন্তব্য করবেন।(যদিও রাজাকার আর ছাগু নিধনে ব্যাস্ত থাকেন)
ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার মন্তব্য পেয়ে।
১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:২৬
শোশমিতা বলেছেন: দিনে একটু পড়েছিলাম ,এখন আবার পড়লাম
অনেক সুন্দর !!
ভালো লাগলো !
চলতে থাকুক
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৩৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আপু আমি খেয়াল করেছিলাম আপনি আমার ব্লগে এসেছিলেন
মন্তব্য না করে চলে যাওয়ায় রাগ হয়েছিলো কিন্তু এখন ঠিক আছি।
ভালো লাগলো মন্তব্য পেয়ে।
ভালো থাকবেন।
১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮
চশমখোর বলেছেন: উখে যাওয়া যাবে। ভাই আপনের গ্রামের বাড়ি কই?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আমি বিক্রমপুরের পোলা....
১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩৫
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: প্লট টা ভালো লেগেছে।শেকড়ের কাছাকাছি একটা প্লট। বেশি কিছু বলছি না ,কেননা মাত্র শুরু করলেন!
যদি এটা খসড়া লেখা হয় তবে এ হিসেবে ভালোই লিখছেন।
একটা কথা,শুরুটা বাহুল্যযুক্ত আর ভেতরটা পড়তে পড়তে হাজার বছর ধরের কথা মনে হচ্ছিলো। খেয়াল রাখবেন।
আরেকটা কথা,'একটা বড় গল্প' আর ' ছোট উপন্যাস' শব্দবন্ধ দ্বয় কী পরস্পরের বিকল্প হতে পারে?
গল্প আর উপন্যাসের ছোট-বড় উপমা আসবেই কেন আর কেনইবা তারা পারস্পরিক বিকল্প হবে?
গল্প আর উপন্যাসের মোটাদাগের তফাত টা বিবেচনা করলেই তো এটা হতে পারে না।
শিরোনাম টা বিভ্রান্তিকর!
এত কথা বললাম,শুধু এজন্যে,আপনার ভেতরে একটা মৌলিক সুরের টের পাচ্ছি।সমস্যা হলো,সুরটা বেরিয়ে আসতে পারছে না।
ভালো থাকবেন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আসলে পরিচয় পর্বটার বর্ননা দিতে গিয়ে আমার কাছেও হজার বছর ধরে উপন্যাসের মত হয়ে যায় কিনা এমন একটা ভয় ছিলো।
আর এই লেখায় আমি যে প্লট টা সৃষ্টি করতে চাইছি তা হাজার বছর ধরে উপন্যাসের চেয়ে অনেক ডিফরেন্ট।যেহেতু গ্রাম্য কাহিনী থেকে নেয়া সেই সূত্রে অনেকটা হাজার বছর ধরে উপন্যাসের মত মনে হয়।
এর কারন হিসাবে আমি একটি দিকই দেখি সেটি হলো আমাদের সাহিত্যে গ্রামকে পর্যাপ্ত ভাবে তুলে ধরা হয়নি।
আর শিরোনামটা আমার নিজের কাছেও বিভ্রান্তিকর,কারন আমি নিজেও জানি না লেখাটা গল্পে আবদ্ধ থাকবে নাকি উপন্যাসে রূপান্তরিত করবো।
আর প্রথম পর্বে আমি শুধুই পরিবেশ আর পরিস্থিতির বর্ননা দিতে চেয়েছি মূল ঘটনায় এখনো প্রবেশ করিনি।
অনেক ধ্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক সমালোচনার জন্য।
১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৫
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
আপনিও তো জেগে ছিলেন..
লেখাটায় হাজার বছর ধরের যে ব্যাপারটা (পাপতাড়ুয়া যে কথাটা বললেন) সেটা খুব সাবধানে খেয়াল রাখবেন। তাহলে মৌলিকতা থাকবে। আর বাকিসব একজন নব্য লেখকের ক্ষেত্রে এমনটা হতেই পারে! ব্যাপার না! লিখতে থাকুন। আস্তে আস্তে লিখতে লিখতে এগুলো ঠিক হয়ে যাবে!
শুভকামনা।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৩১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আমার এখানে রাত আসে দেরীতে.............
আমি আমার প্রতিটি লেখায় একটি নিজস্ব স্বকীয়তার ধারা রাখার চেষ্টা করি।
দোয়া করবেন যেন আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়
১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৬
আন্না০০৭ বলেছেন: চারুলতার কি হইল??????
বাবা মা দুজনই ঢাকার স্থানীয় বলে গ্রামে থাকা হয়নি গ্রামের গল্প পড়তে অনেক ভাল লাগে
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: চারুলতার শেষটায় দারুন একটা চমক রেখেছি।কিছুটা লিখে ড্রাফট করে রেখেছি।সময় পেলে কমপ্লিট করে প্রকাশ করবো।
কখনো গ্রামে যাওয়া হলে গল্পগুলোর সাথে বাস্তবতাকে মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন।
১৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫
বৃষ্টিধারা বলেছেন: কখন থেকে মন্তব্য করছি,যায় ই না মন্তব্য ।
সকালে এসে পড়লাম তোর অদ্ভুত গল্প নাকি উপন্যাস । ভালো লাগলো তোর লিখা ।
হাত তো ভালো ই লিখার,চালিয়ে যা .....
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৩৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: বুবু........আশির্বাদ দেএএএএএএএ
যাতে লেখায় মৌলিকতার বিচ্যুতি না হয়
১৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪০
বৃষ্টিধারা বলেছেন: মাথা আগাইয়া দে । ফুঁ দেই ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৫১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: দোয়া পাইছি.............
হে খোদা মোরে বল দাও........
১৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪২
ফাইরুজ বলেছেন: গল্পটায় গ্রামকে চমত্কার ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।শেষটা পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।ভালো লাগলো অনেক অনেক।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৫২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন......
আর আন্টির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
১৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩
ফাইরুজ বলেছেন: গল্পটায় গ্রামকে চমত্কার ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।শেষটা পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।ভালো লাগলো অনেক অনেক।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৫৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন:
২০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২১
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
আসলে গল্পের মৌলিকতা নষ্ট হৈছে বিশেষভাবে চরিত্রের নাম চয়নে।এছাড়া আমার মনে হয় আপনার লেখায় জহির রায়হান ছাড়াও আবু ইসহাকেরও একটা ভাব আছে। আসলে থাকাটা অনেক বেশি অস্বাভাবিক আমি বলব না। কারন উনারে আমাদের সাহিত্যকে এত কিছু দিয়ে গেছেন যে অনেক অনেক গবেষণা ছাড়া লিখতে গেলে একদম মৌলিকতা বজায় রাখা সম্ভব না! তাই ওটা নিয়ে এত বেশি চিন্তা না করে কী-বোর্ডে ঝড় তুলুন... নিরন্তর!পরের পর্বের অনেক্ষায়। ধন্যবাদ!
আর হ্যাঁ! তাই তো। চারুসুন্দরি কৈ?উহাকে শুনিতে মন্চায়।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: সমরেশ মজুমদার,বঙ্কিম চন্দ্র,শরৎচন্দ্র,মানিক বন্দোপদধ্যায়,ইশ্বরচন্দ্র গুপ্ত,বিভূতিভূষন বন্দোপধ্যায়,সুনীল গঙ্গোপধ্যায়,শীর্শেন্দু মুখপধ্যায়.......এদের সবার লেখাই কম বেশী পড়া হয়েছে।ঝির রায়হান কম বেশী পড়লেও আবু ইসহাকের বই অনেক পড়া হয়েছে।
তাই লেখায় তাদের ছায়া পেলে দ্বায়ভার নিতে আমার কোন আপত্তি নেই।
চারুসুন্দরী!!!! শীঘ্রই আসছে............
২১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:০৮
সরলতা বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগল। কোথায় যেন "হাজার বছর ধরে"-র একটা ছাপ আছে। সেটাই মনে হয় গল্পটাকে আলাদা মাত্রা দিচ্ছে।
আপনার চারুলতার জন্য কিন্তু আমিও বহুদিন ধরে অপেক্ষায় আছি ভাইয়া!
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ঝির রায়হানের উপ্রে আমার মেজাজ বিলা হইতেসে।সে হাজার বছর ধরে রচনা করে আমারে পুরাই ফাঁপরে রাখছে।যাইহোক, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ পোষ্ট করার আগে কাউরে বোঝানো যাবেনা যে আমি লেখায় স্বকীয়তার ছায়া আনতে চাইছি।
আমিও চেষ্টা করছি যত তারাতারি সম্ভব চারুলতার শেষ পর্বটা দেয়ার জন্য কিন্তু দিন দিন ব্যাস্ততা এতই বাড়ছে যে লিখার সময় হয় না।তারপরেও যথাসম্ভব চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে ব্লগে আসতে।
ভালো থাকবেন
শুভকামনা রইলো।
২২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:০৬
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: ভালো লাগলো যে সমালোচনা নিয়েছেন বলে!
এই জায়গায় আমরা বাঙালিরা এখনো হীনতায় ভুগি!
আপনার প্রত্যুত্তর ভালো হয়েছে।
কিছু কথা মনে আসলো কিন্তু অপ্সরার ২০ নং কমেন্টের পর না বলাই ভালো মনে করছি আপাতত!
ভালো থাকুন। আপনার লেখার সাথেই আছি,।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:১২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাপতাড়ুয়া ভাই পুনরায় আসার জন্য।
ভালো থাকবেন।
২৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৮:৩৮
শায়মা বলেছেন: আমার কাছে ভালোই লাগছে।
তাড়াতাড়ি শেষ করো ভাইয়া।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ সায়মা আপু।
আমি তারাতারি শেষ করার চেষ্টা করবো।
ভালো থাকবেন।
২৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:২৩
ভুত. বলেছেন: খুব ভাল লাগল। গ্রাম এবং মানুষের বর্ননা চমৎকার হয়েছে।
পদ্মা নদীর মাঝি পড়তে যেমন লাগছিল, অনুভূতি অনেকটা সেরকম লাগল।
পরের পর্বের অপেক্ষার থাকলাম।
আর চারুলতার পরের পর্ব কোথায়?
০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আমি চেষ্টা করেছি নতুন ভাবে গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যকে এই উপন্যাসে ফুটিয়ে তুলতে।
আর চারুলতা শীঘ্রই পোষ্ট করবো।
ভালো থাকুক সকল ভূতেরা।
২৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৫৩
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
আবার পড়লাম। ২ বার পঠনে তো আর নিষেধ নেই
০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ভাইয়া আপনার জন্য নাবোধক কোন শব্দ আমার ঝুড়িতে নেই।
যতবার খুশি ততবার পঠন করিবেন।এতে তো আর পয়সা লাগে না
২৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৪০
শায়েরী বলেছেন: আর এ ! আপনি লিখা দিসেন আর আমি পরি নাই !!!
এখন পরলাম
খুব ভালা হইসে
পরের পরব জলদি দেন ।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:২৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: কেনু পড়েন নাই কেনু কেনু কেনু????
এমনিতেই বিপদ সংকেতে আছি,তার উপরে আবার নিন্মচাপ!!!
পরের পর্ব তারাতারি দেয়ার চেষ্টা করবো।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:০৭
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: ভালো লাগলো ভাইয়া ...............পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম.........
০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:০১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই,
শুভ কামনা রইলো
ভালো থাকবেন।
২৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২০
মরুর পাখি বলেছেন: হাজার বছর ধরে ও পদ্মা নদীর মাঝির সংমিশ্রণ আছে মনে হল। তবে ভাল হয়েছে---
এভাবে অনেক প্লট তুলে আনা সম্ভব---
আরও লিখুন --- ভাল থাকবেন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মরুর পাখি।
২৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৯
চশমখোর বলেছেন: ডেমোন ভাই কিরাম আছেন?
পরের পর্ব কই ভাই?
অনুসরন দিয়া রাখছিলাম যেন মিস না যায় কিন্তু এখনও লেখা পাইলাম না।
১০ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ভাইরে প্রতি রাইতে ইচ্ছা করে লেখা শেষ করতে।কিন্তু এত ব্যাস্ত থাকি সারাদিন যে রাতে ক্লান্ত শরীর সায় দেয় না।
আপনাকেও কিন্তু অনুসরন করে রেখেছি।আপনার স্কুল জীবনের ঘটনাগুলো শোনার জন্য।
৩০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯
চশমখোর বলেছেন: তাহলে কেমনে হবে?
একটু কষ্ট করে নাহয় লিখেই ফেলেন।
আমারও একই অবস্থা।
ভার্সিটি নিয়া দৌড়ের উপর আছি।
সময় করে বসতে হবে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: কেম্নে হবে কেম্নে কমু?
আমিতো ভাই শেষ।
ঘুমানের টাইম নাই,কাজ আর ক্লাশ দুইটাই আমার করতে হয়।যদিও এখন ক্লাশ নাই।
সময় করে ভালো কিছু মজার ঘটনা শেয়ার করবেন।
৩১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: লম্বা লম্বা পড়া দেখলে আমার মাথা ঘুরে
১০ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: সুমনের ফার্মেসী থাইকা আমার নাম কইয়া ঔষধ নিয়া আইসেন।
প্রেশারটাও মাপাইয়া নিয়েন।
৩২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
চশমখোর বলেছেন: আমার তো ভাই এই মাসে সেমিস্টার ফাইলান।
আপনের আগে আমি শেষ।
উখে ট্রাই করমু।
১০ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: হুম।
ভালোভাবে সেমিষ্টার কমপ্লিট করুন।
কোন ইউনিতে আছেন?
৩৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:০৮
চশমখোর বলেছেন: আগেইতো বলছিলাম। AIUB
১০ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:২৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: হুম.......তাহলে তো বেশ মজায় আছেন দেখছি।
৩৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৩৩
শায়েরী বলেছেন: Ami o Aiub..btw@ vai likha denna keno??wa8 kortesito!
১০ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: AIUB তে আমার কিছু বন্ধু আছে ফাইনাল সেমিষ্টারে।
দুইবার গিয়েছিলাম আপনাদের ইউনিতে।
লিখা দেবো কিন্তু একটু রিসার্ভ আছি।ফ্র হলেই দেবো।
ভালো থাকবেন শায়েরী
৩৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:০৪
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: ধুরররর আমার প্রেশার টেশার নাই,
তয় সুমনের ফার্মেসীটা জানি কুথায় ? পরে কামে লাগফো
১১ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:২৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: বয়ান লইছিলাম........
মিয়া আপ্নে তো লোক খারাপ।ফাউ খাইবার চান।
৩৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৩
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভালই লিখেছিলে ।
চালিয়ে যাও ।
আমি একটা কথা বিশ্বাস করি কি জানো ?
সমালোচনা তখনই হয় যখন লেখায় মান থাকে (+ অর্থে) । তোমার প্রথম দিকের লেখায়ই তুমি এইটা পেয়েছ অর্থাৎ তোমার লেখা পাঠক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে আগেই ।
তবে অনেক ক্ষেত্রে ব্লগে যেটা হয়, অতি অগ্রিম সমালোচনা হয়ে যায় । আবার হুট করে প্রসংশা করা হয়ে যায় । এই গুলোকে নিয়ে সারাদিন আমাদের ভাবিত না হওয়াই মঙ্গল ।
লেখা চলুক । কফি শপের চেয়ে ভাল হোক
২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: হা হা, ধন্যবাদ তানিম ভাই, আপনি আবার কখন এলেন?
৩৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এইত এলাম । লিঙ্ক দেখে ।
এখন আমি খুব ব্যস্ত থাকি রিক ।
আর তোমার ব্লগ একটু কম পড়া হয় কারণ তুমি অনেক গল্প লেখ যা পড়বার মত সময় করে উঠতে পারি না ।
আর না পড়ে আমি কমেন্ট করি না ।
তাই আন্তরিক দু:খিত সব না পড়তে পারায় ।
অবশ্য তুমিও একই গোছের অন্তত আমার বেলায় ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আমি ইচ্ছা স্বাধীন। যখন যা ইচ্ছে করে, তাই করি
৩৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪০
শহিদুল ইসলাম বলেছেন: রিয়ল ভাই , আপনার লেখা সকল ভালো গল্পের মধ্যে এটা আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। গল্প পুরোটা পড়লাম , এবং ভালো লাগল । গ্রাম বাংলার সহজ স্বাবলীল রূপটি ভালো ভাবেই ফুটে উঠেছে । পরের পর্বে গঠনগত ও ভাষাগত পরিবর্তন না করার অনুরোধ রইল । আর এমন গল্প আরো চাই ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: একটাই সমস্যা হয়েছে, সেটা হলো যে থিমের উপরে ডিপেন্ড করে গল্পটা লেখা শুরু করেছিলাম, এতদিন পরে সেই থিমটা কিছুতেই মনে আসছে না।
৩৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪১
শহিদুল ইসলাম বলেছেন: তবুও পরের পর্বে গঠনগত ও ভাষাগত পরিবর্তন না করার অনুরোধ রইল ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আচ্ছা লেখার চেষ্টা করবো
৪০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫২
ফয়সাল তূর্য বলেছেন: ১ম পোস্টে কমেন্ট তো একদম খারাপ পাননাই! যদিও হিট কম ছিল।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: তাই তো!
আপনি কি আমার ফেসবুকে আছেন তূর্য?
৪১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০০
ফয়সাল তূর্য বলেছেন: হুমমম, Faishal Faruque Turzo
২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: খেয়াল করিনি
৪২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১০
পাগলমন২০১১ বলেছেন: হারুদের জীবন এমনিভাবে চলতে থাকে...................
ওরা শুধু সমাজ থেকে করুণাই আশা করতে পারে ভালবাসা নয়।
আপনার লেখাটির সাথে কয়েকটি ঘটনার মিল পাচ্ছি...
পড়ে খুব ভাল লেগেছে।চলতে থাকুক..................
২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ পাগলমন
৪৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:৪৮
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: ভালো লাগছে। আসলেই ভালো লাগছে।
২৮ শে মার্চ, ২০১২ ভোর ৫:১১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫০
বৃষ্টিধারা বলেছেন: ধারাবাহিক যে কোন কিছু আমার বোরিং লাগে । মেজাজ খারাপ হয়ে যায় । অপেক্ষা করার মত ধইরজ কি আর আমার আছে ?
আর কয় পর্ব আছে,ক....
কবে পোষ্ট দিবি ?
লিখা ভালো হইছে । ভালো ভাবে পড়ি নাই । পড়ে পড়ুম,মন ভালো হইলে ।