![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Hafizur Rahman Rick
এই পর্বে শৈশব অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটবেঃ
মাঝে মাঝে দেখতাম দাদু কাঁদছে। তার হাতে দেখতাম আব্বু কিংবা চাচ্চুদের চিঠি। আমি দাদুর কোলে যেয়ে চুপ করে বসে থাকতাম, দাদু চুলে হাত বুলিয়ে দিতেন। একসময় আমাকে জড়িয়ে ধরে আরেকটু বেশী কান্না করতেন, তারপরে শান্ত হতেন। আম্মুকেও দেখতাম চুপিচুপি কাঁদছে। আম্মুর সাথে তেমন সখ্যতা না থাকলেও কান্না করার সময় আম্মুকে বাচ্চা মেয়েদের মত লাগতো। আম্মু কান্না করতো বাচ্চা মেয়েদের মতই। আম্মুর কান্না শুনলে কেন জানি আমার হাসি লাগতো, তারপরেও যেয়ে চোখের পানি মুছে দিয়ে কোলে বসে থাকতাম। আমাকে দেখলে আম্মুর কান্নার শব্দ বেড়ে যেত, কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করাতে হেসকি উঠত। আমি অনেক কষ্টে হাসি চেপে রাখতাম। মাঝে মাঝে চিঠি লিখতে বসতাম আব্বু এবং চাচ্চুদের কাছে। দাদা শিখিয়ে দিতেন,”লেখো, পরসমাচার এই যে, আমি এই বছর পরীক্ষায় প্রথম স্থান পাইয়াছি, আপনাদের দোয়া একান্তভাবে কাম্য।“ চিঠির শেষে সুন্দর করে নিজের নাম লিখে দিতাম। চিঠি লেখা শেষ হলে মনে পড়তো যে আমার খেলনা চাওয়ার কথা মনে নেই, তখন চিঠির আশেপাশের যে জায়গা ভদ্রতাবসত রাখা ছিল সেখানে লেখা শুরু করতাম।
ছোট বেলা থেকে আকাশের তারার প্রতি একটা ঝোঁক ছিল আমার। সন্ধ্যার পরে ঘরের সিঁড়িতে বসে তারা দেখতাম। জোনাকি ধরতে ইচ্ছে করতো। প্রজাপতিরা উড়ে যেত। গ্রীষ্মের বিকেলে ফড়িং আর প্রজাপতির মেলায় আনন্দ মিশে থাকতো। সন্ধ্যার পরে ঝিঁঝিঁ পোকা আর ব্যাঙের ডাকে অসাধারন একটা কম্পোজিশন থাকতো। সাথে থাকতো হাস্নাহেনার মিষ্টি ঘ্রান। শুকনো পাতার উপরে হাটতে যেয়ে মচমচ শব্দ শুনে আহ্লাদিত হতাম। ঝারুর কাঠি আর পলিথিনের ব্যাগ দিয়ে বানিয়ে দেয়া ঘুড়ি নিয়ে দৌড়ে বেরাতাম উঠোনের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। দূরের পিচঢালা বড় রাস্তা দিয়ে বেবিটেক্সি চলাচল দেখতাম। মাঝে মাঝে যখন সেখান দিয়ে বড় কোন বাস কিংবা ট্রাক চলতো মিলিয়ে যাওয়া অবধি দেখতে চেষ্টা করতাম। আকাশের তারাগুনে ক্লান্ত হয়ে ঘুমাতে যেতাম। মেঘলা দিনে আকাশের তারা গুনতে সুবিধা হতো, কারো মেঘলা দিনে গুটি কয়েক তারা উকি দিয়ে থাকতো। দেখতাম কিছু একটা জ্বলছে আর নিভছে, হ্যাঁ বিমান যাচ্ছে, একদিন আমিও উড়ে যাব এক দেশ থেকে অন্যদেশে। গাছ পাখিদের সাথে আত্মার সম্পর্ক ছিল আমার। জগদীশ চন্দ্র সম্পর্কে সাধারন জ্ঞানের বইতে পড়েছিলাম যে তিনি গাছের প্রান আবিষ্কার করেন। আমি গাছের সাথে কথা বলতাম। কিন্তু তাদের কোন কথা শুনতে পেতাম না। আমি গাছের বুকে কান পেতে শুনতে চাইতাম তারা কিছু বলছে কি না।
সারাদিনের পরে সূর্যডোবার মুহূর্তটি ছোট বেলা থেকেই আমার মন খারাপ করিয়ে দিত। গোধূলিবেলায় সবাই সব আয়োজন ফেলে যে যার মত চলে যায়। আমি চলে যাওয়া সহ্য করতে পারতাম না, ভাবতাম কেন চলে যাবে? কেন আমরা একসাথে বাকিটুক থাকতে পারবো না? এসব অহেতুক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। দাদু দাদা যখন বলতেন তাদের চলে যেতে হবে একসময় তখন খুব খারাপ লাগতো। ভাবতাম সবাই একসাথে মারা গেলে কেমন হয়? কারো জন্য কারো খারাপ লাগবে না।
একসময় ছোট চাচা অনার্স কমপ্লিট না করে ঢাকায় চলে গেলেন, সেখানে তিনি নিজের ব্যাবসা শুরু করলেন। বাড়িতে তখন পুরুষ বলতে আমি আর দাদা। আমি নেহায়েত ছোট। চারছেলের কেউ বাড়িতে নাই বলে দাদু সময়ে অসময়ে কাঁদতেন। দাদুকে মনে করিয়ে দিতাম লাউ, শিম গাছে পানি দেয়ার সময় হয়েছে। হিন্দু বাড়ির বড় ছেলের বউ নাকি গননা জানতো। দাদু সেখানে তার ছেলেদের সম্পর্কে জানতে যেতেন। সেই মাসিমা পঞ্চিকা বের করে উপরের দিকে তাকিয়ে শনি রাহু কিসব বলতেন। তারপরে হাসিমুখে বলতেন,”আপনার ছেলেরা সবাই ভালোআছে মাসিমা, আপনি শুধু প্রার্থনা করবেন।“
দিনে দিনে সকালগুলো পরিবর্তিত হতে থাকে। পুরনোকে ঝেরে নতুন সকালের উদয় হয়। নজরুলের কবিতা রোজ সকাল বেলায় পড়তাম,
“ভোর হলো দোর খোল, খুকুমনি উঠোরে
ঐ ডাকে জুঁই শাঁখে, ফুলখুকি ছোটরে।“
মাঝে মাঝে বাড়ির ঝার জঙ্গলে হাটার ফলশ্রুতিতে বিচ্ছুর আক্রমণের স্বীকার হতাম। কিছুটা জায়গা নিয়ে মশায় কামড়ালে যেমন হয় তেমন হয়ে যেত। বিশ্রিরকমের চুলকানি হত। দাদু একটা বাটিতে সরিষার তেল গরম করে লবন মাখিয়ে কলা পাতার কচি পাতা দিয়ে লবন তেল ছুঁইয়ে দিতেন। ঘন্টাখানেক পরে কমে যেত চুলকানি। গোসলের সময়ে দাদু লাল লাইফবয় সাবান ঘষে দিতেন শরীরে মুখে চুলে। গোসলের পরে উঠোনে উলঙ্গ হয়ে দশমিনিট রোদে দাঁড়িয়ে থাকা। তারপরে গায়ে লোশন মাখিয়ে চুলে নারিকেল তেল দিতেন। থুতনিতে ধরে বামপাশে একটা সিথি করে দিতেন। তারপরে গেঞ্জি আর হাফপ্যান্ট পরে আমি আমি ফুলবাবু হয়ে ঘুরে বেড়াতাম প্রতিদিন। খাওয়ার সময় দাদু না খাইয়ে দিলে খাওয়া হতো না। মাছের পোটকা বলে যে নরম অংশ থাকে সেটা আমার চাই ই চাই। দাদা মাছের মাথা ভেঙ্গে বলতেন, মাথা চুষে খেতে হবে। সবশেষে গরুর দুধ আর ভাত, সাথে মিষ্টি আচার নয়ত মিঠাই।
অনেক ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে গরু দেখেছি। একবার মেয়ে গরুটা বাচ্চা ডেলিভারি দিতে যেয়ে বিপাকে পড়ে গেলো। আমরা সারারাত জেগে। পশুর ডাক্তার আনা হলো। ডাক্তার এসে ইঞ্জেকশন দিল। গরুর দুইটা বাচ্চা হল। সেই রাতের কথা একটু একটু মনে আছে। তখন আমার বয়স হবে চার সাড়ে চার এর মত। পরে গরু বিক্রি করে দিয়েছিলেন দাদা। বাড়িতে অহেতুক ঝামেলা তার পছন্দের না। আমরা অনেক কান্নাকাটি করেছিলাম। বেপারি গরু নিয়ে উঠোন পেরিয়ে চলে গেলেন। আমাদের কাজের ছেলে মতি ভাইয়ের কথা কিছুটা মনে আছে। দাদার সাথে সব কাজের সঙ্গী ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকে আমি যেকোন ঘটনা মস্তিষ্কে এঁকে রাখতে পারি। তাই অনেক ছোট বেলার অনেক কিছু মনে আছে, আবার অনেক কিছুই ভুলে গেছি। আমাদের কাজের মেয়ে শিল্পি আপু ছিল দস্যি মেয়ে। বড় বড় গাছ বেঁয়ে অনায়সে উঠে আম পারতো। আমরা নীচে দাঁড়িয়ে হাতে তালই দিতাম। একবার শিল্পি আপুকে পছন্দ করলো গ্রামের বউমরা জলফু হালদার। বয়স হসে সত্তরের উপরে। আমাদের বাড়িতে ঘন ঘন এসে দাদাকে এইকথা বলতেন। দাদা শুনে বিরক্ত হতেন সেইটা আমরা বুঝতাম।
একদিন জলফু হালদার বাড়িতে বসে দাদার সাথে কথা বলছিলেন। দস্যি মেয়ে শিল্পি আপু একটা প্ল্যান করলো। আমরা হলাম দর্শক। শিল্পি আপু একটা পান বানিয়ে তার ভেতরে কয়েকটা নাগা মরিচ ঢুকিয়ে সেটা দিয়ে আসলো জলফুর মুখে। বুড়া জলফু সেই কি হা হুতাস। আমরা দূর থেকে দাঁড়িয়ে মজা দেখছিলাম। সেই দিনের পরে জলফু হালদার আর আমাদের বাড়িতে আসেনি। সেই শিল্পি আপুর বিয়ে ঠিক হল। তার মা তাকে নিয়ে গেলেন, কথামত দাদা তার বিয়ের ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন।
আমাদের বাড়ির পূর্ব দিকের খালে কচুরি কাটতে আসতেন পাঁচকুড়ি খন্দকার। অদ্ভুত এক নাম। পাঁচকুড়িতে হয় একশ। মানুষের এমন নাম হতে পারে তা ছিল ধারনার বাইরে। পাঁচকুড়ি খন্দকারকে সবাই ডাকতো পাঁচকুইড়া বলে। সে কুচুরি কাটতে বসে ডাহুক পাখির মত শব্দ করতো। ইচ্ছে করে নয়, এটা ছিল তার রোগ। বাড়ির আশেপাশে ডাহুক পাখি সত্যি সত্যি ডাকলেও আমরা ভাবতাম পাঁচকুইড়া বসে বসে কচুরি কাটতেছে। আমাদের বাড়ির উত্তরের বাড়িতে একজন লোক থাকতেন যার নাম হাতকাটা। ডাকাতরা তার হাত কেটে দিয়েছিল বলে তার নাম ছিল হাতকাটা। বাড়ির অদূরে একজন দোকানদার ছিলেন কপালকাটা সুলতান। সবাই বলতো কপালকাটার দোকান। একদিন তার প্রথম বউ নাকি তাকে দা দিয়ে কপ মেরেছিল, তারপরথেকে তার কপাল থেকে নাকের উপর দিয়ে একটা দাগ গেছে। আর তার নাম হয়েছে কপালকাটা। এমন অনেক নাম ছিল যেমন মিষ্টির দোকানের নাম ঘোষাইয়ের মিষ্টি, যিনি আমাদের চুল কাটাতেন আমাদের বাড়িতে এসে তার নাম ছিল ননি নরসুন্দর ইত্যাদি।
ছোট বেলা থেকে বাবাকে তেমন দেখিনি। দেশের বাইরেই ছিলেন সেই সময়টায়। আমাদের বসার ঘরে আব্বু এবং চাচ্চুদের ছবি ফ্রেমে টানানো ছিল। সেখানেই দেখতাম আব্বুকে। তখন গ্রামে টেলিফোন ছিল না। বাবার আদর কেমন হয়, বাবার গলার স্বর কেমন হয়, বাবার গায়ের গন্ধ কেমন হয় জানতাম না। একসময় আব্বু চলে এলেন বিদেশ থেকে একেবারে। দেশে ব্যাবসা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রথম প্রথম আব্বুর কাছে যেতে লজ্জা লাগতো। আব্বু সিগারেট টানতেন। সিগারেট খেলে পাপ হয় আমি জানতাম। ছোটবেলা থেকে সিগারেটের প্রতি একটা ঘৃণা ছিল। আর আমি নিজেই এখন সিগারেটে আসক্ত। যাইহোক, আব্বুকে ভীষণ ভয় লাগতো। এরপরে ধীরে ধীরে আব্বু সম্পর্কটা সহজ করার চেষ্টা করেন কিন্তু আমি সহজ হতে পআরতাম না। আব্বুর গায়ের ঘামের আর সিগারেটের মিশেল গন্ধ ভালো লাগতো। আব্বু বেশী আদর করতেন আমার ছোট বোনকে। মেয়েদের প্রতি বাবারা একটু দুর্বল থাকেন, তাদের আবদার ফেলতে পারেন না। দুপুরের আব্বুর দুইপাশে দুই ভাইবোন শুয়ে ঘুমানর চেষ্টা করতাম। আব্বু বেসুরে গলায় ঘুমপারানির গান ধরতেন। গান না, ছরা বলা যায় সেটাকে। কারন আব্বু দুইলাইন পারতেন। এই দুইলাইনের বেশী কখনো শুনতে পাইনি,
“ আয় আয় ঘুম, ঘুমের ছালা লইয়া
দুই চোরারা বুদ্ধি করে তেঁতুল তলায় বইসা।“
আব্বুর সাথে আমি ঘুমাতে পারতাম না। তার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকতাম বলে তিনি বিরক্ত হতেন। আমি আসলে ভয় পেতাম আব্বুকে, আর এখন আমার আব্বুই আমার সবথেকে ভালো বন্ধু। প্রতিদিন আব্বুকে ফোন না করলে অস্থির লাগে।
আব্বু সপ্তাহে একদিনের জন্য বাড়িতে আসতেন। ঢাকার সদরঘাটে লেডিস পার্ক মার্কেটে এশিয়া গার্মেন্টস নামে তিনি শোরুম করলেন। প্রতি সপ্তাহে বাড়ি আসার সময় হরেক রকম ফল নিয়ে আসতেন। আব্বুর এই অভ্যেসটা এখনো আছে। প্রতিদিন বাসায় আসার সময় হাতভর্তি ফল নিয়ে আসেন। এতবড় হয়েছি, কখনো অভাব শব্দটি তিনি বুঝতে দেননি। আমাদের কোন প্রয়োজন কখনো তিনি তুচ্ছ করেননি।
একবার আব্বু বগুড়ায় গিয়েছিলেন আমার এক ফুপ্পিকে দেখতে। আসার সময় বগুড়ার বিখ্যাত দই নিয়ে আসলেন। আমি সেই দইয়ের লোভ সামলাতে না পেরে পলিথিনের গিট খুলতে গেলাম। দীর্ঘপথ আসায় গিট শক্ত হয়ে গেছে। আমি কামড়ে গিট খুলতে যেয়ে দেখি আমার একটা দাঁত মিসিং। মানে প্রথম দাঁত পরল। কোন ব্যাথাই পেলাম না। দাঁত নাকি ইঁদুরের গর্তে ফেললে ইঁদুরের মত দাঁত হয়। আমরা ইঁদুরের গর্ত খুঁজতে লাগলাম। শেষে ছোট খাটো একটা গর্ত পেয়ে ঢেলে দিলাম দাঁত। পরে কনফিউশন দাঁত কি ইঁদুরের গর্তে ফেললাম নাকি সাপের গর্তে? এইবার যদি সাপের মত ছোট ছোট দাঁত হয়?
দেশে আসার পর পর আব্বু ব্যাবসা শুরু করলেন। ছয় মাসে মাথায় আমাদের ঢাকার জমিতে করলেন ঊলেন সোয়েটারের ফ্যাক্টরি। এবার সবাইকে ঢাকা আসতে হবে। আমার আম্মু মহাখুশি কারন তার ভাই বোন সবাই থাকে ঢাকাতে। একমাত্র অখুশি আমি আর দাদা দাদু। তারা দুজনে গ্রামের বাড়ি ফেলে কিছুতেই যাবেন না। আর আমি দাদা দাদুকে ছেরে কিছুতেই যাব না। তাছারা বছরের মাঝে আমাকে নিয়ে গেলে আমাকে আবার নতুন করে চতুর্থ শ্রেনিতে ভর্তি হতে হবে। আমাকে দাদা দাদুর কাছে রেখে তারা ঢাকার বাসায় চলে গেলেন সবাই।
সমস্ত বাড়িতে তখন আমরা তিনজন। দাদু আমাকে ধরে শুধু কান্না কাটি করেন কারন আমার বার্ষিক পরীক্ষার পরে আমাকেও নিয়ে যাওয়া হবে। আমি দাদা দাদুকে ছারা , আমাদের এই বাড়ি ছেরে কিভাবে থাকবো সেইটা নিয়ে বিশাল চিন্তায় পরে গেলাম। ঢাকায় বছরে তিন থেকে চার বার যাওয়া হতো, সেখানে শিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা ঘুরে ভালো লাগতো। কিন্তু আমার গ্রামের এই বাড়ি ছেরে আমি থাকতে পারবো না বলে আমার বদ্ধমূল ধারনার জন্ম হলো। তখন আমার বয়স নয় থেকে দশ বছর, আমাদের আরেকটি ভাই এসেছে পৃথিবীতে। আমি নিজের সাথে দন্ধে ভুগতে লাগলাম যে বাবা মায়ের কাছে শহরে যাব নাকি দাদা দাদুর সাথে গ্রামে থাকবো।
দাদা দাদু আমাকে বুঝাতে লাগলেন, শহরে থাকলে আমার বাকি জীবন সুন্দর হবে। কিন্তু আমার সেই সুন্দরের দরকার নেই। আমি চাই মাটির সাথে থাকতে আমাদের এই গ্রামে। বার্ষিক পরীক্ষার পরে একসময় আমাকে ঢাকায় চলে যেতে হলো। এই দশটি বছর সময়কেই আমার জীবনের শৈশব সৃতি বলা যায়। সুতরাং আমার শৈশব কেটেছে গ্রামে। আর কৈশোর পর্বের শুরু হয় শহরে। আরও অনেক অনেক সৃতিঘেরা আমার শৈশব। আমার জীবনের দ্বিতীয় স্বত্বার ভিত গড়ে উঠেছে আমার শৈশবে। আমার জীবনের সবথেকে সুন্দর সৃতির সময়।
আমার শৈশব, কৈশোর আর তারপরের লাগামহীন দিনগুলি - ১
আমার শৈশব, কৈশোর আর তারপরের লাগামহীন দিনগুলি - ২
আমার শৈশব, কৈশোর আর তারপরের লাগামহীন দিনগুলি - ৩
আমার শৈশব, কৈশোর আর তারপরের লাগামহীন দিনগুলি - ৪
(পর্বভিত্তিক ভাবে চলবে)
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনুজীব ধন্যবাদ
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:২৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমি চাই মাটির সাথে থাকতে আমাদের এই গ্রামে। - হায় সেই ধূলোমাখা স্ম্বতির শৈশব............
দিন যায় , বছর যায়। শৈশবের স্মৃতিসব চিরসবুজ সোনালী মায়াময়,বিরহকাতর হয় রয়ে যায়।
আপনার ঝরঝরে গদ্য খুবই ভালো লাগলো।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়া ঘাট পড়ার জন্যে।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৩
শায়মা বলেছেন: এত কিছু মনে আছে তোমার!!!!!!
অবাক হলাম........
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আমার মেমরী খুব শার্প, কোন কিছুই ভুলি না :!>
থেন্কু আপুমনি
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৪
বড় বিলাই বলেছেন: সুন্দর শৈশব। সুন্দর স্মৃতি। সুন্দর বর্ণনা।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: বড় বিলাইকে একটা ক্যাটবেরি দেয়া হলো
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৪৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: অতীন বন্দোপাধ্যায়ের " নীলকন্ঠ পাখীর খোঁজে" বইটি পড়েছ? না পড়লে পড়ে দেখো। সোনার শৈশব আর তোমার শৈশবের মাঝে কোন অমিল নেই। তেমনি অপু, বা আমার সাথেও অমিল নেই। হয়তো সময়ের ব্যবধান আছে। শৈশব কিন্তু সেই চকমকি পাথরের মতই উজ্জ্বল। সবার একই রকম।
আহারে! কেন যে শৈশব হারিয়ে যায়।
আজ থেকে আমিও লেখা শুরু করলাম।
শুরুতেই তোমার কথা স্মরন করেছি।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৫৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: না আপু, দূর্ভাগ্যবশত বইটি আমার পড়া হয়নি। দেখি ই-বুক ভার্শন পেলে নামিয়ে পড়ে ফেলবো
আমিও নিজেকে খুব লাকি মনে করি এত সুন্দর একটি শৈশব পেয়ে, কিন্তু আমার কৈশরের সময়টা কেটেছে নিজের সাথে আর পরিবেশের সাথে মানসিক দন্ধের ভেতর দিয়ে। এর পরের পর্ব থেকে কৈশরের সেসব ঘটনা তুলে আনবো।
আপু আত্মকথা লিখার মাঝে অন্যরকম একটা তৃপ্তি আছে। আমি অপেক্ষায় রইলাম আপনার কথাগুলো পড়ার জন্যে
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৫৬
শায়মা বলেছেন: আমারও মেমোরী অনেক শার্প!!
বাট আমার ছোটবেলা লিখলে সবাই মনিটর ভেঙ্গে মাইর দিতে আসে যদি সেই ভয়ে লিখছিনা।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ছোটবেলায় তুমি খুব দুষ্ট ছিলা তাই না?
আমার দুষ্ট একটা কাজিন ছিল, সে আমাকে শুধু রোম্যান্টিক হিন্দি গান শোনাতো
আপু লিখে ফেলো শৈশব
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০২
বেঈমান আমি বলেছেন: ভালো লাগলো রিক।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ মশা ভাই
৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:১৫
নাঈম আহমেদ আকাশ বলেছেন: ভালো লাগল ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাঈম আহমেদ আকাশ
৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:১৮
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: ভালো লাগল পড়ে।এবার কিশোর জীবন নিয়ে লিখে ফেলুন।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:০২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ চেয়ারমতান সাহেব পরের পর্ব থেকে কিশোর বেলা থাকবে
১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩১
শিশিরের শব্দ বলেছেন: Valo laglo shoishob..
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:০৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ শিশিরের শব্দ।
১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৪২
ছেড়া পলিথিন বলেছেন: +
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৪৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ছেড়া পলিথিনকে ধন্যবাদ
১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৪৪
~মাইনাচ~ বলেছেন: ১৮+টাও লিখে দেন এবার
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৫০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: মাইনাস
১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৫১
ফারিয়া বলেছেন:
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৫৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন:
১৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:০৩
ছেড়া পলিথিন বলেছেন:
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:০২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: বাহ! সুন্দর।
আমি নীচের গানটা শুনছিলাম এতক্ষন
১৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:১০
নিমা বলেছেন: ভাইয়া এতো কথা মনে রাখলা কেমনে?
অনেক ভাললাগে পড়তে অনেক গোছানো পরিপাঠি লেখা...
২ ৩ ৪ মোবাইল থেকে পড়েছি তাই আর কমেন্ট করা হলোনা..
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৪৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ...
মেঘ এসে যখন সূর্যটা হাপিস করে গিলে ফেললো,
ঠিক তখনি সাঁই করে একটা উড়োজাহাজ
চিড়ে গেলো দুষ্টু মেঘের বুক।
কিন্তু যখনি মেঘটা কান্না শুরু করলো
আর সেই জল এসে আমার ঠোঁটের কিনারে পড়ল
খুব মন খারাপ হয়েছিল মেঘটার জন্যে।
আরো অনেক স্মৃতি লেখাটা শেষ হওয়ার পরে মনে পড়েছে
১৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৪১
ভিয়েনাস বলেছেন: শৈশব আর কৈশোর সব মানুষের স্বর্ণময় সময় । এই সময় গুলোতে যত মধুর স্মৃতি জমা হয় অন্য কোন সময় তেমন হয় না ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৫০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: হুম, শৈশবের দিনগুলো খুব সুন্দর হয়। কত সুন্দর ছিল সেসব দিন
১৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৫২
নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: হে বালক, এগিয়ে চলো। তোমার লুলময় তারুন্যের অপেক্ষায় আছি
ভালো আছেন? পিলাচ লন।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:০১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ওহে নষ্টপ্রবীন নিশাখোড় ভবঘুরে, আমায় লুল ভাবিবার কোন অবকাশ নাই। যাহা আমি নই তাহা কেন আমার ঘারে চাপাইয়া উচ্চাসি হাসিতেছ?
আল্লায় সইব না
১৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৪১
মেঘের দেশে বলেছেন: দেখা গেলো শৈশবের দশ বছরে শুধু বড় আপুদের দিকেই নজর ছিলো ??? ওকে দেখি এখন কৈশোরের কি অবস্থা
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ...
কিশোরী বয়সে তরুনী,
শিশুমন সুন্দরের পুজারী
১৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:২৪
শোশমিতা বলেছেন: তোমার বয়স নয় থেকে দশ বছর তার ছেয়ে আগের গল্প এই গুলো? এতো ছোটবেলার এতো কথা মনে রাখলা কেমনে?
অনেক সুন্দর করে লিখেছ শৈশবের গল্প!
পড়তে পড়তে নিজের শৈশবে হারিয়ে গেলাম।
ভালো লাগলো +
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:২৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: কেমনে কেমনে যেনো মনে রেখে ফেলেছি। আমি নিজেও জানি না কেমন করে এত কিছু মনে থাকে
ধন্যবাদ শোশি আপু
২০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:২৯
যে আছো অন্তরে বলেছেন: ভালো লাগলো +
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:২৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ
২১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪৯
আরমিন বলেছেন: প্রতিটা মানুষের জীবনই যে এক একটা গল্প, উপন্যাসের পাতা, নাটকের মন্চ, পিছন ফিরে তাকালে এই কথটাই মনে হয়!
খুব সুন্দর শৈশব ছিলো আপনার!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
সবার শৈশবের চাওয়া, ইচ্ছে আর স্বপ্ন হয়ত একই রকমের হয়
২২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২৩
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
কোথাও কোথাও নিজেকেই দেখছি ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
২৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১৬
শহিদুল ইসলাম বলেছেন: রিয়েল ভাই , পর্ব কি শেষ নাকি ? এই পর্বটা সুন্দর লেগেছে ।।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: না শেষ হয়নি, এখানে শৈশব অধ্যায়ের শেষ, এখন কৈশোর অধ্যায় শুরু হবে।
২৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আপনার স্মৃতি শক্তি প্রবল, স্বীকার করতেই হবে।
শৈশবের গল্প পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা, অসাধারণ।
বরাবরের মতোই ভালো লাগা।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয়দা
২৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৯
anisa বলেছেন:
ধুলোমলিন পথের ধারে শৈশব কাঁদে ওই
সেই সব স্বর্ণালী দিন আজও হাতছানি দিয়ে ডাকে ।
অত ছোট বেলার কথা মনে পরে না রে
তবে কিছু কিছু স্মৃতি আজও অম্লান !
হা হা এবার দুরন্তপনার কথা নিশ্চই !
খুব সুন্দর !
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:০৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আপু আমি জানি স্মৃতি এক সময়ে না এক সময়ে প্রতারনা করে। আরো পরে লিখলে আমার হয়ত এসবো মনে থাকতো না।
অনেক ধন্যবাদ দিদিভাই
২৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০১
সায়েম মুন বলেছেন: কত কি মনে রেখেছেন। আমিও এমনই লিখতে চাই। কিন্তু লেখার সময় মনে আসে না।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:০৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: সায়েম ভাই, যা যা মনে পড়বে একটা নোট এ লিখতে পারেন, তারপরে বিস্তারিত লিখে ফেলবেন, এটাই আমার কাছে সহজ পদ্ধতি মনে হচ্ছে
ধন্যবাদ
২৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২০
স্বর্ণমৃগ বলেছেন: ভাল লাগলো!
+++
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাল থাকুন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:১৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক শুভকামনা
২৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০০
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: সুন্দর হয়েছে ভাইয়া ।
লেখাগুলো কি অনেকদিন আগেই লিখেছেন নাকি রিসেন্টলি ?
শৈশব অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি এবার যান্ত্রিক ঢাকার দিকে এগিয়ে চলা.....................
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:১৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: প্রায় দুই থেকে তিনমাস আগের লেখা সিফাত।
দেখি সময় পেলে আবার আগামিকাল থেকে দেয়া শুরু করবো
২৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:২৩
ত্রাতুল বলেছেন: এত কিছু মনে থাকে কি করে?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:২১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: সময়টা খুব প্রিয় ছিল তো তাই।
মানুষ দুঃখের স্মৃতি তারাতারি ভুলে যায়, আর সুখের স্মৃতি লালন করে। দুঃখের সময়ে সুখের স্মৃতি ভাবতে ভালোবাসে। এখনো সময়টা হয়ত অনুকূলে নেই।
৩০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫২
রেজোওয়ানা বলেছেন: ছোটবেলার স্মৃতি মানুষ সহজে ভুলতে পারেন না বোধহয়।
তোমার সিরিজটা ভাল লাগছে পড়তে......
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:২২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নানু
৩১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: শৈশবের মত সুন্দর সময় আর কিছু নেই। এই স্মৃতির ব্যাপারটা কেবল বড় হলেই টের পাওয়া যায়। তবু আমি বড় হতে চাইনি কোনোদিন!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:২৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আমি কিন্তু খুব বড় হতে চাইতাম, না বিয়ে করার জন্যে না
বড় হলে যখন খুশি আইসক্রিম খাওয়া যাবে, স্কুলের পাশের ফুচকা অনেক বেশি খাওয়া যাবে। পকেট ভরা টাকা থাকবে, আমি যা ইচ্ছে করতে পারবো।
বড় হয়ে দেখি পুরাই ফাউল লাইফ। আগে বাপের টাকায় উদরপূর্তি করে বাইরের জিনিস না খাইতে পারলেও খাইতাম, কিন্তু এখন পকেটে টাকা রাখতেই হিমসিম খেতে হয়
৩২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫০
নিশাত রহমান বলেছেন: একদিন আমিও উড়ে যাব একদেশ থেকে অন্যদেশে...
তুমি অনেক লাকি, তুমি তোমার দাদা দাদীর এত আদর/ভালবাসা পেয়েছ। আমি পাইনি, কখনওই না।
সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দাও
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৩১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: সবকিছু ব্যাল্যান্স রেখে চলে, তুমি হয়ত অন্যকারো কাছ থেকে এমনি ভালোবাসা পেয়েছো।
পারু দেবদাশকে ছেড়ে গেলেও দেবদাশ দারু ছাড়েনি
৩৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৪৩
রবিন মিলফোর্ড বলেছেন: কৈশোরের দিনগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম
সিরিজটা আসলেই দারুন ।
১৭ তম ভাললাগা ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৩৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রবিন, ওডেস্কের ব্যাপারটা নিয়ে চমৎকার হয়েছে তোমার পোষ্ট
৩৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:১৬
নীরব 009 বলেছেন: সব চেয়ে ভাল লেগেছে এই পর্বের ঘটনাগুলো।
তুই বগুড়ার দই খাইতে গিয়ে দাঁত হারাইসিস? হা হা হা হা ... মান সম্মান শেষ করে দিলি আমার!!!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৩৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: দইয়ের দোষ ছিল না, পলিথিনের গিট শক্ত হয়ে গিয়েছিল।
বগুরার দই কিন্তু আমার ভীষন প্রিয়
৩৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩২
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: আহা! সেই সব দিন!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৩৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: দূর থেকে দূর অতীতে ক্লান্ত শালিক আমার উঠোনে ধান খেতে আসতো
৩৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৫৩
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: খুব ভাল লাগল !! ছোট বেলার দিংুলো
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৪১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন:
৩৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৫৪
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ২০তম ভাললাগা
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৪১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: থ্যাঙ্ক ইউ চয়ন ভাই।
৩৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
~মাইনাচ~ বলেছেন: মাইনাচ না দেয়াতে বুঝি মন খারাপ??
ওকে তাহলে মাইনাচটা দিয়েই দিরাম, নিন মাইনাচ
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: মাইনাচ
৩৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৫
রবিন মিলফোর্ড বলেছেন: কৈশোর পর্ব পড়তে এসে দেখি এখনো দেননি
শীঘ্রই আসছে আশা করি
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৩৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: কিছুদিন পরে দেব। একটু ফ্রি হই
৪০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪
জুন বলেছেন: দারুন ডেমোন, দারুন। আমার ও মনে আছে অনেক ছোটো বেলার কথা, কিন্ত তোমার মত হয়তো এত সুন্দর করে লিখতে পারবো না। আমার শৈশব টা ও অনেকটা এমন ছিল , তবে নানা নানু যাকে আমরা আপু ডাকতাম তাদের সাথে ঢাকায় আর আব্বা আম্মা আর বাকী ৩ ভাইবোন চিটাগাং থাকতো। অবশ্য বছর তিনেক পরে আমি তাদের সাথে যোগ দেই। তখন আমার মনটাও ঠিক তোমার মত ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে নানা আর আপুকে ছেড়ে যেতে।
+
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আপু নোট করে রাখবে, দেখবে লেখতে শজ হয়ে যাবে
সত্যিই কিছু মায়া থাকে যেসব ছেরে কখনো যেতে ইচ্ছে করে না। ছেরে গেলে মন খারাপ হয়ে থেকে।
থেন্কু
৪১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:৩০
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ভাল লাগলো লেখাটা।
তোমার আব্বা কোন দেশে থাকতেন?
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:৪০
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আব্বু লাইফের প্রথমদিকের সময়টা দেশের বাইরেই কাটিয়েছেন, অনেকগুলা দেশেই ছিলেন, সর্বশেষ কোরিয়া।
৪২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭
বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: পারু দেবদাশকে ছেড়ে গেলেও দেবদাশ দারু ছাড়েনি
কি রঙিন শৈশব ছিল। আরও অনেক অনেক হিংসা। তবে কোন জায়গায় শেকড় গজিয়ে গেলে তা ছেড়ে চলে আশা খুবই কষ্টকর।
এবার ৬ষ্ঠ পর্ব পড়বো ডেমোন ভাই।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২২
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: অবশ্যই
৪৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৬
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: বৈচিত্রময় জীবন!!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: হুম
৪৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৩
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: তোমার এই ধরনের কমেন্ট ভালোলাগেনাই।
Click This Link
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৪৪
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আগে অনেক বেশী দুষ্টামী করতাম, এখন অবশ্য অনেক বেশী সচেতন থাকতে হয়
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:২৭
অণুজীব বলেছেন: ভালো লাগলো ++++