![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একবার রাজসভায় মোল্লা নাসির উদ্দিনের বিচার করার জন্য সমবেত করা হয়েছিল দেশের শীর্ষ দার্শনিক, আইনবিদ এবং যুক্তিবাদী ব্যক্তিদের। কারণ এটা ছিল একটি সিরিয়াস ঘটনা। নাসির উদ্দিন স্বীকার করেছিলেন, তিনি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর সময় তার মতামত প্রচার করে বলেছেন, তথাকথিত জ্ঞানী ব্যক্তিরা আসলে অজ্ঞ, বিভ্রান্ত এবং কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা বলে যে, তিনি দেশের নিরাপত্তাহানী করেছেন। বাদশাহ তার সিংহাসন থেকে নাসির উদ্দিনকে বললেন, তোমাকেই প্রথম বলার সুযোগ দিলাম। নাসির উদ্দিন অনুরোধ করে বললেন, কিছু কাগজ ও কলম আনার নির্দেশ দিলে এ বান্ধা বাধিত হবে। কাগজ ও কলম আনা হলো। নাসির উদ্দিন বললেন, এখানে উপস্থিত সাত ব্যক্তিকে কাগজ ও কলম দেয়া হোক। কাগজ ও কলম বিতরণ করা হলো। নাসির উদ্দিন বললেন, আপনারা প্রত্যেকে একটি করে প্রশ্নের উত্তর লিখে দিন। প্রশ্নটি হলো-রুটি কি? সাত জ্ঞানী ব্যক্তি তাদের উত্তর লিখে বাদশাহর হাতে দিলেন। বাদশাহ প্রত্যেকের উত্তর পড়ে শোনালেন্
প্রথম জ্ঞানী ব্যক্তির উত্তর-রুটি একটি খাদ্য।
দ্বিতীয় জ্ঞানী ব্যক্তি-রুটি হচ্ছে আটা ও পানি।
তৃতীয় জ্ঞানী ব্যক্তি-আল্লাহর নেয়ামত
চতুর্থ জ্ঞানী ব্যক্তি-মাখা আটার ভাজি।
পঞ্চম জ্ঞানী ব্যক্তি-এটি পুষ্টিকর বস্তু।
ষষ্ঠ জ্ঞানী ব্যক্তি-বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানে হতে পারে।
সপ্তম জ্ঞানী ব্যক্তি-আসলেই কেউ জানে না।
উত্তরগুলো শোনার পর নাসির উদ্দিন বললেন, যখন তারা ঠিক করতে পারেননি রুটি কি তখন কি তারা অন্য বিষয়গুলো ঠিক করতে পারবেন? যেমন ধরুন আমি ঠিক বলেছি, না বেঠিক বলেছি। হুজুর এই ধরনের ব্যক্তিদের ওপর কি রাষ্ট্রীয় বিবেচনা ও বিচারের ভার অর্পণ করা যায়? যে বস্তুটি তারা প্রতিদিন খাচ্ছেন সে বস্তুটির বিষয়েও তারা একমত হচ্ছেন না। এটা কি খুব আশ্চার্যের বিষয় নয়? অথচ তারা সবাই একমত হয়েছেন যে, আমি রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছি।
গল্পসূত্র: সাংবাদিক শফিক রেহমানের ফেসবুক পেইজ ও মানব জমিন
©somewhere in net ltd.