![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে একটি সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার দুর্নীতিতে যারা অভিযুক্ত, সুবিধাভোগী বা সাক্ষী - তাদের একের পর এক অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে।
মৃত্যুর মিছিলে আজ (সোমবার) যোগ হয়েছেন এক শিক্ষানবিশ সরকারি কর্মকর্তা।
সকালে রাজ্যের সাগর জেলার একটি লেকে অনমিকা খুশওয়াহার মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়।
এ নিয়ে মধ্যপ্রদেশে ‘ভায়াপম’ কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত এই দুর্নীতিতে গত তিনদিনে তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
তীব্র চাপের মুখে রাজ্যের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, আদালত চাইলে এই সব মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই তদন্তে তার আপত্তি নেই। তবে বিরোধী কংগ্রেস তার ইস্তফা দাবি করছে।
মৃত্যুর মিছিল
ভারতের সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে এ পর্যন্ত এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে জড়িত, এমন অন্তত পঁচিশ জন রহস্যময় পরিস্থিতিতে মারা গেছেন। তবে কেউ কেউ দাবি করছেন, এই সংখ্যাটা চল্লিশেরও বেশি।
শনিবারই ‘আজ তক’ টিভি চ্যানেলের এক সাংবাদিক এই দুর্নীতির তদন্তে মধ্যপ্রদেশে গিয়ে যখন এক অভিযুক্তের পরিবারের ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন তখনই মুখে হঠাৎ গ্যাঁজলা উঠে তিনি মারা যান।
পরদিন সকালে দিল্লির একটি হোটেলের ঘরে দরজা ভেঙে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় রাজ্যের একটি মেডিক্যাল কলেজের ডিনকে যিনি মাত্র দুদিন আগেই ভায়াপম দুর্নীতি নিয়ে তার একটি তদন্ত রিপোর্ট পুলিশকে জমা দিয়েছিলেন।
আর সোমবার সকালে মধ্যপ্রদেশের সাগরে একটি লেকে ভাসতে দেখা যায় শিক্ষানবিশ এক সরকারি কর্মকর্তার দেহ – যিনি ভায়াপম দুর্নীতির সুফলভোগী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
null
সরকারি এই নিয়োগ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে কেলেঙ্কারিতে বিপর্যস্ত মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকার
প্রায় দুবছর আগে ভায়াপম দুর্নীতি ফাঁস হওয়ার পর যে মামলা দায়ের হয়েছিল, তারপর এরকম একের পর এক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এরা কেউ পথ দুর্ঘটনায়, কেউ গায়ে আগুন দিয়ে বা ফাঁসিতে আত্মহত্যা করে, কেউ অ্যালকোহল-জনিত অসুস্থতায়, কেউ জলে ডুবে বা কেউ আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
তবে এই সব মৃত্যুর মধ্যে সরাসরি কোনও যোগসূত্র আছে এমন প্রমাণ মেলেনি।
কিন্তু অ্যাক্টিভিস্টরা দাবি করছেন, এই সব মৃত্যুর প্রায় সবগুলোই অস্বাভাবিক – কারণ ভায়াপম দুর্নীতির মামলায় তাদের সাক্ষ্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভায়াপম দুর্নীতিতে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রাজ্যপাল রামনরেশ যাদব ও তার ছেলে শৈলেশ যাদবও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যপালের ছেলেও গত মার্চ মাসে অস্বাভাবিকভাবে হঠাৎ মারা গেছেন।
এই নিয়োগ-দুর্নীতিতে রাজ্যের তিন দফার মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে, তবে মি চৌহান জোরালোভাবে তা অস্বীকার করে আসছেন।
বিবিসি
©somewhere in net ltd.