![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জিইসি মোড়ে পৌঁছে দেখি, রাস্তার পাশে চকচকে, ঝলমলে নতুন জুতো বিক্রি হচ্ছে। এক ঝলক দেখেই মনে হলো—এগুলো নামি-দামি ব্র্যান্ডের ফার্স্ট কপি, যদিও বিক্রেতারা বলছিল, "ভাই, ইম্পোর্টের জুতা, একদম অরিজিনাল, ডাইরেক্ট চায়নার মাল!" যদিও জুতায় লিখা ছিলো Made in Bangladesh…
একজোড়া জুতো বেশ মনে ধরল, ট্রায়াল দিলে পায়ে দারুণ মানাবে মনে হচ্ছে, পরতেও বেশ আরামদায়ক হবে বুঝা যাচ্ছে। হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখলাম, বেশ ভালোই মনে হচ্ছে। ট্রায়াল দিলাম, আহ্! কী চমৎকার ফিটিংস! পায়ের সঙ্গে এমন মিশে গেল মনে হচ্ছে, যেন এটা আমার জন্যই বানানো হয়েছে। দামও তুলনামূলক অনেক কম, তাই দরদাম করে কিনে নিলাম। মনে মনে ভাবতে লাগলাম, "এত কম দামে এত ব্র্যান্ডেড লুকের জুতো? বাহ! আমি তো আসলেই ভাগ্যবান!" নিজেকে বাহবা দিতে দিতে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
বাসায় গিয়ে আরেকবার খুশি মনে ট্রায়াল দিতে গিয়ে দেখি— এখানেই বাঁশ! এক পায়ের জুতো পারফেক্ট, আরেকটা এক সাইজ বড়! এইটা আবার কী? "সস্তার তিন অবস্থা" না হয়ে বরং হয়ে গেলো "বড়-ছোট অবস্থা"! সাথে সাথে আবার রওনা দিলাম দোকানের দিকে। ভাগ্য ভালো, দোকানটা তখনও খোলা ছিল। দোকানদার প্রথমে একটু চমকালো, তারপর মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল,
-ভাই, ভুলে গেছে মনে হয়। দেখি! ভাই একটা তো ঝামেলা হয়ে গেল, এই জুতা দুইজোড়া ছিল একজোড়া আপনে নিছেন আরেক জোড়া আরেক ভাই নিয়ে গেছে ।
-তো এখন আমি এই জুতা কিভাবে ইউজ করবো?
-চিন্তা কইরেন না, আমি আছি তো, অন্য এক জোড়া দেখেন পছন্দ হয় কি না। চেঞ্জ কইরা দিমু।
-আচ্ছা দেখি।
দেখে শুনে আরেকটা পছন্দ করে নিয়ে নিলাম। এবার আর ভুলের সুযোগ নেই। দুইটা জুতো পায়ে দিয়ে দিলাম পুরোনো জুতা ব্যাগে করে নিয়ে বাড়ির পথ ধরলাম। এবার আমি নিশ্চিত! কিন্তু এত কষ্ট করে জুতো কেনার অভিজ্ঞতা আমাকে একটা অমূল্য শিক্ষা দিল
—“কম দামে ভালো কিছু পেলে, দুইবার ভাবতে হবে, তিনবার চেক করতে হবে, আর চারবার সন্দেহ করতে হবে!”
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
এ পথের পথিক বলেছেন: বাস্তবতা তুলে ধরেছেন ভাই । তবে হাসিও পেয়েছে অনেক ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মেঘবৃষ্টির গল্প বলেছেন: সস্তা জিনিস এমনই হয়।