![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ যখন চরম হিংস্র অন্যায় কিছু দেখে তখন তার মধ্যে কিছুটা প্রতিহিংসা চলে আসে এবং সে প্রতিশোধ পরায়ান হয়ে যায়। যেমন রাজন কে পিটিয়ে হত্যা করার ভিডিও দেখে তার হত্যাকারী উন্মাদ পশুদের উপর ঝরে পরা রাগ থেকে আমরা তাঁদের শাস্তি নির্ধারণ করা
রাজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ভিডিওটি দেখলাম এইমাত্র।
কামরুলকে ধরা হয়েছে।
“একটা মারসেন, খুশি হইসি আমি।”
কামরুলের দুইটা অণ্ডকোষ পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়া হোক হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে; এমন পন্থায়, এমন পরিবেশ সৃষ্টি করে, এমন নিষ্ঠুরতায়, যাতে প্রথমটিতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করার পর সে এটা বড় আশা করে বিশ্বাস করতে চায় যে, পরেরটিতে আর কিছু করা হবে না আর অসহায়ভাবে কাকুতিমিনতি করতে থাকে, “একটা গালায়ে দিসেন, খুশি হইসি আমি।”................................. -Sushanta Paul
লিখাটা কিন্তু আরও বড় কিন্ত আমি শেষ পর্যন্ত পরতে পারিনি যেমনটা আমি দেখতে পারিনি ওই মেরে ফেলার ভিডিওটা। হা একটা শব্দ চখে পরেছে, সে কথায় পরে আসি। লেখক কে আমি চিনি, তিনি বিশাল ফেমাস একজন মানুষ, অনেক ফলোয়ার উনার। এই স্ট্যাটাসতেও কয়েক হাজার লাইক শেয়ার কমেন্টস, আমার অনেক পরিচিত জনও আছে। আমরা আসলেই হুজগে বাঙালি, একটিবার ও নিজে চিন্তা করিনা। পরিবর্তন কোত্থেকে হবে। এই লিখাটা চখে পরছে বলে বললাম, এ রকম হাজার লিখা আছে। অনেকে হয়ত সস্তা কাটতির জন্য নতুবা নিতান্তই সে বিকৃত চিন্তাভাবনার মানুষ। নাহলে কারো কাউকে ব্লেড দিয়ে কেটে লবন লেবু মাখানোর মত শাস্তি দেয়ার এ রকম বিকৃত চিন্তা আসতে পারে না। আর আমরা তা শেয়ার আর লাইক দিয়ে যাচ্ছি। চিন্তা করছিনা তা আমাদের কোন মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। তাহলে আমরা হত্যাকারী পশুদের থেকে ভাল কোথায়। আমরাই তো সবার মাথায় ঢুকিয়ে দিচ্ছি কিভাবে মারতে হয়, দিন শেয়ার দিন আরও।
দেশে অনেক বড় বড় সন্ত্রাসী গদফাদাররা আরও নৃশংস ভাবে মানুষ হত্যা করে কিন্তু আমারা নির্বিকার থাকি। কারন ভিডিও দেখিনা। আমাদের আশেপাশে এ রকম হাজারো ঘটনা ঘটে আমরা উপেক্ষা করে যাই। রাজন এর বর্বর উন্মাদ হত্যাকারীদের করা ভিডিও বের হওয়ায় আমাদের হুশ হয়েছে যে, একটু আগে কাজের মেয়েটার গায়ে হাত তুলা ঠিক হয় নি।
পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের মানসিকতার, ব্যাবহারের। আপনি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে বলতে পারেন না তাকে ব্লেড দিয়ে কেটে তাতে লবন আর লেবুর রস মেখে দিবেন। আর হাজার মানষ তাতে লাইক দিবে। এসবে মানুষের পশুত্ত জাগ্রত হয়। যেমন রাজন এর হত্যাকারীরা মানুষ না পশু। অবশ্য আমরা জাতিই এমন, হয়ত আরও আগে বুজতে পারতাম যদি সেদিন জাতির পিতার বাসায় ভিডিও ক্যামেরা থাকত, থাকত জিয়াউর রহমানের বাসায়ও। বিদেশে মানুষ হত্যা তো দুর কারো গায়ে হাত তুলার কোথাও চিন্তা করে না। কেন তাঁদের কে কি লেখকের দেয়া উপায়ে শাস্তি দেয়া হয়। না, তারা জানে যে এটা বর্বরতা।
আমরা যদি রাজনকে উৎসর্গ করে একদিন সবাই আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন এর চেষ্টা করি, সবার সাথে ভাল ব্যাবহার করি, পরিবর্তন সেখান থেকে ই শুরু হবে। নাহলে ও রকম আরা অনেক রাজন মারা যাবে আগোচরে, শুধু থাকবেনা কোন ভিডিও আর আমাদের আশেপাশে ঘুরে বেড়াবে মানুষরুপি পশুগুলো।
রাজন আমাদের ক্ষমা করে দিও। আর হত্যাকারীদের সর্বচ্চ শাস্তি কামনা করছি।
©somewhere in net ltd.