![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন লক্ষ্যহীন পথিক, পথে নেমেই পথকে চিনি - লক্ষ্যকেও।
(নোট - তখন জাদুবাস্তবতা, সুররিয়ালিজম এইসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে ভাল্লাগতো। নিতান্ত কাচা হাতের হাবিজাবি লেখা)
জাদুবাস্তবতার খোঁজে পড়েছি গার্সিয়া মার্কেজ থেকে ফ্রান্ৎস কাফকা ।
হেটে চলে গেছি কলম্বিয়া থেকে প্রাগ ।
কলম্বিয়ার পথে পথে কর্নেলের চিঠি কিংবা নীল কুকুরের চোখের আশায় হেটে চলেছিলাম নিঃস্বঙ্গতার একশো বছর ।
আর প্রাগের সার্কাসে খুঁজি সেই অনশনশিল্পীকে ,
যে অনশন শিল্পের প্রতি আত্মনিবেদিত ।
দন্ড উপনিবেশে শেষ রায়ের প্রতীক্ষায় থেকে গ্রেগর সামসার মত হয়ে যাই এক বিশালকায় বিষণ্ন তেলাপোকা ।
জাদুবাস্তবতা খোঁজে খোঁজে যখন ক্লান্ত হয়ে ফিরেছি এই বাংলার সবুজে শ্যামলে ,
তখন ঘাসের বুকে শিশিরবিন্দু দেখে ,
ছাতার মতন পাতাটির নিচে দোয়েলের মধুকণ্ঠী শীষ শোনে ,
আর পাখির নীড়ের মত চোখের অধিকারিণী নাটোরের বনলতার সেনের দিকে তাকিয়ে অনুভব করলাম ,
আমাদের অতিপ্রিয় জীবনানন্দ দাশ , বাংলার ঘাস , মাটির স্পর্শে স্পর্শে ছড়িয়ে গেছেন নিরন্তর জাদুবাস্তবতার উপাদান ।
ঠিক তখনই ইউরেকা ইউরেকা বলে চেচিয়ে উঠতে গিয়ে আচমকা থেমে যাই , নিস্তব্ধতার কাছে আত্মসমর্পণ করি আবারো ।
" হাজার বছর ধরে আমি পথ হাটিতেছি পৃথিবীর পথে /
সুরঞ্জনা তোমার হৃদয় আজ ঘাস অথবা-
থুত্থুরে অন্ধ পেঁচা এসে বলেনি কি , '
বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে ,
চমৎকার ! ধরা যাক দুয়েকটা ইঁদুর এবার ? "
এই জাদুবাস্তবতায় আচ্ছন্ন পঙক্তিগুলো হৃদয়ের গভীরে রেখে কাফকা / মার্কেজের বইয়ের পাতায় পাতায় জাদুবাস্তবতার খুঁজে ঘুরেছি ।
একসময় জানতে পারলাম রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ বাঙালিদের মধ্যে প্রথম তার কবিতায় জাদুবাস্তবতার ব্যাবহার করেছেন ; তিনি প্রথম বাঙালি সুররিয়ালিস্ট কবি ।
হৃদয়ে জীবনানন্দের পঙক্তি সুপ্ত রেখে জাদুবাস্তবতার জন্য আমার এই আপাত ব্যর্থ অভিযান প্রকৃতপক্ষে ব্যর্থ নয় ।
" আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাইনি ,
বাহির পানে চোখ মেলেছি ,
আমার হৃদয় পানে চাইনি ! "
- গানের এই কথাগুলো আমার এই আপাত ব্যর্থ অভিযান সম্পর্কে সঠিক উক্তি ।
আমরা হৃদয়ে অনন্ত ঐশ্বর্যের সম্ভার রেখে বাহ্যিক সম্পদের আশায় ঘুরে মরছি !
অনেকগুলো সুররিয়ালিস্ট গল্প/কবিতা পড়ার পরও জাদুবাস্তবতা ( সুররিয়ালিজম ) আমার কাছে এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেছে ।
অস্পষ্টতা এবং বিভ্রান্তি হয়তো জাদুবাস্তবতার বৈশিষ্ট্য । হয়তো এটা কখনো ভালোভাবে বোঝা যায়না অথবা আমি হয়তো একে বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছি ।
বাংলাদেশে আরো যারা জাদুবাস্তবতা নিয়ে কাজ করেছেন তাদের মধ্যে আছেন আব্দুল মান্নান সৈয়দ ও শহীদুল জহির ।
যদিও তাদের লেখা একদমই পড়া হয়নি ।
পড়তে হবে ,,,,
তাকাতে হবে হৃদয়ের পানে ,,,,
রহস্যময় জাদুবাস্তবতার খোঁজে ,,,,
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: জাদুবাস্তবতা বইয়ের চেয়ে মানুষের মনে হাজার গুন বেশি।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০০
রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: তা তো অবশ্যই
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ! বেশতো জাদুবাস্তবতার ভাবনা
চলুক অনুসন্ধান! পেলে আবার শেয়ারের অগ্রিম আহবান রইলো
++++++
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০২
রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: ধন্যবাদ। শেয়ার করবো।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
শের শায়রী বলেছেন: নুভবে মুগ্ধতা জানবেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০২
রেজাউল করিম সাগর বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসামান্য ভাবনা