![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলোহীন পথে,হাঁটছি আমি ,ধূসর শুভ্রতায়,কুয়াশাচছন্ন পথে ।.
আসন পরিপ্রেক্ষিতে চতুর্থ শ্রেণীর এবং ধর্মীয় দল হিসেবে প্রথম শ্রেণীর ক্ষমতাধর দল জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ ।তাদের নিজ জনপ্রিয়তায় সর্বোচ্ছ পাঁচটি আসন তারা পেয়ে থাকে ।কিন্তু বিডি নিউজে একটি খবর পড়ে কিছুটা দোটানায় পড়ে গেলাম ।তারা লিখেছে যে আওয়ামীলীগ ,বিএনপি এবং জামায়াতের নেতৃবৃন্দের একসাথে দাওয়াতে গমন ।যেখানে ২০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্তিত ছিলেন ।বুঝেন এখন ,কী জামায়াতকে কী বানিয়ে দিলো বর্তমান সরকার ?
এখন তারা চতুর্থ শক্তিধর দল যেখানে জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে রাখা যায় । তবে আওয়ামী লীগের কাজ কর্মে মনে হয় তারায় এখন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্ধন্ধী বিরোধী দল ।সাংগঠনিক শক্ত অবস্থানের কারণে আজ তাদের অধিক মূল্যায়ন ।এখন উপলব্ধী করুন ,আওয়ামী লীগ এদের জিরো বানাতে গিয়ে হিরো বানিয়ে দিচ্ছে ।একেই বলে খাল কেঁটে কুমির আনা ।
বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত দুটি ধর্মীয় মাজহাব ওহাবি এবং সুন্নি যারা জামায়াতকে ঘৃণা করে ।যদিও এই দুই মাজহাব ভেঁঙেই জামায়াতের উত্পত্তি ।আবার এই দুই মাজহাবের মধ্যে ওহাবীরা বিএনপি মনা এবং সুন্নীদের মধ্যে আওয়ামী মনা বেশী ।কিন্তু এদের মধ্যে প্রায়ই সবাই জামায়াতকে ঘৃণা করে ।দেশের একতৃতীয়াংশ মানুষ আওয়ামী মনা এবং একতৃতীয়াংশ মানুষ বিএনপি মনা ।আর কিছু স্বতন্ত্র কিংবা অন্যান্য ছোট দল গুলোর ।আর একটি অংশ আছে যারা শুধু পরিস্তিতি বুঝে এবং চিন্তা করে তাদের ভোট বা সমর্থন জানান যেখানে নতুন শিক্ষিত ভোটার এবং মধ্য ও উচচবিত্তের কিছু শিক্ষিত সুশীল পরিবার ।এই শেষাংশের ভোটেই মূল প্রতিদ্ধন্ধীটা গড়ে উঠে ।
কিন্তু কিছুদিন যাবত্ কিছু মানুষের সাথে কথা বলেছি এই বিষয় নিয়ে ।তাদের যারা বিএনপি মনা এবং যারা বর্তমান সরকারের উপর আস্তা হারিয়েছেন তারা এখন যুদ্ধাপরাধ বিচারের পক্ষে থাকলেও জামায়াত -শিবিরের নৃশংস আন্দোলনে মৌনতা প্রদান করেন । এবং এদের অধিকাংশই মনে করেন যে তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্টায় জামায়াত-শিবির আন্দোলন ব্যতিত অর্জন সম্ভব নয় ।
তবে দেখার বিষয় যে , এক্ষেত্রে শত নৃশংসতা করেও জামায়াত অতিরিক্ত অনেক মানুষের সার্পোট পাচ্ছে ।বিশেষভাবে যারা বর্তমান সরকারের উপর আস্হা হারিয়েছেন ।এখন ভাবুন ,কেঁচোকে সাপ আওয়ামী লীগই বানাচ্ছে ।
তবে আজ সকাল থেকে শাহবাগ দখলের ব্যপারটা সত্যিই প্রশংসনীয় ।যদিও বামদের অধিক আনাগোনায় পরিকল্পনার চাপ স্পষ্টতা পাচ্ছে ।তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সরকারের তীক্ষ্নতা সত্যিই প্রশংসনীর দাবিদার ।ব্যপারটা এই রকম যে সাপটাও মরল কিন্তু লাটিটাও ভাঁঙলো না ।নইলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে চতুর্মুখী আন্দোলনে বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার চাপ রাজনৈতিক অস্ত্র হত না ।জামায়াত বলছে এই রায় তারা মানে না ,বিএনপির নো কমেন্ট ।আর আওয়ামী লীগ বলছে কাদের মোল্লার ফাঁসি চায় তারা এবং এই বিচার ব্যবস্হায় তাদের মতামত প্রতিফলিত হয় না ।প্রগতিশীলদের মুখে : কাঁদতে আসি নি ,ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি ।
আর জনগণ ? তারাতো এই রাজনীতিরই বাঁধা ধরা ভলি ।তারা চায় শান্তি ।
ব্যারিষ্টার রফিক যেমন বলেছেন বিচার ব্যবস্হা তাঁর আপন গতিতেই চলবে ।যদি একে প্রভাবিত করা হয় তখন হিতের বিপরীতটায় ঘটবে ।তবে আওয়ামী লীগের উচিত কৌশলে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা ,উস্কানী দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি নয় ।আর জামায়াতেরও উচিত ধ্বংসাত্বক পথ পরিহার করা যাতে বিচার সুষ্টু হয় ।
পরিশেষে বলি ,শুরুতেই জিয়ার হাতে উত্থানের পর ৯৬ তে জামায়াতকে আওয়ামীলীগ তুলে এনেছে আন্দোলনের সাথী হিসেবে । এরপর বিএনপি তাদের প্রশ্রয় দিয়ে উপরে উঠার সিঁড়ি করে দিয়েছে ।আর বর্তমানে এই দুই দলেই আবার জামায়াতকে শক্ত অবস্হান তৈরী করে দিচ্ছে আর জামায়াত তা ব্যবহার করছে ।
ঠিক তেমনি ভাবে ,আওয়ামীলীগও বাম দলগুলোকে প্রশ্রয় দিয়ে উপরে উঠার সিঁড়ি করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে ।এইসবের ফলাফল দেখবেই এই দুই দল।তখন খালেদা -হাসিনা না ও থাকতে পারে ।যদি কোন কারণে এই দেশে রাজনৈতিক হত্যা হয় তখন এই বড় দল দুটি ভেঁঙে যাবে এবং পথ প্রশস্ত হবে বিশেষ করে বামদল গুলোর ।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২২
মিত্রাক্ষর বলেছেন: বাহ! কি চমৎকার দেখা গেল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৬
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: http://www.nabojug.com/posts/voboghure/243 এই লিংকে যেয়ে দেখুন ঃ পাক বাহিনী আর রাজাকার দের হাতে বাংলাদেশের মুসলমান নারীদের ধষন ছিল নাকি ধর্ম রক্ষার কাজ ।ইসলামে জায়েজ । ইসলামের আর কত অপব্যাখা করবে এরা ।শিবিরের ঐ পোলাপানদের কাছে জানতে চাই ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষিত মুসলমান নারীরা কি কাফের ছিল ??? শিবিরের পোলাপান কি লিখছে দেখেন ।