নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

'''দেশপ্রেম '''

দেশকে মায়ের মতো ভালোবাসি '''''''''''''''

remon06

দেশকে ভালবাসি

remon06 › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমার জন্য আমি '''''''''''''''''''''

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫







অথৈ







জীবনের এই স্বল্প পরিসরে অনেকবার অনেকের মুখেই শুনেছি " ভাগ্য নাকি কখনো কখনো মানুষের জীবনে এমন কিছু ঘটনার জন্ম দেয় যা তার জীবনটাকেই আমূল পাল্টে দেয় "। ঠিক তেমনি তোমার সাথে আমার প্রথম পরিচয় , ভালোলাগা কিম্বা ভালোবাসা সবই ছিল , স্রেফ একটা ঘটনা মাত্র । কিভাবে তোমার সাথে আমার একটা মিথ্যা সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছিল তার সবই তুমি জানো কিন্ত আজ আমি তোমাকে বলবো কেমন করে আমি সত্যি সত্যি তোমাকে ভালবাসলাম ।







আমি তখন সেকেন্ড ইয়ার এ , তোমার সাথে আমার প্রায়ই দেখা হতো , আমরা রিক্সা ভাড়া করে আমাদের কিছু পরিচিত জায়গায় ঘুরতে যেতাম । আমি জানি সব কিছুই তোমার মনে আছে । কারণ আমাদের সম্পর্কের এই ৩ বছর ৫ মাস ৪ দিনের কোন একটা মুহূর্তের কথাও তুমি এখনও ভুলে যাও নি । হয়তো আমি নিজেও অনেক কিছু ভুলে গেছি বা যায় কিন্তু তুমি ঠিকই আমাকে তা মনে করিয়ে দেও । সেজন্য আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ । যাইহোক তুমি যখন আমার সাথে দেখা করতে আসতে তখন সঙ্গে করে বিভিন্ন রকমের খাবার রান্না করে বা কিনে নিয়ে আসতে । তোমার মনে আছে নিশ্চয় সেন্টারফ্রেস আমার খুব পছন্দের কিন্ত সেটাও তুমি আমাকে প্রথম দিয়েছিলে । তুমি যে শুধু খাবার নিয়ে আসতে তা নয় , ঠিকই আমাকে সামনে বসিয়ে খাওয়াতে । তোমার নাকি এ দৃশ্য দেখতে ভালই লাগতো । কখনো কখনো তুমি নিজ হাতে আমাকে খাওয়ায়ে দিতে । সত্যি বলতে আমি তখনও বুঝতে পারি নাই এটাই হয়তো "" love "" । আমি এতটাই নির্বোধ ছিলাম যে , এই মেয়েটার সবকিছুই পাগলামি মনে হতো । ওকে নিয়ে ভাইদের সাথে কতো মজাই না করতাম । এত কষ্ট করে তুমি আমার সাথে দেখা করতে আসতে আর আমি তোমাকে একটু বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দেয়ার প্রয়োজন মনে করতাম না । কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার তুমি এসব নিয়ে কখনো অভিযোগ করতে না ।







তোমার সাথে আমি যখন রিক্সায় ঘুরতাম কিম্বা একসাথে হাঁটতাম তখন আমি সত্যিই জানতাম না অন্য সবার সাথে রিক্সায় বসা বা একসাথে হাটা আর তোমার সাথে বসা কিম্বা হাঁটার মাঝে কিছুটা ব্যাতিক্রম আছে । যা আমি তোমার কাছ থেকে প্রথম জানতে পারলাম । আমি বুঝতে পারছিলাম খুব অল্প সময়ের মধ্যে তুমি আমার আচার আচরন , চলা ফেরা , খাওয়া , ঘুমানো মোটকথা সবকিছুতেই একটা ভালো পরিবর্তন এনেছ । যা হয়তো আমার চোখে কখনো ধরা পরেনি । তবে সত্যি বলতে , মজা করে হলেও আমি এ সবকিছুই এঞ্জয় করতাম । একটা মেয়ে আমাকে নিয়ে ভাবছে এটা ভাবতেই তখন ভালো লাগতো । তোমার সাথে আমার তখন অনেক কথা হতো , তুমি নিজে আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে আর সেটা আমাকে খুব আগ্রহ নিয়ে শুনাতে । তখন হয়তো তোমার এই স্বপ্নগুলো নিয়ে আমি তোমার অজান্তে অনেক মজায় করতাম বা স্বপ্নগুলো নিয়ে ভাবতামই না । যেদিন রাতে আমার প্রপোজালে রাজি হলে সে রাতে তুমি খুব অদ্ভুত ( তখন মনে হতো ) একটা নিয়ম চালু করেছিলে । বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে জেগে যেন আমিই তোমাকে শেষ এবং প্রথম ফোন দেয় । সত্যি বলতে এই অদ্ভুত কাজটা আমি এতদিন ধরে করে আসছি ।







আমি মাঝে মাঝে খুব সকালে বা অন্য কোন সময় তোমার বাসার সামনে গিয়ে তোমাকে ফোন দিয়ে সারপ্রাইজ দিতাম । সে সময় তুমি অনেক খুশি হতে । আমার মনে আছে আমি অনেকটা সময় তোমার বাসার সামনে দাড়িয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে ফোনে কথা বলতাম । কিন্তু হঠাৎ আমি বুঝতে পারলাম এই কয়েক দিনের ভিতর আমি তোমাকে ছাড়া অন্য বিশেষ কারও সাথে কথা বলি না বা কারও কথা মনেও পরে না। এরকম অনেক অনেক সৃতি , ভালোলাগা , মন্দলাগার ভিতর দিয়ে প্রায় ১ মাস কেটে গেল ।







তারপর তুমি ঢাকায় ভর্তি হলে । তখন আমি সত্যিই অনেক খুশি হয়েছিলাম এই ভেবে যে এখন অন্তত ফ্রিলি তোমার সাথে ঘুরতে পারবো । তুমি ঢাকা যাওয়ার পর আমি দুই আড়াই মাস পর পরই তোমার সাথে দেখা করতে যেতাম । আমাদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ছিল Suhrawardi uddan , TSC . আমি তোমার সাথে এসব জায়গায় কতটা সময় যে পার করেছি তার কোন হিসাব নাই । আমি বাইরের কোন কিছু যেমন ঝালমুড়ি , চানাচুর মাখানো , ফুচকা বা চটপটি খেতে পছন্দ করতাম না কিন্তু আমি প্রথম তোমার কাছ থেকেই জানতে পারলাম এগুলাও একসময় ভালো লাগে । আমরা বেশ কয়েকবার এখানে বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম সেটাও তোমার কারনে । আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করতাম তুমি তোমার নিজের কথা না ভাবে আমার ঠাণ্ডা লাগবে এই ভয়ে আমার মাথার পানি মুছে দিতে , মানা করলেও শুনতে না । আসলে পাশাপাশি হাঁটলে বা একসাথে বসলে যে তোমার হাতটা ধরতে হবে এটাও তুমি আমাকে প্রথম শিখিয়েছিলে । তুমি মনে করতে আমিও তোমাকে ভালবাসি কিন্তু আমি তো শুধু সময় পাস করতাম । তবে আমি এই সব মুহূর্তগুলো নিয়ে খুব ভাবতাম ।











আমি মাঝে মাঝে লক্ষ্য করতাম তুমি দুপুরে আমার সাথে লাঞ্চ করতে বা বিকালে খুব বেশি কিছু খেতে চাইতে না । আসলে আমি প্রথম প্রথম বুঝতে পারতাম না কেন তুমি এটা করো । আমি দুই তিনদিন পরে কোনভাবে বুঝতে পারলাম যে , আমি ঢাকা যাওয়ার পর তুমি কোনভাবে আমার মানিব্যাগ চেক করতা , আমার কাছে সবসময়ই ২-৩ ঢাকায় থাকার মতো টাকা থাকতো । তাই তুমি চাইতে না আমার কাছ থেকে টাকা খরচ হোক । যাতে আমি তোমার কাছে ২-১ দিন বেশি থাকতে পারি । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তুমিই সবকিছুর বিল দিতে । তোমার কাছে যে অনেক টাকা থাকতো তাও না , তুমি তোমার হাত খরচের টাকা জমা করে রাখতে যাতে আমার সাথে তুমি একটু বেশি সময় কাটাতে পারো এই আশায় । তুমি বাইরে ঘুরতে যেতে না , তুমি আমার আসার অপেক্ষায় থাকতে যাতে আমার সাথে বাইরে ঘুরতে যেতে পারো । আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করতাম , যে মেয়ে জীবনে হেঁটে কোথায়ও হেঁটে যায় নাই সে আমার সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটছে , এমনকি তোমার পায়ে মাঝে মাঝে ব্যাথা করতো কিন্তু তবুও বলতে না রিক্সায় চড়বো । কারণ রিক্সা ভাড়াটা আমি দিতে পছন্দ করতাম । তুমি যে এই কাজগুলা একদিন দুইদিন করেছো তা নয় দিনের পর দিন এটা করেছো । আর আমি তোমাকে নিয়ে ভেবেছি । তোমার যে জিনিসটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো তা হল তোমার ছেলেমানুষি আর পাগলামি । আসলে তোমার পাগলামিগুলো লিখে তোমাকে বুঝাতে পারবো না ।











প্রতিবার আমি যখন ঢাকা থেকে খুলনা ফিরে আসতাম ততবার আমার সাথে থাকতো নতুন নতুন অনেক অনেক সৃতি । বিশেষ করে তোমার আমার প্রতি টেক কেয়ার , আমার সব পরিস্থিতি বুঝতে পারা , আমার জন্য তোমার কষ্ট করা বা আমার ঢাকা থেকে চলে আসার সময় তোমার চোখের পানি এ সব কিছুই আমাকে তোমার প্রতি দুর্বল করে ফেলেছিল । আমি হাজারবার ভেবেছি তোমাকে নিয়ে কিন্ত প্রতিবারই একই উত্তর পেয়েছি আমার মন থেকে '' তুমি সত্যি নিরস্বার্থভাবেই আমাকে ভালোবাসো ''। আমি এরমাঝে বুঝতে পারি তুমি ছাড়া অন্য কারও সাথে কথা বলতে বা কারও কথা ভাবতেও আর ইচ্ছা করে না । ৩-৪ মাস পর আমি আবার ঢাকা যায় । ঠিক আমাদের প্রিয় জায়গায় । সেইসময় আমার উপলব্ধি হয় তোমাকে হয়তো আর ঠকানো ঠিক হবে না । আসলে তোমার প্রতি আমি এতটাই মুগ্ধ ছিলাম যে আমি তোমাকে সত্যি কথা না বলে থাকতে পারছিলাম না । তবে তোমাকে হারানোর ভয়ও ছিল । যাকে তুমি এত ভালোবাসো সে যে একটা মিথ্যাবাদী বা সে তোমার সাথে এতদিন প্রতারনা করেছে এটা জানার পর তুমি কি রিয়াক্ত করবা তা নিয়েও আমার ভয় ছিল । কি মন করে তোমাকে তোমার আমার পরিচয় থেকে শুরু করে তখন পর্যন্ত আমার তোমার প্রতি অনুভুতি , মজা করা , মিথ্যা কথা বলা সবই বলে দিলাম। সাথে এও বললাম যে এতদিন আমি তোমাকে এক মুহূর্তের জন্যও ভালবাসি নায় ।তবে তুমি তোমার ভালোবাসা দিয়ে আমাকে মুগ্ধ করেছো এবং তোমাকে ভালবাসতে বাধ্য করেছো । বলার কিছক্ষন পর অন্য কোন মেয়ে কি বলতো আমি জানি না তবে তুমি যা বলেছিলে তা অনেকটা এরকম ছিল







'' তুমি আমার সাথে মিথ্যা বলেছ প্রতারনা করেছো তাতে আমি কষ্ট পাচ্ছি তবে তারচেয়েও বেশি ভালো লাগছে এটা ভেবে যে আমি পেরেছি আমার ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে জয় করতে ''







আমি সত্যি সেদিন আরও একবার মুগ্ধ হয়েছিলাম তোমার প্রতি কারণ তুমি যদি সেদিন আমাকে ফিরিয়ে দিতে তাহলে আমার কিছুই করার ছিল না । তারপর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের মাঝে আর কোন মিথ্যা স্থান পায় নি । সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত সত্যি আমি তোমাকে অনেক অনেক love করে আসছি ।







আমি অনেক happy কারণ তুমি ঠিক আগের মতই আছো ।আগের মতই তুমি আমাকে নিয়ে ভাবো , আমার ভালমন্দ আমাকে বোঝাও , আর পাগলামিটা একদমই কমে নাই যেটা আমি সবচেয়ে বেশি মিস করি । আমি চাই এই পাগলামি ছেলেমানুষি তোমার সারাজীবন থাকুক । সাড়ে তিন বছর পার হয়ে গেছে কিন্ত আমি জানি আজ সকালেও তুমি প্রথম আমার ফোনের অপেক্ষায় থাকবা ।







এই পোস্টটায় আজ সকালে তোমার জন্য আমার সারপ্রাইজ ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

কক্ষ পথের শেষ ইলেকট্রন বলেছেন: শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.