![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রেনিক্স কেয়ার বাংলাদেশে একটি অন্যতম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং জৈব ইউনানি ও হারবাল ঔষধ সরবরাহ করে থাকে। ইউনানি চিকিৎসা বিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে চলেছে। রেনিক্স কেয়ার-এর মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে নিরাপদ, কার্যকর এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন ইউনানি ও হারবাল ঔষধ সরবরাহ করা।
ব্রেন স্ট্রোক বর্তমান সময়ের অন্যতম মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা প্রাণঘাতী হতে পারে এবং জীবনকে স্থায়ীভাবে বিপন্ন করতে পারে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রেন স্ট্রোকের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ স্ট্রোকের কারণে মৃত্যু বা স্থায়ী অক্ষমতার শিকার হয়। তাই ব্রেন স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রেন স্ট্রোক কী?
ব্রেন স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কের এক অংশে রক্তপ্রবাহ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে অক্সিজেনের অভাবে নষ্ট করে ফেলে।
এটি দুই ধরনের হতে পারে:
ইসকেমিক স্ট্রোক - যখন মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
হেমোরেজিক স্ট্রোক - যখন মস্তিষ্কে রক্তবাহী শিরা ফেটে রক্তক্ষরণ হয়।
প্রত্যেকটি স্ট্রোকেই মস্তিষ্কের কোষের দ্রুত ক্ষতি হয় এবং দ্রুত চিকিৎসা না করলে এর পরিণাম মারাত্মক হতে পারে।
ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ:
স্ট্রোকের লক্ষণ দ্রুত শনাক্ত করা হলে এর চিকিৎসা সহজ হয়। প্রধান লক্ষণগুলো হল:
মুখ বেঁকে যাওয়া: একপাশের মুখ নড়াচড়া করতে না পারা।
হাত বা পা দুর্বল হওয়া: সাধারণত একপাশের হাত বা পা দুর্বল হয়ে পড়ে।
কথা বলার সমস্যা: কথা জড়িয়ে যাওয়া বা কথা বলতে না পারা।
দৃষ্টি সমস্যা: হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া বা একদিকের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা।
হঠাৎ ভারসাম্য হারানো: হাঁটাচলা করতে সমস্যা হওয়া বা সমন্বয় হারানো।
শক্ত মাথাব্যথা: হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা, যা পূর্ববর্তী কোনো সমস্যার সাথে সম্পর্কিত নয়।
এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনো একটি বা একাধিক লক্ষণ দেখা গেলে, দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
ব্রেন স্ট্রোকের কারণ:
ব্রেন স্ট্রোকের সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
উচ্চ রক্তচাপ: এটি স্ট্রোকের প্রধান কারণ।
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস আক্রান্তদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।
ধূমপান ও অ্যালকোহল: ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত কোলেস্টেরল: অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রক্তনালীতে জমে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
পর্যাপ্ত ব্যায়ামের অভাব: দৈনিক ব্যায়ামের অভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়:
সুস্থ জীবনযাপন এবং কিছু সহজ অভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। প্রতিরোধের জন্য কিছু পরামর্শ হলো:
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: রক্তচাপ, রক্তের শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করানো উচিত।
ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা: এই দুই অভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
পর্যাপ্ত শারীরিক ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করা উচিত।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: তাজা শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম এবং প্রয়োজনীয় চর্বি যুক্ত খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন স্ট্রোকের কারণ হতে পারে, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
জরুরি সেবার জন্য ফাস্ট রেসপন্স বা 'FAST' পরীক্ষা:
স্ট্রোকের লক্ষণগুলো দ্রুত শনাক্তের জন্য প্রাথমিকভাবে ‘FAST’ পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে:
F - Face Drooping (মুখ একপাশে নেমে যাওয়া)
A - Arm Weakness (একপাশের হাত দুর্বল হয়ে পড়া)
S - Speech Difficulty (কথা বলার অসুবিধা)
T - Time to Call Emergency Services (অবিলম্বে জরুরি সেবায় কল করা)
ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী পুনর্বাসন:
স্ট্রোকের পর অনেকেই শারীরিক অক্ষমতার শিকার হন। পুনর্বাসন সেবার মাধ্যমে এই অক্ষমতাগুলোকে কমিয়ে আনা যায়। এতে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা যেমন- ফিজিওথেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, এবং স্পিচ থেরাপিস্টের সাহায্য নিতে পারেন।
উপসংহার:
ব্রেন স্ট্রোক অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। সুস্থ জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং ধূমপান-মদ্যপান থেকে বিরত থাকলে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। আপনার এবং আপনার প্রিয়জনের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে সচেতন হোন এবং স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর প্রতি সজাগ থাকুন।
রেনিক্স কেয়ার
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪১
Renix Care বলেছেন: view this link