![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিজনিত জলাবদ্ধতার উপরে দ্য রিপোর্ট একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় সামগ্রীকে এই জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী করেছেন।
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরে রাজধানীর মাত্র ৩০ ভাগ এলাকায় স্যুয়ারেজ লাইন স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। তবে স্থাপিত অধিকাংশ লাইন আবার অকেজো। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থাও যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে অচল হয়ে পড়েছে। তাই বৃষ্টির পানি ম্যানহোল ও ড্রেন থেকে উপচে পড়ে রাজধানীর ব্যাপক অঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। যার মধ্যে আবাসিক এলাকা, রাস্তাঘাট ছাড়াও বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রয়েছে।
রাজধানী ঢাকা পৃথিবীর সমস্যা জর্জরিত শহরগুলোর একটি। এই শহরের সমস্যার কোনো অন্ত নেই। তার মধ্যেই এই নগর আয়তন ও জনসংখ্যায় প্রতিনিয়ত স্ফীত হচ্ছে। এই স্ফীতির খেসারত দিতে ঢাকাসহ তার আশপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল, জলাশয় ও নদী আজ নিশ্চিহ্ন। নগরবাসীকে ‘উন্নয়নের ঘুমপাড়ানি গান’ দিয়ে এগুলো আত্মসাৎ করেছে এ দেশের নবপ্রজন্মের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও বিত্তবান ব্যক্তিরা। তাই বৃষ্টির পর স্বাভাবিকভাবে এই নগরী এবং তার আশপাশের খাল এবং জলাশয় দিয়ে এক সময় যেভাবে পানি নেমে যেতে পারত, আজ তা আর কল্পনা করা যায় না। তার জায়গায় হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে আন্ডার গ্রাউন্ড ড্রেনেজ ও স্যুয়ারেজ লাইন তৈরি করা হয়েছে। এখানেও হয়েছে অঢেল লুটপাট। কার্যত এ সব স্যুয়ারেজ লাইন বা ড্রেন দিয়ে বৃষ্টিপ্রবণ বাংলাদেশের একটি জনবহুল রাজধানীর পানি নিষ্কাশন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এর পর রয়েছে বর্জ্য অপসারণে নানা অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি। এ ছাড়া গত কয়েক বছর যাবৎ রাজধানী ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশনে রয়েছে আমলাতান্ত্রিক শাসন। সব মিলিয়ে এই নগরী ক্রমান্বয়ে এগিয়ে চলেছে বাসঅযোগ্য এক নরকপুরীর দিকে।
©somewhere in net ltd.