নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরের ঐতিহাসিক আন্দোলনের দুই সপ্তাহ: একটি সংক্ষিপ্ত খতিয়ান

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে শুরু হওয়া শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরের ঐতিহাসিক আন্দোলনের আজ ১৪-তম দিন। এমন অভূতপূর্ব সর্বস্তরের মানুষের অন্তরের সমর্থণে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বিগত ৪২ বছরে বাংলাদেশে একটিও হয়নি। এটা থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশের মানুষ কতোটা শান্তিপ্রিয় জাতি। বাংলাদেশের মানুষ কতোটা সম্প্রীতি মনোভাবের। প্রজন্ম চত্বরের চলমান ঐতিহাসিক আন্দোলনে ইতোমধ্যে যে সব বিষয়কে সাফল্য হিসেবে দেখা যায় সেগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত খতিয়ান হল:

১. বাংলাদেশের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়।

২. বাংলাদেশের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের (সর্বোচ্চ শাস্তি) ফাঁসি চায়।

৩. জাতীয় সংসদে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল সংশোধন আইন ২০১৩ পাস। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাক্ষরের মাধ্যমে এটি এখন আইনে পরিনত।

৪. বাংলাদেশের সকল শ্রেণী পেশার সকল মানুষ হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে প্রজন্ম চত্বরের এই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

৫. মহান জাতীয় সংসদ এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

৫. সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীর মানুষ এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

৬. আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রথমে উল্টো সংবাদ প্রচার করলেও এখন এই আন্দোলনের তেজ ও শক্তি পর্যবেক্ষণ করে তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং এখন গুরুত্ব দিয়ে ঐতিহাসিক শাহবাগ আন্দোলনের খবর প্রচার করছেন।

৮. বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলো এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

৯. সারা দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

১০. দেশের সর্ববৃহত ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

১১. `জয় বাংলা' শ্লোগান এখন বাংলাদেশের সর্বসাধারণের শ্লোগান হিসেবে আবার ফিরে এসেছে।

১২. মিথ্যার রাজনীতি করে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে যে আর ভুল বোঝানো যাবে না, সকল রাজনৈতিক দল বা সংঞঠন এই আন্দোলন থেকে ইতোমধ্যে সেই শিক্ষা পেয়েছে।

১৩. ইতিহাসকে যে মিথ্যাচার দিয়ে পাল্টানো যায় না, নতুন প্রজন্ম এই আন্দোলনের মাধ্যমে সবাইকে তা বুঝিয়ে দিতে পেরেছে।

১৪. জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে কসাই আবদুল কাদের মোল্লা ও রাজাকার কামারুজ্জামানের সদস্যপদ বাতিল হয়েছে।

১৫. চীনে বসবাসকারী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

১৬. সারা বিশ্বের বাংলা ভাষার হাজার হাজার মানুষ এবং সংগঠন এই আন্দোলনের পক্ষে প্রতিদিন সংহতি প্রকাশ করছেন।

১৭. বাংলাদেশ থেকে ধর্মান্ধ মৌলবাদী দলগুলো নিষিদ্ধ হবার দাবি উঠেছে এই আন্দোলন থেকে।

১৮. বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সকল সংগঠন, দল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল সহ সকল অর্থনৈতিক কারবার বর্জণের দাবি উঠেছে এই আন্দোলন থেকে।

১৯. বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের আশ্রয়, প্রশ্রয়, বেড়ে ওঠা ও অনুশীলনের বিরুদ্ধে দাবি উঠেছে এই আন্দোলন থেকে।

২০. বাংলাদেশের মানুষ যে ধর্ম নিরপেক্ষ, যার যার ধর্ম, তার তার, এই নীতিতে বিশ্বাসী, তা এই আন্দোলনে আবারও প্রমাণিত হয়েছে। অর্থ্যাৎ ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ।

২১. বিগত ৪২ বছরের অসুস্থ রাজনীতি, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, কালোবাজারি এবং রাজনৈতিক ধাপ্পাবাজীর রাজনীতি সাধারণ মানুষ প্রজন্ম চত্বরের এই ঐতিহাসিক আন্দোলনের মাধ্যমে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।



শাহবাগ দিচ্ছে ডাক, যুদ্ধাপরাধী নিপাত যাক। শাহবাগ দিচ্ছে ডাক, রাজাকার নিপাত যাক। শাহবাগ দিচ্ছে ডাক, ধর্ম ব্যবসা নিপাত যাক। শাহবাগ দিচ্ছে ডাক, নতুন বাংলার সুপ্রভাত। রাজীবের রক্ত, বৃথা যেতে পারে না। জাফরের রক্ত, বৃথা যেতে পারে না। জয় বাংলা।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.