নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলে গেলেন আফ্রিকান সাহিত্যের কিংবদন্তি চিনুয়া আচেবে।। রেজা ঘটক

২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

নেলসন ম্যান্ডেলা জেলখানায় বসে যাঁর উপন্যাস পড়ে সময় পার করতেন, 'গ্র্যান্ডফাদার অব আফ্রিকান ফিকশন' খ্যাত সেই বিখ্যাত নাইজেরিয়ার লেখক চিনুয়া আচেবে আর নেই। ৮২ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের এক হাসপাতালে মারা যান আফ্রিকান সাহিত্যের এই জনক। ১৯৯০ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় শরীরের একপাশ প‌্যারালাইজড হয়ে যাবার পর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। চিনুয়া আচেবে ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক, কবি, সমালোচক এবং আফ্রিকান সাহিত্যের প্রফেসর। ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম উপন্যাস 'থিংস ফল অ্যাপার্ট' সারা বিশ্বে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। সারাবিশ্বে উপন্যাসটি প্রায় ৫০টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে এবং ১ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। আফ্রিকান সাহিত্যে এটি সবচেয়ে বেশি পঠিত কোনো উপন্যাস।



নাইজেরিয়ার দক্ষিণপূর্ব ওগিদি শহরের ইগবো নৃগোষ্ঠীতে জন্ম হয় চিনুয়া আচেবে'র।ইয়াম চাষের জন্য ইগবো জনগোষ্ঠী খুব বিখ্যাত। এদের ভাষাও ইগবো। তবে ইগবো জনগোষ্ঠীর শিক্ষিত জনসাধারণ ইংরেজিতে কথা বলে। চিনুয়া আচেবে'র বাবা ইসাইয়াহ ওকাফো আচেবে ও মা জানেট আনাইনেচি ইলোয়েগবুনাম নাইজেরিয়ার প্রটেসট্যান্ট চার্চ মিশন সোসাইটিতে গিয়ে খ্রিষ্টান ধর্মে দিক্ষা নেন। ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর ওগিদির ইগবো গ্রামে চিনুয়া আচেবে'র জন্ম। ১৯৩৬ সালে চিনুয়া আচেবে সেন্ট ফিলিপস সেন্টার স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৪৪ সালে তিনি ডেনিস মেমোরিয়াল গ্রামার স্কুল থেকে এনট্রান্স পাস করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজে চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়ার জন্য স্কলারশিপ লাভ করেন। এক বছর চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়ার পর তিনি তা ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে ভর্তি হন ইতিহাস ও প্রযুক্তিবিদ্যায়। ১৯৫৩ সালে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণী লাভ করায় উচ্চতর ডিগ্রি না নিয়ে ওগিদি শহরে ফিরে যান।



পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের পরামর্শে ওবাতে চিনুয়া আচেবে মারসেন্ট অব লাইট স্কুলে ইংরেজি পড়ানোর শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে এনবিএস (নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং সার্ভিস) রেডিও'র চাকরি নিয়ে লাগোস চলে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় তিনি গল্প লেখা শুরু করেন। তাঁর প্রথম গল্প 'ইন এ ভিলেজ চার্চ'। যা ছিল গ্রামীন নাইজেরিয়ার জীবনপদ্ধতি, খ্রিস্টান প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য আচার নিয়ে একটি সম্পূর্ণ গল্প। ১৯৫৬ সালে তিনি বিবিসি'র সঙ্গে যুক্ত হন। শুরু হয় তাঁর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ।



আফ্রিকা এবং পশ্চিমের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করেছিলেন লেখক হিসাবে চিনুয়া আচেবে। আফ্রিকার রাজনীতি ও পশ্চিমাদের চোখে আফ্রিকা যেভাবে চিত্রিত হয় সেসব প্রসঙ্গ স্থান পেয়েছে চিনুয়া আচেবের রচনায়। 'থিংস ফল অ্যাপার্ট' উপন্যাসের জন্য ২০০৭ সালে চিনুয়া আচেবে লাভ করেন বুকার পুরস্কার। 'বায়াফ্রার খ্রিস্টমাস' কবিতার জন্যে তিনি ১৯৮৭ সালে বুকার পরস্কারের জন্য নমিনেশান পেয়েছিলেন। তাঁর বিখ্যাত বইগুলো হল

উপন্যাস:

'থিংস ফল অ্যাপার্ট', 'নো লোংগার এট ইজি', 'এরো অব গড', 'এ ম্যান অব দ্য পিপল' ও 'এনথিস অব দ্য সাভান্নাহ'।



ছোটগল্প:

Marriage Is A Private Affair (1952), Dead Men's Path (1953), The Sacrificial Egg and Other Stories (1953), Civil Peace (1971), Girls at War and Other Stories (including "Vengeful Creditor") (1973), African Short Stories (editor, with C.L. Innes) (1985), Heinemann Book of Contemporary African Short Stories (editor, with C.L. Innes) (1992), The Voter.



কবিতা:

Beware, Soul-Brother, and Other Poems (1971), Don't let him die: An anthology of memorial poems for Christopher Okigbo (editor, with Dubem Okafor) (1978), Another Africa (1998), Collected Poems Carcanet Press (2005), Refugee Mother And Child, Vultures.



সমালোচনা:

he Novelist as Teacher (1965) - also in Hopes and Impediments

An Image of Africa: Racism in Conrad's "Heart of Darkness" (1975) - also in Hopes and Impediments, Morning Yet on Creation Day (1975), The Trouble With Nigeria (1984), Hopes and Impediments (1988), Home and Exile (2000), Education of a British protected Child (6 October 2009), There Was A Country: A Personal History of Biafra, (11 October 2012 ).



শিশুতোষ:

Chike and the River (1966), How the Leopard Got His Claws (with John Iroaganachi) (1972), The Flute (1975), The Drum (1978).



১০ সেপ্টেম্বর ১৯৬১ সালে চিনুয়া আচেবে বিয়ে করেন কৃষ্টি ওকোলিকে। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং ছয় নাতী নাতনী রয়েছে।











মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫০

আবু আমর বলেছেন: 'থিংস ফল এপারট' ওনার লেখা না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.