নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ থেকে সাবধান।। রেজা ঘটক

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বাংলাদেশের একটি প্রাইভেট এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশের ডোমেস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল উভয় রুটেই তাদের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট আছে। বিগত ১২ এপ্রিল ২০১৩ নেপালের কাঠমুন্ডু'র ত্রিভূবন বিমানবন্দর থেকে বিকাল পাঁচটা পঞ্চাশ মিনিটে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ-এর একটি বিমান (ফ্লাইট নাম্বর ৪এইচ ৫৯৪) ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবার সিডিউল ছিল। ২৮৬ জন যাত্রীর মধ্যে আমি এবং আমার স্ত্রীও ওই ফ্লাইটে ঢাকায় আসার যাত্রী। ২৮৬ জন যাত্রীর মধ্যে প্রায় শতকরা ৬৫ ভাগ যাত্রী ছিল ট্রানজিট যাত্রী। তারা ঢাকা হয়ে অন্য বিমানে কুয়ালালামপুর যাবেন। বাকী শতকরা ৩৫ ভাগ যাত্রী ঢাকায় নেমে যাবেন। আমরা বিকাল তিনটায় ত্রিভূবন বিমানবন্দরে চেক-ইন করি। সাড়ে চারটায় ইমেগ্রেশান হবার কথা। কিন্তু পাঁচটায়ও ইমেগ্রেশান শুরু হল না। খোঁজ নিয়ে কিছুই জানা গেল না। সোয়া পাঁচটায় ইমেগ্রেশান শেষ করে লাইঞ্জে বসে আছি। ওই সময় জানা গেল বিমান লেট। লোডিং হতে দেরি হবে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আবার জানা গেল কিছুক্ষণের মধ্যে লোডিং শুরু হবে। শেষ পর্যন্ত রাত আটটায় আমরা বিমানে উঠে নিজ নিজ আসনে অনেকটা আতংক নিয়েই বসলাম।

পাইলট জানালেন, ঢাকা থেকে আসার সময় দেরি হওয়াতে এই অনাকাঙ্খিত লেট। এজন্য যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন। আমরা বিমানে বসে আছি। কিন্তু বিমান স্ট্যার্ট নিচ্ছে না! একঘণ্টা পাইলট চেষ্টা করলেন। বিমান স্ট্যার্ট নিল না। আবার পাইলটের অনুরোধ। আমাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আবার ইঞ্জিন চেক করবেন। সময় লাগবে। যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে সবাইকে আবার লাউঞ্জে ফেরত আনা হল রাত নয়টায়। তারপর তিনঘণ্টা ধরে নেপাল নেভিগেশান বিমানের ইঞ্জিন চেক করল। রাত বারোটায় আমরা আবার আগের চেয়ে কয়েকগুন বেশি আতংক নিয়ে বিমানে উঠে বসলাম। পাইলট জানালেন, ঢাকা বিমানবন্দর মেরামতজনিত কারণে বন্ধ রয়েছে। তাই আমরা চট্টগ্রাম যাব। সেখান থেকে কুয়ালালামপুরের ট্রানজিট যাত্রীরা অন্য বিমানে কুয়ালালামপুর যাবেন। আর ঢাকার যাত্রীরা চট্টগ্রামে হোটেলে রাত্রীযাপন করবেন। পরদিন সকালে মানে ১৩ এপ্রিল ২০১৩ তাদেরকে আরেকটা বিমানে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া হবে। পাইলট আরো জানালেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে আমরা দেড়ঘণ্টায় চট্টগ্রাম পৌঁছাব। এবার ভারী উৎকণ্ঠা নিয়ে বিমান আকাশে উড়লো। ঘরের চাল ফুটো হলে যেমন বৃষ্টির দিনে পানি পড়ে, তেমনি মাথার উপর ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়া শুরু হল। বিমানের স্বাভাবিক শব্দের বদলে একটা অদ্ভুত ভৌতিক শব্দ শুরু করল। আমরা মধ্যরাতের আকাশে হিমালয়ের উপর পাক খাচ্ছি। যে কোনো সময় মৃত্যু অথবা হিমালয়ের কোনো পাহাড়ে আছড়ে পড়ে জীবনযুদ্ধ শেষ!

কিছুই বুঝতে পারছি না কি ঘটতে যাচ্ছে। মনে মনে শুধু পাইলটের জন্য দোয়া করতে লাগলাম। আমার স্ত্রী'র মুখের দিকে তাকাতে পারি না। এসবের মধ্যে আরেকটা উৎপাত শুরু হল যাত্রীদের নিয়ে। যখন যার বেল চাপতে ইচ্ছে করছে সে তখন মাথার উপরের বেল চেপে এয়ার হোস্টেজদের কাছে ডাকছেন। হয়তো কিছু জানার জন্যে। হয়তো পানি খাবার জন্যে। হয়তো কোনো অসুবিধার কথা বলার জন্যে। অথবা স্রেফ এয়ার হোস্টেজকে দেখার জন্যে বা স্রেফ মশকরা করার জন্যে। গোটা বিমানে মুহূর্মুহু বেল বেজেই চলছে। মালয়েশিয়ায় যাবার জন্যে যেসকল ট্রানজিট যাত্রী ছিল তাদের প্রায় সবাই অল্প শিক্ষিত এবং শ্রমিক ভিসায় কাজের সন্ধানে যাচ্ছিল। তারাই এই বেল চেপে খুব আনন্দ করছিল। পাইলট মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার অনুরোধ করলেও এরা প্রায় সবাই মোবাইলে উচ্চ ভলিউমে গান বাজাচ্ছিল। কী হচ্ছে বা কী হতে যাচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। নাকী বিমান ছিনতাই হল! কিছুই বোঝা গেল না। রাত দুইটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের আলো নজরে পড়ল। কিছুই জীবন বুঝিবা ফিরে পেলাম। পাইলট সবাইকে আবারো সিটবেল্ট বাঁধার অনুরোধ করলেন। রাত আড়াইটায় আমরা চট্টগ্রাম ল্যান্ড করলাম।

পাইলট ঘোষণা দিলেন, ঢাকার যাত্রীরা বিমানে বসে থাকেন। কুয়ালালামপুরের যাত্রীরা আগে নামুন। সেই ঘোষণা অনুয়ায়ী ট্রানজিট যাত্রীরা আগে নেমে গেল। পরে আমরা যারা ঢাকার যাত্রী তারা নামলাম। চট্টগ্রাম বিমানবন্দেরর দোতলার বিভন্ন কক্ষ ঘুরিয়ে আমাদের সকল যাত্রীকে বিনা বাধায় বিনা ইমেগ্রশানে বিমানবন্দরের বাইরের রাস্তায় নিয়ে আসা হল। আমি খুব অবাক হলাম। এটা কীভাবে সম্ভব?

মধ্যরাতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে বিনা বাধায় আমরা এতোগুলো যাত্রী কিভাবে বিনা ইমেগ্রেশানে বিমানবন্দরের বাইরে আসতে সক্ষম হলাম!!! আমার মাথা আর কাজ করছিল না। কারণ, ততোক্ষণে একদল যাত্রী তাদের লাগেজ দেওয়ার জন্যে তর্ক শুরু করেছিল। একদল গালাগালি করছিল। একদল খাবার চাচ্ছিল। একদল চিৎকার করছিল। একদল হুদাই তামাশা করছিল। নেপালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ছোট্ট টিম প্রায় মাস খানেক ট্রেনিং করছিল। তাদের কয়েকজনের ফ্যামিলি এবং কয়েকজন আর্মি অফিসার আমাদের সহযাত্রী ছিল। তারাও এই ঘটনায় অত্যন্ত অখুশি ছিল। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে তারা সবাই আলাদা আলাদা গাড়িতে চলে গেলেন। আর আমরা যারা কলুর বলদ আমরা আরো একঘণ্টা বিমানবন্দরের বাইরের রাস্তায় খাঁড়ায়া আছি। রাত চারটায় আমাদের বাসে করে নিয়ে যাওয়া হল স্টেশান রোডের হোটেল গোল্ডেন ইন-এ। সেখানে গিয়ে আবার সেই পুরানা জটলা। কে আগে রুম নেবে! কে কোথায় থাকবে? খাবার কোথায় ইত্যাদি ইত্যাদি!!!

ডাল-মুরগি-ভাত গণ খাবার। খেয়ে বিশ্রামের জন্য মাথা এলিয়ে দিতেই মনে হল দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। সকাল সাতটা বেজে গেছে। সবার নাকী নাস্তা খেয়ে এখনই আবার চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যেতে হবে! নাস্তা খেয়ে বসে আছি, এবার বাসের খবর নাই। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের লোকজন লাপাত্তা! সকাল নয়টায় দুটো লোকাল বাস আসল। বিমানের কেউ নেই। বাসের হেলপাররা আমাদের গাইড করে বিমানবন্দরে নিয়ে গেল। সেখানে গিয়ে সেনাবাহিনীর অফিসার ও তাদের পরিবারদের পেলাম। এবার ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের লোকজন আসল। আমাদের এবার আবার বিনা চেকিংয়ে ইমিগ্রেশান পার হয়ে বসে থাকার পালা। এবার দেরি কীসের? শোনা গেল ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কিছু কর্মকর্তা লেভেলের লোকজন নাকী হোটেলে ঘুমোচ্ছে!!! এখন আর চিন্তা নাই। দেশের মাটিতে আছি। বাংলা টাকায় অন্তঃত পানি তো কিনতে পারছি। অবস্থা কাঠমুন্ডু'র চেয়ে অনেক ভালো, সেই কারণেই আমি অনেকটা ফুরফুরে। প্রয়োজনে বাসে ঢাকা চলে যাওয়া যাবে।

কিন্তু আমার মাথায় একটা প্রশ্নের জবাব কিছুতেই পেলাম না। ২৮৬ জন যাত্রী কীভাবে বিনা বাঁধায় ইমেগ্রশান চেকপোস্ট অতিক্রম করে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বের হবার সুযোগ পেল? যাত্রীদের সবাই কী স্বচ্ছ ছিল!!! এভাবে মধ্যরাতের নষ্ট বিমানে কতো মানুষ বাংলাদেশে বিনা বাঁধায় প্রবেশ করতে পারে তা ভেবে আতকে উঠলাম! আমাদের সিভিল এভিয়েশানের কাজটা তাহলে কী? কেউ যদি এভাবে বাংলাদেশে বিনা বাঁধায় ঢুকে গিয়ে হারিয়ে যায়? ফিরতি বিমানের তোয়াক্কা না করে? কোনো দাগী সন্ত্রাসী যদি এভাবে বিনা বাঁধায় বাংলাদেশে ঢুকে যায়? না, আমি আর চিন্তা করতে পারলাম না। এটাই হচ্ছে বিমান পথে। সিভিল এভিয়েশান এসবই হজম করছে। দেখার যেনো কেউ নেই।

সকাল সাড়ে দশটায় আমরা আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে আকাশে উঠলাম। এবার যার যেখানে খুশি বসার নিয়ম জারী হল। তা নিয়ে আরেক দফা হট্টগোল। ভাগ্যিস কুয়ালালামপুরের ট্রানজিট যাত্রীরা ছিল না। তাই হট্টগোল সবাই যার যার মত বসার পরেই মিটে গেল। বেলা সাড়ে এগারোটায় আমরা ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁলালাম। পেছনে রেখে আসলাম হাজারো প্রশ্ন আর জীবন-মৃত্যুর দোলনায় চড়া বাইশটা ঘণ্টা!!

সবাইকে আবারো মনে করিয়ে দিতে চাই, কাঠমুন্ডু থেকে ঢাকায় আকাশ পথে মাত্র এক ঘণ্টা দশ মিনিটের পথ। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে আমাদের লাগলো দীর্ঘ বাইশ ঘণ্টা। আমরা জানি না কীভাবে এসব প্রাইভেট বিমান বাংলাদেশে লাইসেন্স পায়। চট্টগ্রামের হোটেল গোল্ডেন ইন থেকে জানা গেল, এক সপ্তাহ আগে একই বিমান কলকাতায় বারো ঘণ্টা নষ্ট হয়ে পড়ে ছিল। তখনও যাত্রীদের এমন দুর্দশা হয়েছিল। বাংলাদেশ বিমানের ফেলে দেওয়া ডিসি-১০ এয়ারক্রাফট কম টাকায় কিনে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এই ব্যবসা শুরু করেছে। বারবার যাত্রীদের হয়রানি এবং নষ্ট বিমান আকাশে ওড়ানোর কারণে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সেই দুর্ঘটনা ঘটার আগেই কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করলেই হয়তো কেবল সেই দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানী রোধ করা সম্ভব হবে। আর রাতের আঁধারে বিনা বাধায় ইমেগ্রেশান পেরিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকে পরার এই রেওয়াজ বন্ধ না হলে বড় ধরনের সমস্যায় স্বয়ং বাংলাদেশকেই হজম করতে হবে। আশা করি, বিমান কর্তৃপক্ষ, সিভিল এভিয়েশান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিষয়গুলো ভেবে দেখবেন। তাছাড়া কাঠমুন্ডু থেকে ইদানিং বেশ মাদক পাচার হচ্ছে। কাঠমুন্ডু এয়ারপোর্টে বেশ কড়াকড়ি চেক-আপ। কিন্তু বলা তো যায় না, রাঘব বোয়ালরা সব সময় ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দুনিয়ায়। হায়, কোথায় কহিব এই অনাচার, এই সব অনাকাঙ্খিত ভয়!!!

মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

তিক্তভাষী বলেছেন: ভয়াবহ!!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩১

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ...

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

ইয়ার শরীফ বলেছেন: খাইছে

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩১

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: এসব ভন্ডামী করে আর কয়দিন করবে???

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩২

রেজা ঘটক বলেছেন: নিশ্চয়ই এসব পুরাতন। আর দীর্ঘ দিন ধরে হচ্ছে। দেখার কেউ নেই।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

বোকা_ছেলে বলেছেন: age fasi hoya lok tarpor nojor deya jaibe
joy bangla.

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫

রেজা ঘটক বলেছেন: এই বিষয়ের সঙ্গে কি মিশাইলেন ভাই!!!

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

েবনিটগ বলেছেন: পোস্ট পর্যবেক্ষন

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬

রেজা ঘটক বলেছেন: কিছু পাইলেন ভাইসাহাব!!!

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

মাক্স বলেছেন: খুবই ভীতিকর অভিজ্ঞতা মনে হয়।
ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজকে না বলুন!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

অতল গহবর বলেছেন: বাংলাদেশে সবই সম্ভব

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৭

রেজা ঘটক বলেছেন: হ্যা ভাই এসব হচ্ছে বাংলাদেশে।

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

পাকাচুল বলেছেন: আমি যা বলবো, সেটা শুনে আপনার আক্কেল গুড়ুম হবে।

ঢাকা থেকে ইউনাইটেড এয়ারইয়েজের একটা ফ্লাইট চট্টগ্রাম কি সিলেটের দিকে রওনা দিয়েছে। ১৫ মিনিট মতো উড়ার পর পাইলট বুঝতে পারলেন, বিমানের দরজা ঠিকমতো লাগে নাই। অতঃপর তারা মাঝ আকাশেই পথ পরিবর্তন করে আবার ঢাকায় ফিরার জন্য রওনা দিলেন।

এমন সময় যাত্রীদের মানসিক অবস্হা কেমন হতে পারে, ভেবেছেন কি?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৪৩

রেজা ঘটক বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা দেখছি ভয়াবহ। আমার ধারণা, প্রফেশনাল পাইলট ছাড়াই এরা বিমান চালাচ্ছে। যাত্রীদের সব ঘটনা পাইলটকে দায়িত্ব নিয়েই অবগত করানোর নিয়ম। আর ইউনাইটেডে দেখলাম, এয়ার হোস্টেজ ঘোষণা দিচ্ছেন। আবার এদের সাউন্ড সিস্টেম এতো বেশি আধুনিক যে আপনি স্পষ্ট কোনো শব্দ উদ্ধার করতে পারবেন না।
এয়ার ক্রাফটের যে দশা দেখলাম, তাতে দরজা না আটকানোর-ই কথা। সিটে উপর থেকে পানি পড়ে। বুঝুন অবস্থা!!!

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কনকি?????

২৮৬ জন যাত্রী কীভাবে বিনা বাঁধায় ইমেগ্রশান চেকপোস্ট অতিক্রম করে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বের হবার সুযোগ পেল? যাত্রীদের সবাই কী স্বচ্ছ ছিল!!! এভাবে মধ্যরাতের নষ্ট বিমানে কতো মানুষ বাংলাদেশে বিনা বাঁধায় প্রবেশ করতে পারে তা ভেবে আতকে উঠলাম! আমাদের সিভিল এভিয়েশানের কাজটা তাহলে কী? কেউ যদি এভাবে বাংলাদেশে বিনা বাঁধায় ঢুকে গিয়ে হারিয়ে যায়? ফিরতি বিমানের তোয়াক্কা না করে? কোনো দাগী সন্ত্রাসী যদি এভাবে বিনা বাঁধায় বাংলাদেশে ঢুকে যায়? না, আমি আর চিন্তা করতে পারলাম না। এটাই হচ্ছে বিমান পথে। সিভিল এভিয়েশান এসবই হজম করছে। দেখার যেনো কেউ নেই।


এতিম জনগন!!! সত্যিই বড় এতিম মনে হয়!!!!!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৪৪

রেজা ঘটক বলেছেন: আমার ধারণা, এভাবে রাতের আঁধারে অনেক ঘটনা ঘটছে এবং ঘটে চলছে। প্রশাসন এই বিষয়ে স্রেফ না জানার ভান করছে।

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০১

বহুরুপি জীবন বলেছেন: খুবই ভীতিকর .

ঘরের চাল ফুটো হলে যেমন বৃষ্টির দিনে পানি পড়ে, তেমনি মাথার উপর ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়া শুরু হল। এটুকু পড়ে হাসিও পেয়েছে ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬

রেজা ঘটক বলেছেন: টয়লেটের দরজা ঠিকমত বন্ধ হয় না। মাথার উপরে লাগেজ রাখার দরজা চাপাচাপি কইরা বন্ধ করল। মনে হল পৃথিবীর সেরা বিমানে উঠেছিলাম!!!

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০২

টিনের বাড়ী বলেছেন: ভাংগাচোরা বিমান হলে এমন ই হয় ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৪৭

রেজা ঘটক বলেছেন: এর চেয়ে মনে হয় ঢাকার ১৩ নাম্বার লোকাল বাস অনেক উন্নত সার্ভিস দেয়!!!

১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৪

দি সুফি বলেছেন: B:-) B:-)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৪৭

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫২

ভ্রমন কারী বলেছেন: মার্চের ২ তারিখে মালয়শিয়ায় দশ দিনের ভ্রমন শেষে ''ইউনাইটেডে'' দেশে আসতে ছিলাম, বিমান আমাদের নিয়া সোজা চলে গেল থাইল্যান্ড।
ভালো কথা, ট্রন্জিট থাকতেই পারে, কিন্তু কথা হচ্ছে ট্রন্জিটের কথাটা কিন্তু টিকেটে লেখা ছিলনা, বা ইউনাইটেডের ঢাকা আফিস টিকেট কেনার সময় কিন্তু মুখেও বলে দেয়নি ট্রান্জিটের কথা। X(( X((

আবার থাইল্যান্ডে বসে থাকতে থাকতে যখন বিরক্ত হয়ে বিমান খালা র কাছে যানতে চাইলাম এখানে কতক্ষন বসে থাকতে হবে ?? সে কয় আমি জানিনা ক্যাপটেন বলতে পারবে B:-) B:-)

আর যাত্রী সেবার কথা যদি বলি, তা হলে বলতে হয়, তারা মনে করে সবাই শ্রমিক শ্রেনীর লোক এদের সাথে আর কি ভালো ব্যাবহার করবো X( X( কিন্তু তারা ভুলে যায়, এই শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েই কিন্তু তাদের বেতন দেওয়া হয়।

তবে একটা কথা বলার ইচ্ছে না থাকলেও বলতে হয়, কারন এটাই বাস্তবতা-

বিমানের ভেতর আমাদের শ্রমিক ভাইদের ব্যাবহার, আচরন, আর কাজ কারবার দেখলে বুঝতে কস্ট হয় না কেন বিদেশে আমাদের এত সম্মান করে :(( :(( ( এক জনতো টয়লেটের দরজা টানাটানি করে ভেঙ্গে ফেললো, প্রায় সবাই বিমান খালা দের বিভিন্ন ভাবে বিরক্ত করলো। ঢাকায় এসে লাইন ভাঙ্গার প্রতিযোগিতাও কম হলো না)
এদের আমি সম্মান করি কিন্তু মনে রাখতে হবে নিজের এবং দেশের সম্মান নিজেদেরই বজায় রাখতে হবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫

রেজা ঘটক বলেছেন: ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ-এর টিকিট কিনে বাসায় এসে দেখি, আমার টিকিটে আমার স্ত্রী'র পাসপোর্ট নাম্বার। আর আর আমার স্ত্রী'র টিকিটে নামের বানান ভুল। আবার যেতে হল তা ঠিক করতে। আবার নতুন করে ই-টিকিট সেই একই লোক তিনবার প্রিন্ট করল। আমি তিনবার ভুল পেলাম। ফাইনালি সব ঠিক হবার পর বললাম, ভাই এটা কি ভুল না? সে বলল, না কোন ভুল না। সে সরি পর্যন্ত বলতে অস্বীকৃতি জানাল। আমি বললাম, আপনি একটা বেয়াদব। এই পেশায় আপনাকে মানায় না। আপনি বেটার লোকাল বাসের হেলপারি করেন। সে তখন পারলে আমাকে গলাধাক্কা দেয়। এদের সার্ভিস নিয়ে আমি পরবর্তীতে বিস্তারিত লিখব।

১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০২

অচিনপাখি বলেছেন: আমার অভিজ্ঞতা এতখানি খারাপ না তবে আমি আর কখনই দেশী সার্ভিস নিব না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৫

নানাভাই বলেছেন: সব সম্ভবের দেশ, বাংলাদেশ। X((

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৬

রেজা ঘটক বলেছেন: জি ভাইজান।

১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৭

নানাভাই বলেছেন: বলা ঠিক না, ৩০ বৎসরে বিদেশ জীবনে কুনু দিনও দেশের বিমানে উঠতে পারি নাই। আল্লাহ ও যেনো আর না উঠায়! X((

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৬

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

১৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

সদ্বৃত্তি বলেছেন: আপনার পোস্ট আর কিছু কমেন্ট পড়ে মাথা ঝিমঝিম করতেছে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭

রেজা ঘটক বলেছেন: এভাবেই আমরা শষ্যের মধ্যে ভূত রেখে দেশ শাসন করছি...

১৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: বিবি,র যে অবস্থা,ওদের আর কি কমু?তারপরও ওদের ক্রাফটগুলা বাইরের থেকেই দেখা যায় ভাংগাচুড়া,উঠমু কি?ভাড়া অবশ্য তুলনামূলক কম,সীটও যখন তখন পাওয়া যায়,তারপরও ইউনাইটেড থেকে দূরে থাকি।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৮

রাতুল রেজা বলেছেন: বিনা চেকিং এ ইমিগ্রেশন পার হওয়ার ঘটনা আসলেই ভয়াবহ । এটা কিভাবে সম্ভব? এর মানে বাংলাদেশে এটা চলে আসছে কিন্তু আমরা জানিনা। সরকার আশা করি অতি দ্রুত এর ব্যাবস্থা নিবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৫

রেজা ঘটক বলেছেন: হতে পারে কিছু অবৈধ লোক এভাবে পার করানোর জন্য নাটক। আমরা আমজনতা এসব বুঝব না...

২০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০২

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: বড়ই দুংখজনক,
অবাক হয়ে নিরবে বসে থাকা ছাড়া কিছুই করার নাই :( :( X((

কি বলব ? কাকে বলব ?
কে দেখবে এসব ?
কারও কি সময় আছে ?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ...

২১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

বিডিওয়েভ বলেছেন: এদের সার্ভিস নিয়ে আমি পরবর্তীতে বিস্তারিত লিখব

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

রেজা ঘটক বলেছেন: পড়ার অপেক্ষায় রইলাম...

২২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: "বাংলাদেশ বিমানের ফেলে দেওয়া ডিসি-১০ এয়ারক্রাফট কম টাকায় কিনে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এই ব্যবসা শুরু করেছে।"

- এটা ভুল ধারনা, ডিসি-১০ অনেক বড় এয়ারক্র্যাফট্‌, যেটাতে আমি নেপাল থেকে ঢাকায় ফিরেছিলাম। ৪ ঘন্টা ডিলে ছিলো। বিমানই এখন পৃথিবীর একমাত্র এয়ারলাইনস যেটাতে যাত্রিবাহী ডিসি-১০ আছে।

- হিমালয়ের উপর দিয়ে প্লেন চলছে, এটাও কিন্তু ভুল ধারনা। হিমালয় কাঠমন্ডুর ত্রিভূবন এয়ারপোর্টের আরো উত্তরে, ঐদিকে প্লেন যাবার কোন কারন নেই। প্লেনে বসে দূর থেকে হিমালয় দেখা যায় ছোট করে, এই পর্যন্তই।

- ইমিগ্রেশন নিয়ে যেটা বলেছেন সেটা আসলেই অবাক হবার মতো। তবে আপনার পাসপোর্টে সিল না থাকলে আপনি নিজেই বিপদে পড়বেন, এই ভরসাতেই মনে হয় এতোটা অবহেলা করার সাহস পায়। আরেকটা খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার হলো ভিসা পেজে সিল না দিয়ে সিল দেয় ভেতরে অন্য কোন পেজে গিয়ে, এর কোন মানে হয়? নিয়ম হলো যে পেজে ভিসা থাকবে, ঐ জার্নির সকল সিল তার পাশের খালি পেজে থাকবে। বাংলাদেশে পাসপোর্ট হাতে নিয়ে যে পেজ সামনে আসে তাতেই সিল মেরে দেয়। পাতা উল্টানোও তাদের কাছে বিশাল কস্টকর ব্যাপার।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

রেজা ঘটক বলেছেন: নক্‌শী কাঁথার মাঠ@
আপনি কি কারণে ভুল ধারণা বলছেন বুঝলাম না। ওই বিমনটি এয়ারক্রাফট ১০ ছিল। আর ওটা বিমান থেকে কেনা, যা বিমান পরিত্যক্ত করেছিল। ত্রিভূবন বিমানবন্দর থেকে হিমালয় উত্তরে এটা ঠিক। কিন্তু চন্দ্রগিড়ি এবং গোটা কাঠমুন্ডু ভ্যালি ছোট বড় পাহাড়ে ঘেরা। পৃথিবীর যে কোনো বিমানবন্দরের তুলনায় কাঠমুন্ডু থেকে বিমান ওঠানামা ঝুঁকিপূর্ণ। নেপালের লুকলা বিমানবন্দর পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর। যারা বিমানে হিমালয় দেখতে যায় তারা লুকলা বিমানবন্দর ব্যবহার করে। কিন্তু ত্রিভূবন বিমানবন্দর থেকে নষ্ট বিমান রাতের অন্ধকারে উড্ডয়ন অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। আমি এটাই বলতে চেয়েছি।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সবাই ইমেগ্রেশান চেক ছাড়াই রাতের আঁধারে যে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারল, এটা কিভাবে সম্ভব? প্রশাসনের গাফিলতি না থাকলে এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের উপর লেভেলে যোগসাজস না থাকলে এটা করা অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু তারা এটা করতে পেরেছে। এর দায় কার??? আর যারা যে কোন উপায়ে বাংলাদেশে ঢুকতে চায় বা বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে চায় তাদের পাসপোর্টে সিল থাকার কোনো প্রয়েজন আছে কী???

২৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

সাফায়াত কাদির বলেছেন: সব নষ্টদের দখলে চলে গেছে

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

২৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: :(

কি ভয়াবহ

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

রেজা ঘটক বলেছেন: সত্যি ভয়াবহ!!!

২৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে দেখি বিরাট ঝামেলা!!
না বাসে
না ট্রেনে
না লঞ্চে

কোথাও শান্তি নাই।

পোস্টে ++++++


১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

রেজা ঘটক বলেছেন: এভাবে আমাদের উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে!!!

২৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

ক্লিকবাজ বলেছেন: শেখ হাসিনা এবং ইউনাইটেড এর মালিক যৌথভাবে "মিগ ২৯" দূর্নীতি মামলা" এর আসামী। এখন আপনারাই চিন্তা করেন ইউনাইটেডের খুঁটি কতটুকু শক্ত।

আমরা শুধু অরণ্যে রোদন করতে পারব, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

২৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

বহুরুপি জীবন বলেছেন: ডিসি-১০ হোক আর AIRBUS 310-325 হোক, যা এরা করতেছে সেটা ভয়ঙ্কর । বিষয় টা আরো জনসমক্ষে আনা দরকার এবং এর প্রতিরোধ করা দরকার ।
রেজা ভাই বিষয় টা পেপারে দেওয়া যায় না ? বা সরকারের নজরে আনা যায় না?


আসলে কি এরা ডিসি-১০ চালাচ্ছে বিমানের কাছে থেকে নিয়ে?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

রেজা ঘটক বলেছেন: বিষয়টা চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা সকাল সাড়ে দশটার পরে জেনেছিল। তারা বিমানবন্দরে এসে শোনেন বিমান ঢাকায় চলে গেছে। তাই আর নিউজ হয়নি। তবে পরবর্তীতে নিউজ হবে গোটা ব্যাপার নিয়ে। ওয়েট এন্ড সি। হোটেল গোল্ডেন ইন থেকে জানা গেছে এগুলো বিমানের পুরাতন ডিসি-১০ এয়ারক্রাফট। বিষয়টা নিয়ে আরো খোঁজ খবর নিচ্ছি।

২৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: জীবনে একবারই এই আযাবের প্লেনে উঠছিলাম বছর তিনেক আগে। অফিসের কাজে ঢাকা থেকে চিটাগাং যাব। সময় আর জঘন্য রাস্তায় বাস জার্নির ধকল এড়াতে অ্যাওনাইটেড বেমানে গিয়ে দেখি বেমান অনেক কষ্ট করে আকাশে উড়লেও ভেঙ্গে পড়ে পড়ে অবস্থা। তার উপর ভাদ্র মাসের গরমেও প্লেনের এসি কাজ করেনা। গরমে ফুল বয়েল হয়ে গিয়েছিলাম। শুধুমাত্র আধাঘন্টার জার্নি বলে প্রাণে বেঁচে গেছিলাম।
আর মনে আছে ফেরার সময় রাতের বেলা এয়ারপোর্টে কারেন্ট চলে গিয়েছিল। একদল বিদেশী যাত্রী ভয় পেয়ে দিছিল সেই রকমের একটা চিৎকার...। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি....।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

রেজা ঘটক বলেছেন: নষ্ট বিমানে এসি কাজ করে কি!!! ধন্যবাদ আপনাকে...

২৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: েজা ভাই, আপনার পোস্ট নিয়েই আমি একটা পোস্ট দিছি এবং আমার মনের আশা প্রকাশ করেছি। B-)) B-))

৩০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ভুল ধারনা এজন্য বলছি, আপনি যে এয়ারক্র্যাফটের কথা বলছেন ওটা হলো ইউরোপে তৈরি Airbus A310 । আর ডিসি-১০ আমেরিকায় তৈরি একেবারেই আলাদা আর বিশাল এয়ারক্র্যাফট্‌ যা শুধু এখন বিমানেরই ৩/৪টা আছে, অন্য কোন এয়ারলাইন্সের নাই। আর যা ডিসি-১০ আছে পৃথিবীতে, সব কার্গো হিসেবে ইউজ হয়। কোন মডেলের এয়ারক্র্যাফট্‌ সেটা এখানে প্রসঙ্গ না, তাতে কিছু যায় আসেনা, তারপরো একটা সঠিক তথ্য জানলে সেটা উল্লেখ করা ভালো, এজন্য মন্তব্যটা করেছিলাম।

লুকলা হলো খুবই ছোট বিমানবন্দর যা মূলত এভারেস্ট অভিযাত্রিরা ব্যবহার করে থাকে। আর ত্রিভূবনে প্লেন দক্ষিন দিক থেকে অবতরন করে, এবং দক্ষিনমুখি হয়ে উড্ডয়ন করে দক্ষিনেই যায়, যার কারনে কখনই প্লেন পাহাড়ের উপর দিয়ে যায়না। ত্রিভূবন খুবই নিরাপদ। সবথেকে বিপজ্জনক বিমানবন্দরের একটা দেখেছি ভুটানের পারো এয়ারপোর্ট, মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন পাইলটের ঐ বিমানবন্দরে অবতরনের অনুমতি আছে, রানওয়ের উচ্চতাই যেখানে ৭ হাজার ফুট, আর চার-পাশ পাহাড় ঘেরা।

৩১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

নদ বলেছেন: ইউনাইটেড এয়ারে আমি দুবার যাতায়াত করেছি, ওদের প্লেনের এসি ঠিকমতো কাজ করে না । তবে মালদ্বীপের দিন আপনার ভাগ্য আসলেই খারাপ ছিল।

৩২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

s r jony বলেছেন:
কিছু বলার ভাষা নাই

৩৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১০

পারাবত বলেছেন: সত্যিই ভয়াবহ

৩৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৬

বিডি আইডল বলেছেন: বাংলাদশের কোন এয়ারলাইন্সে চড়বেন আর এইরকম অভিজ্ঞতা হবে না, সেইটা আশা করেন কি করে?!

৩৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

নতুন বলেছেন: আমি ২০১০ এ জিএমজি তে গিয়েছিলাম... দুপুরের ফ্লাইট বিকালে ছেড়েছিলো... কিন্তু কম`কতারা ভুল তথ্য দিচ্ছিলো... ওদের সাথে কথা বলার পরে আমাদের লাঞ্চের ব্যবস্হা করেছিলেন... আসার সময় কোন সমস্যা হয়নি...

আমাদের দেশের যাত্ররা বিমান বালাদের সাথে একটু বেশিই বাড়াবাড়ী করে...

যেইবার বিমানে এসেছিলাম... বিমানের খালাম্মা এক যাত্রীকে বসতে বলছিলেন... তিনি শুনছিলোনা...

তখন তিনি বললেন>>> আপনি বসেন... না হইলে কিন্তু নামাইয়া দেবো.. =p~ =p~ =p~

৩৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

েবনিটগ বলেছেন: নেপাল ভ্রমন নিয়ে রেজা ঘটক ভাই একটা ভ্রমন কাহিনী লিখেন

৩৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১১

আলবিরুনী বলেছেন: ঢাকার লোকাল বাসকেও তো হার মানিয়েছে !!! X( X( X(

৩৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৭

ভারসাম্য বলেছেন: ইউনাইটেড এয়ারের মালিক কেডা? আম্লীগ না বিম্পি?

জামাতী/হেফাজতি কুনু কানেশন বাইর করা যায় কিনা এইডাও দেখতারেন।

পোষ্টে +।

৩৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

অথৈ সাগর বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা কিন্তু দেখার কেউ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.