নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রিসের স্ট্রবেরি খামারে বাংলাদেশিদের উপর গুলি, আহত ৩২।। রেজা ঘটক

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০০

গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর নিয়া মানোলাদা। এই নিয়া মানোলাদা এলাকার কৃষি খামারগুলোতে অন্তঃত পাঁচ হাজারের মত বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী কাজ করেন। এদের মধ্যে পেলপোনেসিয়ান গ্রামের 'ভাগেলা কস' নামক একটি স্ট্রবেরি খামারে কাজ করেন অন্তঃত দুইশত বাংলাদেশী শ্রমিক। বিগত ছয় মাস ধরে তারা কেউ বেতন পান না। বকেয়া বেতন আদায়ের দাবীতে গত বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে তারা কাজে যোগদান না করে ধর্মঘটের ডাক দেন। জবাবে 'ভাগেলা কস' স্ট্রবেরি খামারের মালিক নিকোলাস ভালেগা কস শ্রমিকদের কাজে যোগদানের অনুরোধ করেন এবং নইলে তিনি অন্য শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাবেন বলে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে খামার মালিক নিকোলাস ভাগেলা কস অন্য শ্রমিকদের কাজে ডাকেন এবং বাংলাদেশী শ্রমিকদের খামার থেকে বের হয়ে যাবার নির্দেশ দেন। বকেয়া বেতন না নিয়ে বাংলাদেশী শ্রমিকরা খামার থেকে বের না হবার চেষ্টা করেন। এই পর্যায়ে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় খামার মালিক নিকোলাস ভাগেল কসের নির্দেশে দুইজন ফোরম্যান বাংলাদেশী শ্রমিকদের উপর হঠাৎ গুলি চালান। এতে ঘটনাস্থলে অন্তঃত ৩২ জন বাংলাদেশী শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। যাদের মধ্যে ২৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকী ৭জনের অবস্থা আশংকাজনক।

গ্রিসে বাংলাদেশিদের সংগঠন এইবিএ-এর প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদীন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, 'নিয়া মানোলাদা এলাকায় স্ট্রবেরি খামারে কর্মরত দেড়শ'র মত বাংলাদেশি অভিবাসীর বেতন ছয় মাস ধরে বাকি থাকায় তারা খাওয়া থাকার খুবই সমস্যায় ছিল। বেতনের অর্থ না পাওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে কর্মীরা হরতালের হুমকি দেন। তারা কাজে যেতে আপত্তি জানালে তাদের বাসা থেকে বের করে মালিকের লোকজন গুলি করে।'

গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলার জামাল হুসেইন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আহত বাংলাদেশি কর্মীদের দেখতে তিনি ওই এলাকায় গেছেন। তার সঙ্গে জয়নুল আবেদীনও ঘটনাস্থলে গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম গ্রীসে অ্যাথেন্স থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরে নিয়া মানোলাদা এলাকায় পেলোপন্নেসিয়ান গ্রামের এক খামারে। নিয়া মানোলাদা এলাকার কৃষি খামারে পাঁচ হাজারের মত বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী কাজ করেন। ওই খামারের কর্মীরা তাদের বকেয়া বেতনের দাবি জানাতে জড়ো হলে খামারের একজন সুপারভাইজার তাদের উপর গুলি চালায়।

খামারের মালিক এবং ওই ফোরম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং খামারের আরও দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গ্রিসে বর্ণবাদী হামলা বাড়ছে। এথেন্সের পশ্চিমের ওই এলাকায় অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনা আগেও ঘটেছে। বিশেষ করে খামারে অমানবিক কাজের পরিস্থিতির প্রতিবাদে ২০০৮ সালে শ্রমিকেরা ধর্মঘট করলে তাঁদের ওপর তখন হামলা হয়েছিল। বিবিসির সংবাদদাতা মার্ক লোয়েন জানান, ওইসব খামারে অমানবিক কাজের পরিস্থিতির প্রতিবাদে ২০০৮ সালে শ্রমিকরা হরতাল করে। খামারের কর্মীদের উপর তখনও হামলার ঘটনা ঘটেছিল। নিয়া মানোলাদায় উৎপাদিত স্ট্রবেরি বর্জনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর মাধ্যমে মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে। ওইসব খামারের স্ট্রবেরিকে 'রক্তাক্ত স্ট্রবেরি' আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় একটি মানবাধিকার সংগঠন 'কাউন্সিল অফ ইউরোপ' এ সপ্তাহেই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যাতে গ্রিসে বিশেষ করে নব্য-নাৎসী গোল্ডেন ডন পার্টির হাতে অভিবাসীদের হয়রানি ও নির্যাতনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। ওই রিপোর্টে গ্রিসে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সঙ্কটের পটভূমিতে বর্ণবাদী সহিংসতা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

গ্রিসে অবস্থানরত ইউরোপে বাংলাদেশিদের সংগঠন এইবিএ-এর প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদীন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, তিনি ও দূতাবাস কর্মকর্তা জামাল হুসেইন এই বিষয়ে আইনি কী পদক্ষেপ নেয়া যায়, তা নিয়ে একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে শ্রমিকদের বাঁচাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

মাহমুদুর রাহমান বলেছেন: কি আর করবে , নিজের দেশে নিজের টাকায় পোষা পুলিশ শয়ে শয়ে গুলি করে মারে আর ওরা ভিনদেশি


:(( :(( :(( :(( কষ্ট লাগে এই সব জানলে

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

সািহদা বলেছেন: :( :( :( :(

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

সোহাগ সকাল বলেছেন: আমাদের অভিভাবক নেই। আমাদের অভিভাবকেরা দলীয় ক্যাচালে অন্ধ। আমাদেরকে সবাই অত্যাচার করে যাবে, আমরা অত্যাচারিত হয়েই থাকবো।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেছেন: সোহাগ সকাল বলেছেন: আমাদের অভিভাবক নেই। আমাদের অভিভাবকেরা দলীয় ক্যাচালে অন্ধ। আমাদেরকে সবাই অত্যাচার করে যাবে, আমরা অত্যাচারিত হয়েই থাকবো
আমরা যে যেখানে আছি সব জায়গায় একি অবস্থা।
আমাদের অভিভাবকরা সব স্বার্থপর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.