নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
যে কোনো দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং স্থানীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য, আচার-অনুষ্ঠান, রীতি-নীতি, লোকসংস্কৃতি'র সম্মিলিত বাস্তবতা নিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনির্দিষ্ট ওই দেশটির ভাবমূর্তি রচিত হয়। এই রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি কোনো একক রাজনৈতিক দলের দ্বারা এককভাবে তৈরি হয় না। কোনো একটি ধর্মীয় অনুসারীদের দ্বারাও এককভাবে তৈরি হয় না। আবার রাষ্ট্রের শুধুমাত্র ধনিক শ্রেণীর তথকথিত নিয়ন্ত্রক সূচক দ্বারাও তৈরি হয় না। রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি তৈরিতে রাষ্ট্রের সকল শ্রেণী পেশার, সকল স্তরের, সকল ধর্ম-বর্ণের, সকল জাতীগোষ্ঠির, সকল মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সমন্বিত বাস্তবতা ভূমিকা পালন করে। একুশ শতকের পৃথিবীতে বাংলাদেশ আজ যে একটি সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র হিসেবে ইতিবাচক ভাবমূর্তি রচনা করেছে, সেখানে পোষাকশিল্পের শ্রমিকের ভূমিকা অগ্রগন্য। আমাদের কৃষক, আমাদের শ্রমিক, আমাদের মজুর, আমাদের জেলে, আমাদের তাঁতী, আমাদের কামার, আমাদের কুমার, আমাদের সকল পেশার শ্রমিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিদেশে বসবাসরত আমাদের লাখ লাখ প্রবাসী এই সম্ভাবনাকে আরো এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছেন নিজের দেশে হাজার হাজার ডলার রেমট্যান্স পাঠিয়ে। বাংলাদেশের ৪২ বছরের ইতিহাসে দেশকে এগিয়ে নিতে এই সাধারণ শ্রেণীর মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে, এই ৪২ বছরে বাংলাদেশে একটি ধনিক শ্রেণীও সৃষ্টি হয়েছে। এই ধনিক শ্রেণীরা প্রথম শ্রেণীকে শাসন আর শোষণের মাধ্যমে, তাঁদের কষ্টার্জিত আয় লুন্ঠনের মাধ্যমে, তাঁদের মজুরি চুষে নিয়ে, তাঁদের সরাসরি গরিব শ্রেণী হিসেবে তৈরি করার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি সুস্পষ্ট বৈষম্যমূলক রাষ্ট্র হিসেবে কেবল নিজেদের স্বার্থরক্ষায় নিয়োজিত। এই ধনিক শ্রেণীর চরিত্র নিকৃষ্ট মানের। স্বার্থের কারণে এরা পৃথিবীতে এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যা না করে। এদের কারো পেশা রাজনীতি, কারো পেশা ব্যবসা, কারো পেশা আমলাগিরি, কারো পেশা দালালি, কারো পেশা চামচামি, কারো পেশা খবরদারি, কারো পেশা চাঁদাবাজী, কারো পেশা কনট্রাকটারি, কারো পেশা জুয়ারি। শ্রমভিত্তিক কোনো পেশার সঙ্গে এই শ্রেণীর কোনো সম্পর্ক নেই। বাইরে এদের আরেকটি চাতুরিপূর্ণ পরিচয় এরা সবাই সমাজসেবক কিংম্বা দেশসেবক। সমাজ আর দেশের সেবায় এরা এইসব নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড করার একচ্ছত্র লাইসেন্স নিয়েছেন। এদের স্বার্থ রাক্ষায় এরা ভোটের রাজনীতি করেন। হরতাল করেন। ক্ষমতা ভাগাভাগি করেন। দেশ শাসন করেন। আর সাধারণ মানুষকে নিঃশর্তভাবে শোষণ করেন। একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিগত ৪২ বছরে এই ধনিক শ্রেণীরা একটি সুস্পষ্ট বৈষম্য তৈরি করতে এবং তা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
কার্যতঃ বাংলাদেশে এখন গরিব আর ধনি এই দুই শ্রেণীর মানুষ রয়েছে। দেশের আইন আদালত নিয়ম কানুন সবই দুইভাগে বিভক্ত। ধনিক শ্রেণীর জন্যে একটি সাদা আইন। আর গরিব শ্রেণীর জন্যে একটি কালো আইন। ধনিক শ্রেণীর সবাই সেই আইনের উর্ধ্বে। আর গরিক শ্রেণীর সবাই সেই আইনের আওতায়। আর কথায় কথায় এদের বলতে শোনা যায়, আইন নাকি সবার জন্যেই সমান!
আমরা সবাই গরিব মানুষ। হাতের লেখা আমাদের কারোরই ভালো না। দেশের প্রচলিত আইনের একটু এদিক সেদিক হলেই আমাদের সবাইকে ওই আইনের আওতায় জবাবদিহিতা করার নিয়ম। আর ওনারা কথায় কথায় হরতাল ডাকেন। কথায় কথায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ান। কথায় কথায় কথায় দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দেন। আর আমরা গরিব মানুষেরা বসে বসে আঙুল শুধু চুষি। ওনারা ক্ষমতাবান, তাই ওনারা যা ঠিক করে দেন, তাই নিয়েই আমাদের এদেশে সন্তুষ্ট থাকার নিয়ম। ওনাদের অপরাধে আমাদের গরিব মানুষের মৃত্যু হলে মাথাপ্রতি দাম হাঁকানো হয় ২০ হাজার টাকা। আর পঙ্গু হলে ১০ হাজার টাকা। টাকার মূল্যে ওনারা গরিব মানুষের মাথার দাম নির্ধারণ করারও মালিক।
গত ২৪ এপ্রিল ২০১৩ সালে ভবন মালিক এবং গার্মেন্টস মালিকদের যৌথ প্রযোজনায় সাভারে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হল, এখন পর্যন্ত উদ্ধারকৃত লাশের সংখ্যা প্রায় ৪০০। জীবিত মানুষ উদ্ধার হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার। এখনো বিধ্বস্ত ভবনের নিচে আটকা পড়ে আছে অনেক গরিব মানুষ। তাদের সঠিক সংখ্যাটিও হয়তো কোনো দিন জানা যাবে না। কারণ, গরিব মানুষের এই সংখ্যার সাথে জড়িয়ে আছে ধনিক শ্রেণীর মাথাপ্রতি ২০ হাজার টাকার হিসেব! হায়রে দুনিয়া! তুমি কতো বিচিত্র চিরিয়ায় আমাদের অসহায় করে রেখেছো!!
বাতাসে লাশের গন্ধ। গরিব মানুষের লাশের গন্ধে ধনিদের নাভিশ্বাস। গতকাল আদালত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভবন মালিক আর গার্মেন্টস মালিকদের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার। একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে ওইসব ভবন মালিক আর গার্মেন্টস মালিকদের কতোক্ষণ লাগে? পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা কি এখনো নিজ নিজ একাউন্টে টাকা রেখে দিয়েছেন? একাউন্ট থেকে টাকা পাচারের কাজে ওইসব মালিকরা নিশ্চয়ই গরিব মানুষের মতো অদক্ষ নয়। বরং অন্তঃত এই কাজে ধনিক শ্রেণীর লোকজন এতোই পটু আর দক্ষ যে, পৃথিবীর যে কোনো দেশের যে কোনো নামীদামী ব্যাংকে টাকা পাচারের কাজে বাংলাদেশের ধনিক শ্রেণীদের চোখ বুজে নোবেল পুরষ্কার দিয়ে দেওয়া যায়।
এখন সরাসরি কিছু সোজা কথা বলতে চাই। বাংলাদেশে গার্মেন্টস ব্যবসা চালু রাখতে চাইলে নিচের বিষয়গুলো সবার আগেই নিশ্চিত করতে হবেঃ-
১. সকল গার্মেন্টস মালিকদের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করবে কোনো রাষ্ট্রীয় ব্যাংক। পোষাকশিল্পের যে কোনো শ্রমিককে চাকুরির প্রথম দিনেই একটি ব্যাংক একাউন্ট মালিকপক্ষ থেকে খুলে দিতে হবে। প্রতি মাসের ঠিক ৩০ তারিখের আগেই ( এই তারিখ নিয়ে কোনো নয় ছয় চলবে না, আর ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ) প্রত্যেক পোষাকশিল্পশ্রমিকের বেতন নিজ নিজ একাউন্টে রাষ্ট্রীয় ব্যাংককে ট্রান্সফার করার নিয়ম চালু করতে হবে। যাতে পোষাকশিল্পশ্রমিক তাঁর কষ্টার্জিত বেতন ঠিক মাসের ৩০ তারিখের মধ্যেই হাতে নিতে পারে। যেসব গার্মেন্টস মালিকরা রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের আইন মানবে না, তাদের ওই ব্যবসা সরাসরি বন্ধ করে দিতে হবে।
২. পোষাকশিল্পের শ্রমিকদের শ্রমঘণ্টার সঠিক হিসাব নিরূপনের জন্যে তৃতীয় একটি পক্ষকে দায়িত্ব দিতে হবে। সকল গার্মেন্টসে এটা চালু করতে হবে। শ্রমিক আইডি কার্ড পাঞ্চ করে কাজে যোগদান করবেন। কাজ থেকে বের হবার সময় আবার আইডি কার্ড পাঞ্চ করবেন। আট ঘণ্টার বাইরে শ্রমিক কতো ঘণ্টা কাজ করলেন, সেই হিসেব তখন অটোমেটিক তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত হবে। আর ওভার টাইমের বেতন মূল কাজের সময়ের চেয়ে অবশ্যই দ্বিগুন করতে হবে। এই আইন সকল গার্মেন্টসের জন্য চালু করতে হবে।
৩. কোনো পোষাকশিল্পশ্রমিককে কারখানার চাকরি থেকে ছাটাই করতে হলে একসঙ্গে তিন মাসের বেতন অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। কারখানায় শ্রমিকদের জন্যে অন্যান্য যেসকল সুবিধা যেমন, বাড়িভাড়া, খাবার, নাস্তা, মেডিকেল সুবিধা, ইনসুরেন্স সুবিধা ইত্যাদি বিষয়গুলো'র সঠিক প্রাপ্তিও ওই তিন মাসের সঙ্গে প্রযোজ্য হবে।
৪. প্রত্যেক শ্রমিককে মূল বেতনের সঙ্গে বেতনের অতিরিক্ত শতকরা ৪৫ভাগ বাড়িভাড়া, শতকরা ১০ ভাগ মেডিকেল, শতকরা ৫ ভাগ চা-নাস্তা ও অন্যান্য এবং শতকরা ৫ ভাগ ইকুইডিটি বেনিফিট বাধ্যতামূলক পরিশোধের নিয়ম চালু করতে হবে। অর্থ্যাৎ একজন শ্রমিকের ন্যূনতম বেতন যদি ৫০০০ টাকা হয়, তাহলে ওভার টাইম ছাড়াই মাস শেষে ওই শ্রমিককে গার্মেন্টস মালিক রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে বেতনের অতিরিক্ত ৩২৫০ টাকা পরিশোধে বাধ্য থাকবে। অর্থ্যাৎ যার ন্যূনতম বেতন ৫০০০ টাকা, ওভার টাইম না করলে মাস শেষে সে ব্যাং থেকে বেতন তুলতে পারবে ৮২৫০ টাকা।
৫. পোশাকশিল্পে কর্মরত অবস্থায় কোনো শ্রমিকের মৃত্যু হলে মালিকপক্ষ তাকে নগদ ২০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য থাকবে। আর যদি দুর্ঘটনাজনিত কোনো শ্রমিক পঙ্গুত্ব বরণ করে, তাকে দিতে হবে নগদ ১০ লাখ টাকা।
এই পাঁচটি আইন সকল গার্মেন্টস কারখানার জন্য আইন করে চালু করতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক ভাবে করতে হবে। এছাড়া গার্মেন্টস ভবনের জন্য দোতলার উপরে কোনো ভবন রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হোক। সকল গার্মেন্টস কারখানা হবে দোতলা। চারদিকে এক্সিট পয়েন্ট থাকতে হবে আধুনিক মানের। কারখানায় অগ্নি নিধন যন্ত্র বাধ্যতামূলক। কোনো কারখানায় আগুন লাগলে দোতলা ভবন হলে সহজেই অনেকগুলো এক্সিট পয়েন্ট থেকে সবাই মুহূর্তে বাইরে যেতে পারবে।
আর যদি এই সব আইন চালু করা সম্ভব না হয়, তাহলে তাজরিন, স্প্যাকট্রাম, রানা প্লাজার মত দুর্ঘটনা বছর বছর ঘটতেই থাকবে। আর যদি এসব রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে চালু করার প্রচেষ্টা না নেওয়া হয়, এর বিপরীতে একমাত্র বিকল্প হতে সকল গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ করে দেওয়া। গরিব মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করা চলবে না। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সারা বছর গরিব মানুষ ভূমিকা রাখবে আর লাশ হয়ে বাড়িতে যাবে, সেই প্রবৃদ্ধি আমাদের দরকার নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি একজন অর্থনীতি ছাত্র ছিলাম। সবকিছু বিবেচনা করে নিজের বুদ্ধিতেই বলতে চাই, গরিব মানুষের শ্রমের কোনো মূল্য বাংলাদেশে দেওয়া হয় না। গরিব মানুষ শুধুমাত্র দুবেলা আহারের জন্যে যে অমানুষিক কষ্ট করে রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো সচল রাখেন, তাঁদের নায়ে ধনিক শ্রেণীর এই সব তালবাহানা আর চলবে না। গরিব মানুষের লাশের সংখ্যার নিচে ধনিক শ্রেণীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচক গোল্লায় যাক। কচু ঘেচু খেয়েও গরিব মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু ধনিক শ্রেণীর মরণফাঁদ পাতা এইসব খাঁচায় তারা কেউই নিরাপদ নয়।
বাংলাদেশে যদি গার্মেন্টস শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে চান, ধনিক শ্রেণীর আপনাদের বলছি, এই গরিবের এই প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নিন। নইলে আমরা সবাই দলবেঁধে গ্রামে চলে যাব। খোলা আকাশ দেখে খোলা বাতাস খেয়েও কয়েক দিন শান্তিতে বাঁচতে পারব। আপনাদের বিবেকের কাছে একবার প্রশ্ন করুন তো, গুলশান, বারিধারা, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরায় যদি কোনো একটি ২০তলা ফ্রাটে ৫০০ জন ধনি'র পরিবারের সদস্য সাভারের রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনায় পরতো, আপনারা কী করতেন?
আমেরিকা, বৃটেন, জাপান, ভারত থেকে উদ্ধার সামগ্রী আর রেসকিউ টিম আনতেন না? নাকী দেশের স্বরাষ্ট্র আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে দোহাই দিয়ে নিজস্ব সিভিল ডিফেন্সের উপরই ভরসা করতেন? আর ওরকম দুর্ঘটনায় আপনাদের পরিবারের যাদেরকে উদ্ধার করতেন, তাদেরকে কী শুধু ঢাকা মেডিকেল, এনাম মেডিকেল, সাভার সিএমএইচ, আর কয়েকটি লোকাল ক্লিনিকে ভর্তি করাতেন? এ্যাপোলা হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল, ল্যাব-এইড হাসপাতাল, এগুলো কী তখন চুপচাপ বসে তামাশা দেখতো? নাকী সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল, থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাথ হাসপাতাল, সৌদি-আরবের কিংস ফয়সাল হাসপাতাল, বৃটেনের লন্ডন হাসপাতাল কিংম্বা আমেরিকার বড় বড় হাসপাতালে উদ্ধার হওয়া মানুষগুলো পাঠাতে আপনারা তখন ব্যস্ত হয়ে যেতেন?
আপনাদের বিবেকবোধ কী বলে? গরিব মানুষের জীবন খুব সস্তা, তাই না? দয়া করে আপনারা গরিব মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসাটা করা বন্ধ করুন। নইলে এই সব কোটি কোটি গরিব মানুষ একবার যদি রাজপথে নেমে আসে, আপনারা ধনিক শ্রেণিরা হেলিকপ্টারে করে পালানোর পথও পাবেন না।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
রবিউল ৮১ বলেছেন: ১,২,৩ এর সাথে সহমত।৪ ন ং প্রস্তাবে বলতে চাই তাদের নূন্যতম বেতন আরো বাড়ানো হোক।৫ ন ং টা আসলে এই দেশে বাস্তবসমমত বলে আমার মনে হয় না।
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনের সবকয়টা লেখার টাইটেলে দেখি আপনের নাম। পোলাপান যারা ব্লগিং করে তারা এটা করে কিন্তু আপনি কি কারনে করেন জানতে পারি?
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ভাল লিখেছেন .
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনের সবকয়টা লেখার টাইটেলে দেখি আপনের নাম। পোলাপান যারা ব্লগিং করে তারা এটা করে কিন্তু আপনি কি কারনে করেন জানতে পারি?
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
েবনিটগ বলেছেন: ++++++++++++