নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীরা দুর্নীতির প্রথম বীজ রোপন করে।

১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীরা যে নমিনেশান পেপার জমা দেন, তার সঙ্গে জমা দিতে হয় বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব। বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী এই হিসাব সঠিক নিয়মে জমা দিয়েছে? অথচ তাদের সবার নমিনেশান পেপার বৈধ হয়!!! বাংলাদেশে দুর্নীতি'র বীজ বপন শুরু হয় নমিনেশান পেপার দিয়ে। প্রার্থীরা নিজেদেরকে নিজেরা একটা পরীক্ষা নেয়। যদি নির্বাচন কমিশন নমিনেশান পেপার জায়েজ ঘোষণা করে, তার মানে প্রার্থীরা যেসব আয় ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছিল তা সঠিক। নির্বাচন কমিশনের এই নমিনেশান বৈধ করার মাধ্যমে আসলে কমিশন দেশে দুর্নীতির বীজ বৈধ ঘোষণা করে। তারপর নির্বাচনে চলে সকল নির্বাচন বহির্ভূত কাজ কারবার। প্রার্থীরা নির্বাচনী আইন মানেন না। এটা করে তারা নিজেদের আগাম শক্তি পরীক্ষা করে নেয়। তারপর নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারলেই গোটা দেশে সকল দুর্নীতি করার যেনো তারা লাইসেন্স হাতে পেয়ে যায়। তথন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও ওই সকল ভূতকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না।

অর্থ্য্ৎ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বাংলাদেশে দুর্নীতি বীজ বপনে প্রথম সহায়ক অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এবং দুর্নীতিকে বৈধ ঘোষণাকারী প্রথম রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। তারপর এইসব দুর্নীতিবাজরা নির্বাচিত হয়ে দুর্নীতি করবে না এটা কি কোনোদিন কেউ কল্পনা করতে পারে? দুর্নীতিকে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিক বৈধতা প্রদান করেছে। কেবল রাষ্ট্রীয় আইন কানুনে কিছু কথাবার্তা লেখা আছে বটে। কিন্তু আইন তো দুর্নীতিবাজদের জন্য স্বর্গ। রাষ্ট্রীয় টাকায় তখন চিকিৎসার কাজটিও হয়ে যায়।

এই প্রসঙ্গে একটি প্রস্তাবনা আছে আমার। প্রত্যেকটা আইনে ভালো আর খারাপ দুটো পদ্ধতি চালু রাখা হোক। দুটো পদ্ধতির কার্যপ্রণালী ব্যাখ্যা করা হোক। আইনে বলা হোক, আপনি এই আইন না মানলে আপনার এই শাস্তি। আর এই কাজটি করলে আপনি এভাবে শাস্তি থেকে রেহাই পাবেন। জেলের চেয়ে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হোক। সেই জরিমানা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সরাসরি জমা করা হোক। যেমন, একজন প্রার্থী যদি নমিনেশান পেপারে আয় ব্যয়ের মিথ্যা তথ্য প্রদান করে, তাহলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর জেল আর জরিমানা হোক তার বৈধ সম্পত্তির অর্ধেকটার সম-পরিমাণ অর্থ। তখন কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধরা পরলে ৭ বছর জেল খাটবে। আবার বর্তমান সম্পত্তির অর্ধেকটা হারাবে।

নির্বাচন কমিশনকে তার আগে কিছু কাজ করতে হবে। নমিনেশান পেপার বাছাই করার জন্য অন্তঃত তিন মাস সময় হাতে রাখতে হবে। প্রার্থীরা সবাই নমিনেশান পেপার নির্ধারিত সময়ে জমা দেবেন। কিন্তু তা বৈধ তল কিনা তা জানা যাবে ৩ মাস পর। মানে নির্বাচন কমিশন আয়-ব্যয় তথ্য যাচাই বাছাই করে তারপর বৈধতা ঘোষনা করবে। অর্থ্যাৎ প্রার্থীতা বৈধ হল কিনা প্রর্থীদের তা নিয়েই একটি তিন মাসের পরীক্ষা দিতে হবে। এই সময় তারা অবশ্য নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম চালাতে পারবে। তিনমাস পর যার নমিনেশান বৈধ সে নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে থাকল। আর যাদের নমিনেশান আয়-ব্যয় তথ্যের কারণে বাতিল হয়েছে, তারা সবাই নির্বাচনী লড়াইয়ের বদলে জেলকানায় যাবে। আবার নিজেদের বর্তমান বৈধ সম্পত্তির অর্ধেক রাষ্ট্রের কাছে জরিমানা আকারে হারাবে।

নির্বাচন কমিশন এভাবে শক্তিশালী করতে না পারলে বাংলাদেশে দুর্নীতি স্বয়ং খোদাতলা এসেও বন্ধ করতে পারবেন না। কারণ, নির্বাচিত জনপ্রধিনিধিরা যখন রাষ্ট্রের সম্পত্তি লুটপাঠ করে তা কোনো ভাবেই মেনে নেয়ে যায় না। কিন্তু তা বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলো'র কোনো কার্যক্রম নেই। বরং তারা কিভাবে কোন নতুন কৌশলে আরো দুর্নীতি করা যায় তা নিয়েই নিজেদের ঘর গোছানেতে ব্যস্ত। তাই দুর্নীতি রেখে নির্বাচন করলে সেই দেশ থেকে দুর্নীতি যাবে না। বরং তা আরো কৌশল বদলাবে। যেমন হলমার্ক। যেমন পদ্মাসেতু। যেমন জিয়া অরফানেজ। যেমন কোকো-তারেক। যেমন মিগ-২৯। যেমন সোনালী ব্যাংক। যেমন অগ্রনী ব্যাংক। যেমন ডেসটিনি। যেমন রানা প্লাজা। যেমন বসুন্ধরা। যেমন রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ইত্যাদি। এমন হাজারও উদাহরণ দেওয়া যাবে।



কিন্তু আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না পেলে কোনো আইন বা কোনো নীতি কাজে আসবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.