নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন স্থলভাগ অতিক্রম করছে : আপডেট বৃহস্পতিবার দুপুর ১:৩০টা

১৬ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

ঘূর্ণিঝড় মহাসেন মোকাবেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের ফোন নাম্বারগুলো :



কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ:: ০৩৪১-৬৪২৫৪, ০১৭১২০৭২২৭৯

টেকনাফ উপজেলার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ: ০১৭২০০৯৬৭৪৪

মহেশখালী: ০১৭৩২৫৯২৩২১

কুতুবদিয়া: ০১৭১৬১৫২৮০৮

রামু: ০১৭১৫০১১২৪৫

উখিয়া: ০১৭২০২৩৯৫১৮

চকরিয়া: ০১৭১২৮৭৫০৩৭

কক্সবাজার সদর: ০১৫৫০৬০০৪২৩

তথ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম : ৯৫১৪৯৮৮, ৯৫১২২৪৬, ৯৫৪০০১৯






বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে থাকা ঘূর্ণিঝড় মহাসেন মেঘনা মোহনা হয়ে নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করছে। মহাসেন এ মুহূর্তে নোয়াখালী, সীতাকুণ্ড অতিক্রম করছে। এটি ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ছে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামী তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। এর আগে সকাল নয়টার দিকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূলে আঘাত হানে মহাসেন।

ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হওয়ার কারণ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের যেসব এলাকা এরই মধ্যে অতিক্রম করেছে, ওই সব এলাকায় আজ সকাল থেকে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারণে এটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে যে জোয়ার শুরু হয়, তার আগেই প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। জোয়ারের সময় যদি এটি উপকূলের কাছে চলে আসত, তাহলে ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশি হতো। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টা সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর সতর্কসংকেতের আওতায় থাকবে। মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মহাসেন পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় আঘাত হানার পর বরগুনা, পাথরঘাটা, পটুয়াখালী হয়ে মেঘনা মোহনার ওপর দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। আরো উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়ে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে মহাসেন মেঘনা মোহনা হয়ে চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূল পেরিয়ে যেতে পারে। বেলা ১১টার দিকে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪০ কিলোমিটার পশ্চিম, মংলা থেকে ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তব্যরত কর্মকর্তা সহকারী আবহাওয়াবিদ বিজয় দে জানান, পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পর এর গতি বেড়ে গেছে। এটি এখন ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিকে ধেয়ে আসছে। দুপুর ১২টার দিকে এটি ওই দুই জেলার উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


ঘূর্ণিঝড় মহাসেন উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূলের কাছ দিয়ে অতিক্রম করতে শুরু করেছে। ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগের ঝড়োহাওয়া নিয়ে পটুয়াখালী উপকূলঅতিক্রম শুরু করছে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন। আজ সকাল নয়টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি খেপুপাড়া উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে শুরু করে। এটি এখন ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিকে ধেয়ে আসছে। দুপুর ১২টার দিকে এটি ওই দুই জেলার উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ সকাল সোয়া নয়টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে বলা হয়, সকাল সোয়া নয়টার দিকে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২২৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কি.মি দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর সতর্কসংকেতের আওতায় থাকবে। মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৫ নম্বর সতর্কসংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করার সময় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোয় ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোয় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আগুয়ান ঘূর্ণিঝড় মহাসেন উপকূল থেকে ৪০০ কিলোমিটারের মতো দূরে থাকলেও এর প্রভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বের জেলাগুলোতে দমকা বাতাসের সঙ্গে চলছে বৃষ্টি। ঢাকায়ও সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে হালকা দমকা হাওয়া।

ওদিকে ঝড়ের বর্ধিতাংশের প্রভাবে বাতাসের বেগ ক্রমশঃ বাড়তে থাকায় পটুয়াখালীতে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সাগরের পানি ফুলে ফেঁপে ওঠায় উপকূলীয় জেলাগুলোর অনেক নিচু এলাকা দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তালিয়ে গেছে। তবে এসব এলাকার প্রায় দশ লাখ বাসিন্দাকে বুধবার রাতেই সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ।



ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলায় মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড়ো হাওয়া বইছে। লালমোহন উপজেলায় গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধলিগৌরনগর এলাকায় প্রবল বাতাসে একটি গাছ ভেঙে পড়লে আবুল কাশেম (৬৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। দুর্যোগ মোকাবেলায় ভোলায় নয় হাজার ১৩৫ জন সেচ্ছাসেবক , ৭টি মনিটরিং সেল ও ৯২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বরগুনায় গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঝড়ে উপড়ানো গাছের নিচে চাপা পড়ে সৈয়দ আলী (৭৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। বেতাগী উপজেলার পূর্ব রানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে আজ ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে বরগুনায় দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। একই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বরগুনার ৩২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। প্রচুর গাছপালা ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।




ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে চার-পাঁচ ফুট বেশি উঁচু হয়ে কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এতে অন্তত ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।



আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় মহাসেন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার ও মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আজ বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ পটুয়াখালীর খেপুপাড়া, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের টেকনাফসহ উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় ১৫টি জেলা, দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস বা ভরা জোয়ার হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল বুধবার রাত ১০টার পর থেকে উপকূলীয় বেশ কয়েকটি এলাকায় দমকা বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাত ১২টার দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো বেড়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজারের মহেশখালী এবং বরগুনার উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ও বৃষ্টির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে আগের মতোই ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলঅ হয়েছে। আর মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর সঙ্কেতের আওতায় থাকবে। এবং পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে পাঁচ নম্বর সঙ্কেতর আওতায় থাকবে।

সাধারণত ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটারের বেশি হলে মহাবিপদ সঙ্কেত দেয় আবহাওয়া বিভাগ। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রমের সময় ১০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। তখন বিপদ সঙ্কেত ৭ মাত্রা থেকে বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহ আলম।

জাতিসংঘের দুর্যোগ সতর্কীকরণ বিষয়ক সংস্থা জিডিএসিএসের মতে, ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতি কম হলেও এর প্রভাবে উপকূলে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আঘাত হানতে পারে। এসব এলাকার উপকূলের নিম্নাঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো অবস্থিত। তারাই প্রথম আঘাতের শিকার হতে পারে। তবে ঝড়টি যেকোনো সময় দিক পরিবর্তন করতে বা দুর্বলও হয়ে যেতে পারে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বিত দপ্তরের (ওকা) আশঙ্কা, মহাসেনের কারণে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের এক কোটি ৮৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এদের মধ্যে চট্টগ্রামের এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষ ও বরিশালের ৯০ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়তে পারে। এই তিনটি দেশের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ সমুদ্রপৃষ্ঠের পাঁচ মিটার ওপরে বসবাস করে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এই উপকূলবাসীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বিবিসিকে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ বাংলাদেশ উপকূলের আরো নিকটবর্তী হওয়ায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলকর্তী গ্রামগুলোর কয়েকহাজার মানুষকে সরিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়ক্যাম্পে নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে পনেরশ' সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখানে ১৩ লাখ মানুষের স্থান সঙ্কুলানের ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ আটটি জেলার নিম্নাঞ্চলে ও বাঁধের আশপাশের এলাকায় ৪৭ লাখ মানুষের বসতি রয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সারাদিন মাইকিং করে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগুয়ান ঘূর্ণিঝড় মহাসেন উপকূল থেকে ৪০০ কিলোমিটারের মতো দূরে থাকলেও এর প্রভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বের জেলাগুলোতে দমকা বাতাসের সঙ্গে চলছে বৃষ্টি। ঢাকায়ও সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে হালকা দমকা হাওয়া।

ওদিকে ঝড়ের বর্ধিতাংশের প্রভাবে বাতাসের বেগ ক্রমশঃ বাড়তে থাকায় পটুয়াখালীতে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সাগরের পানি ফুলে ফেঁপে ওঠায় উপকূলীয় জেলাগুলোর অনেক নিচু এলাকা দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তালিয়ে গেছে। তবে এসব এলাকার প্রায় দশ লাখ বাসিন্দাকে বুধবার রাতেই সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ।

আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় মহাসেন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার ও মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আজ বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ পটুয়াখালীর খেপুপাড়া, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের টেকনাফসহ উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় ১৫টি জেলা, দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস বা ভরা জোয়ার হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল বুধবার রাত ১০টার পর থেকে উপকূলীয় বেশ কয়েকটি এলাকায় দমকা বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাত ১২টার দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো বেড়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজারের মহেশখালী এবং বরগুনার উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ও বৃষ্টির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে আগের মতোই ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলঅ হয়েছে। আর মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর সঙ্কেতের আওতায় থাকবে। এবং পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে পাঁচ নম্বর সঙ্কেতর আওতায় থাকবে।

সাধারণত ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটারের বেশি হলে মহাবিপদ সঙ্কেত দেয় আবহাওয়া বিভাগ। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রমের সময় ১০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। তখন বিপদ সঙ্কেত ৭ মাত্রা থেকে বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহ আলম।

জাতিসংঘের দুর্যোগ সতর্কীকরণ বিষয়ক সংস্থা জিডিএসিএসের মতে, ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতি কম হলেও এর প্রভাবে উপকূলে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আঘাত হানতে পারে। এসব এলাকার উপকূলের নিম্নাঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো অবস্থিত। তারাই প্রথম আঘাতের শিকার হতে পারে। তবে ঝড়টি যেকোনো সময় দিক পরিবর্তন করতে বা দুর্বলও হয়ে যেতে পারে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বিত দপ্তরের (ওকা) আশঙ্কা, মহাসেনের কারণে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের এক কোটি ৮৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এদের মধ্যে চট্টগ্রামের এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষ ও বরিশালের ৯০ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়তে পারে। এই তিনটি দেশের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ সমুদ্রপৃষ্ঠের পাঁচ মিটার ওপরে বসবাস করে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এই উপকূলবাসীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বিবিসিকে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ বাংলাদেশ উপকূলের আরো নিকটবর্তী হওয়ায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলকর্তী গ্রামগুলোর কয়েকহাজার মানুষকে সরিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়ক্যাম্পে নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে পনেরশ' সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখানে ১৩ লাখ মানুষের স্থান সঙ্কুলানের ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ আটটি জেলার নিম্নাঞ্চলে ও বাঁধের আশপাশের এলাকায় ৪৭ লাখ মানুষের বসতি রয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সারাদিন মাইকিং করে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মহাসেন পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় আঘাত হানার পর বরগুনা, পাথরঘাটা, পটুয়াখালী হয়ে মেঘনা মোহনার ওপর দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। আরো উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়ে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে মহাসেন মেঘনা মোহনা হয়ে চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূল পেরিয়ে যেতে পারে। বেলা ১১টার দিকে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪০ কিলোমিটার পশ্চিম, মংলা থেকে ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তব্যরত কর্মকর্তা সহকারী আবহাওয়াবিদ বিজয় দে জানান, পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পর এর গতি বেড়ে গেছে। এটি এখন ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিকে ধেয়ে আসছে। দুপুর ১২টার দিকে এটি ওই দুই জেলার উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় মহাসেন উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূলের কাছ দিয়ে অতিক্রম করতে শুরু করেছে। ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগের ঝড়োহাওয়া নিয়ে পটুয়াখালী উপকূলঅতিক্রম শুরু করছে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন। আজ সকাল নয়টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি খেপুপাড়া উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে শুরু করে। এটি এখন ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিকে ধেয়ে আসছে। দুপুর ১২টার দিকে এটি ওই দুই জেলার উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ সকাল সোয়া নয়টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে বলা হয়, সকাল সোয়া নয়টার দিকে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২২৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কি.মি দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর সতর্কসংকেতের আওতায় থাকবে। মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৫ নম্বর সতর্কসংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করার সময় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোয় ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোয় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আগুয়ান ঘূর্ণিঝড় মহাসেন উপকূল থেকে ৪০০ কিলোমিটারের মতো দূরে থাকলেও এর প্রভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বের জেলাগুলোতে দমকা বাতাসের সঙ্গে চলছে বৃষ্টি। ঢাকায়ও সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে হালকা দমকা হাওয়া।

ওদিকে ঝড়ের বর্ধিতাংশের প্রভাবে বাতাসের বেগ ক্রমশঃ বাড়তে থাকায় পটুয়াখালীতে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সাগরের পানি ফুলে ফেঁপে ওঠায় উপকূলীয় জেলাগুলোর অনেক নিচু এলাকা দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তালিয়ে গেছে। তবে এসব এলাকার প্রায় দশ লাখ বাসিন্দাকে বুধবার রাতেই সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ।



ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলায় মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড়ো হাওয়া বইছে। লালমোহন উপজেলায় গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধলিগৌরনগর এলাকায় প্রবল বাতাসে একটি গাছ ভেঙে পড়লে আবুল কাশেম (৬৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। দুর্যোগ মোকাবেলায় ভোলায় নয় হাজার ১৩৫ জন সেচ্ছাসেবক , ৭টি মনিটরিং সেল ও ৯২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বরগুনায় গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঝড়ে উপড়ানো গাছের নিচে চাপা পড়ে সৈয়দ আলী (৭৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। বেতাগী উপজেলার পূর্ব রানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে আজ ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে বরগুনায় দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। একই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বরগুনার ৩২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। প্রচুর গাছপালা ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।




ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে চার-পাঁচ ফুট বেশি উঁচু হয়ে কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এতে অন্তত ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।



আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় মহাসেন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার ও মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আজ বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ পটুয়াখালীর খেপুপাড়া, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের টেকনাফসহ উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় ১৫টি জেলা, দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস বা ভরা জোয়ার হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল বুধবার রাত ১০টার পর থেকে উপকূলীয় বেশ কয়েকটি এলাকায় দমকা বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাত ১২টার দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো বেড়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজারের মহেশখালী এবং বরগুনার উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ও বৃষ্টির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে আগের মতোই ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলঅ হয়েছে। আর মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর সঙ্কেতের আওতায় থাকবে। এবং পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে পাঁচ নম্বর সঙ্কেতর আওতায় থাকবে।

সাধারণত ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটারের বেশি হলে মহাবিপদ সঙ্কেত দেয় আবহাওয়া বিভাগ। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রমের সময় ১০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। তখন বিপদ সঙ্কেত ৭ মাত্রা থেকে বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহ আলম।

জাতিসংঘের দুর্যোগ সতর্কীকরণ বিষয়ক সংস্থা জিডিএসিএসের মতে, ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতি কম হলেও এর প্রভাবে উপকূলে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আঘাত হানতে পারে। এসব এলাকার উপকূলের নিম্নাঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো অবস্থিত। তারাই প্রথম আঘাতের শিকার হতে পারে। তবে ঝড়টি যেকোনো সময় দিক পরিবর্তন করতে বা দুর্বলও হয়ে যেতে পারে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বিত দপ্তরের (ওকা) আশঙ্কা, মহাসেনের কারণে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের এক কোটি ৮৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এদের মধ্যে চট্টগ্রামের এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষ ও বরিশালের ৯০ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়তে পারে। এই তিনটি দেশের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ সমুদ্রপৃষ্ঠের পাঁচ মিটার ওপরে বসবাস করে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এই উপকূলবাসীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বিবিসিকে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ বাংলাদেশ উপকূলের আরো নিকটবর্তী হওয়ায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলকর্তী গ্রামগুলোর কয়েকহাজার মানুষকে সরিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়ক্যাম্পে নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে পনেরশ' সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখানে ১৩ লাখ মানুষের স্থান সঙ্কুলানের ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ আটটি জেলার নিম্নাঞ্চলে ও বাঁধের আশপাশের এলাকায় ৪৭ লাখ মানুষের বসতি রয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সারাদিন মাইকিং করে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগুয়ান ঘূর্ণিঝড় মহাসেন উপকূল থেকে ৪০০ কিলোমিটারের মতো দূরে থাকলেও এর প্রভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বের জেলাগুলোতে দমকা বাতাসের সঙ্গে চলছে বৃষ্টি। ঢাকায়ও সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে হালকা দমকা হাওয়া।

ওদিকে ঝড়ের বর্ধিতাংশের প্রভাবে বাতাসের বেগ ক্রমশঃ বাড়তে থাকায় পটুয়াখালীতে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সাগরের পানি ফুলে ফেঁপে ওঠায় উপকূলীয় জেলাগুলোর অনেক নিচু এলাকা দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তালিয়ে গেছে। তবে এসব এলাকার প্রায় দশ লাখ বাসিন্দাকে বুধবার রাতেই সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ।

আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় মহাসেন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার ও মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আজ বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ পটুয়াখালীর খেপুপাড়া, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের টেকনাফসহ উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় ১৫টি জেলা, দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস বা ভরা জোয়ার হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল বুধবার রাত ১০টার পর থেকে উপকূলীয় বেশ কয়েকটি এলাকায় দমকা বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাত ১২টার দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো বেড়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজারের মহেশখালী এবং বরগুনার উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ও বৃষ্টির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে আগের মতোই ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলঅ হয়েছে। আর মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর সঙ্কেতের আওতায় থাকবে। এবং পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে পাঁচ নম্বর সঙ্কেতর আওতায় থাকবে।

সাধারণত ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটারের বেশি হলে মহাবিপদ সঙ্কেত দেয় আবহাওয়া বিভাগ। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রমের সময় ১০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। তখন বিপদ সঙ্কেত ৭ মাত্রা থেকে বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহ আলম।

জাতিসংঘের দুর্যোগ সতর্কীকরণ বিষয়ক সংস্থা জিডিএসিএসের মতে, ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতি কম হলেও এর প্রভাবে উপকূলে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আঘাত হানতে পারে। এসব এলাকার উপকূলের নিম্নাঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো অবস্থিত। তারাই প্রথম আঘাতের শিকার হতে পারে। তবে ঝড়টি যেকোনো সময় দিক পরিবর্তন করতে বা দুর্বলও হয়ে যেতে পারে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বিত দপ্তরের (ওকা) আশঙ্কা, মহাসেনের কারণে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের এক কোটি ৮৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এদের মধ্যে চট্টগ্রামের এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষ ও বরিশালের ৯০ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়তে পারে। এই তিনটি দেশের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ সমুদ্রপৃষ্ঠের পাঁচ মিটার ওপরে বসবাস করে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এই উপকূলবাসীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বিবিসিকে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ বাংলাদেশ উপকূলের আরো নিকটবর্তী হওয়ায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলকর্তী গ্রামগুলোর কয়েকহাজার মানুষকে সরিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়ক্যাম্পে নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে পনেরশ' সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখানে ১৩ লাখ মানুষের স্থান সঙ্কুলানের ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ আটটি জেলার নিম্নাঞ্চলে ও বাঁধের আশপাশের এলাকায় ৪৭ লাখ মানুষের বসতি রয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সারাদিন মাইকিং করে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: হুম। আবহাওয়া ভালই আশঙ্কাজনকএইদিকে

২| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

অমৃত সুধা বলেছেন: ‘খালেদা জিয়ার পরিণতি ভয়ানক হবে’: শেখ হাসিনা
http://dhakajournal.com/?p=7620

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.