নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংসদে সাংসদদের অনুপস্থিতি বন্ধ করতে চাই নতুন আইন!!!!

১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৩

আমাদের সংবিধানে মাননীয় সংসদ সদস্যদের একটানা ৯০ দিন সংসদে অনুপস্থিত থাকলে সদস্য পদ বাতিল হবার আইন রয়েছে। অর্থ্যাৎ কোনো সাংসদ ইচ্ছে করলে ৮৯ দিন সংসদে অনুপস্থিত থেকেও সদস্য পদ টিকিয়ে রাখতে সক্ষম। সংবিধানে সাংসদের জন্য এই সুযোগ প্রদান করেই সংসদকে সবচেয়ে বেশি অকার্যকর করা হয়েছে বলেই আমি মনে করি। সংবিধানে আইন করা উচিত কোনো সাংসদ সংসদ অধিবেশন চলাকালীন একদিন অনুপস্থিত থাকলেই সদস্য পদ হারাবেন। এমন কঠিন আইন না করলে বাংলাদেশে ৯০ দিনের সুযোগ নেয়ার জন্য আগামীতে অনেকেই সুযোগ খুঁজবেন। সংসদ অধিবেশন যখন বসে তখন সাংসদদের সংসদে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো কাজ দেখিয়ে অনুপস্থিত থাকার রেওয়াজ আইনগতভাবেই বন্ধ হওয়া উচিত। নইলে সংসদে না যাওয়ার রেওয়াজ বন্ধ হবে না।

আমাদের নবম সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। অথচ অধিবেশন শুরু হলেই এক দেড় ঘণ্টা চলে যায় কোরাম সংকটের কারণে। কারণ, ওই ৯০ দিনের সুযোগ সুবিধা। না গেলেই কার বাপের কী? আমরা এও জানি এক মিনিট সংসদ অধিবেশন চালু থাকলে রাষ্ট্রের কত টাকা খরচ হয়! অথচ আমাদের মাননীয় সাংসদরা জনগণকে সবসময় ভোদাই মনে করেন। সংসদে অনপস্থিত থাকলেও সংসদ সদস্য হিসেবে বেতন তোলেন নি এমন একজন সাংসদকেও পাওয়া যাবে না। অর্থ্যাৎ সবকিছু আমরাই তো এমন একটা মগের মুল্লুক আর কি।

নবম সংসদে ৩৩৭ কার্যদিবসের মধ্যে মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা সংসদে হাজির ছিলেন মাত্র ৮ কার্যদিবস। বর্তমান সংসদের আগামী বাজেট অধিবেশনে যোগ না দিলে বিরোধীদলের প্রায় সবাই শুধু সংসদে অনুপস্থিত থাকার লজ্বা নিয়ে সদস্য পদ হারাবেন। প্রায় অনেকের অনুপস্থিতির দিনের সংখ্যা ৮৩ দিন। যা জাতির জন্য লজ্বার।

সংসদে অনুপস্থিত থাকার হারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাংসদদের বেতন ভাতা। একজন সাংসদদেরও সেই সুযোগ সুবিধা স্বেচ্ছায় ত্যাগ করার কোনো ইতিহাস পাওয়া যায় না। অর্থ্যাৎ আগামী বাজেট অধিবেশনে বিরোধীদল যোগ দিতে যাচ্ছেন নিজেদের সদস্য পদ ধরে রাখতে। যার পেছনের আসল কারণ বেতন ভাতা সুযোগ সুবিধা।

নির্বাচন কমিশনকে আইন করে ক্ষমতা দেওয়া হোক, কারো সংসদে অনুপস্থিত জনিত কারণে সদস্যপদ বাতিল হলে সেই আসেন যিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি অটোমেটিক বিজয়ী হবেন। তাতে পরবর্তী উপ-নির্বাচনের খবরটাও জাতিকে বহন করতে হয় না। আমরা আমজনতা রাজনীতি বুঝি না। হাতের লেখা খারাপ। কেউ পোছে না। ওই কে আছিস, চায়ের কাপটা লইয়ায় দ্যাহি!!!!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

আরজু পনি বলেছেন:

আমরা চাকরী থেকে বেতন পাই নিয়মিত কাজ করে..নিয়মিত অফিস করে...

আর তারা মহান মানুষ...আমাদের মতো না, তাই তাদের কাজের কোন জবাব দিহি নেই।

এসব ধুনফুন বন্ধু হ্ওয়া দরকার।

ঐ চায়ে লিকার কম হইসে একটু লিকার বাড়াইয়া দে...

২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

রেজা ঘটক বলেছেন: ঐ চায়ে লিকার কম হইসে একটু লিকার বাড়াইয়া দে... পছন্দ হইছে। ভাই আপনি আমার উপর রাগ করছেন!!! আমি এখানে তো কারো লেখায় জবাব দেই নাই। কিন্তু আপনি এখানকার কথাও উল্লেখ করেছিলেন....
ভালো থাকবেন.....

২| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: এটা একটা অদ্ভুদ আইন। যখন যারা বিরোধী দলে থাকে তখন তারাই এ আইনের ফলে সুবিধা ভোগ করে। ক্ষতি হয় রাষ্ট্র ও জনগনের। জনগণের টাকার কোন দাম নাই ?

আইনটি জরুরি ভিত্তিতে সংশোধন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সবাই আইনটি সংশোধনের জন্য জনমত গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ হোন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.