নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংবিধানের 'আর্টিকেল ৬৭-এর ১ এর খ'-এর সংশোধনী চাই।।

১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

বাংলাদেশের সংবিধানে 'আর্টিকেল ৬৭-এর ১ এর খ' বলা হয়েছে, একজন সংসদ সদস্য যদি সংসদ থেকে ছুটি না নিয়ে অনধিক ৯০ কার্য দিবস সংসদে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তাঁর সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে। বাংলাদেশে সংসদ অকার্যকর হওয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যাটি এই 'আর্টিকেল ৬৭-এর ১-এর খ'-এ প্রাপ্ত একজন সাংসদের সুযোগ সুবিধা।

বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ কার্যকর করতে হলে এই 'আর্টিকেল ৬৭-এর ১-এর খ'-এর সংশোধনী অত্যাবশ্যক। এর কোনো বিকল্প নেই। উক্ত 'আর্টিকেল ৬৭-এর ১-এর খ'-এ 'একজন সংসদ সদস্য যদি সংসদ থেকে ছুটি না নিয়ে অনধিক ১ কার্য দিবস সংসদে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তাঁর সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে।' আইন প্রবর্তণ করলে বাংলাদেশে সংসদে অনুপস্থিত থাকার এই রেওয়াজ বন্ধ করার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে শূন্য পদে ওই সাংসদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিজয়ী ঘোষণা করার সুযোগ প্রদান করলে আরেকটি উপ-নির্বাচনের খরচ থেকে জাতি মুক্তি পেতে পারে।

আমাদের দেশের যারা আইনপ্রণেতা তাঁদের নিজেদের এমন লজ্বাকর সুযোগ সুবিধা দিয়ে দেশের জাতীয় সংসদ কার্যকর করা সম্ভব নয়। নিজেরা আইন মানবেন না অথচ জনগণের জন্য আইন বানাবেন এটা অন্যায়। আমরা এই অন্যায় সুযোগ সুবিধার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এবং এর জরুরী সংশোধনের দাবি জানাই।

আমাদের মহামান্য সাংসদরা সংসদে অনুপস্থিত থেকেও রাষ্ট্রের বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। দেশের ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ থেকে ২০০৮ সালের নবম সংসদ পর্যন্ত দেশের সকল সাংসদ এই অন্যায় সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন। আমরা এই অন্যায় ভোগ করা ও সুযোগ সুবিধার তীব্র নিন্দা জানাই।

পাশাপাশি আমি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত এরকম অসংখ্য অন্যায় আইন ও সুযোগ সুবিধার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার অনুরোধ জানাই।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২২

টি_মৃদুল বলেছেন: সহমত

১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

আরজু পনি বলেছেন:

জোরালোভাবে সহমত জানালাম।

২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যাবাদ আপনাকে।

৩| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

কাকপাখী বলেছেন: নিজেরা যে ডালে বাস করেন সেই ডাল কি তারা কাটবেন ?

১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

provat বলেছেন: জনগনের স্বার্থ ক্ষুন্ন করে এমন কোন আইন সংবিধানে সংযোজন করা জনগনের প্রতি চরম অবিচার ও জুলুম করা হয় । 'আর্টিকেল ৬৭-এর ১-এর খ'-এ 'একজন সংসদ সদস্য যদি সংসদ থেকে ছুটি না নিয়ে অনধিক ১ কার্য দিবস সংসদে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তাঁর সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে।' -এমনটাই হওয়া যুক্তিসংগত । তবে, পূন:নির্বাচন হতে হবে । তা না হলে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের মূল্যায়ন হবে কিভাবে ?

১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

রেজা ঘটক বলেছেন: এরকম অসঙ্গতি রেখে কিভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা যাবে? বরং এমন নতুন সুযোগ তৈরি হলে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হবে। যে কোনো সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদে বরং আমরা দুই তিনবার অনুপস্থিত লজ্বার দোষে সরকার পতন দেখতে পারব। তাতে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জনগণ বরং নতুন একটা সুযোগ পাবেন। কারণ, অনুপস্থিত থাকার কারণে যে সকল সাংসদ সদস্যপদ হারাবেন তাঁদের জনগণের কাছে ফিরে যেতে লজ্বা লাগার কথা। আর গরিব দেশ হিসেবে খামাখা নির্বাচন জনিত অনেক টাকার ক্ষতি থেকে বাংলাদেশ রেহাই পাবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: আইনটি সংশোধন করা হোক।

সকল নাগরিকের জন্য আইন সমান হওয়া উচিত।

১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

রেজা ঘটক বলেছেন: সংবিধানের ৭০এর (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: ''কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে
পদত্যাগ করেন, অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূণ্য হইবে।
ব্যাখ্যা: যদি কোন সংসদ-সদ্য ̈, যে দল তাঁহাকে নির্বাচনে প্রার্থীরূপে মনোনীত করিয়াছেন, সেই দলের নির্দেশ অমন্য করিয়া-
(ক) সংসদে উপস্থিত থাকিয়া ভোটদানে বিরত থাকেন, অথবা
(খ) সংসদের কোন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন,
তাহা হইলে তিনি উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করিয়াছেন বলিয়া গন্য হইবেন।''

সংবিধানের এই আইনটি সুস্পষ্টভাবে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার কাঠামো টিকিয়ে রাখার পক্ষে ওকালতি করলেও, এখানে একজন সংসদ সদস্যের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা নাই। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলেই তাঁর সদস্যপদ খারিজ। অর্থ্যাৎ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে একজন সাংসদের বিকল্প কোনো যুক্তি সংবিধান আইনগত ভাবেই অনুমোদন করে না। যে কারণে 'সংসদীয় গণতন্ত্র হল মুর্খদের কারখানা' কথাটির যথার্থ তাৎপর্য এখনো বিরাজমান। তাই একজন সাংসদ জাতীয় সংসদে নিজ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আমজনতার মতোই কেবল গিনিপিগ। নিজের কোনো ক্ষমতা নাই। দল যা কইবো, তাতেই টেবিল চাপড়ানো তাঁর একমাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য!!
আমাদের সংবিধান যদি কেউ ঘাটাঘাটি করেন, দেখবেন, এরকম হাজারো তামাশা নজরে আসবে। আহারে আইন আর আইনের কতো ফাঁক ফোকর আমাদের আইন প্রণেতারা স্বেচ্ছায় রেখে দিয়েছেন!!!
তার মানে হল, প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় গণতন্ত্রে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী। নিজ দলীয় একজন সাংসদের পক্ষে উক্ত আইনের ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী বা কোনো দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবার কোনো এখতিয়ার নেই। অর্থ্যাৎ সংসদীয় পদ্ধতির সরকারে একজন সাংসদও দলীয় সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত ক্ষমতার কাছে বলির পাঁঠা।

৭| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২০

এস আর সজল বলেছেন: সহমত

২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৮| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: আরজুপনি বলেছেন:

জোরালোভাবে সহমত জানালাম।


আমিও

২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৯| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

ডাক্তার আমি বলেছেন: সহমত ...

২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১০| ২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

আরজু পনি বলেছেন:

আপনি ১, ৩, ৪, ৫ কমেন্টকারীর মন্তব্যের জবাব দিলেন, কিন্তু আমারটা ২ নম্বরের কমেন্টের একটা হু হা জবাবও দিলেন না। জানি না, কোন কারণে আপনি আমার উপর রেগে আছেন কি না, রাগ করার কোন কারণ খুজেঁ পাচ্ছি না।

আগের পোস্ট "সংসদে সাংসদদের অনুপস্থিতি বন্ধ করতে চাই নতুন আইন!!!!" এর কমেন্টের জবাবও দেননি। যদি কোন কারণে রাগ করে থাকেন বলতে পারেন, দোষ করলে স্বীকার করে নিব অবশ্যই।

আর বলতে না চাইলে আমার কমেন্টগুলো ডিলিট করে দিলেও আমি মেনে নিব :(

২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

রেজা ঘটক বলেছেন: না ভাই, কেন রাগ করব? রাগ করার মত কোনো কিছু তো হয়নি। আমি সিরিয়ালি জবাব দিচ্ছিলাম। সামু মাঝে মাঝে কেমন আচরণ করে আমি নিজেও বুঝতে পারি না।
আমি কখনোই কারো কেমন্ট ডিলিট করি না। যদি সামু ডিলিট না করে। কমেন্ট থেকেই একজন লোকের অনেক পরিচয় জানা যায়। আপনার উপর আমার কোনো রাগ থাকার কারণ নেই। হতে পারে আমি তখন ফোনে কথা বলছিলাম। জবাব দেবার সময় স্কোল উপর-নিচ হয়ে এমনটি হতে পারে। আপনি মনে দুঃখ পেলে আমি কষ্ঠ পাব ভাই। প্লিজ ডোন্ট মাউন্ড...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.