নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডকে ২৯৩ রানে অলআউট করার পর বাংলাদেশ ৭৪ ওভার খেলে তুলেছে ২২১ রান। টাইগার্সরা হারিয়েছে ৫টি উইকেট। টাইগার্স ক্যাপ্টেন আর মাত্র তিনটি বল খেলতে পারলে সাকিবের সঙ্গে অপরাজিত থাকতে পারতেন। সেটা আজকে দ্বিতীয় আপসেট।
প্রথম আপসেট তামিম ইকবালের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবারো সেঞ্চুরি মিস। তামিম ৭৯ রান করে আউট হন। টাইগার্স শিবিরে সবচেয়ে ভরসার যিনি সেই মোমিনুল হক মাত্র তিন বল মোকাবেলা করে মইন আলী'র দ্বিতীয় শিকার হন। এর আগে ইমরুল কায়েসের উইকেট তুলে নিয়ে মইন আলী ইংলিশ শিবিরের জন্য প্রথম সস্তি নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ২২১ রান। ক্রিজে আছেন সাকিব আল হাসান নটআউট ৩১ রানে আর ০ রানে অপরাজিত নাউটওয়াচম্যান শফিউল ইসলাম।
প্রথম দিনে ইংলিশ শিবিরের আতংক টাইগার্সদের নিউ সেনশান টেস্ট ডেব্যুট মেহেদি হাসান মিরাজ দ্বিতীয় দিন সকালে স্টুয়ার্ড ব্রোডের উইকেটটি নিয়ে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেবার গৌরব অর্জন করেন। মিরাজকে বলা হচ্ছে টাইগার্সদের নয়া সাকিব। অনুর্ধ্ব-১৯ দলে মিরাজ ব্যাটসম্যান হিসেবে দারুণ সাফল্য দেখানোর পর এবার টেস্টের জন্য ডাক পায়। কিন্তু চট্টগ্রামের ডাস্ট উইকেট স্পিন ফেবার হওয়ার কারণে টাইগার্স ক্যাপ্টেন মুশফিক ডেব্যু হওয়া স্পিনার মিরাজের উপর যে ভরসা করেছেন, তার শতভাগ দিয়েছেন মিরাজ। টেস্ট ডেব্যুতে প্রথম ইনিংসে ৩৯.৫ ওভার বল করে ৮০ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে গোটা বিশ্বকেই চমকে দিলেন মিরাজ। আহা কী জাদুময় এক অভিষেক।
দ্বিতীয় দিনেই চট্টগ্রাম টেস্টের পেস রহস্যময় আচরণ শুরু করেছে। এমন ডাস্ট উইকেটে রান তোলা ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব কঠিন কাজ। যে কোনো সেট ব্যাটসম্যান যে কোনো বলেই একটু অসর্ক হলেই আউট হয়ে যেতে পারেন। যেমনটি দেখা গেছে বাংলাদেশের ইমরুল কায়েস, মোমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিকুর রহমানের বেলায়। দিনের খেলা শেষ হবার আর মাত্র দুই ওভার তিন বল বাকি, তখন টাইগার্স ক্যাপ্টেন যেভাবে কনফিডেন্সের অভাবে আউট হলেন, এটা এখন ইংলিশ শিবিরে নতুন আশা জাগাতে পারে। কিন্তু মাঠের দুই আম্পায়ার কোন যুক্তিতে ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে শেষ তিন ওভার খেলা চালালেন, এটার কোনো ব্যাখ্যা টেস্ট ক্রিকেটে নাই! ইংলিশ ক্যাপ্টেন আলস্টার কুক সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে টাইগার্স ক্যাপ্টেনের উইকেটটি তুলতে পেরেছেন!
আগামীকাল সকালে সাকিব আর নাইটওয়াচম্যান শফিউল যদি প্রথম সেশনটা পার করতে পারে, তাহলে লাঞ্চের আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে নেবে। আবার যদি সকালের কুয়াশাকে কাজে লাগিয়ে স্টুয়ার্ট ব্রোড বা গ্যারেথ বেট্টি টাইগার্স শিবিরে আতংক ধরিয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড লিডও নিয়ে নিতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের হাতে এখনো সাকিব আর সাব্বিরের মত দুইজন ব্যাটসম্যান রয়েছে। মেহেদি হাসান মিরাজও একজন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। সেই হিসাবে প্রথম টেস্টে কালকের সকালের প্রথম সেশনটাই এই টেস্টের রেজাল্টের আগাম পূর্বাভাস দেবে বলে আমি মনে করি।
তৃতীয় দিন সকালের সেশনে যারা এগিয়ে থাকবে এই টেস্টের রেজাল্ট তারাই ছিনিয়ে নেবে। টাইগার্সদের হাতে এখনো সেই সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ডাস্ট উইকেটের আচরণ দুপুরের দিকে আবার বদলে যাবে। তখন ব্যাটে রান আসবে। আগামীকাল টাইগার্সরা প্রথম ইনিংস কতোটা লম্বা করতে পারবে, তার উপর এই টেস্টের রেজাল্ট নির্ভর করে। বিশেষ করে কাল সকালের প্রথম সেশানটা। সাকিবের ব্যাটের দিকে এখন তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। সাকিব, সাব্বির, মিরাজরা প্রথম ইনিংসে যদি মোটামুটি ১০০ রানের একটা লিড এনে দিতে পারে, তাহলে এই টেস্ট টাইগার্সদের পক্ষে যাবে। আর যদি প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ লিড না পায়, তাহলে ইংলিশ ক্যাপ্টেন কুক প্রথম ইনিংসে যেভাবে ব্যর্থ হয়েছেন, তা পুষিয়ে এই টেস্ট নিজেদের করার জন্য প্রয়োজনীয় সব চেষ্টাই করবেন।
বাংলাদেশ সফর শেষ করার পর ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের পাঁচ টেস্ট সিরিজের অনুশীলনটা ইংলিশরা বাংলাদেশের উপর দিয়ে নিরীক্ষা করার যে মিশন নিয়েছে, এখন সেটাকে নস্যাৎ করার দায়িত্ব আমাদের ব্যাটসম্যানদের উপর বর্তায়। কারণ, চট্টগ্রাম টেস্টে রেজাল্ট আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কাল যারা ভালো খেলবে, এই টেস্ট তারাই জিতবে। এটাই আমার ধারণা।
চট্টগ্রাম টেস্টের সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রথম ইনিংস:
ইংল্যান্ড: ২৯৩ (মইন আলী ৬৮, মেহেদি হাসান মিরাজ ৬/৮০)
বাংলাদেশ: ২২১/৫ (সাকিব ৩১*, শফিউল ০*, মইন আলী ২/৬৬)
ইংল্যান্ডের এখনো ৭২ রানের লিড
.................................
২১ অক্টোবর ২০১৬
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩৯
মেহেদী রবিন বলেছেন: মুশফিকের আউটটা শুধু মানতে পারি না। সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মুশফিক ফিফটির আগে অতিরিক্ত ডট দিয়ে চাপ তৈরি করে ফেলেছিল নিজের উপর।
এর আগ পর্যন্ত সে আর সাকিব মিলে পারফেক্ট খেলছিল। স্ট্রাইক রোটেড হচ্ছিল প্রতি ওভারে গড়ে তিনবারের মত(টেস্টের ক্ষেত্রে এটা তো মারমুখী স্ট্র্যাটেজীও বলা যায়), বাউন্ডারী আসছিল - এভাবে খেললেই চাপটা আসতো না।
তামিমকেও মনে হল একই চাপে আঁটকে পড়েছিল।
সিঙ্গেলে বা স্ট্রাইক রোটেড করে না খেললে তো বিপদ।
ইংল্যান্ড রোটেশনের মাধ্যমেই ২৯৩ পর্যন্ত করেছে, শুরুর দিকে কিন্তু এতটা করতে পারবে ধারণাও করা যায়নি।
আমাদের সাকিব আউট হলেই তো শেষ। ধরে নেন - আজকে প্রথম সেশনেই ম্যাচের গতিপথ বুঝা যাবে।
পুরোনো বলে পেসাররা রিভার্স সুইং পাচ্ছে। আল-আমিন, রুবেলদের মত কারো দরকার ছিল এখন দলে। পুরোনো বলে স্পিনাররা অতটা সুবিধা পাচ্ছে না।
৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫
রেজা ঘটক বলেছেন: চট্টগ্রাম টেস্ট ম্যাচটা কী বেন স্টোকস একাই ইংলিশদের করে ফেললেন? বল হাতে ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন স্টোকস। আর ব্যাট হাতে করলেন ১৫১ বলে ৮৫ রান। বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ২২১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে মাত্র ২৭ রান যোগ করে অলআউট হয় ২৪৮ রানে। ইংল্যান্ডকে ৪৫ রানের লিড এনে দিয়েছিলেন এই বেন স্টোকস। আবার দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রানে ইংল্যান্ডের ৪ উইকেট পড়ে যাবার পর ব্যাট হাতে আবার সেই বেন স্টোকস। এবার জোনি বেয়ারস্টোকে সাথে নিয়ে দ্বিতীয় সেশানেই ম্যাচটা অনেকটাই ইংল্যান্ডের করে ফেললেন!
এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের স্কোর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৯ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে অলরেডি ৪৫ রানের লিড নিয়ে তারা এখন ২৫৮ রানে পৌঁছেছে। এই ২৫৮ রানকেই আমার কাছে টাইগার্সদের জন্য এখন চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে। ম্যাচটা মনে হয় ধীরে ধীরে টাইগার্সদের গ্রিফ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। আর তার জন্য ইংলিশদের পক্ষে বেন স্টোকস একাই যা কিছু করার করলেন! সাকিব ব্যাট হাতে যেটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন ৫ উইকেট নিয়ে এখনো টাইগার্সদের খেলায় ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সাকিব। দেখা যাক ধুক ধুক সেই প্রচেষ্টা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়!
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২১
গিরি গোহা বলেছেন: শুভকামনা বাংলাদেশ দলকে।