নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
কাঁচা কলা এক রাতে পাকা হয় কেমনে?
আজকেই গাছ থেকে কাঁচা কলা কাঁটা হলো। কোনো মতে রাত পারালেই সেই কলা পেকে একেবারে টুকটুকে হলুদ হয়ে যায়। যাকে বলে সোনাই চাচার বিচিত্র কেরামতি! খাওয়ার সময় আপনি টেরই পাবেন না যে, এই কলা গতকালও গাছে একেবারে কাঁচা ছিল, সঙ্গে প্রচুর কসও ছিল। একবার ভাবুন তো কী জাদুতে এই কাঁচা কলা এক রাতে পেকে অমন পাকা কলার মত খাবার উপযোগী হলো?
ঢাকায় যারা কলা বিক্রি করেন, তাদের প্রত্যেকের কাছে আছে কাঁচা কলার আরোতদারদের মোবাইল ফোন। কাঁচা কলার আরোতদার সারাদিন কাঁচা কলা কিনে একটা ঘরে সেই কলা জড়ো করেন। যে ঘরে এই কলা জড়ো করা হয় ওটাকে বলতে পারেন কলার গুদাম। তো সোনাই চাচার মত কেউ কলার গুদামে নিজের শরীর ঘুরানো যায় মাঝখানে এমন একটু বৃত্তাকার জায়গা রেখে চারপাশে কাঁচা কলা থরে থরে এমনভাবে সাজান, যেন নিজের মাথা সমান উঁচু হয় সেই কলার গোল চাকতি। এবার সোনাই চাচা মাথার উপরে ঝুলানো আংটা ধরে খুব কৌশলে কলার চাকতি থেকে নিজেকে টেনে বের করেন।
এবার কলার চাকতিতে ঘুরে ঘুরে খুব ভালো করে বিষাক্ত কীটনাশক ওষুধ চারপাশ থেকে স্প্রে করেন। সোনাই চাচা এই স্প্রে যত মন দিয়ে করবেন, কলা পাকবে ঠিক সেই তালে। স্প্রে করা শেষ হলে ট্যাংকি ভরতি কেরোসিনের হেরিকেন ফুল ভলিউমে জ্বালিয়ে ওই কলার চাকতির ভেতরে উপর থেকে কায়দা করে বসিয়ে দেন সোনাই চাচা। এবার প্রথমে মোটা পলিথিন দিয়ে ওই কলার চাকতিকে এয়ারটাইট করে আটকানো হয়। এই মোটা পলিথিনকে সোনাই চাচা বলেন ত্রিপল। ত্রিপল খুব সুন্দরভাবে বাঁধার পর সোনাই চাচা পরবর্তী কলার চাকতি বানাতে কাজে ব্যস্ত হয়ে যান।
স্প্রে করা এই কাঁচা কলা এয়ারটাইট পলিথিনের ভেতরে হেরিকেনের তীব্র তাপে নেয়ে-ঘেমে একেবারে একাকার হয়ে যায়। আর এভাবে কয়েক ঘণ্টা কাঁচা কলা চাকতির ভেতরে দমবন্ধ হয়ে আটকা থাকলেই পেকে একাকার হয়ে যায়। এবার সেই ফকফকা পাকা কলা পরদিন ঢাকার বাজারে বা সারা দেশের হাটেঘাটে বন্দরে ভোক্তার জন্য সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা হয়।
এখন কেউ যদি কলা খেয়ে ভেতরে চাকা পায় এবং বিক্রেতাকে কোনো ধরনের কমপ্লেইন করে, তাহলে ওই বিক্রেতা মোবাইল ফোনে সোনাই চাচারে একটা ধমক লাগায়। ওই মিঞা কলা এমন জিঙ্গা হইলো কেমনে? যে কলা ঠিকমত পাকে না, ওটাকে ওরা বলে জিঙ্গা। কোন কলা জিঙ্গা হবে, তা নির্ভর করে সোনাই চাচারা কী পরিমাণ বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করেছিলেন, তার উপর। চাচা যদি কম স্প্রে করেন, তাহলে সেই কলা জিঙ্গা হবে। বিক্রেতা আগেভাগে টের পেলে দামও কম হবে সেই কলার। কলায় যদি ভালোমত স্প্রে হয়, তাহলে সেই কলা খুব সুন্দরভাবে পাকবে। সেক্ষেত্রে সোনাই চাচা খুব মনযোগ দিয়ে যদি স্প্রে করেন, তাহলে কলার ভেতরে কোনো ধরনের চাকা পাওয়ার আর কোনো সুযোগ নাই। আপনি খেয়ে বলবেন, আহা কী সুস্বাদু কলারে ভাই। চাচা আরেকটা খাই। এইডা কী নরসিংদীর কলা?
কিন্তু মিস্টার কলা খাওনেওয়ালা ও মিস কলা খাওনেওয়ালী, আপনি কিন্তু একদম জানেন না যে, এই কলা গতকালও গাছে একেবারে কসযুক্ত কাঁচা কলা হিসেবেই ছিল। আর তা এক রাতেই সোনাই চাচার কেরামতিতে পেকে একেবারে আপনার জিহবার জন্য সুস্বাদু আকারে পরিনত হয়েছে। আর তা পেকেছে সোনাই চাচার ওই জাদুতে। সোনাই চাচা কাজে একটু ফাঁকি দিলে সেই কলা আপনি চোখে ঠিকই পাকা দেখবেন, কিন্তু ভেতরে চাকা চাকা পাবেন। একটু বিরক্তও হবেন। কিন্তু কলার দাম কিন্তু ভাই এক টাকাও কমবে না।
সোনাই চাচাদের কলা পাকানোর এই অভিনব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এখন গোটা বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু কলা খাওয়ার নামে আপনি যে বিষ খাচ্ছেন, সেজন্য আপনার শরীরে খুব নিরবে মারাত্মক সব জটিল রোগেরও বাসা তৈরি হচ্ছে। সেই খবরটি আপনি ভুলেও টের পাচ্ছেন না। আর গোটা বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষ এই কৃত্তিম উপায়ে বিষ দিয়ে পাকানো কলা কেবল সারা বছর আরামে খেয়ে যাচ্ছেন। আহা মিঠাই কলা। কত রঙের কলা রে ভাই!
বাংলাদেশে এখন প্রায় সকল খাবারেই এমন নানান কিসিমের ভেজাল মিশ্রিত থাকে। আপনি বাজার থেকে যে কোনো ফল কেনেন না কেন, তা যাতে না পচে সেজন্য এমন বিষাক্ত প্রিজারবেটিভ ব্যবহার করা হয়। আপনি যে মাছ কিনছেন, তা আসলে এক বিষের খনি। আপনি যে ফল খাচ্ছেন, তা আসলে বিষাক্ত খনির আব্বাহুজুর। এমনকি এসব বিষ খেয়ে আপনি যখন ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হয়ে যে ওষুধ খাচ্ছেন, সেই ওষুধেও আবার ভেজাল। এবার বলেন, আপনি কোথায় যাবেন?
এভাবেই বাংলাদেশের উন্নয়ন শনৈ শনৈ গতিতে জোড় কদমে এগিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে আমাদের রাজনীতিবিদরা একটু অসুস্থ হলেই দেশের বাইরে চিকিৎসা করাতে যান। আমাদের পয়সাওয়ালারা একটু অসুস্থ হলেই দেশের বাইরে ছোটেন। কারণ, এই ভেজাল খাবারের গোটা চক্রের আসল ঘি ঘুরে ফিরে ওনাদের ঘরে যায়। কখনো কখনো নিজেদের ভুলে সেই বিষ নিজেদের পেটেও কিছুটা যায় বটে। তাই সুস্থ হবার জন্য আর ভেজাল চিকিৎসার উপর নির্ভর না করে ওনারা দেশের বাইরে গিয়ে ভালো চিকিৎসা নিয়ে আসেন। বুদ্ধি আছে ওনাদের বটে!
এই যে কাঁচা কলা রোজ আপনার চোখের সামনে পাকিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে, এটা কিন্তু প্রশাসন জানে। আমাদের পুলিশ জানে। আমাদের রাজনীতিবিদরা জানে। এমনকি আমাদের ভেজালমুক্ত বিএসটিআই-ও জানে। কিন্তু মাগার আপনার এর জন্য দেশে কোনো ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নাই। আপনি বাজার থেকে সামান্য লাল শাক কিনবেন। বাড়িতে নিয়ে লাল শাক ধুইতে গিয়ে দেখবেন তা দিয়ে রঙ বের হচ্ছে। মানে রঙ দিয়ে আপনাকে টাটকা লাল শাক বলে ওটা বিক্রি করেছে ওই অসাধু বিক্রেতা চক্র। কোথায় যাবেন আপনি? আপনার ভেজাল না খেয়ে কোনো উপায় নাই। যতদিন বাঁবেন ভেজালের উপর বাঁচবেন! শালা ভেজালখোর জাতি একটা!
কলা খাবেন, খান। বুঝে শুনে টিপে টিপে পাকা কলা খান। দেশে এভাবে উন্নয়নের বিশাল জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। আপনি খালি চোখে একদম টেরও পাচ্ছেন না, এত উন্নয়ন রাতারাতি কেমনে কেমনে হচ্ছে! কি বিচিত্র দেশরে ভাই! পৃথিবীর আর কোথাও এমন দেশ দ্বিতীয়টি নেই। যান বাড়িতে গিয়ে বেশি বেশি পাকা কলা খান। শরীর ভালো থাকবে।
.........................
২ নভেম্বর ২০১৬
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭
বাঁশ আর বাঁশ বলেছেন: কীটনাশক কীট মারার জন্য ব্যবহৃত হয়। কোন মেকানিজমে সেটা কলা পাকায় দয়া করে জানাবেন। মাছ বিষের ভান্ডার!! এটাও একটু ব্যখ্যা করতেন যদি। ফরমালিন ধুলে সম্পূর্ণরুপে সেটা দ্রবীভূত হয়ে চলে যায়। তাহলে বিষটা থাকছে কিভাবে? আর আপনি প্রিজারভেটিভ ছাড়া ফল কিভাবে খাবেন? পঁচা ফল? ফল যদি গাছেই পাকে তাহলে সেটা বাজারে যাওয়ার আগেই পঁচে গু হয়ে যাবে। একটু কষ্ট করে উত্তর গুলা দিয়েন।
৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮
বাঁশ আর বাঁশ বলেছেন: কীটনাশক কীট মারার জন্য ব্যবহৃত হয়। কোন মেকানিজমে সেটা কলা পাকায় দয়া করে জানাবেন। মাছ বিষের ভান্ডার!! এটাও একটু ব্যখ্যা করতেন যদি। ফরমালিন ধুলে সম্পূর্ণরুপে সেটা দ্রবীভূত হয়ে চলে যায়। তাহলে বিষটা থাকছে কিভাবে? আর আপনি প্রিজারভেটিভ ছাড়া ফল কিভাবে খাবেন? পঁচা ফল? ফল যদি গাছেই পাকে তাহলে সেটা বাজারে যাওয়ার আগেই পঁচে গু হয়ে যাবে। একটু কষ্ট করে উত্তর গুলা দিয়েন।
৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০১
বাঁশ আর বাঁশ বলেছেন: আর একটা কথা, বাংলাদেশের ওষুধ ভুয়া? তাই নাকি!!!! তাহলে বাইরের দেশে কিভাবে এই ভুয়া ওষুধ রপ্তানি হয়?? আর চিকিৎসা ব্যবস্হাও ভুয়া?? তাহলে এমডিজি এর গোল কিভাবে পূরণ করলো বাংলাদেশ? ঘাস খেয়ে?
৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০১
বাঁশ আর বাঁশ বলেছেন: আর একটা কথা, বাংলাদেশের ওষুধ ভুয়া? তাই নাকি!!!! তাহলে বাইরের দেশে কিভাবে এই ভুয়া ওষুধ রপ্তানি হয়?? আর চিকিৎসা ব্যবস্হাও ভুয়া?? তাহলে এমডিজি এর গোল কিভাবে পূরণ করলো বাংলাদেশ? ঘাস খেয়ে?
৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: সোনাই চাচা তো আপনার পোস্ট পড়ে ব্যাপক ক্ষেপে গেল!
৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
সোহানী বলেছেন: দেশের আইন কানুনতো সিন্দুকে বন্ধি তাই আর কি..... চলছে চলুক আর আমরা মরে দেশের জনসংখ্যা কমাই।
৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩১
নীলসাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা রেজা ঘটক ভাই।
সেদিন আপনার সাথেই এই নিয়ে কত কথা হল।
এদিকে কারো নজর নেই। কেমন অস্বাভাবিক। আমরা এতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠছি।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
রেজা ঘটক বলেছেন: শুভেচ্ছা সাধুদা। হুম নজরদারি নাই বলেই তো এই দশা...
৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৬
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: বাঁশ ভাই, এসব উত্তর তো আপনি নেটে সার্চ করেও জেনে নিতে পারতেন। চিকিৎসকদের অসংখ্য আর্টিকেল আছে এসব ব্যাপারে। যাই হোক, আমি আপনার কষ্ট কিছুটা কমিয়ে দিচ্ছি: আমদানির পর কলা পাকানোর জন্যে প্রমোট ও রিপেনসহ নানান ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেন কৃষকরা। বিষাক্ত এসব দাহ্য পদার্থ মিশানো কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জানিয়ে বরিশাল মেডিকেল কলেজের রেডিওলোজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুস সোবহান জানান, কেমিক্যাল মিশ্রিত কোন খাদ্য গ্রহণ করলে তার প্রভাব পড়ে লিভার এবং কিডনীর উপর। তিনি আরও বলেন, খাদ্য গ্রহণের পর তা দাহ্যে পরিণত হওয়ার পর নিঃসরণ ঘটে লিভার এবং কিডনীর মাধ্যমে। ফলে কেমিক্যাল মিশানো খাদ্য শরীরের এই দুটি অংশের উপর প্রভাব ফেললেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিডনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ধরনের বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশানো খাদ্য দীর্ঘদিন ব্যবহারে কিডনীর মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক।
এছাড়াও আম, পেঁপে সহ অন্যান্য ফল পাকাতেও কার্বাইড ও ইথেফন নামক কীটনাশক ব্যবহৃত হয়। ইথেফনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে আদালতের আদেশ আছে৷ কিন্তু ফল গাছে থাকা অবস্থায় ইথেফন ব্যবহারের অনুমোদন আছে৷
এখন আসেন মাছে যে বিষ ব্যবহার হয় সেটার কথায়, ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাৎণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়। শেষ পর্যন্ত ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। এতে মৃত্যু অনিবার্য। মানবদেহে ফরমালিন ফরমালডিহাইড ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করে। ফরমালিন কেবল ভোক্তাদের জন্য নয়, ফরমালিনযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী বিক্রেতাদের জন্যও ক্ষতিকর। ফরমালিন ও অন্যান্য কেমিক্যাল সামগ্রী সব বয়সী মানুষের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে। ফরমালিনযুক্ত দুধ, মাছ, ফলমূল এবং বিষাক্ত খাবার খেয়ে দিন দিন শিশুদের শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। কিডনি, লিভার ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট, বিকলাঙ্গতা, এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা। শিশুদের বুদ্ধিমত্তা দিন দিন কমছে। বয়স্ক লোকরাও এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া গর্ভবতী মেয়েদের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা, বাচ্চার জন্মগত দোষত্রুটি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হতে পারে।
এরপরও কি বলবেন এগুলো নিরাপদ? ধুলেই যদি সব কাহিনীর ফয়সালা হয়ে যেত তাহলে আর এগুলো নিষিদ্ধ করা হত না!
তাহলে কি কি ফুড প্রিজারভেটিভ নিরাপদ?
ডা. কামরুল আহসান বলেন : সেই প্রাচীন কালে যখন বিজ্ঞানের এত প্রসার ঘটেনি তখন মানুষ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের জন্য লবণ, সরিষার তেল ব্যবহার করতো। লবণ একটি ভালো প্রিজারভেটিভ যা প্রাচীন কাল থেকে মানুষ ব্যবহার করছে। বাসায় দেখবেন সরিষার তেলে, ভিনেগারে আচার সংরক্ষণ করা হয়, এগুলো প্রিজারভেটিভ। আধুনিক ফুড প্রিজারভেটিভের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : সোডিয়াম মেনজয়েট, মেটাবাইট সালফেট, ভিনেগার, পটাসিয়াম সালফেট এগুলো অনুমোদিত। তবে পরিমাণের বেশি ব্যবহার স্বাস্থসম্মত নয়। যেমন লবণ ভালো, শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিন্তু আপনি যদি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি খান তা কি আপনার জন্য ক্ষতিকর নয়?
তাইলে কোন জিনিস কই এবং কি পরিমানে ব্যবহার করতে হবে সেটারও যে জ্ঞান থাকতে হবে বুঝা গেলো তো? তাইলে আর বাজারে নিতে নিতে জিনিসগুলো গু হবে না। আর বাংলাদেশের ওষুধে যে ভেজাল পাওয়া যায় সেই ঘটনা এই পোস্ট পড়ে মাত্রই জানলেন মনে হয়? সোনাই চাচা কি আপনার ব্রেইন এও কীটনাশক স্প্রে করছিলো নাকি কে জানে?!
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২৮
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সিলেক্টিভলি সোশ্যাল! ভালো থাকবেন!
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৮
সত্যের ছায়া (সংস্করণ) বলেছেন: কলা খাবেন, খান। বুঝে শুনে টিপে টিপে পাকা কলা খান। দেশে এভাবে উন্নয়নের বিশাল জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। আপনি খালি চোখে একদম টেরও পাচ্ছেন না, এত উন্নয়ন রাতারাতি কেমনে কেমনে হচ্ছে! কি বিচিত্র দেশরে ভাই! পৃথিবীর আর কোথাও এমন দেশ দ্বিতীয়টি নেই। যান বাড়িতে গিয়ে বেশি বেশি পাকা কলা খান। শরীর ভালো থাকবে।
ভালো লাগলো।