নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সে দেশের জনগণ কখনো কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সরাসরি ভোট দেয় না। মার্কিন জনগণ সরাসরি একজন ইলেকটরকে ভোট দেন। আরো মজার ব্যাপার হলো, ব্যালোট পেপারে অনেক সময় আবার ইলেকটরদের সবার নামও থাকে না। এই ইলেকটরদের বলা হয় ইলেকটোরাল কলেজ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যা অনুযায়ী মোট ৫৩৮ জন ইলেকটর রয়েছেন। এই ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচন করবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। নতুন প্রেসিডেন্টকে কমপক্ষে ২৭০ জন ইলেকটরের সমর্থন লাগবে।
ইলেকটোরাল কলেজ ৫৩৮ জন = ১০০ জন সিনেটর+ ৪৩৫ জন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ+৩ জন ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার প্রতিনিধি। আগামীকালকের নির্বাচনে ইউএস কংগ্রেসের মোট ৩৪ জন সিনেটর এবং ৪৩৫ জন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসহ মোট ৪৬৯ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। বর্তমানে আপার হাইজ বা সিনেটে রিপাবলিকানরা সংখ্যা গরিষ্ঠ (৫৪ জন সিনেটর) আর ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যা লঘিষ্ঠ (৪৪ জন সিনেটর)। দুইজন স্বতন্ত্র সিনেটর। লোয়ার হাউজ বা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ রিপাবলিকানরা (২৪৬ জন প্রতিনিধি) সংখ্যা গরিষ্ঠ। ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যালঘু (১৮৬ জন প্রতিনিধি)। আর ভ্যাকেন্ট ৩ টি আসন।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, একটি অঙ্গরাজ্যে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ ইলেকটরদের সমর্থন পাবেন, সেই অঙ্গরাজ্যের শতভাগ ইলেকটরের সমর্থন সেই দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নামে কাউন্ট হবে। অর্থ্যাৎ যে অঙ্গরাজ্যে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ ইলেকটরদের সমর্থন পাবে, সেখানে শতভাগ ভোট সেই দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নামে যোগ হবে। যেটাকে বলা হয় পপুলার ভোট।
আরো মজার ব্যাপার হলো, একজন প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ পপুলার ভোট পেলেও ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
আগামীকাল ৩৪ সিনেটের ৩৪টি আসনে আর হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এর ৪৩৫টি আসনে ভোট হবে। ৩৪টি আসনের মধ্যে রিপাবলিকান ২৪টি আসনে আর ডেমোক্র্যাটদের ১০টি আসনে ভোট হবে। ডেমোক্র্যাটদের হাউজে জিততে হলে আরো ৩০টি আসনে জিততে হবে। উভয় দলে ভোটের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি!
তো ফাইনালি কে হচ্ছেন ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট? রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিনটন? মিডিয়াগুলোর জরিপ বলছে গতকাল পর্যন্ত হিলারি ৪৫% আর ট্রাম্প ৪৪% এ এগিয়ে। আজ রাতে এটা কাঁটায় কাঁটায় সমান সমান হয়ে যাবে কী? ৮ নভেম্বর নির্বাচন। ৯ নভেম্বর রেজাল্ট। সারা বিশ্বের চোখ এখন কে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউজে তার দিকে!
এবারের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন খরচ করেছেন মোট ১.৩ বিলিয়ন ডলার। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প খরচ করেছেন ৭৯৫ মিলিয়ন ডলার। হিলারির খরচ এসেছে (হিলারি নিজে ৫৫৬ মিলিয়ন+ ডেমোক্র্যাট দল ফান্ড রাইজিং ৫৪৪.৪ মিলিয়ন+সুপার পিএসি ১৮৮ মিলিয়ন) মোট ১.৩ বিলিয়ন ডলার। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের খরচ এসেছে (ট্রাম্প নিজে ২৪৮.৩ মিলিয়ন+ রিপাবলিকান দলের ফান্ড রাইজিং ৪৮৬.৭ মিলিয়ন+ সুপার পিএসি ৬০.১ মিলিয়ন) মোট ৭৯৫ মিলিয়ন ডলার।
আমার বাজি ট্রাম্পের পক্ষে। আপনারটা কার পক্ষে?
.............................
৭ নভেম্বর ২০১৬
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমেরিকার নির্বাচনের এই প্যাচগোছ বুঝা সত্যিই কষ্টকর। ওখানে যেই নির্বাচিত হোক আমাদের কিছু যায় আসেনা, তবে আমার মনে হয় হিলারীই জিতবে।
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩২
মামুন সাখী। বলেছেন: জনগনের মুখে ছিল হিলারী ক্লিনটন জিতবে কিন্তু জিতল কে? ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে বুজা যায় গণতন্ত্র দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তাই একে সুস্থ করার লক্ষে এই ব্লগটি লেখেছি,
বিশ্ব মানবতার ঐক্য ও শান্তির পথ একটাই,(পর্ব-১)
3G-Exam Election Plan (3G-E.E.P.)
( অর্থাৎ তৃতীয় প্রজন্ম পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচনী কৌশল গ্রহন করবে।)
বিস্তারিত জানার জন্য এখাণে ক্লিক করুন < Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২১
নতুন বলেছেন: হিলারী জয়ী হবে...