নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিনটন (৭৯৫ মিলিয়ন+১.৩ বিলিয়ন) এই যে প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করলো, অথচ আজ নির্বাচনের দিন মার্কিন ভোটারদের অন্তত শতকরা ৪৫ ভাগের এটা নিয়ে কোনো আগ্রহ তৈরি হয়নি।
মাত্র ৫৫ ভাগ মার্কিন ভোটারদের ভোটে ট্রাম্প বা হিলারি কেউ একজন হোয়াইট হাউজে যাবেন আগামী ২০ জানুয়ারি। সারাবিশ্বে গণতন্ত্র-গণতন্ত্র বলে যারা খুব খবরদারি মারান, তাদের নিজেদের জনগণের অন্তত ৪৫ ভাগ তাদেরকে থোরাই কেয়ার করেন। মানে ওদের নিজেদের দেশেই কোনো গণতন্ত্র নাই।
রিপাবলিকান দলের মার্কা হাতি আর ডেমোক্র্যাট দলের মার্কা গাধা। আজ হাতি ও গাধার লড়াই। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো মার্কিন দেশের ৪৫ ভাগ হলো ভোদাই। এদের কোনো রাজনৈতিক সচেতনতা নেই। এরা খায়, কাজ করে, সেক্স করে, বেড়ায় আর ঘুমায়। যার সরল অর্থ হলো, মার্কিন দেশে সত্যিকার অর্থেই কোনো গণতন্ত্র নাই। এফবিআই ওদের প্রেসিডেন্ট কে হবে এটা ঠিক করে।
গোটা বিশ্বের উচিত খোদ মার্কিনীদের এমন নাজুক গণতন্ত্র এবং জটিল এক ভোটের ক্যাচাল নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ভোটের ক্যাচাল জটিল কেন? একজন প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ পপুলার ভোট পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট না পেলে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। এখানেই এফবিআই'র ক্যারিশমা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো, ওদের যে অঙ্গরাজ্যে যে প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ ইলেকটোরাল ভোট পায়, সেই অঙ্গরাজ্যের সকল (শতভাগ) ইলেকটোরাল ভোট সেই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নামে যোগ হয়। এটাই সবচেয়ে বড় ডাকাতি। নির্বাচনের দিন এমন এক প্রকাশ্য ভোট ডাকাতি দিয়ে মার্কিন গণতন্ত্র যাত্রা শুরু করে।
যদি ৫০ টি অঙ্গরাজ্যের আলাদা আলাদা ইলেকটোরাল ভোট আলাদাভাবে যোগ করা হতো, তাহলে একটা ন্যূনতম গণতন্ত্রের কথা হয়তো আমরা স্বীকার করতাম! কিন্তু এই যে একটা ক্যাচাল ওরা ভোটের দিনেই প্রকাশ্যে করে, তার সুস্পষ্ট অর্থ হলো, আর যা হোক অন্তত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ওরা বিশ্বাস করে ক্ষমতা। আর তা ঠিক করে এফবিআই।
এফবিআই যাকে সমর্থন দেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসলে তিনি হবেন। মাঝখানে ওরা গোটা বিশ্বের চোখের সামনে একটা পাগলামি নির্বাচনের নাটক করে।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হোক আর পরাজিত হোক বা যা কিছু হোক না কেন, ট্রাম্প একজন খুব ভালো এন্টারটেইনার, এটা আমি খুব এনজয় করছি।
.............................
৮ নভেম্বর ২০১৬
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১২
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু হাতির সাথে গাধার জয়, কেমন যেন ঠেঁকছে।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: হাতি আর গাধার লড়াই যে জিতুক জিতুক পারলে দুইটা একসাথে মরুক
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: একেবারে মন্দ বলেননি।