নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ ট্রিবিউট টু সঞ্জীব চৌধুরী!!

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৪

দেখতে দেখতে নয় বছর চলে গেল। সঞ্জীব দা নেই এখনো ভাবতে পারি না। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর আমাদের সবার প্রিয় সঞ্জীবদা, সঞ্জীব চৌধুরী না ফেরার রহস্যময় দেশে চলে গেলেন। যেখানে কেউ একবার গেলে সেই রহস্যময়তার মায়ায় আর পেছনের পৃথিবীতে ফিরে আসে না। হয়তো পেছনের পড়ে থাকা এই পৃথিবীর প্রতি অনেক টান থাকলেও কোনো এক গুপ্ত ধনের নেশায় আর কেউ ফেরে না। কারণ সবাই ততদিনে জেনে যায়, ওদের পেছন পেছন আমরাও সবাই একদিন সেখানে যাব। অ্যাডভান্স পার্টির রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে আগে যারা যায়, তারা সেখানে গিয়ে অনেক কাজকর্ম এগিয়ে রাখে নিকটজনদের জন্য। হয়তো সঞ্জীবদাও সেই কাজের নেশায় ডুব মেরেছেন। আমরা তো কেউ দেখার সুযোগ পাচ্ছি না। যখন যাব, তখন আবার আড্ডায় আড্ডায় সেই ঘটনা দেখব।

১৯৯৬ সালের জুন জুলাই মাস। দৈনিক ভোরের কাগজে সঞ্জীবদা তখন ফিচার পাতার দায়িত্বে। একদিন আমি সঞ্জীবদা'র কাছে গেলাম। গিয়ে বললাম, দাদা আমি আপনার পাতায় লিখতে চাই। সঞ্জীবদার সামনের টেবিল জুড়ে তখন বিশাল আড্ডা চলছে। কোনো চেয়ার খালি নাই। টেবিলের বামপাশে পুরাতন পত্রিকার একটা উঁচু ঢিবি। সেই ঢিবি দেখিয়ে আমাকে বললেন, তুমি ওটার উপর বসো। প্রথম বাক্যের এই তুমিতে আমি মনে মনে এই মানুষটাকে ভালোবেসে ফেলেছি তখন থেকেই। তারপর সঞ্জীবদা কেবল অফুরন্ত ভালোবাসা দিয়ে গেছেন বাকি জীবন। এমন দিলখোলা মানুষকে সহজে ভালোবাসতে পারা মানুষ আমি জীবনে খুব কম পেয়েছি। সঞ্জীবদা এক বিরল গোত্রের আজিব চিস ছিলেন। সঞ্জীবদার সাথে একবার যদি কেউ পরিচিত হয়েছে তো বাকি জীবন সে দাদাকে মনে রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

সঞ্জীবদার সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছে মৃত্যুর ৫/৭ দিন আগে। একদিন বিকাল বেলা আমি ধানমন্ডি'র রাপা প্লাজা থেকে শুক্রাবাদের দিকে হেঁটে হেঁটে ফিরছিলাম। সোবহানবাগ মসজিদের সামনে থেকে রাস্তা ক্রোস করে এপার এসে দেখি সঞ্জীবদা দাঁড়িয়ে আছেন। জিজ্ঞেস করলাম, দাদা কোই যান? সঞ্জীবদা বললেন, তোমারে দেইখা খাঁড়াইলাম। আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম, কোথায় আসছিলেন? দাদা বললেন, ডেন্টাল হোস্টেলে।

তারপর শুক্রাবাদ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আমরা একসাথে হেঁটে হেঁটে আসলাম। চা খেলাম। চিরুট খেলাম। টুকটাক গল্প করলাম। দাদা বললেন, লাভ রোডে আসো না ক্যান? আসবা। ওখানে ফিল্ম দেখার ব্যবস্থা আছে। জবাবে বললাম, দাদা, একদিন গেছিলাম। বিপুল আমাদের ছবি দেখাইলো। আপনি সেদিন ছিলেন না। সেদিন আমার সাথে ছিল সুমন। দাদা জিজ্ঞেস করলেন, কোন সুমন? বললাম, সুমন শামস। দাদা বললেন, হুম, ওতো ওর ফিল্মটা আমাদের ওখানে দেখাইতে চায়। কোই আর তো আসলো না।

আচ্ছা, টোকনের খবর কী? টোকনের ছবি'র কী হইলো? তুমি না টোকনের সাথে ছিলা? দাদার প্রশ্নের জবাবে কইলাম, হুম। ব্ল্যাকআউটের কাজ প্রায় শেষ। রাশান কালচারাল সেন্টারে আমরা প্রিমিয়ার শো করেছি একটা। কিন্তু ফাইনাল কাট করার জন্য টোকন সামীরের সাথে আরো বসতে চায়। ফিল্মের এডিটিং কী আর শেষ হয়, দাদা!

সঞ্জীবদা কইলেন, টোকনরে কইবা, আমি খুব খুশি। এ পোয়েট টার্নস টু ফিল্মমেকার। দ্যাটস এ গ্রেট নিউজ। ও মনে হয় আমার উপরে ক্ষেইপা আছে! জিগাইলাম, ক্যান? টোকনের সাথে আপনার কী হইছে? দাদা হাসি দিয়ে কইলেন, আরে কিচ্ছু না। বোঝো না, অনেক দিন দেখা হয় না। পাগলা একটা। কোই কোই বিজি থাকে। জবাবে বললাম, ব্ল্যাকআউট বানানো শুরুর পর আর কবি'র জীবন নাই দাদা। এখন এলিফ্যান্ট রোড টু গুলশান, গুলশান টু ধানমন্ডি, ধানমন্ডি টু পল্টন, পল্টন টু এলিফ্যান্ট রোড, এই করতে করতেই কখন দিন যায়!

ক্যান? গুলশানে টোকনের কী?
- গুলশানে এডিটর সামীরের বাসা।
- আর ধানমন্ডি?
- ধানমন্ডি চঞ্চলের বাসা।
- চঞ্চল কী করতেছে?
- চঞ্চল ব্ল্যাকআউটের সেট করছে। টাইটেল করছে।
- আর পল্টন?
- পল্টনে ধ্রুবদা'র বাসা।
- শোনো, টোকনকে বলবা যেদিন ফ্রি থাকবে সেদিন সন্ধ্যাবেলায় যেনো আমারে একটা ফোন দেয়।
- আচ্ছা।
- তুমি এখন এইখানে কী করবা? চলো ইস্টার্ন প্লাজা যাই?
- না দাদা, বন্ধুরা আসবে। এখন আমি একটু সাইবার ক্যাফেতে বসবো।
- আরে আবার আইসা পড়বা, চলো!
- না, দাদা, একটু জরুরী ব্যাপার আছে।
- তোমাগো কোনটা যে বেশি জরুরী! চলো, আবার চা খাই।

তারপর আমরা আরেক পশলা চা খেলাম। দাদা একটা রিক্সা নিল। আমি সাকরিনের সাইবার ক্যাফেতে উঠে একটা কম্পিউটারে বসলাম। তখন আমি চুটিয়ে আড্ডা মারি এক আমেরিকান গার্ল ফ্রেন্ডের সঙ্গে। ক্রিস্টি। ক্রিস্টি থাকে টেনেসি। আমেরিকান হলে কী হবে! বিমানে চড়তে ক্রিস্টি খুব ভয় পায়। ঘুম থেকে উঠেই যাতে আমাকে ম্যাসেঞ্জারে পায়, সেজন্যই আমি সন্ধ্যার আগেই শুক্রাবাদে হাজির থাকি। দুই আড়াই ঘণ্টা ক্রিস্টির সাথে প্রেম করে তারপর ধানমন্ডি বত্রিশ নাম্বারে আমাদের নিয়মিত আড্ডা শুরু হয়। ধানমন্ডি নদীর পারে তখন আমাদের রেগুলার আড্ডার বয়স সাত বছর।

ধানমন্ডি সাতাশ নম্বরের মাথায় শংকরের দিকে তখন আমার টেম্পোরারি অফিস। প্রফেসর নজরুল ইসলাম স্যারের নগর গবেষণা কেন্দ্রে। জাইকা'র সাথে আমরা তখন ঢাকার ওয়াস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে একটা গবেষণা করছিলাম। ঢাকার বাসা বাড়িতে যত ময়লা হয়, সেই ময়লা ডাম্পিং করে ঢাকা শহরের জন্য বিদ্যুৎ বানানো যায় কীভাবে, তাই নিয়ে সেই গবেষণা। এর আগে নজরুল স্যারের নগর বস্তির উপর এক গবেষণার কাজ মাঝপথে ফেলে রেখেই আমি ফেব্রুয়ারি মাসে লাপাত্তা হয়েছিলাম।

সন্ধ্যায় টোকন ঠাকুর ফোন দিয়ে বলল, রেজা কোই আছেন? বললাম, অফিসে। কতক্ষণ থাকবেন? কয়েক মিনিট। মোস্তাফিজ নাস্তা আনতে গেছে। নাস্তা খেয়ে বেতনটা পেকেটে ঢুকাতে যতটুক সময় লাগে। জবাবে টোকন বলল, আমি ঝিনেদা থেকে এইমাত্র বত্রিশ নাম্বারে এসে ল্যান্ড করলাম। সিনেমা বানাতে হবে। আপনি চইলে আসেন। তারপর নজরুল স্যারের সেই জানুয়ারি মাসের বেতন পকেটে নিয়ে কাউকে কিছু না বলে আমি ঠাকুরের সাথে সিনেমা বানাতে, ব্ল্যাকআউট বানাতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। সেপ্টেম্বর মাসে আমরা যখন রাশান কালচারাল সেন্টারে ব্ল্যাকআউটের প্রিমিয়ার শো করি, তখন নজরুল স্যারকে আমন্ত্রণ করতে গেছিলাম।

নজরুল স্যার আমার উপর মোটেও রাগ করেন নাই, উল্টো খুশি হইছেন যে আমি সিনেমা বানানোর কাজে ছিলাম। পরে আবার ডেকে বললেন, সিনেমার কাজ শেষ হলে একদিন অফিসে আসো। তারপর আবার সেই ওয়াস্ট ম্যানেজমেন্টের গবেষণা। গবেষণা ওয়াস্ট নিয়ে হলে কী হবে, সারা দিন কাটে আমার ধানমন্ডি বত্রিশ নাম্বারে। বিচিত্রার অফিসে মাসুক ভাই (শিল্পী মাসুক হেলাল), রুদ্রাক্ষ (কথাশিল্পী রুদ্রাক্ষ রহমান), শেখরদা (কথাসাহিত্যিক শেখর ইমতিয়াজ), জসিম ভাই (সাংবাদিক জসিম উদ্দিন), রাজীবদা (শিল্পী রাজীব রায়) তো আছেই। সকালের হাফে আবার প্রায়ই যোগ দেন উন্মাদ শাহীন ভাই (কার্টুনিস্ট আহসান হাবিব), পাভেল ভাই (ফটো জার্নালিস্ট পাভেল রহমান), শামীম ভাই (কথাশিল্পী ইমতিয়ার শামীম) ও টোকন ঠাকুর। আড্ডা তো আর ফুরায় না।

বিকালের সেশনে আবার রিয়াজ (রিয়াজ হক), পুলক (পুলক বিশ্বাস), পবন (সুদত্ত চক্রবর্তী পবন), নাহিদ (মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ), নাছিম (অকাল প্রয়াত বন্ধু রেজাউল কবীর মাহমুদ নাছিম), বিপ্লব (মঈনুল বিপ্লব), রাশেদ (কবি জাফর আহমেদ রাশেদ), শামীম ভাই (ভোকা শামীম আহমেদ), বিপুদা (সত্যজিৎ পোদ্দার বিপু), রোকন (গল্পকার রোকন রহমান), খোকন (গল্পকার খোকন কায়সার), হুমায়ুন (হুময়ুন কবীর), রানা ভাই (নুরুদ্দিন রানা), খুলু (নজরুল ইসলাম), ফিরোজ (কবি ফিরোজ এহতেশাম), অলক (কবি অলক চক্রবর্তী), শাহীন (শিল্পী শাহীনুর রহমান), কল্লোল (ডা. কল্লোল চৌধুরী), রসুল ভাই (হযরত গোলাম রসুল), রাজীবদা (গল্পকার ও সাংবাদিক রাজীব নূর), মুকুল (নাট্যকার ও নির্দেশক আমিনুর রহমান মুকুল) সহ অনেকে।

হুট করে ওই ধানমন্ডিতে বসেই খবর পেলাম সঞ্জীবদা চলে গেছেন। শামীম ভাই (ভোকা) ছিলেন সঞ্জীবদা'র দীর্ঘদিনের টেবিল পার্টনার। রম্য লেখক আহসান কবির আরেকজন টেবিল পার্টনার। সন্ধ্যায় যে যেখানে থাকুক। এই দুই পার্টনারের সাথে সঞ্জীবদার দেখা হবেই! শামীম ভাই ধানমন্ডিতে আমাদের সাথে আড্ডা দেওয়া শুরু করার পর থেকে সঞ্জীবদার সাথে আড্ডা একটু কম দেন। তাছাড়া সঞ্জীবদা তখন যায়যায়দিন পত্রিকায়। আর শামীম ভাই দাদার আগের কর্মস্থল ভোরের কাগজেই আছেন।

সঞ্জীবদার হুট করে অমন চলে যাবার খবরে তাই আমাদের চেয়েও বেশি কষ্ট পেয়েছেন শামীম ভাই আর পাগলা টাকু আহসান কবির। এখনো এই দুই পাগলা সঞ্জীবদার কথা উঠলে হেনো গল্প নাই যা আমাদের না শুনিয়ে ছাড়েন। আহসান কবির আবার গল্প বলায় খুব ওস্তাদ। গলার ভয়েস চেইঞ্জ করে কোনটা ছফা ভাই আর কোনটা সঞ্জীবদা স্পষ্ট করেই বুঝিয়ে দেন। আহসান কবির রম্য লেখেন। আবার বেচারার মুখেও রম্য আর রম্যের খই ফোটে। রম্য ছাড়া কোনো গান নাই। এই ফাঁকে সঞ্জীবদাকে নিয়ে আহসান কবিরের বিখ্যাত সত্য গল্পটা একটু বলি-

একবার সঞ্জীবদা গেছেন ছফা ভাই'র বাসায়। ছফা মানে হযরত আহমেদ ছফা। তো গিয়ে দেখেন প্রোফেট ছফা ভাই বাসায় পায়চারী করছেন। সঞ্জীবদাকে দেখেই বললেন, সঞ্জীব, তুমি কী আমার একটা উপকার করতে পারবা? সঞ্জীবদা জবাবে বললেন, কীসের উপকার ছফা ভাই? ছফা ভাই বললেন, আমাকে একজন ফটোগ্রাফার ম্যানেজ করে দাও।
- ফটোগ্রাফার দিয়ে কী করবেন ছফা ভাই?
- ছবি তোলাবো?
- কার ছবি?
- কার আবার? আমার!
- আপনার ছবি তো যে কোনো সময় তোলা যাবে। আগে জানলে তো আমি ক্যামেরা সঙ্গে আনতাম।
- তুমি ব্যাপারটা খুব হালকাভাবে নিচ্ছো সঞ্জীব?
- হালকাভাবে কোথায় নিলাম? আপনি ছবি তোলাবেন। আমি তুলে দেব। বা কাউকে ডেকে তোলানোর ব্যবস্থা করবো।
- তুমি বুঝতে পারছো না সঞ্জীব, ব্যাপারটা খুব জরুরী।
- ছফা ভাই, আপনি একটু বসেন। শান্ত হন। আমি ক্যামেরার ব্যবস্থা করতেছি। আমিও আপনার সাথে একটা জরুরী বিষয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি। আপনি একুট বসেন ছফা ভাই।
- না আমি বসবো না। আগে তুমি আমার ছবি তোলার ব্যবস্থা করো। আমার ব্যাপারটা বেশি জরুরী, সঞ্জীব!
- ছফা ভাই আপনি কিন্তু ছেলেমানুষি করতেছেন?
- ছেলেমানুষি তুমি করতেছো। তুমি জানো আমার ব্যাপারটা কত সিরিয়াস?
- ঠিক আছে, আগে আপনার সিরিয়াস ব্যাপারটাই বলেন, শুনি।
- একটু আগে তসলিমা এসেছিল। আমি বললাম, আমার একটু শরীর খারাপ। তোমাকে বেশি সময় দিতে পারবো না আজ।
-তারপর?
- তারপর তসলিমা বললো, আপনি সকালে ঢাকা মেডিকেলে আমার চেম্বারে আসেন। আমি দেখে দিবানি।
- তো, এখানে তো কোনো সমস্যা দেখি না।
- তুমি একটা গাধা। সমস্যা না জেনেই তুমি কোনো সমস্যা দেখতে পাচ্ছো না।
- ছফা ভাই, আপনার শরীর খারাপ। তসলিমা দেখে দেবে। আপনি একা যেতে না পারলে প্রয়োজনে আমরা কেউ সঙ্গে যাবো। এখানে তো কোনো সমস্যা দেখি না।
- তুমি একটা আস্তো গাধা!
- আচ্ছা ছফা ভাই, খুলে বলেন তো আপনার সমস্যাটা আসলে কী?
- শোনো, আমার পাছায় একটা ফোঁড়া উঠেছে। একেবারে গোদের উপর বিষ ফোঁড়া। যে কারণে আমি একদম বসতে পারছি না। এখন তুমিই বলো সঞ্জীব, আমি কী তসলিমাকে আমার পাছা দেখাতে পারি? তুমি কও সঞ্জীব? তাই একজন ফটোগ্রাফার আমার খুব দরকার। পাছার ছবি তোলাবো। তারপর তসলিমাকে সেই ছবি দেবো। ব্যাপারটা তুমি এখন ক্লিয়ার?
- হুম, একদম ক্লিয়ার, ছফা ভাই!

আহসান কবিরের গল্প বলা শেষ হবার আগেই আমরা হেসে একেবারে গড়াগড়ি যাই। এখন ছফা ভাইও নাই। সঞ্জীবদাও নাই। দু'জনে হয়তো ওপারে বসে বসে এমন মজার সব কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। আমরা যে কেউ যে কোনো মুহূর্তে সঞ্জীবদা বা ছফা ভাইয়ের ঐতিহাসিক আড্ডায় আবার সামিল হবো। ততদিন আমরা কেবল সঞ্জীব দা আর ছফা ভাইকে হৃদয় দিয়ে স্মরণ করবো। এছাড়া তো আমাদের কাছে আর কোনো দাওয়া নাই! উই লাভ ইউ ছফা ভাই। উই লাভ ইউ সঞ্জীবদা। তোমরা ওই সুদূর আকাশের যে তারা হয়েই থাকো না কেন, একদিন আবার আমাদের নিশ্চয়ই দেখা হবে। অনেক আড্ডা হবে। তখন মনের কথা সব খুলে বলবো।

আজ সঞ্জীবদার ৫২তম জন্মদিন। সঞ্জীবদার জন্মদিনে খুব বেশি মনে পড়ছে সঞ্জীবদাকে। এ রেড স্যালুট কমরেড। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর সঞ্জীবদা বাইলেটারেল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সঞ্জীবদা তোমাকে আমরা ভুলি নাই। কোনোদিন তোমাকে ভুলতে পারবো না।

...............................
১৯ নভেম্বর ২০১৬





মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভালো লেগেছে।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.